বন্ধ দরজা পর্ব ২৯

#বন্ধ_দরজা
পর্ব-২৯
লেখা-মিম

তিনদিন পর…….
সুহায়লা কিছুক্ষন আগেই হসপিটাল থেকে ফিরে এসেছে। কপালের সেলাইগুলো কেঁটে দেয়া হয়েছে। তানভীরও ছিলো সাথে। ঘরে ফিরেই মহানন্দে লাগেজ গোছাচ্ছে সুহায়লা। তানভীর খাটের উপর বসে বসে দেখছে সুহায়লা কতটা উৎসাহ নিয়ে লাগেজ গোছাচ্ছে।
-” খুব আনন্দ হচ্ছে তাই না?”
-” হুম।”
-” আমাকে ছেড়ে থাকতে কষ্ট হবে না?”
-” হবে হয়তো।”
-” যেভাবে লাগেজ গোছাচ্ছো তা দেখে তো মনে হচ্ছে আমার কথা তোমার একটুও মনে পড়বে না।”
-” তেমন কিছুই না।”
-” সবে তো আজ স্টিচগুলো কাটিয়ে আনলাম। আজ এখানে থেকে যাও। কাল না হয় বাসাবো যেও।”
-” কেনো? আজ গেলে কি সমস্যা?”
-” তোমাকে যেতে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে না। প্লিজ আজ রাতটা থেকে যাও।”
-” আমি তো বাসা বলে দিয়েছি আজকে তুমি ঐ বাসায় ডিনার করবে। আম্মা তোমার জন্য রান্না করছে।”
-” করুক। বক্সে ভরে ডিপে রেখে দিতে বলো আর নয়তো উনাদের খেয়ে ফেলতে বলো।”
-” আম্মা কখনোই তোমাকে বাসি খাবার খাওয়াবে না।”
-” তাহলে চলো ডিনার সেড়ে আবার আমার সাথে চলে আসবা।”
-” এটা কি ধরনের কথা বললে তুমি?”
তানভীর পিছন থেকে সুহায়লাকে জড়িয়ে ধরে কানে ফিসফিস করে বললো,
-” প্লিজ আজকে আমার সাথে থেকে যাও। প্লিজ……”
-“…………”
-” প্লিজ…..”
-” ঠিকাছে। আমি আম্মাকে বলে দিচ্ছি আমরা কালকে যাবো। কিন্তু কালকে কখন যাবো?”
-” সন্ধ্যার পর। আমি অফিস থেকেফিরে তোমাকে নিয়ে যাবো।”
-” কালকে আবার টালবাহানা শুরু করবে না তো?”
-” উহুম। একদম না।”
সুহায়লা নিজেকে তানভীরের বাহুডোর থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বিছানার উপর রাখা ফোনটা হাতে নিলো। কথা বলতে বলতে ছাদের ওপাশটায় চলে গেলো। কিছুক্ষন পর ফোনটা কেটে দিয়ে সুহায়লা ঘাড় ঘুরাতেই দেখলো তানভীর একদম ওর দু কদম সামনে দাঁড়ানো। সুহায়লার দিকে এগিয়ে আসছে তানভীর। পিছনের দিকে পা বাড়াচ্ছে সুহায়লা। একটা পর্যায়ে রেলিং এ পিঠ ঠেকে গেলো ওর। তানভীর ওর দিকে সামান্য ঝুঁকে সুহায়লার দুপাশে রেলিংয়ের উপর হাত রাখলো। তানভীরের বেড়াজালে সে এখন বন্দী। দুজনই দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে।
-” আমি চাই আজ তুমি শুধুমাত্র আমার হও। ফোনের সুইচ অফ করে দাও। সবার সাথে কথা বলা বন্ধ। সাবা, সাদি, নিশাত, নয়ন কারো সাথে কথা বলতে পারবে না। শুধুমাত্র আমার সাথে কথা বলবে তুমি।”
-” আমার ক্ষুদা লেগেছে। খেয়ে আসি?”
-” কিসের মধ্যে কি সুহায়লা? আমি ভালো করে জানি তোমার ক্ষুদা লাগেনি। এই সময়ে তুমি কখনো খাও না। তুমি পাশ কাটানোর জন্য এমন মিথ্যা কথা বলছো।”
-” সিরিয়াসলি আমার ক্ষুদা লেগেছে।”
-” চলো, নিচে চলো। দেখি তুমি কত খেতে পারো।”
সুহায়লাকে অনেকটা টানতে টানতে নিচে নামাচ্ছে তানভীর। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে জোরে চেঁচিয়ে নয়নকে ডাকছে সে।
-” নয়ন, এই নয়ন…… টেবিলে খাবার দাও।”
নয়ন ড্রইংরুমে বসে মেয়েকে নিয়ে টিভি দেখছিলো। তানভীরের গলার আওয়াজ শুনেই বুঝতে পারলো সে ক্ষেপে আছে। সোফা ছেড়ে দৌঁড়ে কিচেনে গেলো সে। এক এক করে টেবিলে খাবার সাজাচ্ছে। সুহায়লার পাশের চেয়ারে তানভীর বসে আছে। সমস্ত খাবার সাজানো শেষে সুহায়লার প্লেটে খাবার তুলে দিচ্ছে তানভীর। খাবার সামনে চুপচাপ বসে আছে সুহায়লা। খাচ্ছে না। খাবে কিভাবে? তার পেটে তো ক্ষুদাই নেই।
-” কি হলো খাচ্ছো না কেনো? খাইয়ে দিবো?”
-” না না, আমি খাচ্ছি।”
-” নাও, শুরু করো।”
একটু একটু করে ভাত মাখিয়ে লোকমা মুখে নিচ্ছে সুহায়লা। তানভীর ধমক দিয়ে বললো,
-” মুরগীর মতো একটা দুটা করে খাবার মুখে নিচ্ছো কেনো? বেশি করে খেতে পারছো না?”
-” বেশি করেই তো খাচ্ছি।”
তানভীর আর কথা বাড়ালো না। তাকিয়ে তাকিয়ে সুহায়লার খাওয়া দেখছে। পাঁচ ছয় লোকমা খাওয়ার পর হাপিয়ে উঠেছে সুহায়লা। গলা দিয়ে আর খাবার নামছে না। প্লেটে ভাতের উপর আঙুল নাড়াচ্ছে।
-” কি ম্যাডাম? গলা দিয়ে আর ঢুকছে না বুঝি?”
-” আমার পেট ভরে গেছে।”
-” তোমার পেট ভরাই ছিলো। নতুন করে আবার কি ভরবে?”
-“…………”
-” যাও এভাবে চোরের মতো বসে না থেকে হাত ধুয়ে আসো।”
সুহায়লা টেবিল ছেড়ে উঠে গেলো হাত ধুতে। হাত ধুয়ে এসেই ড্রইং রুমে টিভির সামনে বসে পড়লো।
-” এখানে বসে গেলে কেনো? উপরে চলো”
– ” আমি মুভি দেখবো।”
-” বেডরুমে টিভি আছে সেখানে দেখবে চলো।”
সুহালার হাত ধরে আবার টানতে টানতে উপরে নিয়ে এলো তানভীর। তানভীরের টানাটানিতে নিজেকে অনেকটা গরু মনে হচ্ছে সুহায়লার। রুমে এসেই সুহায়লার হাতে রিমোর্টটা ধরিয়ে দিলো তানভীর।
-” কোন চ্যানেলে মুভি হচ্ছে সেটা বের করো। আমি গেট টা লাগিয়ে লাইট অফ করে আসছি।”
সুহায়লা টিভি অন করে বসে আছে। আসলে কোনো চ্যানেলে মুভি হচ্ছে না। এটাও ছিলো তার অযুহাত। রিমোট হাতে বসে আছে সে। তানভীর লাইটের সুইচ অফ করে সুহায়লার পাশে এসে হেলান দিয়ে বসলো।
-” কি ব্যাপার? খবর দেখছো যে? কোথায় মুভি হচ্ছে বের করো?”
সুহায়লা একের পর এক চ্যানেল পাল্টে যাচ্ছে। তানভীর ভালোই বুঝতে পারছে এটাও তার মিথ্যা কথা। ওর হাত থেকে রিমোর্টটা নিয়ে টিভি অফ করে দিলো। মুখোমুখি এসে বসলো তানভীর। সুহায়লার কানের পাশে চুল গুঁজে দিতে দিতে বললো,
-” তুমি তো কখনো মিথ্যা কথা বলো না। এখন কেনো এত মিথ্যা কথা বলছো?”
-“কোথায় মিথ্যা কথা বললাম?”
-” আবারও মিথ্যা বলছো তুমি। কেনো সুহায়লা? আমি কি তোমার নজরে এতটাই নিচে নেমে গেছি যে আমার সাথে তোমার একটু কথাও বলতে ইচ্ছে হয় না? আমি কি বড় কিছু আবদার ধরেছি? আমি কি বলেছি আসো আমার সাথে ফিজিক্যালি এটাচড হও? বলিনি তো। যাস্ট বলেছি যে আমার সাথে আজকে তুমি গল্প করবা। তুমি সম্পর্কে আমি তেমন কিছু জানি না। তোমার ভালোলাগা মন্দ লাগা কিচ্ছু জানি না আমি। সেগুলো আমি জানতে চাই। আমি চেয়েছিলাম সেসব আজ তোমার কাছ থেকে জানবো। দ্যাটস ইট। আর তুমি কিনা এটা সেটা বলে আমাকে এড়িয়ে যেতে চাচ্ছো? কেনো?”
-” এতসব জেনে লাভ কি?”
-” তুমি আমার ওয়াইফ। তোমার সমস্ত খুটিনাটি জানা আমার দায়িত্ব।”
-” এতদিন দায়িত্বজ্ঞান কোথায় ছিলো?”
-” তুমি আবার শুরু করে দিলে?”
-” শুরুটা তো তুমি করেছিলে, শেষটা নাহয় আমি করি।”
-” কেনো সুহা? সম্পর্কটা এভাবে শেষ কেনো করতে চাচ্ছো? তোমার এসমস্ত কথা আমার মাথায় একদমই আসে না। এসমস্ত পাগলামির মানে টা কি বলো তো? এতদিন সম্পর্কটা স্মুদলি এগোচ্ছিলো না আমার গোয়ার্তামির কারনে। এখন এগোচ্ছেনা তোমার গোয়ার্তামির কারনে। চাচ্ছোটা কি? আমি যে ব্যবহারগুলো করেছি সেগুলো তুমিও আমার সাথে করবে? দেড় বছর আমাকে পোড়াবে? যদি সে ধরনের কোনো শখ থেকে থাকে তাহলে বলে দেই, আমার এত্ত ধৈর্য্য নেই তোমার মতো। আমি কখনোই এসব যন্ত্রনা সহ্য করতে পারবো না। যাকে ভালোবাসি তার অবহেলা সহ্য করবো? ইমপসিবল। শর্টকাট কোনো সলিউশন থাকলে বলো। এতদিন পেশেন্স মেইনটেইন করা আমার দ্বারা সম্ভব না। একদম পাগল হয়ে যাবো। অলরেডি হয়ে যাচ্ছি।”
-” আমি কিভাবে সহ্য করেছি?”
-” হ্যা তোমাকে কষ্ট দিয়েছি। আমি তো এক্সেপ্ট করছিই সেটা আমার বিগ মিসটেক ছিলো। এখন আমি আর কি করতে পারি বলো? তোমার কষ্ট কি করলে মুছবে? দেয়ালে মাথা ঠুকবো,? তোমার পা ধরবো? স্যান্ডেল খুলে মারো আমাকে? তুমি যা চাও তাই হবে। বলো কি চাও ?”
-” পিস অফ মাইন্ড।”
-” সেটা তো আমিও চাচ্ছি। তুমি কি এই মূহূর্তে আমার চেয়ে বেশি জ্বলছো? কক্ষনো না। একসাথে তিনটা ব্যাপার মাথার মধ্যে কন্টিনিয়াসলি ঘুরপাক খেয়েই যাচ্ছে। এক হচ্ছে তোমার সাথে এতদিন আমি যা কিছু করেছি সেগুলো মনে হলেই ইচ্ছে হয় নিজের চুল নিজে ছিঁড়ি। দুই হচ্ছে তোমার ইগনোরেন্স আমি নিতে পারছি না। তিন হচ্ছে তোমাকে নিয়ে আমি সর্বক্ষন ইনসিকিউর ফিল করি। মনে হয় এই বুঝি তুমি চলে গেলে আমাকে ফেলে। এত লোড আমি নিতে পারছি না। আর কিছুদিন পর পাগল হয়ে ছিঁড়া জামা কাপড় পড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে দেখা যাবে আমাকে। তোমাকে কতটুক ভালোবাসি সেটা জানি না। তোমার ভালোবাসাটাকে আমি খুব বেশি ভালোবেসে ফেলেছি সেটা খুব ভালো করেই টের পাচ্ছি। তোমার ভালোবাসাটা আমার প্রয়োজন সুহায়লা। একটু বেশিই প্রয়োজন।”
-” আমারও তো তোমার ভালোবাসার খুব প্রয়োজন ছিলো। আমি কি সেটা পেয়েছি? যতবার তোমার কাছে ভালোবাসার আর্জি নিয়ে গেছি ততবারই কুকুরের মতো দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয়েছো। এখন হঠাৎ কি এমন হয়ে গেলো যে এই মিডেল ক্লাস ফ্যামিলির মেয়ের ভালোবাসার এত প্রয়োজন পড়েছে?”
-” কিভাবে বুঝাবো তোমাকে? ভালোবেসে ফেলেছি। নিজের ফিলিংসের কাছে এখন আমি হেল্পলেস। এজন্যই তুমি আমাকে এভাবে নাচাচ্ছো।”
-” হুম যেমনটা তুমি আমাকে নাচিয়েছিলে।”
তানভীরের অসম্ভব রকমে মেজাজ খারাপ হচ্ছে। সে কোনোভাবেই তার কথাগুলো বুঝাতে পারছে না। ইচ্ছে হচ্ছে সুহায়লাকে কষে দুটা চড় মারতে। এই মেয়ে কেনো বুঝছে না ওর কথা? কিন্তু মেরে লাভ হবে না। উল্টো সেইই কষ্ট পাবে। শেষমেষ রাগ ঝাড়লো ফোনের উপর। একটা ফোনকে তিনবার আছাড় মেরেছে সে। আছাড় মারার পর্ব শেষ করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো সে। বাড়ির ছাদে এপাশ থেকে ওপাশ পায়চারী করছে আর নিজের চুল ধরে নিজেই টানছে। কোনোভাবেই শান্তি পাচ্ছে না সে। এই ঝামেলার অন্ত কোথায়? আদৌ কি এটার কোনো অন্ত আছে? এটার উত্তর সুহায়লার কাছে আছে। এবং উত্তরটা তাকে এখনই জানতে হবে। আবার নিচে নেমে এলো তানভীর। রুমে ফিরে সুহায়লার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলো,
-” সোজাসাপ্টা উত্তর দিবা। এই মান অভিমানের অন্ত কোথায়?”
-” জানি না।”
-” বাংলা বুঝো না নাকি কানে শুনো না? বলেছি সোজাসাপ্টা উত্তর দিতে। উত্তর দাও।”
-” এটাই উত্তর। আমি জানি না।”
এবার বেডসাইড টেবিলের উপর থেকে পানির জগ আর গ্লাস নিয়ে আছাড় মারলো তানভীর। ভাঙা কাঁচের উপর দিয়েই হেঁটে চলে গেলো। পায়ে কাঁচ বিঁধেছে তার। সাদা টাইলসে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ লেগেছে। তানভীরের সেদিকে হুঁশ নেই। সুহায়লাও প্রথমে খেয়াল করেনি। তানভীর চলে যাওয়ার পর লক্ষ্য করলো তানভীরের পায়ের রক্তগুলো। ভিতরে মোচড় কেঁটে উঠলো তার। রুম থেকে ছুটে বেরিয়ে গেলো তানভীরকে খুঁজতে। একদম কর্নারের রুমটায় পাওয়া গেলো ওকে। বিছানায় কাৎ হয়ে গুটিসুটি মেরে পড়ে আছে।
-” তোমার পা কেটে গেছে। রুমে চলো। ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছি।”
-” লাগবে না।”
সুহায়লা বুঝতে পারছে হাজার কিছু বলেও তানভীরকে উঠানো সম্ভব না। তাই সে নিজেই বেডরুম থেকে ব্যান্ডেজ আর মেডিসিন নিয়ে এলো। তানভীরের পা ড্রেসিং করে দিচ্ছে সে। তানভীর শোয়া থেকে উঠে বসলো। সুহায়লার হাত ধরে বললো,
-” ভালো তো বাসো ঠিকই। তাহলে আমাকে ছাড়ার জন্য এভাবে উঠেপড়ে লেগেছো কেনো?”
-” আমার বড় খালা একবার খালুর সাথে ঝগড়া করে আমাদের বাসায় চলে এসেছিলো। তিনদিন ছিলো উনি। বাসায় আসার ঘন্টাখানেক পর থেকেই শুরু হয়েছে উনার চিন্তা খালুকে নিয়ে। তোর খালু খাচ্ছো তো? তোর খালু ঘুমাচ্ছে তো? ঔষধ টা ঠিকমতো খেয়েছে তো? আবার শুনি উনি খালুকে বকাও দিচ্ছে। তো উনাকে জিজ্ঞেস করলাম খালা তুমি খালুকে এতো ভালোবাসো, উনার জন্য এতো চিন্তা তোমার তাহলে আবার উনাকে বকছো কেনো? তখন উনি বললেন, তারে ছাড়া বাঁচি না, তারে সাথে থাকতেও পারি না। সেদিন উনার উত্তরের আগামাথা কিছুই বুঝিনি। এখন ঠিকই বুঝি।খালার জায়গায় এখন আমি এসে ঠেকেছি। তোমাকে ছাড়া থাকতেও পারিনা, তোমার সাথেও থাকতে মন টানে না। বিশ্রি একটা পরিস্থিতিতে আটকা পড়ে আছি। আমিও এটার অন্ত চাই। কিন্তু এর অন্ত কোথায় তা আমার জানা নেই। সত্যিই জানা নেই। জোর করে আর যাই হোক, সংসার করা সম্ভব না তানভীর। তোমার সাথে সংসার করতে গেলে নিজের মনের বিরুদ্ধে সংসার করতে হবে। কেউই সুখি হতে পারবো না। আবার দুরে সরে গেলেও কষ্ট পাবো সেটাও নিজের মনের বিরুদ্ধেই যেতে হবে। ভয়ানক দোটানায় ভুগছি। তুমি তো তবুও একটা সাইড স্থির করে নিয়েছো যে সংসার করবা। আমি তো স্থির করতেই পারছি না সংসার করাটা কি আদৌ ঠিক হবে নাকি দূরে চলে যাওয়াটাই ভালো হবে?
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here