#বলব_কবে_ভালোবাসি
#পর্ব_০৭
#Marufa_Yasmin
সন্ধা বেলা দীপ্ত দের বাড়ি আলোতে ঝলমল করছে।আরু কে বউ সাজিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। সবাই একে একে এসে আরুর হাতে গিফট দিচ্ছে।
এর মধ্যেই আরুর বাড়ির লোক আসে সাথে হৃদ আরু হৃদ কে দেখেই ছুটে স্টেজ থেকে নেমে গিয়ে সবার সামনে জড়িয়ে ধরতে গেলে হঠাত দীপ্ত এসে ওদের দুজনের মাঝে হাত ঢুকিয়ে দেয়।শান্ত কন্ঠে বলে উঠল দীপ্ত
” আরু এখানে লোকজন আছে জড়িয়ে ধরলে খারাপ ভাববে।যাও স্টেজে গিয়ে বসো ওনারা যাচ্ছেন তোমার সাথে দেখা করতে যাও। ”
হৃদ মলিন হেসে বলল
” হ্যা আরু তোর এখন বিয়ে হয়েছে ভুলে যাচ্ছিস লোকে কি বলবে? এভাবে তুই জড়িয়ে ধরলে?”
আরু ভুরু কুঁচকে বলল
” তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তোকে জড়িয়ে ধরলে কথা হবে কেনো? আর তোর জায়গায় যদি কোনো মেয়ে থাকতো তবে জড়িয়ে ধরলে কথা হতো না এটা কেমন সমাজ? ”
হৃদ আরু কে বুঝিয়ে বলল
” তুই পাগল। যা গিয়ে বস ওখানে। ”
” ওকে ।”
আরু চলে যায়। দীপ্ত হৃদ আর আদির সাথে কথা বলছে।দীপ্তর মনে মনে খুব রাগ লাগছে হৃদ এর ওপর।কিন্তু কাওকে বুঝতে দিচ্ছে না।হৃদ নিজেকে অনেক কষ্টে সামলে উঠেছে।
আদি আর দীপ্ত হঠাত একা আলাদা ভাবে কথা বলতে চলে যায়।আরুর মা বাবা গিয়ে আরুর সাথে কথা বলছে।
খাওয়া দাওয়া করে যে যার গন্তব্যে এর জন্য রওনা দেয়।আরুর পরিবার চলে যাওয়ার সময় দীপ্তর মা বলল
” কালকে আমাদের বাড়িতে সত্যনারাযন পূজো আপনারা সবাই আসবেন কিন্তু। ”
আরুর মা মঙ্গলা দেবী বললেন
” আচ্ছা আসবো। ”
_______________________
ফুল দিয়ে সাজানো ঘরে বসে আছে আরু। পুরো খাটটা গোলাপ দিয়ে সাজানো।আরু কে নীল রঙ এর একটা বেনারসী পড়ানো হয়েছে সাথে হালকা সাজ।এখনো দীপ্ত রুমে আসেনি।আরু বসে বসে ফোন দেখছে আর পিক তুলছে ইচ্ছা মতো আর ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছে। হঠাত হৃদ এর দেওয়া গোলাপ গাছটার কথা মনে পড়তেই বিছানা থেকে নেমে ছুটে বারান্দায় যায়।গাছে তিনটে গোলাপ ফুল খুব সুন্দর লাগছে দুটো কাছাকাছি আছে আর একটা একটু দূরে।আরুর গাছটাকে কিছুক্ষন দেখে।রুমে আসে।আবার পিক তুলে ইচ্ছা মতো।দীপ্ত রুমে এসে দেখে তার নতুন বউ ছবি তুলতে ব্যস্ত।আরু এতটা ব্যস্ত যে দীপ্তর আগমন টের ও পাইনি।দীপ্তর খুব হাসি পাচ্ছে কিন্ত হাসবে না।তাই গম্ভীর মুখ নিয়ে বলল
” কি হচ্ছে এসব? ”
আরু ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে দীপ্ত।আরু ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে আবার পিক তুলতে লাগে।এতে দীপ্ত খুব অপমানিত বোধ করে। দীপ্ত বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ে।আর আড়চোখে আরুর কান্ড দেখছে।
আরু পিক তুলতে তুলতে আনমনে গান করছে।
”বলব কবে কাছে ডেকে আমি তোমাকে ভালবাসি
ওওও করেছে পাগল আমাকে ওগো তোমার ওই মিষ্টি হাসি।”
”বাহহ গানটা তো সেই লেভেল এর ”
দীপ্তর কন্ঠ পেয়ে বিছানার দিকে তাকায় আরু দেখে দীপ্ত গালে হাত দিয়ে বসে আছে।এতে আরু একটু লজ্জা পেয়ে যায়।
দীপ্ত খানিক হেসে বলল
” আরে লজ্জা পেতে হবে না। ঘুমান এখন। ”
” কোথায় ঘুমাবো? ”
” কেনো আমার পাশে ।”
” কিহহহহহ ?”
” শুনতে পাননি?আর একবার বলব? ”
” না শুনতে পেয়েছি বলতে হবে না।আপনি সোফায় ঘুমান।আমি বিছানায় শুবো ।”
” সোফায় ঘুম হবে না। ”
” আমি জানি না।বাথরুমে ঘুমান তাহলে। ”
” আমার বাড়ি আমার রুম আর আমাকে বাথরুমে ঘুমাতে বলছেন? ”
” আপনি আমাকে জোর করে নিয়ে এসেছেন কেনো? ”
” যে কোনো কথায় এই কথাটা না শোনালে হয় না।? ”
” না হয় না। ”
দীপ্ত আর কথা না বাড়িয়ে সোফায় চলে গেলো।
_______________________
দীপ্ত ঘুম থেকে উঠেই পড়তে বসে গেছে আজ হসপিটালে যেতে হবে।মোটা মোটা বই।যে গুলো আরুর মাথায় একটাও ঢুকবে না।
এর মধ্যেই আরুর ঘুম ভাঙ্গে। আরু বিছানায় বসে চোখ বন্ধ করে চোখ কচলায।আর বলে উঠল
” মা আজ আমি পড়তে যাবো না ঘুমালাম দশটার সময় ডাকবে উঠে স্কুল যাবো।”
আরু আবার শুয়ে পড়ে।দীপ্ত আরুর কথায় অবাক না হয়ে পারলো না।বলে কি এই মেয়ে।না আরু কে টাইট দিতে হবে।দীপ্ত গিয়ে আরুর পাশে বসে মধুর কন্ঠে বলল
” আলু ও আলু উঠেন।পরতে বসতে হবে।”
আরু কিছুতেই উঠছে না।এবার দীপ্ত চেঁচিয়ে আরুর কানের কাছে গিয়ে বলল
” এই আলু ”
আরু উঠে বসে কানে হাত দিয়ে বলে
” এই হয়েছে কি আলু আলু করে কাকে ডাকছেন? ?”
” আপনাকে ।”
” কি আমার নাম আলু? ”
” না তো ওটা আমি বললাম। ”
” দেখুন এইসব ফালতু নামে আমাকে ডাকবেন না”
” উঠে ফ্রেশ হয়ে নিন।পরতে বসবেন। ”
” আমি পারবো না ।”
” দেখুন ”
” কি দেখবো? ”
” যান উঠে ফ্রেশ হয়ে আসুন না হলে আমি নিজে আপনাকে ফ্রেশ করিয়ে আনবো।সেটা ভালো হবে? ”
আরু আর কথা না বাড়িয়ে ছুটে ফ্রেশ হতে চলে।যায়।এই শীতের মধ্যে ও আরু শাওয়ার নেয়।আজ পূজো।আর শাওয়ার না নিলে রান্নাঘরে যাওয়া হবে না।সো এবার থেকে এটা আরুর প্রতিদিনের বড়ো একটা কাজ হয়ে গেলো।আরু একটা নীল শাড়ি পরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।সিঁদুর কৌটো থেকে সিঁদুর নিয়ে সিঁথি পরে আবার শাঁখা পলায় সিঁদুর ছুঁয়ে দিয়ে।চোখে কাজল ঠোঁটে লাল লিপস্টিক। চুলটা খোলা।হালকা সোনার গয়না।
পুরো মা লক্ষ্মী। দীপ্ত বই বন্ধ করে হঠাত আরুর দিকে তাকাতেই হা হয়ে যায়।কি সুন্দর লাগছে।
_______________
বাড়ির ছেলে বিয়ে করে নতুন বউ আনলে।সত্য নারায়ণ পূজো করতেই হয় এটা হিন্দু ধর্মের একটা নিয়ম।মাথায় ঘোমটা দিয়ে ঠাকুর এর সামনে বসে আছে আরু পাশে দীপ্ত।আর সামনে ঠাকুর মশাই পুজোর মন্ত্র পড়ছেন।আরুর পরিবার আসতে পারেনি একটু সমস্যার জন্য পূজো শেষ হতে আরু আর দীপ্ত বাড়ির বড়োদের প্রণাম করলো।
দীপ্ত প্রসাদ নিয়ে বলল
” মা আমাকে হসপিটালে যেতে হবে আমি আসি।”
দীপ্তর মা বললেন
” খেয়ে যা।আমি খাবার দিচ্ছি।”
” তাড়াতাড়ি দাও। ”
আরু বলে উঠল
” আন্টি আমি আজ স্কুলে যাবে।”
হঠাত দরজার সামনে থেকে কেউ গর্জন করে বলল
” বাড়ির বউ স্কুলে যাবে…..
আরু হা করে দরজার দিকে তাকিয়ে আছে কে এনি?আবার বললেন
” এই মেয়ে এত সাহস কেনো তোমার ঠাঠিযে চর….
বাকি
|| ভালো না লাগলে ইগনোর করুন ||
{ একটা কথা সবাই কে বলতে চাই গল্পের মধ্যে যা হচ্ছে।সেটার সঙ্গে আমার দেশ ইন্ডিয়া কে কেনো টানছেন? সব ছেলেরা রাগ কনট্রোল করতে পারে না।সেটা যে কোনো দেশে হোক। চর মেরেছে তার পরের গুন গুলো না দেখে একটা ইস্যু বানিয়ে ফেলছেন? আমাকে একজন বলেছে যে আপনার ইন্ডিয়ার ছেলেরা বুঝি এমন মেয়েদের কে চর মারে সবার সামনে? আমি বুঝিনা গল্পের সাথে আমার দেশ কে কেনো টানছেন? আজ পর্যন্ত কোনো দেশের জন্য খারাপ বলিনি কিন্তু আমার দেশ নিয়ে কথা মন্তব্য করবেন না দোয়া করে। কথায় কথায় অনেকে আমার দেশ কে টেনে আনছেন।
যারা টানছেন তাদের বলি ভালো না লাগলে আমার গল্প পরবেন না।}