#বিকেলে_ভোরের_ফুল
#পর্ব_২৪
#Ishita_Rahman_Sanjida(Simran)
ফুল এবার রাগ করল না।উল্টো হেসে দিল।স্পর্শও হেসে ফুলের কপালে নিজের কপাল ঠেকিয়ে হাসলো।স্পর্শ চোখ বন্ধ করে বলল,
–“ফুল।”
–“হুম।”
–“তুই কিন্তু এখনও বললি না।”
–“কি???”
–“ভালোবাসি।”
–“কিছু কিছু কথা বলতে হয় না বুঝে নিতে হয়।”
–“আমি বুঝতে চাই না আমাকে বলতে হবে।”
ফুল স্পর্শকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বলল,
–“আপনি কি আমাকে সব কথা বলেছিলেন যে আমি আপনাকে বলবো??”
–“আমি আবার কি বললাম না??”
–“কেন মনে নেই??ওই দ্বীপে থাকা অবস্থায় আমাকে তো একবার ও বললেন না যে আপনি স্পর্শ। বলেছিলেন কি??”
–“আরে আমি তো নিজেই তোকে চিনি নি প্রথমে।”
–“চিনবেন কিভাবে আপনি যে একটা গাধা।”
–“কি???”
–“ডনকি,,,,”
–“দারা তোর একদিন কি আমার একদিন।”
বলেই স্পর্শ ফুলকে তাড়া করলো।ফুল খাটের চারপাশে ঘুরতে লাগলো। এভাবে দৌড়াতে দৌড়াতে দু’জনেই হাঁপিয়ে উঠলো।স্পর্শ ধপ করে খাটের উপর বসে পড়ল। ফুল এসে স্পর্শ পাশে বসে ওর কাঁধে মাথা রাখলো স্পর্শ তখনও হাপাচ্ছে। ফুল পাশের টেবিল থেকে পানির গ্লাসটা স্পর্শের দিকে এগিয়ে দিলো।স্পর্শ অর্ধেক খেয়ে তারপর গ্লাসটা ফুলে দিলো। ফুল গ্লাসের সব পানি শেষ করে স্পর্শের হাত ধরে বলল,
–“ভালোবাসি।”
স্পর্শ ফুলের দিকে ঘুরে বসে বলল,
–“এটা তো আগেই বলতে পারতি।এত দৌড় করানোর কি দরকার ছিল। আমি সত্যি কনফিউজড,এটা আমাদের বাসরঘর??”
ফুল হেসে বলল,
–“তাহলে কি মনে হয়??”
–“কিছু না।তোর ঘুম পাচ্ছে না??”
ফুল বিছানায় পা তুলে লম্বা হয় শুয়ে বলল,
–“হুম খুব ঘুম পাচ্ছে।”
স্পর্শের কোন কথা না পেয়ে ফুল বিছানা থেকে গোলাপের পাপড়ি গুলো মুঠোয় নিয়ে স্পর্শের দিকে ছুঁড়ে মেরে বলল,
–“এই যে কিডন্যাপার আপনি কি ঘুমাবেন না??না হলে আমি ঘুমিয়ে পড়ি।”
স্পর্শ লাফ মেরে গিয়ে ফুলের পাশে শুয়ে পড়ল। ফুল চমকে গিয়ে বলল,
–“এভাবে লাফাচ্ছেন কেন??খাটটাই তো ভেঙে ফেলবেন দেখছি।”
স্পর্শ ফুলের গালটা টেনে বলল,
–“খাট ভাঙা অতো সহজ না।”
ফুল গালে হাত বুলাতে বুলাতে বলল,
–“এভাবে কেউ গাল টানে???আমি ব্যাথা পেলাম।”
স্পর্শ ফুলের দিকে পাশ ফিরে শুয়ে ওকে কাছে টেনে এনে ফুলের গালে আলতো করে চুমু খেয়ে বললো,
–“কমেছে??? নাকি আরো কয়েকটা দেব??”
ফুল দুহাতে গাল ঢেকে বলল,
–“এই না না। আমার গালের ব্যাথা করছে না।”
স্পর্শ হেসে বিছানা থেকে গোলাপের পাপড়ি গুলো হাতে নিয়ে উপর দিকে ছুঁড়ে মারছে তা আবার ওদের উপর ফিরে ফিরে আসছে।এই মুহূর্তটা ফুল খুব এনজয় করতেছে। ফুল স্পর্শের বুকের উপর মাথা রেখে শোয়। স্পর্শ
ফুলের মাথায় বিলি কেটে দিচ্ছে। ফুল চোখ বন্ধ করে বলল,
–“শুনুন??”
–“হুম বল।”
–“আমি এভাবেই আপনার সাথে সারাজীবন থাকতে চাই। রাখবেন আমায়??”
স্পর্শ ফুলকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল,
–“কোন সন্দেহ আছে তোর??”
–“না।”
–“তোকে আমার কাছ থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। এবার যদি তোর বাবা কোন ঝামেলা করে তাহলে আমি ওনাকে ছেড়ে দেব না।”
ফুল মন খারাপ করে বললো,
–“এসবের মধ্যে বাবাকে টানছেন কেন?? আমি আর ওই লোকটার কথা শুনতে চাই না।”
–“অনেক কষ্টে ছিলি ওই বাড়িতে তাই না??”
ফুল কোন জবাব দিলো না।ওর চোখ জোড়া ভিজে উঠলো। ফুলের ফোপানোর আওয়াজ শুনে স্পর্শ ফুলের দিকে তাকালো। ফুলের চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল,
–“তোকে আর কখনও কাঁদতে দেব না আমি। যারা তোকে কষ্ট দিয়েছে তারা তোর ছায়াও মাড়াতে পারবে না।আমি দেব না। আর ওদের শাস্তি আল্লাহ দেবে। আমি সবটা আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিলাম।তোর বাবার মতো নোংরা মানুষকে ছুঁয়ে আমি আমার হাত নোংরা করতে চাই না। আর,,,,,,,,”
স্পর্শ আর কিছু বলার আগেই ফুল ওর মুখে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করিয়ে দিয়ে বলল,
–“আমি আর পিছনের কথা শুনতে চাই না। আর বাবার কথাও না। আমি এই মুহূর্তটা উপভোগ করতে চাই।”
বলেই ফুল স্পর্শের বুকে মুখ গুজলো।স্পর্শ হেসে আলতো করে ফুলকে জড়িয়ে ধরে।
______________
স্পর্শ আর ফুলের বিয়ের পনের দিন পার হয়ে গেছে। এই পনের দিন স্পর্শ আর ফুলকে কোথাও যেতে দেয়নি স্পর্শের বাবা মা। কারণ ওনারা ভয়ে ভয়ে ছিলেন যদি ফুলের বাবা কোনরকম ক্ষতি করে দেয়?? কিন্তু এই পনের দিনে ফুল আর স্পর্শের ঝড়গা দেখতে দেখতে সবাই হয়রান হয়ে গেছে। ছোটখাটো কিছু নিয়ে বিরটা ঝড়গা বাধিয়ে দেয় দুজনে কিন্তু দিন শেষে দু’জনে আবার মিলে যায়। এটাই বোধহয় ভালোবাসা।
“”ভালোবাসা হলো,যেখানে রাগ অভিমান ঝগড়া মারামারি ভালোবাসা সবই থাকবে কিন্তু কেউ কাউকে ছেড়ে চলে যাবে না।””
আজকে স্পর্শ ফুলকে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাবে। কিন্তু কোথায় যাবে তা স্পর্শ কাউকে বলেনি শুধু বলেছে ওরা কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে যাবে। ফুল পিংক কালারের একটা শাড়ি পরে তৈরি হয়েছে। লাগেজ গুছিয়ে নিয়েছে। তখনই স্পর্শ রুমে এসে ঢুকলো।বিষ্ফরিত চোখে ফুলের দিকে তাকিয়ে বলল,
–“এটা কি করেছিস তুই??”
ফুল চমকে তাকিয়ে বলল,
–“আমি আবার কি করলাম??”
–“কি করেছিস মানে??শাড়ি পরেছিস ঠিক আছে। কিন্তু একটুও সাজগোজ করিসনি। এভাবে তোকে একদম ভালো লাগছে না।”
ফুল বুকে হাত দিয়ে একটা নিঃশ্বাস নিয়ে বলল,
–“উফফ। এই কথা আমি ভাবছিলাম কি না কি?? একটু আস্তে বললেও তো পারতেন। আমি তো ভয় পেয়েই গিয়েছিলাম। আর আমি সাজতে পারি না। শুধু কাজল আর লিপস্টিক পরতে পারি।”
–“তুই সাজতে পারিস না?? আমার তো বিশ্বাস হয়না। মানে মেয়েরা যেভাবে সাজগোজ নিয়ে পরে থাকে।”
–“শুনুন আমি যেখানে থাকতাম না সেখানে কেউ আমাকে সাজগোজের জিনিস পত্র কিনে দিতো না যে আমি সাজবো।”
স্পর্শ ফুলের কাছে এগিয়ে এসে মাথার কাঁটা খুলে দিয়ে বললো,
–“থাক তোর সাজা লাগবে না।কাজল আর লিপস্টিক ই যথেষ্ট। বেশি সাজলে আবার অন্য ছেলেরা তোর দিকে নজর দেবে।আমি তা টলারেড করব না।”
স্পর্শ লাগেজ টেনে নিয়ে যেতে যেতে বলল,
–“তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে চলে আয় গাড়ি এসে গেছে।”
ফুল মাথা ঝাঁকায়। তারপর চোখে কাজল পরে আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক। শাড়ির আঁচলটা ঠিক করতে করতে বাইরে বেরিয়ে আসে। বাইরে সবাই ওদের বিদায় দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। বাড়ির সবার থেকে বিদায় নিয়ে ওরা বেরিয়ে পড়ল। গাড়িতে বসে ফুল স্পর্শকে জিজ্ঞেস করল,
–“আচ্ছা আমরা কোথায় যাচ্ছি??”
স্পর্শ শার্টটা একটু টেনে বলল,
–“গেলেই দেখতে পারবি।”
–“এখন বললে কি হয়??”
–“বলা যাবেনা মানে যাবে না।”
ফুল মুখ বাঁকিয়ে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালো। এটা ওর প্রথম জার্নি তাও স্পর্শের সাথে। এভাবে যে ফুল বাইরে বেরোতে পারবে তা ও কখনোই ভাবেনি। ফুল বাইরে তাকিয়ে চারপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করতেছে। খুব ভালো লাগছে ফুলের।
রাতদিন জার্নি করে অবশেষে ওরা কক্সবাজার পৌঁছায়। ওখান থেকে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন দ্বীপে। রিসোর্টে গিয়ে সোজা রুমে চলে যায় ওরা। স্পর্শ আগে থেকেই রুম বুক করে রেখেছিল। ফুল খুব ক্লান্ত তাই চেঞ্জ না করেই শুয়ে পড়ল। স্পর্শ অনেক ডাকাডাকি করে কিন্তু ফুল ততক্ষণে ঘুমের দেশে তলিয়ে যায়। স্পর্শ ফ্রেশ হয়ে নিজেও ঘুমিয়ে পরে।
পরেরদিন ফুলের ঘুম ভাঙল। আড়মোড়া ভেঙে ফুল উঠে বসে। কিন্তু আশেপাশে কোথাও স্পর্শকে দেখতে পায় না। ফুল পুরো রুমে চোখ বুলায় খুব সুন্দর রুমটা।রাতে আসার কারণে রুমটা দেখা হয়নি। ফুল বিছানা থেকে উঠে গিয়ে জানালার পর্দা সরালো। সামনেই সমুদ্রের নীল রঙের পানি দেখে ফুল খুশিতে এক প্রকার লাফিয়ে উঠে।
এতো সুন্দর জায়গায় ওর কখনোই আসেনি। কিন্তু স্পর্শ কোথায় গেল?? ফুল পিছনে ঘুরতেই দেখল সোফায় একটা কুর্তি রাখা তার উপর একটা চিরকুট। ফুল চিরকুট হাতে নিলো। তাতে লেখা,”চেঞ্জ করে নে।আর টেবিলে ব্রেকফাস্ট রাখা আছে খেয়ে তাড়াতাড়ি বাইরে চলে আয়।”
ফুল মুচকি হেসে ওয়াশরুমে চলে যায়। শাওয়ার নিয়ে এসে ব্রেকফাস্ট করে রেডি হয়ে বাইরে আসে। বাইরে আসতেই কে যেন কালো একটা কাপড় দিয়ে ওর চোখ বেঁধে ফেলে। ফুল ভয় পেয়ে যায় বলে,
–“কে??”
স্পর্শ ফুলের মুখে আঙ্গুল দিয়ে বলল,
–“হুসসস একটা কথাও বলবি না।”
–“ওহ আপনি!! আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু চোখ বাঁধলেন কেন??”
–“কথা বলবি না তোর জন্য সারপ্রাইজ আছে।”
ফুল চুপ করে গেল।স্পর্শ ফুলের হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো। ফুলও বাধ্য মেয়ের মতো স্পর্শের সাথে সাথে যেতে লাগলো। কিছুদূর যাওয়ার পর হঠাৎ স্পর্শ ফুলকে কোলে তুলে নিলো। ফুল এতে হকচকিয়ে গেল কিন্তু কিছু বলল না। স্পর্শ ফুলকে বোটে বসিয়ে দিল। তারপর নিজেও বোটে চড়ে বসে। বোটম্যান বোটের ইঞ্জিন চালু করে। নিজস্ব গতিতে ছুটে চলছে বোট। ফুল অনেক বার স্পর্শকে বলেছে যে ওরা কোথায় যাচ্ছে কিন্তু স্পর্শ কোন কথাই বলেনি উল্টে এক ধমকে ফুলকে চুপ করিয়ে দিয়েছে।বোট গন্তব্যে থামতেই স্পর্শ বোট থেকে নেমে ফুল কেও নামায়। তারপর ফুলের চোখের বাঁধন খুলে দিতেই ফুল চোখ মেলে তাকালো। ফুল হতভম্ব হয়ে চারিদিক দেখতেছে। ওর মনে হচ্ছে এই জায়গাটা ওর খুব চেনা। ফুল স্পর্শকে বলল,
–“এটা সেই দ্বীপটা না?? যেখানে আমরা ছিলাম??”
স্পর্শ মাথা ঝাঁকিয়ে বলল,
–“হুমম। কেমন দিলাম সারপ্রাইজ??”
–“ভালো।”
বলেই একটা দৌড় মারলো।স্পর্শ দুহাত প্রসারিত করে চেঁচিয়ে বলল,
–“শুধুই ভালো?? কোথায় খুশিতে জড়িয়ে ধরে চুমু খাবে তা না??”
ফুল দৌড় থামিয়ে পিছনে ঘুরে তাকিয়ে বলল,
–“এটা সিনেমা নয় যে খুশিতে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে হবে।”
বলেই ফুল আবার দৌড় দিল।স্পর্শ হেসে ফুলের পিছনে পিছনে আসতে লাগলো। ফুল ঢালু বেয়ে উপরে উঠে সেই ভাঙা ঘরটাতে ঢুকলো। একদম আগের মতোই আছে ভেতরটা। খড়ের স্তুপ গুলোও বিছানো আছে, কাঠ আর কয়লা চারিদিকে ছড়িয়ে আছে। ফুল জানালা দিয়ে উঁকি মারলো। সমুদ্রের ঢেউয়ের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। এখানে যে ও আবার আসবে স্পর্শের সাথে তা ফুল কখনো ভেবে দেখেনি। ফুল চারিদিকে ঘুরে ঘুরে দেখতেছে। স্পর্শ এসে ঘরটাতে ঢুকলো। ফুলের খুশি দেখে ও মুচকি হেসে খামের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়ালো। ফুল স্পর্শের দিকে তাকিয়ে বলল,
–“থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ।”
স্পর্শ মুখটা অন্যদিকে ফিরিয়ে ফেললো। ফুল হেসে স্পর্শের কাছে এসে ওর গলা জড়িয়ে ধরে ওর গালে চুমু দিয়ে বলল,
–“থ্যাঙ্ক ইউ।”
স্পর্শ হেসে ফুলের নাকটা টেনে দিলো।
স্পর্শ বাইরে কাঠ সাজাচ্ছে। রাতে আগুন জ্বালাবে। আজ রাতটা ওরা এখানেই কাটাবে। এখন বিকেল। তাই স্পর্শ আগেই কাঠ সাজিয়ে রাখছে। আর ফুল ঘরের ভেতর থেকে খড়ের গাদা এনে বিছাচ্ছে। দু’জনের কাজ শেষ। ফুল খড়ের গাদার উপর বসে পরে। একটু পর স্পর্শ পেছন থেকে ফুলকে জড়িয়ে ধরে বসে। বিকেলের বাতাস বয়ে যাচ্ছে। ফুলের খোলা চুলগুলো এলোমেলো করে দিচ্ছে এই বাতাস। পড়ন্ত বিকেল দু’জনেই উপভোগ করতেছে।স্পর্শ ফুলের ঘাড়ে মুখ গুজে বলল,
–“ফুল।”
–“হুম।”
–“আমাকে ছেড়ে কখনো চলে যাবি না তো??”
–“কোন দিনও না। মৃত্যু ছাড়া আমাদের কেউ আলাদা করতে পারবে না। আমি সারাজীবন আপনার #বিকেলে_ভোরের_ফুল হয়েই থাকব। কখনো ঝরে যাব না।”
স্পর্শ ফুলের চুলে চুম্বন করে বলল,
–“আমি কখনো তোকে ঝরতে দেব না। আমার কাছেই রেখে দেব।”
স্পর শুরু ফুলকে আরও গভীর ভাবে জড়িয়ে ধরে। সূর্য অস্ত যাচ্ছে আর ওরা দুজনে সূর্যাস্ত দেখতেছে মুগ্ধ হয়ে। চারিদিকে বহমান বাতাস এক অন্য অনুভুতি সৃষ্টি করছে। পাখিরা সব নিজ বাসায় ফিরছে। চারিদিকে অন্ধকার নেমে এসেছে। স্পর্শ আগুন জ্বালিয়ে দিলো।আগুনের লাল আভা চারিদিকে আলো ছড়িয়ে দিয়েছে। ফুল স্পর্শের কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে। স্পর্শ ফুলের ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। এই দিনটার জন্যই তো স্পর্শ অপেক্ষা করছিল। সেদিন চেয়েছিল ঠিক এভাবেই ফুলের সাথে রাত কাটাতে কিন্তু পারেনি। সারারাত ফুলের ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে রাত পার করেছিল স্পর্শ। কিন্তু আজ স্বয়ং ফুল ওর কাছে আছে ওর স্ত্রী হয়ে। আজ আর কোন বাঁধা নেই।কেউ এসে ওদের আলাদা করবে না।কেউ ফুলকে ওর কাছ থেকে নিয়ে যাবে না। স্পর্শ আলতো করে ফুলের কপালে ঠোঁট ছোঁয়ায়। আজকে ও একটা রাত নির্ঘুম কাটাবে ওর #বিকেলে_ভোরের_ফুল এর সাথে। ভাবতেই স্পর্শের ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠলো।
________________সমাপ্ত_________________
অবশেষে গল্পটা শেষ হলো। কেমন লেগেছে সবাই যার যার মতামত জানাবেন।নেক্সট গল্প কবে দিব জানিনা। হয়তো কালকে দিতে পারি আবার একসপ্তাহ পর অথবা দুদিন পর। আমি ঠিক বলতে পারছি না। ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন
আল্লাহ হাফেজ ❤️❤️❤️