#বর্ষণের সেই রাতে- ২
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
৭৩.
বিছানায় আধশোয়া হয়ে বসে আছে অনিমা। হাতে একটা ফলের প্লেট। একটা একটা করে ফলের টুকরো মুখে নিচ্ছে আর মুখ ফুলিয়ে চিবোচ্ছে। মাঝেমাঝে আদ্রিয়ানের দিকে বিরক্তি মিশ্রিত চোখে তাকাচ্ছে। দেখতে কিউট লাগছে বেশ। পেট বড় হওয়ার সাথেসাথে কিছুটা গুলুমুলু টাইপ হয়ে গেছে। অরুমিতা, তীব্র আর স্নেহা পাশে দাঁড়িয়েই মিটমিট করে হাসছে। আদ্রিয়ান চেয়ারে বসে একটা হতাশ শ্বাস ফেলে বলল,
” দেখ? এমনভাবে তাকাচ্ছে আর খাচ্ছে যেনো পৃথিবীর সবচেয়ে অখাদ্য এনে খেতে দিয়েছি আমি ওকে।”
অনিমা রাগী কন্ঠে বলল,
” এটাকে আপনার ভালো খাবার বলে মনে হয়?”
আদ্রিয়ান কিছু বলতে গিয়েও থেমে গেল। অন্যসময় হলে চোখ রাঙানোই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু এখন এই মেয়েকে ঘাটানো একদম ঠিক হবেনা। যখন-তখন যা ইচ্ছা করে ফেলতে পারে। ভালোভাবে ব্যাপারটা সামলাতে হবে। তাই জোরপূর্বক একটা হাসি দিয়ে বলল,
” একদম! আসলেই এটা বাজে খাবার। কিন্তু কী বলোতো আমাদের বাচ্চাটার জন্যেতো এটা দরকার। কদিন পর যখন ও চলে আসবে তখন আর তোমাকে এসব খেতে হবেনা।”
অনিমা কিছুই বলল না। বিরক্তি নিয়ে চুপচাপ খাওয়ায় মনোযোগ দিল। বেশ অনেকটা সময় অনিমার কাছে থাকার পর অরুমিতা, তীব্র, স্নেহা বেরোনোর জন্যে উঠে দাঁড়াল। আদ্রিয়ানও এখন বাইরে যাবে তাই ওদেরকে বলল ড্রপ করে দেবে। অনিমাকে মনি আর বাবলীর কাছে রেখে ওদের নিয়ে বেরিয়ে পড়ল আদ্রিয়ান। বাবলী মেয়েটা মাস দুই আগেই এসেছে। আদ্রিয়ান নিজেই ওকে এনেছে। অনিমার যত্ন ঠিকভাবে নেওয়ার জন্যে বাড়তি লোক দরকার।
তীব্র আর স্নেহাকে নামিয়ে দেওয়ার পর গাড়িতে শুধু আদ্রিয়ান আর অরুমিতা রইল। কিছুটা পথ যাওয়ার পর আদ্রিয়ান বলল,
” বিয়ের কথা কিছু ভেবেছো?”
অরুমিতা অন্যমনস্ক হয়ে কিছু ভাবছিল। আদ্রিয়ানের কথায় চট করে হুশ ফিরল ওর। তাড়াতাড়ি নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
” বাড়ি থেকে বারবার বলছে। অয়ন স্যারের বাড়ি থেকেও ফোন করেছিল কয়েকবার।”
আদ্রিয়ান সোজাসাপ্টাভাবে বলল,
” তোমার কী ইচ্ছা?”
অরুমিতা কিছুক্ষণ চুপ রইল। এরপর কম্পিত কন্ঠে বলল,
” আমি জানিনা ভাইয়া। আমি কিছু বুঝতে পারছিনা।”
” আশিসকে আমাদের কাছ থেকে সরে যেতে বললেও ওর সব খবর রেখেছি আমি। ও বদলেছে, সম্পূর্ণ বদলেছে। নিজের করা অন্যায়ের জন্যে অনুতপ্ত তো ও ছিলোই আর যথেষ্ট শাস্তিও পেয়েছে। আমি তোমাকে বলব না আগের সব ভুলে যাও, ওকে মেনে নাও বা ফিরিয়ে নাও নিজের জীবনে। শুধু এটুকুই বলব যেটাই করবে ভেবে করো। আবেশের বশবর্তী হয়ে এমন কোন সিদ্ধান্ত নিও না যার জন্যে ভবিষ্যতে পস্তাতে হয়। বাকিটা সম্পূর্ণ তোমার ইচ্ছে। তবে ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিও।”
অরুমিতা মাথা নাড়ল। আদ্রিয়ানও আর কিছু বলল না। কিছুক্ষণ পর অরুমিতা বলল,
” ভাইয়া, অনি সুস্থ হয়ে যাবেতো?”
আদ্রিয়ানের মুখে আবার গাম্ভীর্যতা দেখা দিল। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন,
” আর কয়েকদিন পরই ডেলিভারী। এ-কদিন ধৈর্য্য ধরতেই হবে। এরপর আমি নিজের সবটা দিয়ে চেষ্টা করব ওকে সুস্থ করার।”
অরুমিতা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। আদ্রিয়ান নামক এই মানুষটার ধৈর্য্যশক্তি, দায়িত্ববোধ আর ভালোবাসার প্রশংসা করতে ও বাধ্য। গত ছয়টা মাস যাবত অনিমাকে যেভাবে সামলেছে। ওর সব পাগলমী, অহেতুক আবদার, অযৌক্তিক কর্মকাণ্ড যেভাবে সহ্য করেছে সেটা কজন স্বামী পারতো ভেবে দেখার বিষয়। আদ্রিয়ানের পরিবারও যথেষ্ট সাহায্য করেছে ওকে। রিমা, লিমা, স্নিগ্ধা আদ্রিয়ানের অনুপস্থিতে ওরাই অনিমার সবরকম খেয়াল রেখেছে। ওনাদের কাছে রেখে আদ্রিয়ান নিশ্চিন্তে বাড়ি থেকে বের হতে পারতো।
__________
হালকা অন্ধকার একটা ঘরের মধ্যে কবির শেখ আর রঞ্জিত চৌধুরী বসে আছেন। সারারুমে শুধু একটা হলদে লাইটের আলো আছে। একটা টেবিল আর চারটা চেয়ার ছাড়া রুমটাতে কিছূই নেই। রঞ্জিত চৌধুরী বলল,
” যা করার আজই করে ফেল। আদ্রিয়ান, হাসান কোতয়াল আর আমার ঘরশত্রু বিভীষণ ছেলে। একজনের ওপরেও বিশ্বাস নেই আমার। যেকোন সময় যা খুশি করে বসতে পারে।”
কবির শেখ গম্ভীর স্বরে কিছুক্ষণ ভাবল। এরপর বলল,
” কথাটা ভুল বলোনি। হঠাৎ করেই তিনটা লাইনে যোগাযোগ করতে পারছিনা। বাকি লাইনগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ-ই অদ্ভুত ব্যবহার করছিল। ঝামেলা কিছুতো একটা আছেই।”
” সেইজন্যই বললাম।”
কবির শেখ পকেট থেকে নিজের ফোনটা বের করলেন এরপর একটা নাম্বারে ডায়াল করলেন। ফোন বাজতেই একটু চমকে উঠল বাবলী। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে কবির শেখের ফোন। অনিমার দিকে একপলক তাকিয়ে দেখল ও সোফায় হেলান দিয়ে শুয়ে টিভি দেখছে। একটু দূরে সরে দাঁড়িয়ে ফোনটা রিসিভ করতেই কবির শেখ বললেন,
” ওদিকে সব ঠিক আছে?”
বাবলী ফিসফিসে গলায় বলল,
” হ্যাঁ সব ঠিক আছে।”
” অনিমার ডেলিভারী ডেটতো কয়েকদিন পর তাইনা?”
” জি স্যার।”
একই ভঙ্গিতে বলল বাবলী। কবির শেখ বলল,
” তাহলে আজই কাজটা করে ফেলো। যেকোনভাবে মেরে ফেলো বাচ্চাটাকে। আজই। এমনভাবে কাজটা করবে যাতে মনে হয় এক্সিডেন্ট। আর সাথে যদি ঐ মেয়েটাও মরে যায় তবে খুব ভালো। আর এটা করার অনেক উপায়ই আছে। সেগুলো নিশ্চয়ই বলে দিতে হবেনা তোমাকে?”
” না স্যার।”
” কাজটা হয়ে গেলে সাথেসাথে ফোন করে আমাকে জানাও।”
কবির শেখ ফোনটা কেটে দিলেন আর বাবলী অনিমার দিকে তাকিয়ে একটু ঢোক গিলল। রঞ্জিত চৌধুরী বললেন,
” তো? এবারের প্লান কী?”
” বাবলীর ফোন এলেই আমরা আমাদের লোক নিয়ে গোডাউনে চলে যাবো। ওদিকে আদ্রিয়ান ওরা সবাই অনিমাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। আর আমরা ওগুলো নিয়ে চলে যাবো ওখান থেকে। আপাতত আবার গা ঢাকা দিতে হবে আমাদের। এটা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।”
প্রায় দুই ঘন্টা পার হয়ে গেল। কবির শেখ আর রঞ্জিত চৌধুরী ওনাদের গোডাউনে বসে অপেক্ষা করছে বাবলীর ফোনের। ফোন পেলেই নিজেদের কাজ শুরু করবে। কাজটা ঠিকঠাক মত না হলে যে বিশাল ঝামেলা হয়ে যাবে। পাঁচ মিনিট পরেই কবির শেখের ফোন বেজে উঠল। হ্যাঁ বাবলীই ফোন করেছে। কবির শেখ দ্রুত ফোন রিসিভ করে বলল,
” কাজ হয়ে গেছে?”
ওপাশ থেকে বাবলী কাঁপাকাঁপা গলায় বলল,
” জি স্যার। কাজ হয়ে গেছে। বাচ্চাটার বাঁচার আর চান্স নেই।”
কবির শেখ উত্তেজিত হয়ে একহাত দিয়ে মুখের ঘাম মুছে নিয়ে বলল,
” আর অনিমা?”
বাবলী আগের মতো করেই বলল,
” অবস্থা ভালো না। জানিনা কী হবে। বাড়ির সবাই ওনাকে নিয়ে হসপিটালে গেছে। আদ্রিয়ান স্যারও।”
” ভেরী গুড।”
কথাটা বলে কবির শেখ ফোনটা রেখে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। রঞ্জিত চৌধুরী বললেন,
” কাজ হয়ে গেছে?”
” হ্যাঁ, চলুন! তাড়াতাড়ি সব করে বের হতে হবে।”
নিজের লোকেদের ইশারা করতেই ওরা বস্তা আর ব্যাগগুলো উঠিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করল। প্রায় দশমিনিট পর যখন অলমোস্ট সব গোছানো হয়ে গেছে। কবির শেখ কিছু করছেন না দাঁড়িয়ে আছেন তবুও হাঁপিয়ে গেছেন দেখতে দেখতে। এমন সময়ই কেউ বলে উঠল,
” কিছু না করেই হাঁপিয়ে গেলে মামা? এরপর কী করবে?”
কবির শেখ আর রঞ্জিত চৌধুরী চমকে তাকালেন আওয়াজ অনুসরণ করে। আর যা দেখলন তাতে জমে গেলেন ওনারা। আদ্রিয়ান দাঁড়িয়ে আছে। শুধু আদ্রিয়ান নয় রিক, হাসান কোতয়াল দুজনেই আছে। কিছুক্ষণ অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার পর কবির শেখ বললেন,
” তোমরা? তোমাদের তো…”
রিক কবির শেখকে থামিয়ে দিয়ে বলল,
” অনিমার কাছে হসপিটালে থাকার কথা ছিল, তাইনা?”
রঞ্জিত চৌধুরী বলল,
” কিন্তু এটা কীকরে সম্ভব? এই জায়গার কথাতো আমরা ছাড়া আর কেউ..”
আদ্রিয়ান মাথা নিচু করে হালকা হাসল তারপর সামনে তাকিয়ে বলল,
” তোমাদের এই একটা দোষ। সবসময় প্লানটা খুব সুন্দর করলেও কিছু কিছু জিনিসে নজর দিতে একদম ভুলে যাও। আর সেইজন্যই একদম লাস্ট মোমেন্টে এসে তোমাদের সব প্লান ভেস্তে যায়। সেটা মিস্টার সিনিয়রকে মার্ডারের প্লান হোক বা আমার বাচ্চাকে। তুমি ভাবলে কীকরে যে রুণা আমার এতো বড় একটা ক্ষতি করে দেওয়ার পরেও আমি অন্যএকটা মেয়েকে আবার আমার বাড়িতে ঢোকাবো। তাও এমনি এমনি?”
কবির শেখ অবাক কন্ঠে বলল,
” তুই জানতি যে রুণাই.__”
আদ্রিয়ান আবারও বাঁকা হাসল। আসলে দু-মাস আগে রুণাকে খুঁজে বের করেছিল আদ্রিয়ান। ওকে নিজের গ্যাং এর অফিসে উঠিয়ে এনে প্রাণে মারার ভয় দেখাতেই সবটা স্বীকার করে নেয়। আর এটাও বলে যে কবির শেখ এখানেই থামছে না ওনার আরও ভয়ানক একটা পরিকল্পনা আছে। আর তাই আদ্রিয়ানও একটা পরিকল্পনা করলো।
__________
দুই মাস আগে-
আদ্রিয়ান এর সামনের চেয়ারে মাথা নিচু করে বসে আছে রুণা। ওর ঠিক পাশেই ওরই বয়সী একটা মেয়ে বসে আছে। দুজনেই আদ্রিয়ানের ভয়ে রীতিমতো কাঁপছে। আদ্রিয়ান শান্ত কন্ঠে প্রশ্ন করল,
” কী নাম তোমার?”
মেয়েটা জড়িয়ে যাওয়া কন্ঠে বলল,
” বাবলী।”
আদ্রিয়ান শক্ত কন্ঠে বলল,
” তো তোমাকে আমার বাড়িতে পাঠানোর একটা ছোট্ট চেষ্টা করা হবে আমারই বাচ্চাটাকে মারার জন্যে?”
বাবলী ভয় পেয়ে গিয়ে বলল,
” বিশ্বাস করুন স্যার আমি কিচ্ছু করব না।”
” করবে।”
আদ্রিয়ানের কথায় অবাক হল বাবলী। করবে মানে কী? লোকটা কী নিজেও নিজের বাচ্চাকে মারতে চায় নাকি? বাবলীর ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে আদ্রিয়ান বলল,
” তুমি কবির শেখের কথায় আমার বাড়িতে যাবে। আমি নিজেই নিয়ে যাব তোমাকে। কিন্তু কাজ করবে আমার কথামতো। আর সেটা যাতে কবির শেখ জানতে না পারে।”
________
এরপর থেকে আদ্রিয়ানের কথামতোই কাজ করেছে বাবলী। আর কবির শেখ কোথা থেকে কল করছে। কী বলছে। সবকিছুই আদ্রিয়ান জানতে পারতো ট্র্যাকার এর মাধ্যমে। বাবলীর কাছে যখনই ফোন আসতো তখনই লোকেশন ট্র্যাক করতো আদ্রিয়ান। বাবলীকেও পুরোপুরি বিশ্বাস করেনি ও সবসময় নিজের লোক দিয়ে ওর ওপরেও নজর রাখতো।
কবির শেখ অবাক হয়ে বললেন,
” তারমানে কিছুক্ষণ আগেও বাবলী আমাকে মিথ্যে বলেছে?”
আদ্রিয়ান হাসল শুধু। কবির শেখ আফসোসের একটা শ্বাস ফেললেন। রঞ্জিত চৌধুরীও রাগে ফেটে পড়ছেন একপ্রকার। সত্যি ভুল হয়ে গেছে। আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল ওনাদের। বোঝা উচিত ছিল যে যার সাথে খেলছে সে আদ্রিয়ান। রিক নিজের বাবার দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,
” ভেবেছিলাম জেল থেকে বেরিয়ে অন্তত শুধরে যাবে কিন্তু… আফসোস হচ্ছে খুব যে তোমার সন্তান হয়েই কেন জন্মালাম।”
হাসান কোতয়াল বললেন,
” কিছু কিছু মানুষের স্বভাব রক্তে মিশে যায়। কুকুরের লেজ যেমন সোজা হয়না। সেই স্বভাবগুলোও যায়না।”
রঞ্জিত চৌধুরী রাগে ফুসতে ফুসতেই চোখ সরিয়ে নিলেন। কবির শেখ কোনভাবে বের হওয়ার একটা উপায় খুঁজবেন কিন্তু তার আগেই বুঝতে পারলো যে চারপাশে পুলিশ এসে ঘিরে ফেলেছে ওদের। আর কোনভাবেই বের হওয়া সম্ভব নয়। খুব বেশিই হালকাভাবে নিয়ে ফেলেছিল আদ্রিয়ানকে যেটা ঠিক হয়নি। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই কাল হয়েছে ওনার।আদ্রিয়ান কোথাও একটা ফোন করে বলল,
” সোহাগ, ভেতরে চলে আয়।”
সোহাগ ফোর্স সহ ভেতরে চলে এলো। কবির শেখ আর রঞ্জিত চৌধুরীকে অ্যারেস্ট করা হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। আদ্রিয়ান সোহাগের দিকে তাকিয়ে বলল,
” বলেছিলাম না ভাগ্যে থাকলে আবার দেখা হবে?”
সোহাগ হেসে বলল,
” ডকুমেন্টগুলো সব আছে আমার কাছে। এবার আর ওরা বাঁচবে না।”
আদ্রিয়ান কিছু বলার আগেই ওর ফোন বেজে উঠল। ফোনটা বাড়ি থেকেই এসেছে। এই সময় বাড়ি থেকে ফোন পেয়ে কপাল কুঁচকে ফেলল আদ্রিয়ান। ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে যা শুনলো তাতে আদ্রিয়ান থমকে গেল। শরীর মৃদু কাঁপতে লাগল ওর। সব তো ঠিক হয়েই যাচ্ছিল এখনই এটা হওয়ার ছিল?
#চলবে…