ভালোবাসি হয়নি বলা পর্ব ৩০

#ভালোবাসি হয়নি বলা
#সাদিয়া নওরিন

পর্ব— ৩০

রোদেলা স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে টিভিটার দিকে.. স্কিনটা পুরো ফেটে গুড়োগুড়ো হয়ে গেছে.. ঠিক দুমিনিট আগে এইটা চলছিল!!! রোদেলার চোখ ফেটে কান্না আসছে.. তার কতদিনের বান্ধবী.. হাসনাত কি করে পারলো নস্ট করতে একে… .. রোদেলা বিরবিরিয়ে বলল— এর শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে হাসনাত আরিয়ান…
ইশান আর তামান্না রোদেলার রুমে ঢুকে অবাক হয়ে গেল… মনে হচ্ছে কিছুখন আগে সাইক্লোন বয়ে গেছে!!! তামান্না রোদেলাকে খুজলো.. হঠাৎ তার চোখ জানালার কাছে গিয়ে স্হির হয়ে গেল.. রোদলা বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে… সে তার কাধে হাত দিয়ে বলল– এইসব কে করলো…
রোদেলা মুখ গোমড়া করে— হাসনাত ভাই…

ইশান অবাক হয়ে দেখছে সব!! মানুষের এতো বেশি রাগ হয় ইশানের জানাই ছিল না…
হঠাৎ কোথা থেকে সানিয়া এসে ইশানের সামনে দাড়ালো… ইশান এদিক ওদিক তাকিয়ে সামনে তাকাতেই তার চোখ অটোমেটিক বড় হয়ে গেল।।। সে চোখ বড় করে বলল– আপনি!!…
সানিয়া মুচকি হেসে মাথা নাড়লো তারপর ইশানের কাছে এসে ফিসফিসিয়ে বলল— ইশান বাবু.. আপনার চোখগুলো এতো নেশাতুর কেন??
ইশান লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলল!! হঠাৎ সানিয়া মুচকি হেসে আর একটু কাছে এসে বলল– গাজা কোনটা ফুঁকেন???
ইশান চমকে তাকালো!! তাড়াতাড়ি মাথা নাড়িয়ে বলল– কখনো ধরেও দেখি নাই আমি…সত্যি…
সানিয়া মাথা ধুলিয়ে হেসে বিরবিরিয়ে বলল– এতো কিউট কেন আপনি…
ইশান কিছু শুনে নাই এমন ভাবে— এ্যা….
সানিয়া “” কিছু না”” বলে মুচকি হেসে চলে গেল. আর ইশান সেদিকে তাকিয়ে রইলো একদৃষ্টিতে!!! আচমকা তার হার্ট খুব জোরে বিট করতে লাগলো।। সানিয়ার হাসিমাখা মুখটি যেন মনের কোনে বারবার উকিঁ দিচ্ছে!!! অদ্ভূত এক শিহরন খেলছে তার কথাগুলো কানের মাঝে… এতো জিবনে অনেকের সাথে মিশেছে সে কোন মেয়ের প্রতি এমন তীব্র আকষর্ন অনুভব করে নি সে..এমন কি রোদেলার জন্য ও নয়…. তাহলে কি সে এই নাম না জানা মেয়েটিকে পছন্দ করতে শুরু করেছে!!!
হঠাৎ নিজের ভাবনার ওপর নিজেই অবাক হলো সে.. পরপর কয়েকটা বকে দিল নিজেকে… আবারও তার সাথে ক্রাশ প্রবলেম হচ্ছে..নিজেকে বোঝালো সে।।।। তার কখনো হয়তো রিয়েল লাভ ই হবে না।।। এইসব ভাবতে ভাবতে আন্টির সাথে দেখা করার উদ্দেশে রুম থেকে বেরিয়ে গেল সে…

তামান্না রোদেলার সাথে কথা শেষ করে দেখলো ইশান রুমে নেই.. সে ইশানকে খোজতে বেরিয়ে গেল…
তামান্না এদিকে ওদিকে চোখ বুলিয়ে যেই অন্যরুমে যাবে হঠাৎ কারো সাথে ধাক্কা লাগলো তার… রেগে সামনে তাকিয়ে চোখ বড় হয়ে গেল তার… হঠাৎ দুনিয়ার সব লজ্জা তাকে ভর করতে শুরু করলো!!! তার সামনে যে পকেটে হাত গুঁজে ইভান দাড়িয়ে আছে…
ইভান পলকহীন চোখে তার ডানাকাটা পরীটাকে দেখছে.. এতো সুন্দর কেন তার পরীটা!!! দুধে আলতা গায়ের রং!!! আর কালো বোরকায় তো অপ্সরীর মতো লাগছে তাকে!!!
তামান্না লাজুক চোখে বলল– কি দেখ??
ইভান— আসমানের চাদঁ!!!
তামান্না মাথা নিচু করে — আমি ট্রেনের চাকা… আমাকে পাম দিলে আমি ফুলি না…
ইভান আচমকা তামান্নার হাত ধরে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিল তাকে… তামান্না চোখ বড় বড় করে ফেলল!! ইভানের শরীরের মিষ্টি স্মেলটা পাচ্ছে সে!! মাদকতা মিশ্রিত সেই স্মেল!! সে ইতস্ততভাবে মুচকি হেসে বলল— কেউ দেখে ফেললে প্রবলেম.. ছাড় আমাকে।।।
ইভান মুচকি হেসে তামান্নার কোমড়ে হাত দিয়ে তাকে নিজের সাথে আরো বেশি মিশিয়ে নিয়ে চোখ টিপ দিয়ে বলল– দেখলে কি বা হবে… তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিবে আমাদের.. আর কতো একা থাকবো একা একা ভালো লাগে না…
এইসব কথায় তামান্নার পুরো শরীরে কারেন্ট দৌড়াচ্ছে.. প্রবল কম্পনে শিহরিত হচ্ছে সে.. এভাবে আর কিছুখন থাকলে হয়তো সে মরেই যাবে…. একঝটকায় নিজেকে ইভান থেকে মুক্ত করে দৌড়ে পালালো সে… আর ইভান সেদিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে দিল…
হঠাৎ কোথা থেকে ইফতি এসে ওর কাধে হাত দিল…চমকে পিছনে তাকিয়ে আমাতাআমাতা করে হেসে বলল– আরে ভাই,, তুৃমি.. কখন এলে এখানে…
ইফতি ব্রু নাচিয়ে মুচকি হেসে বলল—- যখন আপনি রোমান্সে বিজি ছিলেন ঠিক তখন…
ইভান পরপর কয়েকটা ঢুক গিলে আমাতাআমাতা করে বলল– না ভাই আসলে…
ইফতি হেসে বলল– বুঝছি.. আমার ভাই বড় হয়ে গেছে… আমি আব্বুকে বলব আমার বিয়ের পরপর ই তোর বিয়ের ডেইট ফেলতে…
ইভান হেসে ইফতিকে জড়িয়ে ধরলো..তার মন থেকে যেন চিন্তার পাহাড় চলে গেল…

ইশান অনেকখন ধরে মিতাকে খুজছে.. মিতা আর ইশানের মা রাহা বান্ধবী।। মিতা রাহাকে বলেছিল কিছু নিউ মডেলের গোল্ডের ডিজাইন দেওয়ার জন্য.. ইশানের আব্বুর গোল্ডের শোরুম তাই… রাহা তাই ইশানের ফোনে ছবি তুলে পাঠিয়েছে.. আর ইশান তাই মিতাকে খুজছে…

সব রুমে খুজে একটা রুমের সামনে দাড়ালো ইশান.. এইটা হয়তো আন্টির রুম.. শাড়িপড়া কাউকে দেখা যাচ্ছে পিছন থেকে!!! ইশান নক করেতেই শাড়িপরিহিতা পেছনে ফিরে তাকালো…সাথে সাথে ইশানের চোখ বড় বড় হয়ে গেল!!! আর সামনের জনের ও….

সানিয়ার মায়ের রুমে দাঁড়িয়ে শাড়ি পড়া প্রেক্টিস করছিল..মুনিরাকে কিছু পিন নিয়ে আসতে বলেছিল সে. আর তাই সে দরজাটা খোলা রেখে দেয়.. হঠাৎ টোকায় সে পিছনে ফিরে তাকাই.. আর ইশানকে দেখে তার চোখ আপনাআপনি বড় হয়ে যায়… আর সাথে সাথে চিৎকার!!!

ইশান দৌড়ে গিয়ে সানিয়ার মুখ চেপে ধরে তাড়াতাড়ি করে বলতে থাকে— সরি,, সো সরি,, আমি ইচ্ছে করে দেখিনি আপনাকে.. সো সরি… আমাকে ক্ষমা করুন….আপনি কিছু বলছেন না কেন আজব???
সানিয়া মনে মনে চিন্তা করল.. কতো বড় মাপের গাধা এইটা।। মুখে হাত থাকলে কিভাবে বলবে??
তারপর কটমটিয়ে তাকিয়ে চোখ দিয়ে ইশানের হাতের দিকে ইশারা করলো সে… ইশান নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে তাড়াতাড়ি তা সরিয়ে নিল… তারপর আবার বিরবিরিয়ে বলল– সরি,, সরি আপু.. আসলে আমি…
সানিয়া— এতো সরির মালা কে জপতে বলছে??? আর এখন কি এইখানেই দাড়িয়ে থাকবেন…
ইশান তাড়াতাড়ি বেরিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল।।আর দরজার বাইরে দাড়িয়ে বলল– দরজা লাগিয়ে ড্রেস পড়বেন.. আমি চায়না.. আপনাকে এইভাবে আর কেউ দেখুক.. কেউ দেখলে আমার খুব খারাপ লাগবে… এইবলে সে চলে গেল…
কি বলেছে সে জানে না.. শুধু জানে কথা গুলো গলার কাছে এসে দলা পাকিয়ে ছিল.. না বললে বুকের ভিতরটা জ্বালাপোড়া করতো… বড্ড জ্বালা!! যা গেস্টিকে অসুধেও যায় না!!

সানিয়া চোখ বড় বড় করে বন্ধ দরজার দিকে তাকিয়ে রইলো!! এই ছেলে এইসব কি বলে গেল তাকে!!!!

রোদেলা মুখ ফুলিয়ে রুমে বসে আছে হঠাৎ খবর এলো হাসনাত এসেছে.. আর রোদেলাকে তার মা ডাকছে.. কিন্তু রোদেলা মুর্তি হয়ে বসে আছে.. সে যাবে না সেই ফাজিল বেটার সামনে।। কোন দেশি রাজকুমার সে যে সে আসলেই রোদেলার যেতে হবে….

হঠাৎ মিতা নিজে এসে কোমড়ে হাত গুঁজে রোদেলার সামনে দাড়ালো.. ব্রু কুঁচকে বলল—- কি সমস্যা… স্বামী আসলে তার খবর নিতে হয়।। কিছু প্রয়োজন কিনা দেখতে হয়।। জানিস না??
রোদেলা— তোমাদের ছেলে.. তোমরা দেখ…
মিতা হতাশাজনক লুক দিয়ে তাকালো.. সে কালকেই হসপিটাল যাবে.. সে ভাবলো.. আর গিয়েই ডঃ দের কাছে জিঙ্গেস করবে তেইশ বছর আগে কার বাচ্চাটা তাকে দিয়েছিল.তারা!!!… মিতা এইসব ভাবতে ভাবতে রোদেলার হাতটা খপ করে ধরে ফেলল..তারপর পরম ঝাঝের সাথে বলল– হাসনাত টিভি কিনে এনেছে.. ছেলেটা দেখগা একা বয়ে নিয়ে এসেছে টিভিটা।।কতোটা হাপাচ্ছে.. চল গিয়ে পানি আর নাস্তা দিবি ওকে…
রোদেলা মুখ ভেঙ্চিয়ে বলল— কেন।। তোমার হাসনাত এতো কিপটা কেন?? একটা কুলি দিলে কি তার সাত রাজার ধন শেষ হয়ে যেত?? আর নাস্তা.. সেইটা আমি কেন দিব… রহিমা খালাকে বল দিতে..
মিতা কটমটিয়ে তাকিয়ে বলল– তাহলে হাসনাতের বিয়েটাও রহিমা খালার সাথে দিয়ে দি…. আর হাসনাত কিপটা না.. মিতব্যয়ী…
এইসব বলে টানতে টানতে ড্রয়িংরুমে নিয়ে দাড় করিয়ে দিল তাকে…

ড্রয়িংরুমে ডুকে বড়সড় ঝটকা খেল রোদেলা!! সোফার ওপর বসে সামনে টেবিলে একটা পা আর অন্য পা টা নিচে দিয়ে বসে আছে হাসনাত !! বুকের কাছে গলাটা ভেজা কিন্তু সে জ্যাকেট পড়ে বসে আছে!!!
এই আল্লাহ বান্দার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে!! এতো গরম লাগতেছে তো জ্যাকেটটা খুলে নিলেই তো পারে… তাকে কে বলেছিল এই গরমে রিশি সাজতে… রোদেলা বিরবির করতে করতে হাসনাতের সামনে গিয়ে দাড়ালো.. হাসনাত মুচকি হেসে রোদেলার দৃষ্টি আকষর্নের চেষ্টা করতে লাগলো… কিন্তু রোদেলা এমন ভাব ধরলো যেন সে সামনে চেয়ার ছাড়া আর কিছু দেখছেই না….
শেষে হাসনাত গম্ভীর কন্ঠে বলল– টিভি ভেঙ্গেছি.. তাই লয়েলিটির সাথে আর একটা কিনে এনেছি…
রোদেলা ব্রু কুঁচকে বলল— তোমাকে ভার্সিটির লেকচারার বানালো কে?? যে লয়েলিটি শব্দটা কোথায় ব্যবহার করে জানে না.. মিতা তাড়াতাড়ি চোখ রাঙ্গিয়ে তাকালো. স্বামীর মুখের ওপর এমন বেয়াদবি.. সে দাত কটমটিয়ে বলল– রোদেলা হাসনাতের জন্য পায়েশটা নিয়ে এসো.. ওর পায়েশ পছন্দ তাই রেধেছি…
রোদেলা মুখ বাঁকিয়ে যেতে যেতে আবার থমকে দাড়িয়ে বলল— রিশির ড্রেস পড়লেই কেউ রিশি হতে পারে না. রিশি শুধুই রিশি।।। এই বলে হনহনিয়ে হাটা দিল সে..

কিচেনে এসে চুপটি করে দাড়িয়ে পড়লো রোদেলা.. হাসনাতের গরমে কষ্টটা রোদেলার সহ্য হয়নি তখন… হাসনাত যে গরম সহ্যই করতে পারে না।। সেই মানুষ এতো গরমে এইসব নিয়ে কিভাবে থাকবে..এইসব ভেবে আনমনে কেঁদে দিল সে!!! পরমুহুর্তে নিজেকে গালি দিল সে.. দুনিয়ার বিয়াক্কেল তুই রোদেলা।। তাই তো ও তোকেই কাদায়… এই বলতে বলতে পায়েশটা বেড়ে নিতেই মাথায় চমৎকার আইডিয়া এলো তার… সে পায়েশের বাটিতে ইচ্ছামতো লবন আর মরিচের গুড়ো মেশালো.. তারপর পৈশাচিক হাসি হেসে বলল— এইবার বুঝবে কারো প্রিয় জিনিস নস্ট করলে কতোটা কষ্ট লাগে…

হাসনাতের রাগ লাগছে অনেকটা!!! এতো কষ্ট করে এতো গরম ড্রেস পড়ে আছে সে আর রোদেলা একটু তাকালোও না!!
রোদেলা পায়েশটা হাসনাতের সামনে রেখে মিষ্টি হাসি দিল.. হাসনাত সন্দেহভরা চোখে রোদেলার দিকে তাকালো… মিতা সেদিকে তাকিয়ে বলল– ও রান্না করে নি.. আমি করেছি আব্বু.. তুমি খাও..

হাসনাত মুচকি হেসে এক চামচ মুখে দিতেই তার চোখ বড় বড় হয়ে গেল!! সে চোখ বড় বড় করে রোদেলার দিকে তাকালো… রোদেলা মুচকি মুচকি হাসচ্ছে… রোদেলা নিশ্চিন্ত হাসনাত এখন চিল্লিয়ে রোদেলাকে বকবে.. কিন্তু রোদেলা সেইটাই দেখতে চায়।। কিন্তু হাসনাত রোদেলাকে অবাক করে দিয়ে চামচের পর চামচ পায়েশ মুখে পুরতে লাগলো.. হাসনাতের চোখ বেয়ে পানি পড়ছে কিন্তু সে একফোঁটাও পানি খেল না.. রোদেলার কেন যেন কান্না আসতে লাগলো হাসনাতের অবস্হা দেখে.. সে নিজের ঠোট চেপে সেখান থেকে দৌড়ে চলে গেল… আর সবাই অবাক হয়ে দুইজনের দিকে তাকাতে লাগলো…

রোদেলা বিরবিরিয়ে নিজেকে আর হাসনাতকে উভয়কে গালি দিতে দিতে নিজের রুমে যাচ্ছিল আচমকা কেউ তার হাত ধরে টান দিল আর রোদেলা আছড়ে পড়লো তার বুকে.. রোদেলা এই স্পর্শ খুব করে চিনা!!!.. এ যে হাসনাত!!
রোদেলা সরে যেতে চায়লে হাসনাত তার কোমড়ে নিজের ডানহাতটা দিয়ে টেনে আরো নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় তাকে!!!. হাসনাতের স্পর্শ আর গরম নিশ্বাসটা রোদেলার মুখে পড়তেই নিশ্বাস ভারী হতে শুরু করে তার.. সে তোতলাতে তোতলাতে বলে— হা–সনা—ত —
মুহুর্তেই হাসনাত নিজের ঠোট রোদেলার ঠোটে ডুবিয়ে দেয়.. পরম আবেশে রোদেলাকে নিজের করে নিতে থাকে সে..রোদেলাও যেন হাসনাতের নেশায় মেতে ওঠে আজ!!.. কোমড়ে হাসনাতের হাতের কোমল স্পর্শে সে কেপে উঠছে বারবার!! হাসনাতের কলার চেপে আরো মিশে যায় সে হাসনাতের বুকে.. রোদেলার নখের আচড় কাটে হাসনাতের বুকে!! আর এতে হাসনাত যেন আরো বেশি আকুল হয়ে ওঠে.. ঠোটদুটি যেন আরো জোরে জোরে পিশতে থাকে রোদেলার নরম ঠোটটিকে!!!
রোদেলার নিশ্বাস নিতে বড্ড কষ্ট হচ্ছে. এভাবে থাকলে সে মারা ই যাবে… সে হাসনাতকে জোরে ধাক্কা দিয়ে সরে যেতে চায়.. হাসনাত আরো জোরে কোমড় চেপে ধরে তার.. রোদেলার ফর্সা গলা যেন হাসনাতকে বড্ড কাছে টানছে.. আর রোদেলার সেই মিষ্টি স্মেল!!! হাসনাতকে আকুল করার জন্য যথেষ্ট সবকিছুই!! আচমকা সে রোদেলার গলায় মুখ ডুবিয়ে দিল…গভীর চুমু খেল রোদেলার গলায় আর বুকের সেই তিলটিতে!!! রোদেলা আবেশে চোখ খিচে দাঁড়িয়ে রইলো… সে যেন হাসনাতের আদরে আরো বেশি মাতাল হতে লাগলো…হঠাৎ কারো আসার পায়ের শব্দে রোদেলা হাসনাতকে ধাক্কিয়ে মাথা নিচু করে সরে দাঁড়ায়. সবকিছু ভাবতেই রোদেলা লজ্জায় লাল হয়ে ওঠলো…. হাসনাত মুচকি হেসে রোদেলার লাজুক মুখের দিকে তাকিয়ে বলল—- ঝালটা আর লাগছে না. এখন থেকে আরো বেশি করে ঝাল দিবে.. যাতে মিষ্টি পুরোটা একসাথে খেয়ে ফেলতে পারি.. এই বলে চোখ টিপ দিয়ে চলে গেল সে… আর রোদেলার ইচ্ছে হলো সে লজ্জায় মাটির নিচে ঢুকে বসে থাকে…

চলবে

( রিভিশন দিই নি আমি)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here