#ভালোবাসার_প্রজাপতি
#পর্বঃ১৭
#মাহিয়া_মুন
সকলের সাথে কুশলাদি বিনিময় করা সুদর্শন যুবক, যে কিনা দেখতে অনেকটাই ফরেইনারদের মত। ফরেইনারদের মত অতিরিক্ত ফর্সা গায়ের রং। উচ্চতায় যদিও আদ্রিজ এর মতই।
সে হয়তো বুঝতে পারছে না কেউ একজন বাজ পাখির নজরে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
সকলের সাথে কুশলাদি বিনিময়ের শেষে সেই যুবকটি এসে দাঁড়ালো তার দিকেই তাকিয়ে থাকা সেই কেউ একজনের সামনে।
যুবকটি কিছুক্ষণ পলকহীন তাকিয়ে রইলো তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রমণীর দিকে।
কিছুক্ষণ এইভাবে যেতেই যুবকটি হটাৎ বলে উঠলো,
“Hiii. ”
তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রমণী মুচকি হেসে বললো,
“আসলামু আলাইকুম।”
যুবকটি কিছুটা থতমত খেয়ে গেল। তা বাহিরে প্রকাশ না করে আবারো বলে উঠলো,
“তোমায় তো ঠিক চিনলাম না।”
আদ্রিজ নিহার পাশে দাঁড়িয়ে বলে উঠলো,
“নিশ্চই এখানে আসার আগে বাবা বলেছে যে আজকে আমার বিয়ে পড়ানো হবে। আমার ভালবাসার মানুষটির সাথে। এই সে, মিসেস নিহা চৌধুরী। যার সাথে হাফ বিয়ে কমপ্লিট হয়ে গেছে। একটু পর পুরোপুরি ভাবে আমার হয়ে যাবে।”
এই বলে আদ্রিজ নিহার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ মারলো।
নিহা সেদিকে তাকিয়ে হেসে উঠলো। পুনরায় তাকালো তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আদিত্যর দিকে।
আদিত্য চোখ সরু করে বলে উঠলো,
“নিহা।”
“ভাবী।”
নিহা মুচকি হেসে বললো।
“আপনার ভাই এর বউ , আপনার তো ভাবীই হবো তাইনা।”
“হুম তাতো বটেই। নিহা……. ভাবী। তো ভাবী কেনো যেন মনে হচ্ছে আপনি আমার দিকে বাজ পাখির নজরে তাকিয়ে আছেন। Am i right?”
“হতেও পারে।”
রাতে খাবার টেবিলে বসে আছে সবাই। সকলের মুখেই হাসি লেপ্টে আছে। তারা ভেবে রেখেছিল আপাতত আদ্রিজ এবং নিহার বিয়েটাই পড়িয়ে রাখবে। তবে আজ বিকালে আদ্রিজের কথায় মেঘ এবং মেঘার বিয়েটাও পড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
মিসেস আশা চৌধুরী তার ছেলের বউকে যত্নে খাইয়ে দিচ্ছে। নিহা তাকিয়ে আছে তাঁর সদ্য হওয়া শাশুড়ি মায়ের দিকে। তাকে কেমন নিজ মেয়ের মত খাইয়ে দিচ্ছে।
নিজ মেয়ে কথাটা মাথায় আসতেই মনে পড়লো নিজের মায়ের কথা।
ক্ষুব্ধ চোখে তাকালো আদিত্যের দিকে।
অদ্ভূত, ছেলেটাও তার দিকেই তাকিয়ে আছে। তবে তা অন্য দৃষ্টিতে।
নিহা এই দৃষ্টির মানে বুঝতে পেরে বাঁকা হাসলো।
গভীর রাত। আদ্রিজ এবং নিহা শুয়ে আছে। আদ্রিজ গভীর ঘুমে মগ্ন। তবে নিহার চোখে ঘুম নেই।
নিহা তাকালো নিজের পেটের দিকে। তারপর তাকালো আদ্রিজের মুখের দিকে। লোকটা তাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে। এইভাবে ধরে রেখে লোকটা ঘুমাচ্ছে কিভাবে। আর এদিকে সেতো ঘুমাতেই পারছে না।
দুই হাতে ব্যান্ডেজ এর কারণে লোকটাকে সরাতেও পারছে না।
হতাসাময় শ্বাস ফেলে বেলকনির দিকে তাকালো। হটাৎ মনে হলো কেউ একজন সরে গেছে।
নিহা নিজের ভূল ভাবলো। তবে সে স্পষ্ট দেখেছে কেউ একজন সরে গেছে।
কিছু একটা ভাবতেই মুখে হাসি ফুটে উঠলো। তাদের রুমের পাশের রুমটাই আদিত্যকে দেওয়া হয়েছে।
তার মানে আদিত্যই ছিলো ওখানে।
নিহা নিজেকে নিজেই বলে উঠলো,
” নিহা তোর অনেক কিছুই করার বাকি আছে। মিস্টার আদিত্য এহসান, আপনি যে জানেন মিস নিহা খান কে। কিন্তু আফসোস আপনি তাকে দেখেও চিনলেন না। খেলা তো সেদিন জমবে যেদিন আপনি জানবেন আপনার বাবার খুনি মিস নিহা খান। ভাবী আর দেবর এর খেলা সেদিন জমবে। তবে আপনার চোখে যে আমি এখন অন্য কিছু দেখলাম। প্রিয় মানুষ ছিনিয়ে নেওয়া আপনার বাবার এবং আপনার কাজ। কি ভেবেছেন আদ্রিজ বাবু থেকেও আমায় ছিনিয়ে নিবেন। নাহ্, খেলার মোর এবার আমি ঘুরিয়ে দিয়েছি। কাল সকালেই আপনার প্রিয় মানুষের মিত্রুর খবর আপনার কানে আসবে।”#ভালোবাসার_প্রজাপতি
#পর্বঃ১৭( বর্ধিতাংশ)
#মাহিয়া_মুন
নিহা এবং মেঘা বসে আছে পার্ক এর কোনায় ঘাসের উপর। দুজনের নজর সামনে ছুটাছুটি করা বাচ্চাদের দিকে। মেঘা কিছুক্ষণ পর পর হাওয়াই মিঠাই নিজেও খাচ্ছে নিহাকেও খাইয়ে দিচ্ছে।
নিহার ভাবনায় হটাৎ ই সকালের ঘটনা ভেসে উঠলো।
সকালে নিহা খুব ভোরেই ঘুম থেকে উঠেছিলো। তখনো চৌধুরী বাড়ির কেউ ই ঘুম থেকে ঊঠে নি। আদ্রিজ ও নিহাকে জরিয়ে ধরে দিব্বি ঘুমিয়েছিল। যেন কত দিন পর এইভাবে শান্তিতে ঘুমিয়েছে।
নিহার হটাৎ ছাদে যেতে ইচ্ছে হওয়ায় সে বিছানা ছেড়ে ছাদে চলে গিয়েছিল। কিছুক্ষণ দোলনায় বসে থাকার পর অনুভব করলো কেউ একজন তার পাশে বসেছে।
পাশে তাকিয়ে দেখলো আদিত্য বসে তার দিকেই হেসে তাকিয়ে আছে।
“হেই নিহা…… সরি সরি ভাবী। আসলে কি বলোতো তোমার সাথে ভাবী ডাকটা মানায় না। ইউ আর লুকিং সো সুইট।”
“ধন্যবাদ ভাইয়া। তবে এইরকম কমেন্টস করার জন্য আমার হাসব্যান্ড আছে। আর ভাবী ডাকটা আমার সাথে না মানলেও আপনাকে আমায় ভাবীই ডাকতে হবে। কারণ আমি আপনার ভাই এর বউ।”
“হুম তাও ঠিক। ইসস তোমার সাথে যদি আমার কিছুদিন আগে দেখা হতো। এই ভাবী ডাকটা আর ডাকতে হতো না। অবশ্য তুমি যদি চাও আমি এখনো রাজী।”
নিহা হেসে বললো,
“বেশি বার বারবেন না। খুব দ্রুত ঝরে পড়ে যাবেন।”
এই বলে নিহা ছাদ থেকে নেমে যায়।
খাওয়ার টেবিলে যখন সবাই নাস্তা করায় ব্যাস্ত ঠিক তখনি আদিত্যর ফোনে কল আসে। আর রিসিভ করার পর সে যা শুনে তাতে নিহা বাদে সবাই শকড হয়ে যায়।
মিস্টার আদিল এহসানের লাশ পাওয়া গেছে নদীতে।
পুলিশ জানায় তাদের নাকি কেউ একজন কল করে বলেছিল, নদীর পানিতে আদিল এহসানকে পুড়িয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
যদিও লাশ দেখে পুলিশে বলতে পারছে না কিছুই। তবে সেই কল করা লোকের কথার ভিত্তিতে তারা অনুমান করেছে লোকটি আদিল এহসান। পুলিশ জানায় তারা কল করা ব্যাক্তিটিকে খুজার যথাসাধ্য চেষ্টায় আছে।
এই খবর শোনার পর চৌধুরী পরিবারের সবাই মিসেস আশা চৌধুরীর বাপের বাড়ি রওনা দেয়। নিহা এবং মেঘার সাথে আদ্রিজ এবং মেঘের আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে না হওয়ায় তাদের দুজনকে সাথে নেয় নি মিসেস আশা চৌধুরী।
বর্তমানে নিহা এবং মেঘা তাদের আগের বাসাতেই আছে। বিকালে মেঘা জোর করেই নিহাকে নিয়ে এই পার্ক এ এসেছে।
নিহার মনে হচ্ছে সে এতো কিছুর মাঝেও কাউকে ভীষণ মিস করছে। আদ্রিজ বাবুর কথা ভাবতেই মুখে হাসি ফুটে উঠলো। লোকটা একটু আগেও কল দিয়ে কিসব বলছিল। ভাবতেই লজ্জায় নিহার মুখ রক্তিম হয়ে উঠছে। সে চাইছে বিয়েটা কে মেনে নিতে।
বিয়ে যখন হয়েই গেছে তাহলে না মেনে নেওয়ার তো কোনো কারণ নেই। তবে আদ্রিজ বাবুর সাথে মানিয়ে নিতে কিছুটা হলেও সময়ের প্রয়োজন।
নিহা আনমনেই সামনে তাকাতেই চোখ আটকে গেল তার কিছুটা সামনে দাড় করিয়ে রাখা বাইকের আয়নায়। হটাৎ করেই পিছে তাকিয়ে একটা লোকের হাত ধরে ফেললো।
লোকটা কালো পোষাকে নিজেকে ডেকে রেখেছে। নিহাকেই ছুরি মারতে আসছিল।
নিহা লোকটার হাত মুচড়ে ধরে বলে উঠলো,
“বল কে পাঠিয়েছে। কী ভেবেছিলি আমাকে মারা এতো সহজ। এই নিহা খানকে হারানো এতো সহজ না।”
মেঘা দৌঁড়ে এসে নিহার পাশে দাড়ালো। ভয়ে ঘেমে একাকার হয়ে গেছে মেয়েটা। নিহার মুখে নিহা খান নামটা শুনে যতটা না অবাক হয়েছে নিহার মুখের এক্সপ্রেশন দেখে তার থেকে দ্বিগুণ অবাক হয়েছে মেয়েটা।
নিহা নিজেকে সংযত করে লোকটাকে হিসহিসিয়ে বলে উঠলো,
“ভালোয় ভালোয় বল কে পাঠিয়েছে জানে ছেড়ে দিবো। আর নাহলে নিজের অস্তিত্ব কিছুক্ষণ এর মাঝে খুঁজে পাবি না।”
লোকটি বহু কষ্টে বলে উঠলো,
“আদিল এহসান।”
নিহা অবাক চোখে তাকালো লোকটির দিকে।
লোকটি এই সুযোগে নিহাকে ধাক্কা দিয়ে সেই স্থান থেকে পালিয়ে গেল।
নিহার সেদিকে খেয়াল নেই। সে ভাবছে সেতো মেরে ফেলেছে আদিল এহসান কে। তাহলে এই আদিল এহসান আবার কে?
#চলবে#ভালোবাসার_প্রজাপতি
#পর্বঃ১৮
#মাহিয়া_মুন
মেঘা যেন কথা বলতেই ভুলে গেছে। অতিরিক্ত মাত্রায় শকড হয়ে তাকিয়ে আছে সামনে। সে যাকে চিনে আর তাঁর সামনে যে নিহা দাঁড়িয়ে আছে , দুজন যেন সম্পূর্ণ আলাদা।
যেই নিহা সবসময় শাড়ি অথবা থ্রি-পিস পড়তো সেই নিহা তার সামনে সম্পূর্ণ কালো পোশাকে আবৃত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কালো শার্ট, কালো লেডিজ জিন্স, কালো কেটস। মুখ কালো রুমাল জাতীয় কিছু একটা দিয়ে ঢেকে রাখা।
তার থেকেও অবাক হয়েছে নিহার গলার লকেট দেখে। এই লকেট তো নিহা কখনোই কাওকে দেখাতো না। আর এখন শার্ট এর উপর রেখে দিয়েছে।
মেঘা অবাক কণ্ঠে বলে উঠলো,
“নি…. নিহা।”
“হুম।”
“তুই এইভাবে। মানে এসব কি হচ্ছে নিহা।”
নিহা মেঘার দিকে তাকিয়ে হেটে মেঘার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।
মেঘার চোখে চোখ রেখে বলে উঠলো,
“এসব যা হচ্ছে ঠিক হচ্ছে। আমি বের হচ্ছি। দরজা লাগিয়ে চুপচাপ বসে থাকবি। আর হ্যা…….”
বলতে বলতেই পকেটে ফোন বেজে উঠলো। নিহা দ্রুত ফোন রিসিভ করে বলে উঠলো,
“Only twenty minutes.”
এই বলে নিহা ফোন কেটে পুনরায় মেঘার দিকে তাকালো।
“আর হ্যা আজ বিকালে পার্ক এ কি হয়েছে, আমি এখন এইভাবে বাহিরে কেনো যাচ্ছি এসব কথা যেন চৌধুরী বাড়ির একটা কাক পক্ষীও না জানতে পারে। ওকে বেবি। তোর মনে অনেক প্রশ্ন জাগছে i know. আমি এসে সব প্রশ্নের উত্তর দিব। আর এই নে আমার ফোন। আদ্রিজ বাবু যদি কল দেয় সুন্দর করে বলে দিবি যে মাথা ব্যাথার কারনে আমি ঘুমাচ্ছি। ঘুম থেকে উঠে তাকে কাল দিবো। আসি……….”
এই বলে নিহা বাসা থেকে বের হয়ে গেলো।
আদ্রিজ ফোনের স্কিনে নিহার একটি ছবির দিকে তাঁকিয়ে বলে উঠলো,
“দেখলে এলোকেশী , কোথায় ভাবলাম বিয়েটা হয়ে গেলো। এইবার তোমায় পুরোপুরি ভাবে আমার করে নিবো। ভাগ্য ই দিলো নাহ। কত কিছু করে বিয়েটা করলাম। সবসময় তোমার সাথে থাকতে পারবো ভাবলাম। আর দেখো বিয়ের পর দিনই দুজন দু প্রান্তে বসে আছি। আচ্ছা তুমি এখন কি করছো। আমি যেমন তোমার কথা ভাবছি তুমি কি ভাবছো আমার কথা। অবশ্য তুমি যে পাষাণ। তুমি ভাববে আমার কথা।
তবে জানোতো এলোকেশী বিয়েটা হয়ে গেছে এতেই আমি অনেক খুশি। এইবার তুমি আমায় যখন মেনে নিবে নিয়ও। আমি অপেক্ষায় রইলাম।”
মেঘ পিছ থেকে বলে উঠলো,
“ভাইয়া, তোমার এলোকেশীর কাছে যাওয়ার জন্যই হয়তো আল্লাহ্ এতো সুন্দর একটা ব্যাবস্থা করে দিয়েছে।”
“মানে।”
“আরেহ বাবা বলেছে যে আমি এবং তুমি যেন ফিরে যাই। তারা মিলাদ এর পরই যাবে।”
“ওহহ। আমি যখন বললাম তখন তো মা না করেছিল।”
“হ্যা, বড় আম্মু না করেছিলো তবে বড় আব্বু হটাৎ করেই এই কথা বললো। আর এটাও বলেছে যাতে আমরা নিহা এবং মেঘাকে আমাদের বাসাতেই নিয়ে আসি।”
“বাবা বলেছে। স্ট্রেঞ্জ।”
“যাই হোক যেতে পারছি এটাই অনেক। এইখানে থাকার বিন্দু মাত্র ইচ্ছে নেই। আর একটা কথা কি জানো ভাইয়া, এই আদিল আংকেল কে যে মেরেছে আমার মনে হয় এই লোকটা তার সাথে খারাপ করেছে, অন্যায় করেছে। দেখো নাহ কিভাবে মেরেছে, মনে হচ্ছে যেন মনের সকল জমিয়ে রাখা রাগ মিটিয়েছে।”
“হুম আমিও সেটাই ভাবছি। আচ্ছা রেডি হয়ে নে। আর মেঘাকে বলিস না যে আমরা আজই চলে যাচ্ছি।”
“সে আর বলতে।”
বিশাল ফাইভ স্টার হোটেলের পঞ্চম তলায় আলিশান রুমে এক রমণীর বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে একজন মধ্য বয়স্ক লোক।
কিছুক্ষণ যেতেই লোকটি সেই সুন্দর রমণী টিকে রুম থেকে বের করে দিয়ে ওয়াশ রুমে চলে গেল। শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে কোর্ট পেন্ট পরে নিজেকে একদম তৈরি করে নিল।
হাতের ওয়াচ এর দিকে তাকিয়ে সময় দেখে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।
“মিস নিহা খান উফস সরি মিসেস নিহা চৌধুরী। খেলা তো সবে শুরু। এখনো অনেক কিছু বাকি। কি ভেবেছো আদিল এহসানকে মেরে ফেলেছো। নাহ্ মিস নিহা খান। মেরেছো ঠিকই তবে সে যে আমি ছিলাম নাহ।”
এই বলে লোকটি উচ্চস্বরে হাসতে লাগলো।
#চলবে