ভালোবাসার প্রজাপতি পর্ব -৩৯+৪০ শেষ

#ভালোবাসার_প্রজাপতি
#পর্বঃ৩৯ (বোনাস)
#মাহিয়া_মুন

মুন্সী বাড়িতে আজ চলছে পুরোদমে খাবারের আয়োজন। বাড়ির প্রতিটি ব্যাক্তি ব্যাস্ত সময় পার করছে। নিয়ম অনুসারে বাড়ির পুরুষরা গ্রামের সবাইকে খাবার পরিবেশন করছে। আর মহিলারা খাবারের দিকটি দেখছে।
আজ মুন্সী বাড়ির পুরুষগণ একই কালারের লুঙ্গি এবং পাঞ্জাবি পড়েছে। আর মহিলারা একই কালারের শাড়ি গ্রাম্য স্টাইলে পড়েছে।
এর মধ্যে ঘটে গেছে আর এক ঘটনা। আদ্রিজ মাংস কাটতে গিয়ে হাত কেটে ফেলেছে প্রায় অনেক খানি ।
*
গ্রামের সবাই বিদায় হওয়ার পর মাত্রই নিহা নিজের রুমে আসলো। সামনে তাকিয়ে দেখলো এই ঠান্ডার মাঝেও পাখা ছেড়ে পাঞ্জাবি খুলে শুয়ে আছে আদ্রিজ। সবার খাওয়াদাওয়া হয়ে গেলেও আদ্রিজ এবং সে এখনো খায় নি। মূলত আদ্রিজকে খাইয়ে দেওয়া লাগবে। যার কারণে নিহাও সবার সাথে খেতে পারে নি।
ভ্রু কুচকে নিহা জোরেই বলে উঠলো,
“সবার খাওয়াদাওয়া করা শেষ আর আপনি এখনো গোসলও করেন নি।”
আদ্রিজ কিছু না বলে চোখ বন্ধ করে রাখলো।
“আচ্ছা থাকেন আপনি আমি গোসল করে আসছি।”
এই বলে নিহা ব্যাগ থেকে জামাকাপড় বের করতেই একটা শাড়ি নজরে আসলো।
লাল পারের সাদা শাড়ি। এই শাড়িটা আদ্রিজ তাকে প্রথম কিনে দিয়েছিলো। এক বারই পরা হয়েছিল। কতো যত্ন করে রেখে দিয়েছে আদ্রিজ তার প্রতিটি ব্যবহার্য জিনিসপত্র। আজ হটাৎ কেন যেন এই শাড়ীটাই পড়তে ইচ্ছে হলো।
“এতো কি ভাবছো এটাই পরো।”
আদ্রিজের কথা শুনে নিহা ভাবনা থেকে বেড়িয়ে আসলো।
“আপনি না ঘুমাচ্ছিলেন?”
“হ্যা তবে এখন গোসল করবো।”
“ওহ্ আচ্ছা তাহলে আপনি আগে গিয়ে করে আসুন।”
আদ্রিজ কিছু না বলে উঠে গিয়ে রুমের দরজা আটকে দিল। নিহা ভ্রু কুঁচকে আদ্রিজের দিকে তাঁকিয়ে রইলো। লোকটা এই অসময়ে কি করতে চাইছে।
আদ্রিজ পূনরায় নিহার কাছে এসে বলে উঠলো,
“আমরা দুজন এক সাথে গোসল করবো।”
নিহা চোখ বড় বড় করে বলে উঠলো,
“কি…… অসম্ভব।”
“কেন অসম্ভব?”
নিহা কিছু না বলে দ্রুত হাতে ব্যাগ থেকে জিনিসপত্র বের করতে লাগলো। মূলত সে যে লজ্জা পাচ্ছে তা আদ্রিজকে বুঝাতে চাইছে নাহ। যতই হোক আজ পর্যন্ত একবারও লোকটার সাথে গোসল করা হয় নি।
আদ্রিজ নিহার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তোয়ালে হাতে নিয়ে নিহাকে কোলে তুলে নিল।
“আরেহ কি করছেন। কেউ দরজায় নক করতে পারে।”
“তো কি হয়েছে দড়জা তো আটকানো। আর সবারই জানা আছে আমরা রুমের দরজা আটকে কি করবো। তাই কেউ ভুলেও দরজায় নক করবে নাহ।”
“ইয়া আল্লাহ। এই আপনার ঠোঁটকাটা নির্লজ্জ কথা বার্তা কবে ঠিক হবে শুনি।”
“শুনবে?”
“হুম।”
“আচ্ছা চল গোসল করতে করতে বলে দিবো।”
এই বলে আদ্রিজ নিহাকে নিয়ে গোসল খানায় ঢুকে গেল।
*
নিহাকে কোলের উপর বসিয়ে রেখেছে আদ্রিজ।
“আদ্রিজ বাবু ছাড়ুন আমায়। এভাবে আমি কি করে খাওয়াবো আপনায়।”
“এভাবেই পারবে। আর নাহলে খাওয়ানো লাগবে না।”
নিহা অবশেষে হাল ছেড়ে দিল। এই লোকটা এই বয়সে বাচ্চাদের মত করা শুরু করে দিয়েছে। বলছে কিনা খাবে না। সেই সকালে খেয়েছে আর এখন দুপুর গড়াতে লাগলো।
অবশেষে আর না পেরে আদ্রিজের কোলে বসেই আদ্রিজকে খাইয়ে দিতে লাগলো।
“হাতে কামড় দিচ্ছেন কেন?”
“আমিতো ভাবলাম নরম কোনো খাবার।”
“উফফ….. আপনাকে কিছু বলাই বৃথা।”
“হুম্ তোমার ক্ষেত্রে।”
এই বলে আদ্রিজ নিহার পিঠে আঙ্গুল দিয়ে আঁকিবুকি করতে লাগলো।
নিহা বারবার নড়ে চড়ে উঠছে কিন্তু আদ্রিজকে কিছু বলছে না। এই লোকটা কে যা করতে না বলা হবে সেটাই আরো বেশি করে করবে।
*
*
পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে শুয়ে আছে মেঘা। পায়ে পানি জমে এখন থেকেই ফুলে গেছে। আজ যদিও তাকে কিছু করতে দেওয়া হয় নি তবুও হটাৎ পায়ে ভীষণ ব্যাথা করছে।
মেঘ সেই অনেক্ষন থেকেই মেঘার পায়ের কাছে বসে পা টিপছে। মেয়েটার পা এখন থেকেই ফুলে একাকার। মা হতে গেলে একটা মেয়ে কতটা না কষ্ট সহ্য করে।
“কিছু লাগবে তোমার মেঘু?”
“নাহ্ নাহ কিছু লাগবে না তুমি এসে শুয়ে পড়ো। আজ অনেক খাটাখাটনি গেছে তোমাদের উপর। আর পা টিপা লাগবেনা।”
“আমি ঠিক আছি তুমি ঘুমাও। তুমি ঘুমালে শুয়ে পড়বো।”
মেঘা আর কিছু বললো না। বলেও লাব নেই। কিছুতেই শুনবেনা এই ছেলে। যখন থেকে শুনলো বাবা হবে তখন থেকেই মেঘার কেয়ারের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দিল। কতটাই না জ্বালায় এই ছেলেকে সে। হুটহাট রেগে যাওয়া ছেলেটাও কেমন ধৈর্যশীল হয়ে গেল।
*
*
গভীর রাত। নদীর পানির কলধ্বনিতে যেন রাতের অন্ধকারে ঢেকে থাকা প্রকৃতি সারা দিচ্ছে।
সেই পানির দিকেই অপলক তাকিয়ে আছে নিহা এবং আদ্রিজ। রাতে সবাই ঘুমানোর পরই তারা দুজন এখানে চলে এসেছে। নদীর তীরে এখনো অনেক লোককেই দেখা যাচ্ছে। কিছুটা আড়াল হয়েই দাড়িয়ে আছে দুজন।
আদ্রিজ কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে উঠলো,
“এই নদীর তীর থেকেই শুরু হয়েছে তোমার গল্প। শেষ টাকি তবে এখানেই করেছো?”
“বুদ্ধি আছে আমার জামাই এর। ঠিকই বলেছেন শেষটা এখানেই করেছি দুজনের।”
আদ্রিজ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে উঠলো,
“তাকে না মারলেও পারতে।”
“আমার হাত যে আগ্রহী এই কাজ সারতে।”
“বেঁচে থাকলে খুব কি ক্ষতি হতো।”
“পুনরায় আপনার প্রিয়জন কেড়ে নিত।”
“কিছু মানুষ দেখতে কেনো পারে না অন্যের সুখ?”
” এটাই তো বর্তমান যুগ।”
*
*
#চলবে

(আগামি পর্বে সমাপ্তি টানবো 🙂)#ভালোবাসার_প্রজাপতি
#পর্বঃ৪০ (সমাপ্তি)
#মাহিয়া_মুন (লেখনীতে)

সময় এবং স্রোত কখনো থেমে থাকে না। বহমান বয়ে চলতে থাকে। ঘড়ির কাঁটাটি একই পথে চলতে থাকে বারংবার। তার কোন পরিবর্তন হয় না। তবে পরিবর্তন হয় জীবনযাত্রার। সমাজের প্রতিটি মানুষের চালচলন।
দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল আট আটটি বছর।
“নিহানা দাড়াও। আরেহ আর অল্প কিছু খাবার আছে। খেয়ে তো যাও।”
কে শুনে কার কথা। ছোটো ছোটো হাটি হাটি পা পা করে পুরো বাড়ি নেচে বেড়াচ্ছে ছোটো একটি পুতুল মেয়ে।
“এই মেয়েটা এইটুকু বয়সে আমায় নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরায়। একদম বাবার মত হয়েছে। আমার ছেলেটাই ভালো। সব কথা শুনে।”
এই বলে নিহা সোফায় বসে পড়লো। সে আর পারে না এই মেয়েকে নিয়ে। এতো পরিমান দুষ্টামি মেয়েরা করতে পারে তা এই মেয়েকে না দেখলে কেউ বুঝবে না।
ঠিক তখনি দুটি ছেলে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করলো। তাদের পিছনে দুটি স্কুল ব্যাগ হাতে নিয়ে মেঘা দাড়িয়ে আছে।
নিহানা নামের পিচ্চি মেয়েটি ভাইদের আসতে দেখে দৌঁড়ে গিয়ে একজনের কোলে ঊঠে বসলো। ছেলেটি বোনকে কোলে নিয়ে এসে সোফায় বসলো।
“কি হয়েছে আমাল বোনতার চুপ কলে আছে কেন?”
মেয়েটি হালকা স্বরে বলে উঠলো,
“আম্মি মালছে।”
নিহা শরবত নিয়ে এসে মেঘার হাতে দিয়ে বলে উঠলো,
“দেখলি ভাইকে পেয়ে কেমন মিথ্যে বলছে।”
মেঘা হেসে বলে উঠলো,
“একদম না আমার আম্মু টা মিথ্যে বলছে না। তুই সত্যিই মেরেছিস।”
“তোরা কেউ ভালো না আমার মেঘালয় বাবাই ভালো।”
এই বলে নিহা আর একটি শরবত অন্য একটি ছেলের হাতে দিয়ে তার চোখ থেকে চশমা নিয়ে মুছে আবার পড়িয়ে দিলো।
“কেমন হয়েছে আজকের এক্সাম বাবাই।”
ছেলেটি কিছু না বলতেই মেঘা বলে উঠলো,
“এই ছেলে কেমন এক্সাম দিবে আর। এর কাজতো হলো বাহিরে তাকিয়ে থাকা। কখন কে আসলো গেল এসব লক্ষ্য করা।”
ছেলেটি মন খারাপ করে বলে উঠলো,
“মা-মনি তোমার এই খারাপ বন্ধু টা আমায় সারা রাস্তায় বকা দিয়েছে। আমি সব লিখার পরই বাহিরে তাকিয়েছি।”
নিহা ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠলো,
“আমি জানিতো আমার বাবাই এর এক্সাম অনেক ভালো হয়েছে। আম্মির কথায় কান দিও না বাবাই যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।”
ছেলেটি চলে যেতেই নিহা পুনরায় সামনে তাকিয়ে দেখলো তার ছেলেটি মেয়েটিকে কি সুন্দর করে খাইয়ে দিচ্ছে। এই মেয়েকে কেউ খাওয়াতে পারে না একমাত্র তার ভাই ছাড়া। দেখো ভাই এর কোলে বসে কি সুন্দর ভাই এর হাতে খেয়ে নিচ্ছে। ছেলেটা স্কুল থেকে এসে ফ্রেশ ও হতে পারলো না। আদরের বোন কিনা।
নিহা ছেলের পাশে বসে ছেলের মুখের সামনে শরবতের গ্লাস ধরতেই ছেলেটি বলে উঠলো,
“আম্মি রাখো আমি খেয়ে নিব। একে খাইয়ে দেই আগে।”
নিহা হাত সরালো না। ছেলেটি হেসে শরবতটুকু খেয়ে নিলো।
নিহা ছেলেকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠলো,
“কেমন হয়েছে এক্সাম আমার বাবা টার।”
“আলহামদুলিল্লাহ ভালোই হয়েছে। আর জানো কাল রাত তুমি যেটা পড়ালে ওইটাই এসেছে। আমিতো অনেক অবাক হয়ে গেছি।”
“সব দিয়েছো তো।”
“হ্যা আম্মি দিয়েছি সব।”
“আমি সাথে যাই না বলে মন খারাপ হয় না আমার বাবার।”
“মন খারাপ করে কি হবে আম্মি। আমিতো জানি আমার বোনটা কতো দুষ্টু। তাকে সামলাতেই তোমার কত কষ্ট হয়। আর আমিতো বড় হয়ে গেছি। তাছাড়া মামনি ওতো সাথে যায়।”
নিহা হেসে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে রাখলো। তার ছেলেটা এই বয়সেই অনেক বুঝদার। কিছু না বলতেই কি সুন্দর সবটা বুঝে যায়। মিসেস প্রার্থনা খান তাকে বলেছে যে তার বাবাও নাকি এরকম ছিলো। তিনি প্রায় তার শাশুড়ির মুখে শুনত।
নিহা তার বাবাকে পেয়ে গেছে।
আদ্রিয়ান চৌধুরী, বয়স ছয় বছর , দেখতে একদম নিহার মতো। ছেলেও একদম মা পাগল। এই বয়সেই ছেলে অনেক বুঝদার। কিছু বলার আগেই বুঝে নেয়। তবে মিসেস প্রার্থনা খানের মতে আদ্রিয়ানের সকল আচরন মিস্টার নোমান খানের মতো।
নিহানা চৌধুরী, এই বাড়ির সব থেকে ছোট সদস্য। যে এই বাড়ি মাতিয়ে রাখে। আর কিছুদিন পরই তিন বছর পূর্ণ হবে। একদম বাবার মতো হয়েছে দেখতে। মেয়ে একদম বাবা পাগল।
মেঘালয় চৌধুরী, বয়স সাত বছর। প্রায় আট বছরের কাছাকাছি আরকি। মেঘ এবং মেঘার এক মাত্র ছেলে। দেখতে অনেকটাই মেঘের মত হয়েছে। স্বভাব চরিত্র ঠিক কার মত হয়েছে বলা যায় না। কারণ মেঘ অবং মেঘা দুজনেই একই কোয়ালিটির বলতে গেলে। ছেলে ও ঠিক সেরকমই।
*
*
রাত প্রায় 12 টা।
নিহা পুরো রুম জুড়ে পায়চারি করছে। লোকটা আজ এখনো আসছে না। প্রতিদিন তো সন্ধার পরই চলে আসে। এসব ভাবতে ভাবতে বিছানায় তাকিয়ে দেখলো আদ্রিয়ান তার দিকেই তাকিয়ে আছে।
ছেলেকে সজাগ দেখে নিহার ভ্রূ কুচকে গেল।
“কি হলো বাবা তুমি ঘুমাচ্ছো না কেনো?”
“তুমি এমন পায়চারি করছো কেন?”
“ঐতো তোমার বাবা এখনো আসে নি। তুমি ঘুমাও।”
আদ্রিয়ান ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলো 12 টা বাজতে আর 5 মিনিট বাকি আছে। কিছু একটা ভেবে হেসে দিল।
“আম্মি বাবা এসেছে। বাবা তোমায় ছাদে যেতে বলেছে।”
“মানে তোমায় কখন বললো?”
“আমায় না তোমায় বলেছে। এইযে ফোনে মেসেজ দিয়েছে তুমিতো দেখলেই নাহ।”
নিহা ফোনে তাকিয়ে দেখলো আসলেই। তবে এই সময় কেন ছাদে যেতে বলেছে বুঝতে পারলো না।
আদ্রিয়ান বলে উঠলো,
“যাও সময় বেশি নেই।”
নিহা কিছু না বুঝে সন্দিহান মনে ছাদে ঊঠতে লাগলো।
ছাদের দরজা খুলতেই কেউ একজন পিছন থেকে চোখ ধরে ফেললো।
নিহা চিৎকার দিতে গিয়েও দিলো না। এইটা যে আদ্রিজ বুঝতে পারলো।
“কি ছেলেমানুষী করছেন আদ্রিজ।”
আদ্রিজ কিছু না বলে একটা নির্দিষ্ট স্থানে নিহাকে নিয়ে চোখ ছেড়ে দিল।
নিহা সামনে তাকিয়ে দেখলো ক্যান্ডে লাইট ডিনারের আয়োজন করা হয়েছে। আর তার ভিতর বার্থডে কেক। বার্থডে কেক দেখে ভ্রু কুঁচকে গেল।
আদ্রিজ নিহাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠলো,
“হ্যাপি বার্থডে মাই এলোকেশী।”
নিহা চুপচাপ দাড়িয়ে রইলো। আজকের তারিখের কথা তার একদমই খেয়াল ছিল না।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে উঠলো,
“এসব সেলিব্রেট করার বয়স এখন আছে আমাদের বলুন।”
“কেন থাকবে না। অবশ্যই আছে।”
নিহা আর কিছু বললো না। আদ্রিজ নিহাকে টেবিলের সামনে নিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে কেক কাটতে বললো।
নিহা কেক কেটে আদ্রিজকে খাইয়ে দিল। আদ্রিজও নিহাকে খাইয়ে দিল। দুটি চেয়ারে দুজন বসে পরলো।
ডিনার করতে করতে নিহা বলে উঠলো,
“যদি আমি আগেই ডিনার করে নিতাম।”
“আমি জানি তুমি আমার আগে কখনোই ডিনার করবে না।”
নিহা আর কিছু বললো না।
আদ্রিজ নিহার মুখের সামনে খাবার ধরলো।
“আপনি খান আমি নিজের হাতে খাচ্ছি।”
আদ্রিজ হাত সরালো না।
নিহা আর কিছু না বলে আদ্রিজের হাতেই খেতে লাগলো।
“বাচ্চারা খেয়েছে রাতে।”
“হ্যা আপনার মেয়েকে এখন থেকে ভাবলাম আপনার সাথে অফিসে দিয়ে দিবো। এতো পরিমাণ জ্বালায়। আমার ছেলেটা শুধু পারে একে সামলাতে।”
“ছেলে এখন তোমার হয়ে গেল আর মেয়ে আমার।”
নিহা কিছু না বলে হেসে উঠলো।
ডিনার করে দুজন ছাদের অপর পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। আকাশে আজ পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছে। চারদিক চাঁদের আলোয় আলোকিত হয়ে আছে।
নিহা চাঁদের দিকে অপলক তাকিয়ে আছে।
আদ্রিজ পকেট থেকে কিছু একটা বের করে নিহার গলায় পড়িয়ে দিলো।
নিহা তাকিয়ে দেখলো একটি লকেট। লকেটটি খুলতেই আদ্রিজ, সে, আদ্রিয়ান এবং নিহানার যৌথ ছবি দেখতে পেলো। ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে।
আদ্রিজ নিহাকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠলো,
“পছন্দ হয়েছে?”
“খুব……”
আদ্রিজ চাঁদের দিকে তাঁকিয়ে বলে উঠলো,
“এই সময়টাতে এখন নিজেকে একদম পরিপূর্ণ লাগছে।”
“তাই……”
“হুম…….এক জোড়া #ভালোবাসার_প্রজাপতি শত বাধার পর এক হয়ে আজ এই জায়গায় এসে দাঁড়ালো।”
নিহা হেসে বলে উঠলো,
“এই #ভালোবাসার_প্রজাপতি দিয়েই লেখিকা গল্প জগতে পা বাড়ালো।”

…..এইযে কি দেখছো পাঠকগণ 🤭
………গল্প কিন্তু এখানেই শেষ ❤️❤️
❤️ ভুলে যেও না আদ্রিজ এবং নিহাকে❤️

#সমাপ্তি

,,,,,,,,,,,,,,,,,,, হ্যাপি রিডিং,,,,,,,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here