#বলব_কবে_ভালোবাসি
#পর্ব_০৬
#Marufa_Yasmin
”ওই খানেই দাঁড়াও মেয়ে একদম ভেতরে ঢুকবে না।”
আরু থ হয়ে যায় কথাটা শুনে।আজব তো কে ওকে দাঁড়াতে বলল।আর কেনো ওই বা ভেতরে ঢুকবে না সে।আরু দেখতে পেলো ভেতরের ভিড় এর মধ্যে থেকে একজন বৃদ্ধ মহিলা বেরিয়ে এলেন।আরু বুঝতে পারলো এটা প্রদীপ্ত এর ঠাকুমা।
বৃদ্ধা এগিয়ে এসে পুনরায় বললেন
” তোমার বাড়ি থেকে তোমার মা শিখিয়ে পাঠাইনি কিছু? নতুন বউ গড়গড় করে ভেতরে ঢুকে পড়ছো। ”
আরুর মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।রাগের মাথায় বলল
” আপনি আমার বাবা মা কে টানছেন কেনো? আর আমি এমন কি করলাম আপনি আমাকে কথা শোনাচ্ছেন?ভেতরে ঢুকতে দেবেন না তো কি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকবো? বিয়ে কেনো করেছেন এনি? আমি তো………
আরু কে থামিয়ে দীপ্ত বলল
” আহহ থামুন।ঠাম্মির বয়স হয়েছে কি বলতে কি বলেছেন।তাই জন্য আপনি আমার ঠাম্মি কে কথা শুনাতে পারেন না। ”
” ওয়েট ওয়েট আপনার ঠাম্মি আমাকে এত কথা শুনালো তখন তো কিছু বলতে পারলেন না আর আমি যখন বললাম আমাকে চুপ করতে বলছেন।ওকে বাদ দিলাম।মানলাম উনার বয়স হয়েছে।তা রুমের মধ্যে তালা দিয়ে রাখুন না। ”
দীপ্ত আর সহ্য করতে পারলো না ঠাসস করে আরু কে চরিয়ে দেয়।আরু রাগে গা জ্বলছে।ইচ্ছে করছে এখনি এখান থেকে বেরিয়ে যায়।রাগের আরুর চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে।আরু চেঁচিয়ে বলল
” এই মিস্টার আপনার সাহস কি করে হয় আমাকে চর মারার। আজ পর্যন্ত কারো সাহস হয়নি আরতি সেন এর গায়ে হাত তোলার আর আপনি। থাকবো না আমি এখানে চললাম।”
বাড়ির আত্মীয়স্বজন রা নানারকম কথা বলছে।
সবাই ছি ছি করছে।আরু এইসব আর সহ্য করতে না পেরে
পেছন ফিরে ছুটে মেইন দরজায় যেতেই দীপ্ত আরু কে কোলে তুলে নেয়।
আরু হাত পা ছুড়া ছুরি করতে লাগে দীপ্ত আরু কে কোলে নিয়ে।দরজার দাঁড়িয়ে জোরে চেঁচিয়ে বলল
” মা কোথায় তুমি তাড়াতাড়ি বরণ ডালাটা নিয়ে এসো। ”
এতক্ষন দীপ্তর মা কাজ করতে ব্যস্ত ছিলেন।ছুটে বরণ ডালা নিয়ে আসে।দীপ্ত আরু কে কোলে নিয়ে আছে দেখে দীপ্তর মা বললেন
” একি তুই ওকে কোলে নিয়ে কেনো? ”
” তোমাকে জানতে হবে, না তুমি বরন করো । ”
দীপ্তর মা বরণ শুরু করে বরণ শেষ হতেই দীপ্ত আর কিছু করতে না দিয়ে আরু কে নিয়ে রুমে চলে যায়।
রুমে গিয়ে আরু কে ধাপাস করে বিছানায় ফেলে দেয়।আরো খুব রেগে যায়।রেগে গজগজ করতে করতে ঘরের সব জিনিস গুলো ভাঙ্গতে লাগে।দীপ্ত থামাতে না পেরে আবার ঠাসস করে আরুর গালে চর বসিয়ে দেয়।আর রেগে বলে
” এই শুনুন এটা আপনার বাবার বাড়ি নয় আর এই জিনিস গুলো ও আপনার বাবার কোটিকোটি
টাকার কেনা নয়।এই গুলো আমার ও আমার বাবার কষ্ট উপার্জন করা টাকার জিনিস।আপনাদের মতো ওত বড়ো লোক নয় আমারা।এখনো আমি পুরোপুরি ডাক্তার হয়নি।হতে আর দু’বছর সময়।তত দিনে আপনি আপনার বাবার বাড়ি………
দীপ্ত থেমে যায়।আরুর বুকটা কেমন করে উঠল দীপ্তর কথায়।আরুর কমল কন্ঠে বলে উঠল
” তত দিনে কি মিস্টার দীপ্ত? ”
” কিছু না আর হ্যা শুনুন। আপনি আমাকে না বলে কোথাও যাবেন না। আর আমার ঠাম্মির কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে আসুন। ”
আরুর কেনো যেনো মনে হলো দীপ্তর কথাটা মানতে হবে।তাই আর কোনো কথা না বলে দীপ্ত কে বলল
” ঠিক আছে নিয়ে চলুন। ”
দীপ্তর মুখে হাসি ফুটে ওঠে।
আরু কে নিচে চলে যেতে বলে।আরু একা একাই নিচে চলে যায়।এর মধ্যেই দীপ্তর একটা কল আসে দীপ্ত কথা বলতে লাগে।
________________
আরু ঠাম্মির কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।কিছু বলতে পারছে না।হঠাত ঠাম্মি বলে উঠে
” কিছু বলবে তুমি? ”
আরু বলে উঠে
” হ্যা ঠাম্মি আমার ভুল হয়েছে ও ভাবে আপনাকে বলাটা ঠিক হয়নি প্লিজ ক্ষমা করে দিন।”
” দিদুন আমি আর কতদিন বা আছি।তোমাদের ওপর রাগ করে থাকতে পারি। আমি ও তখন ওভাবে বলতে চাইনি।”
আরু ঠাম্মি কে জড়িয়ে ধরে ।
_________________
আজ দীপ্ত আর আরুর বউভাত।আরু কে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। আরু টেবিলের এক কোনে দাঁড়িযে আছে দীপ্ত নিচে এলে ভাত কাপড়ের পর্বটা শেষ করবে এর মধ্যেই দীপ্ত নিচে আসে। ব্লু কোটের ভেতর সাদা টিশার্ট চোখে চশমা।ঠোঁটটা হালকা গোলাপি। উফফ সেরা।আরু যেনো চোখ ফেরাতেই পারছে না।
দীপ্ত এসে আরুর সামনে তুরি বাজিয়ে বলল
” কি দেখছেন? ”
আরু আমতা আমতা করে বলল
” এ মানে কিছু না । ”
দীপ্ত আরু কে লজ্জায় ফেলতে পারলো না।আর দীপ্তর মা দীপ্তর হাতে ভাতকাপড় এর থালা টা দিয়ে বলল
” আরু কে বল আজ থেকে আমি তোমার ভাতকাপড় এর দায়িত্ব নিলাম। ”
দীপ্ত আরুর হাতে থালাটা দিয়ে বলল
” আজ থেকে আপনার ভাতকাপড় এর দায়িত্ব নিলাম শুধু ভাতকাপড় এর নয় সারাজীবন আগলে রাখার দায়িত্ব নিলাম ।”
আরু দীপ্ত এর কোথায় জেনো আকাশ থেকে পড়লো। দীপ্তর কথা শুনে যে কেউ ভাববে যে আরু কে অনেক ভালোবাসে।
______________
সন্ধা বেলা দীপ্ত দের বাড়ি আলোতে ঝলমল করছে।আরু কে বউ সাজিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। সবাই একে একে এসে আরুর হাতে গিফট দিচ্ছে।
এর মধ্যেই আরুর বাড়ির লোক আসে সাথে হৃদ আরু হৃদ কে দেখেই ছুটে স্টেজ থেকে নেমে গিয়ে সবার সামনে জ…………….
বাকি
|| ভালো না লাগলে ইগনোর করুন||