ভালোবাসি হয়নি বলা পর্ব ৩৪

#ভালোবাসি হয়নি বলা
#সাদিয়া নওরিন

পর্ব— ৩৪

হলুদের অনুষ্টান শেষে সবাই অতিরিক্ত টায়ার্ড.. একেকজন একেক দিকে ঢলে পড়ে ঘুমিয়ে পড়লো!!! রোদেলা গুটিশুটি মেয়ে রুমের একরুমের কোনে বসে ঘুমিয়ে পড়লো…

সকালের আলোয় আড়মোড় ভেঙ্গে ওঠে বসলো হাসনাত… চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখলো সে.. একজনের পা আরেকজনের বুকে.. ইফতি ইশানের পায়ের ওপর শোয়ে আছে.. হাসনাত গা ধরে ডাকতেই ওঠে বসলো সে.. চোখ পিটপিট করে বলল– ভাই,, আমরা কোথায়,, বিয়েটাকি হচ্ছে না??
হাসনাত ঠাস করে গালে একটা থাপড় দিয়ে দিল তাকে।।তারপর দাত কটমটিয়ে বলল– শালা, কোফা কথা একদম বলবি না..চল বাড়ি যাব..ওনাদের আর কষ্ট দিয়ে কাজ নেই।।
ইভান আড়মোড় ভেঙ্গে উঠে দাড়িয়ে বলল– ভাই নাস্তা খাব না?
হাসনাত ব্রু কুঁচকে বলল– মোটেও না.. বুয়াআন্টিকে বলেছি আমাদের জন্য বাড়িতে খাবার বানাতে.. আম্মুরাও হয়তো বেরিয়ে গেছে…
মেহেদী অবাক হয়ে তাকিয়ে বলল– ভাই বিয়ের আগেই শশুরবাড়ির মানুষ হয়ে গেলা!! হাসনাত চোখ রাঙ্গিয়ে বলল– আমি আমার ফুফিকে সাহায্য করছি.. ফুফির কষ্ট হবে তাই.. সবাই অহহ.. করে ওঠলো.. হাসনাত কিছু বিরবিরিয়ে বেরিয়ে গেল..আর বাকিরা উচ্চস্বরে হেসে দিল…

রোদেলা ঘুৃম ভাঙ্গতেই নিজের ওপর ভারী কিছু অনুভব করলো… রোদেলা চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে দেখলো.. সানিয়া পায়ের ওপর শোয়ে আছে.. আর মুনিরা জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে.. রোদেলা কোমড়টা ব্যাথায় টনটন করছে.. অনেকখন ধরে বসে আছে সে.. এদের দুইজনকে ডেকে দিতেই দুইটা আরো তার দিকে চেপে আসছে.. রোদেলা দুইটাকে ধাক্কিয়ে সরিয়ে দাঁড়িয়ে গেল…আর ওয়াসরুমে দিকে হাটা ধরলো… রোদেলাকে অবাক করে মেয়েগুলো বেহুসের মতো ঘুমাতে লাগলো
//
//

পুরো দিনটা খাওয়া দাওয়া আর প্রেক্টিসে চলল.. রোদেলা এতো পরিমান কাচ্ছি আর খোরমা খেয়েছে।। তার আর এই জিনিস জিবনেও না খেলেও খেতে ইচ্ছে করবে না আর!!!.. যে যেইদিকে পারছে শুধু খাওয়া নিয়ে জোড়াজোড়ি “! মনে হচ্ছে রোদেলা আর কখনো এই বাড়ি আসবেই না…
রোদেলা খাওয়া দাওয়া শেষ করে মেহেদী আঁকাতে বসলো.. মেঘলা তাকে মেহেদি পড়িয়ে দিল.. হাসনাতের এইচ আর আরিয়ানের এ টা খুব সাবধানে মেহেদীর আড়ালে লুকিয়ে ফেলল সে… মেয়েরা অনেক বেশি এক্সাইটেড.. আজ ও যে তারাই জিতবে…

হাসনাত সবার মাঝখানে বসে আছে।। তাকে মেহেদী পড়াবে এরা.. কিন্তু কে পড়াবে সেইটা নিয়ে কনফিউস্ট!! .. কারন কেউ তেমন ভালো করে আঁকতেই জানে না.. ইভান হাত উঁচিয়ে বলল– আমি বায়লোজি প্রেক্টিকেল অনেক সুন্দর করে আকতাম.. আমি আকি?
ইফতি ওর মাথায় জোরে টোকা দিয়ে বলল– তো কি এখন ভাইয়ের হাতে মানুষের হাড়গুড় আঁকবি? মেহেদি ব্রু কুঁচকে বলল– তো কি সমস্যা.. ইউনিক হবে.. রোদেলা আপু নিজের হাড় কোনগুলো খুজবে… হাসনাত হতাশাজনক লুক দিয়ে বলল– তাহলে একটা কাজ কর.. থিম টা ভুতুড়ে কর.. তখন ইশান এক্সাইটেড হয়ে বলল– ভালো হবে ভাই.. হ্যালুয়িন পার্টি..
হঠাৎ আরাফ মেহেদীর কোন টা ঠিক করতে করতে বলল– গাধার দল!!! এইটা ডান্স পার্টি.. আর মেহেদি আমি দিয়ে দিচ্ছি ভাই হাত দাও…
আরাফ ইউনিক ট্যাটু আঁকতে পারে।। সে রোদেলার নামটা ট্যাটু র মতো করে একে দিল.. কারো বোঝার সাধ্য নেয় এইটা রোদেলা লিখেছে…সবাই আরাফকে সাবাশী দিতে লাগলো আর এরপর ডান্সের জন্য নিজেদের মতো প্লেন বানাতে লাগলো…

হাসনাতদের বাসার সামনে তিনটা নোহা এসে থামলো.. গাড়ি থামতেই ছেলেরা আড় চোখে তাকালো.. আর পরপর কয়েকটা ঢুক গিলল তারা.. এই মেয়েগুলো এতোটা সুন্দর কেন!!. মেরুনের ওপর গোল্ডেন কাজের লেহেঙ্গা পড়েছে তারা.. কমলা কালারের নেটের ওড়না.. চুল খোলা.. তাদের রুপ যেন ঠিকরে পড়ছে একেক জনের থেকে…
মেয়েরাও আড়চোখে ছেলেদের দিকে তাকাচ্ছে.. আসলেই তাদের বিএফ গুলো অতিরিক্ত সুন্দর.. সাদা কালারের পান্জাবী তাদেরকে যেন আরো বেশি শুভ্র লাগছে… মেয়েদের সাথে ম্যাচিং করে মেজেন্ডা কোর্টও পড়েছে তারা!!

মেয়েদের দল তাদের ইগনোর করে হনহনিয়ে প্রস্হান করলো যেন তাদের তারা দেখেই নি…

রোদেলা আস্তে আস্তে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠছে.. এতো ভারী লেহেঙ্গা আর জুয়েলারি!! রিতিমতো হাপিয়ে ওঠেছে সে.. তার বোনগুলোও বড্ড বদ.. একা একা রেখে ড্যাংড্যাং করে নাচতে নাচতে ওঠে গেল সবকয়টা.. যেন বিয়েটা ওদের হচ্ছে.. রোদেলার ইচ্ছে সবকয়টাকে বড় ডেকসিতে রান্না করে সবাই কে পরিবেশন করে সে!!! রোদেলা কয়েকটা সিড়ি বেয়ে বিরক্তিভরা চেহারা নিয়ে চুড়িগুলো দিকে তাকালো! চুড়িগুলো কোন যুগের শত্রুতামি করছে তার কে জানে?? বারবার ঘোমটা টার সাথে আটকে যাচ্ছে.. আর তার মনে হচ্ছে সে সিঁড়ি না দেখতে পেরে হয়তো ধুম করে আছড়ে পড়বে…এইসব বিরবির করতে করতে পা লেহেঙ্গার নিচের পাড়ের সাথে আটকে গেল.. আর ফলসরুপ ওল্টে পড়তে গেল রোদেলা!!

রোদেলা ভয়ে চোখ অফ করে রইলো.. পড়েছে তো সে সত্যি কিন্তু ব্যাথা পাচ্ছে না কেন সে!! তারমানে কি সে কষ্ট ছাড়া বেহেস্তে চলে এসেছে.. এইসব ভাবতে ভাবতে কারো খুব কড়া স্মেল তার নাকে এলো!!এ যে হাসনাত ভাই!!! কিন্তু ওনি তো দুনিয়ায় বেহেস্তে কি করে!! এইসব বিরবিরিয়ে বলতেই তার কানে কারো ভারী আওয়াজ এলো.. রোদেলা চোখ পিটপিট করে তাকালো.. সে বিরবিরিয়ে বলল– হাসনাত আমরা কি এখন বেহেস্তে!!! হাসনাত ওকে কোল থেকে নামিয়ে হতাশাজনক লুক দিয়ে বলল– নাহ,, পাতালে.. আপনি পড়তেছিলেন আমি ক্যাচ ধরেছি যেইভাবে বল ধরে ঠিক সেইভাবে…
রোদেলা লাজুক চোখে তাকালো.. ইশ কি লজ্জা কি বলছিল সে আবোলতাবোল!!!!

হাসনাত মোহিত হয়ে তার মায়াপরী কে দেখছে. সদ্যফোটা লাল গোলাপের মতো লাগছে তাকে!! লাল লেহেঙ্গা হাতে বড় ঝুমকোচুড়ি!! যেন কৃষ্ণচুড়া গাছের লাল কৃষ্ণচুড়া!! সাদা পেটের হালকা দৃশ্যমান.. লম্বা চুলগুলো দুপাশে ঝুলানো!! আর তার সেই ভূবনভূলানো লাজুক হাসি!! হাসনাত নিজের বুকের বামপাশে হাত রাখলো.. হার্টটা জোরে জোরে বিট করছে তার!!যেন এখুনি বেরিয়ে আসবে!! রোদেলা চোখ তোলে তাকালো হাসনাতের দিকে… চাপা দাড়ি আর সাদা পান্জাবীতে অতিরিক্ত ভালো লাগছে তাকে.. নেশাধরানো পলকহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সে রোদেলার দিকে.।আর রোদোলাও তার সেই চোখের নেশায় মজে যাচ্ছে সম্পূর্ণভাবে!!!

হঠাৎ মেঘলা জোরে কাশতেই দুজন আমাতাআমাতা করতে লাগলো…মেঘলা মুচকি হেসে মাথা দুলিয়ে রোদেলাকে আলতো করে ধরে ছাদে নিয়ে গেল.. অার হাসনাত ঐখানে দাড়িয়ে বুকের বা পাশে হাত দিয়ে দাড়িয়ে রইলো!! মেয়েটাকে যে তার ভিতরটাকেও নাড়িয়ে দেয়!!!

ছাদে সবাই মেহেদী দেখার অপেক্ষায় বসে আছে.. হাসনাত আর রোদেলাকে পাশাপাশি বসানো হলো.. মেহেদীর ডিজাইন দুইটাই অনেক বেশি ইউনিক.. এবার নাম খোজার পালা… রোদেলার হাতটা হাসনাত খুটিয়ে খুটিয়ে দেখলো কিন্তু কি লিখছে কিছুই বোঝলো না সে!!!.তাকে সাহায্য করার জন্য ইফতিরাও চেষ্টা করতে লাগলো!! কিন্তু কেউ কোন লেটারই খুজে পেল না.. মেয়েদের খুশি দেখে মনে হচ্ছে তারা গোটা বিশ্বটা জয় করে ফেলেছে… হঠাৎ হাসনাত খুজে পেল.. দুইটা ওয়ার্ড ই.. ছেলেরা জিতে গেল…

এবার রোদেলার পালা..রোদোলা আর সবাই একসাথে হয়েও হাসনাতের হাতে কোন ওয়ার্ড খুজে পেল না!!! কালকের পয়েন্টের সাথে খেলা ড্রতে এসে ঠেকলো… ইফ্ফাত মুখ ভেঙ্চিয়ে বলল– ডান্স বাকি… আর তার সাথে মিলিয়ে ইফতি আর মেহেদী বলল– হুম বাকি বাকি…

ডান্স প্রোগামের জন্য সবাই স্টেজের চারপাশে গোল হয়ে বসল.. পাচটা ডান্স হবে…
ইফ্ফাত -ইফতী,, তামান্না– ইভান, মেহেদী- মাহিরা,, সানিয়া– ইশান, আরাফ– মুনিরা…

সবাই নিজেদের ভিতর ঠিক করছে.. মেয়েদের টিম অতিরিক্ত কনফিডেন্ট.. আর ছেলেরা নিজেদেরকে অন ইজ ওয়েল বলছে… ইফতি আর ইশান নিজেদের কে নিয়ে কনফিউস্ট এ আছে.. মেয়েগুলোকে আজকে এতোটা সুন্দর লাগছে কেন!! এইটাই যেন তাদের চিন্তার বিষয়!!!

ইফতি আর ইফ্ফাতের ডান্স শুরু হলো….

jo teri kathair tarpe pehelece hi, kia ose tarpana o jalima.. o jalima…
jo tere isqa me beheka pehelece hi kia ose behekana….

( ইফতি আজকে ডান্স করতে করতে ইফ্ফাতের হাত ধরে তাকে নিজের দিকে টান দিল.. ইফ্ফাত ইফতির বুকে আছাড় খেতে খেতে নিজেকে সামলে নিল.. সে ইফতির প্লেন খুব ভালোই বুঝতে পেরেছে… সে নিজেও ইফতির সাথে তাল মিলিয়ে ডান্স করছে.. ইফতি বারবার ইফ্ফাতের নানা রুপে মুগ্ধ হচ্ছে!!! কেউ কারো কাছে হারতে চায় না.. এমন একটা অবস্হা তাদের মাঝে! টেনশনে বাকিদের চেহারা খারাপ…)

dedar teri milneki bath hi cote meri angraai,, to hi batha de kiu jalima me kehelai.
kiu is tara me doniajahane kartihe mere rasonai e…
tera kocur r jalima.me kehelaie…
(ইফ্ফাত ইফতির চারপাশে ঘুরে ঘুরে নাচতে লাগলো.. ইফতি হঠাৎ থমকে দাড়ালো.. ইফ্ফাতকে অন্যরকম সুন্দর লাগছে আজ.. নেশা লেগে যাচ্ছে তার. মুহিত চোখে তাকিয়ে রইলো সে সেইদিকে. সবাই চিল্লিয়ে নাচতে বলল.. কিন্তু সে দাড়িয়ে রইলো আর মেয়েরা জিতে গেল)

ইফতি মাথা নিচু করে নেমে এলো.. সবাই দুপাশে মাথা দুলিয়ে হতাশ হলো… ইভান তীব্র ঝাঝের সাথে বলল.. আমার টা দেখ..

tu safar mera, tu hi he mera manjil..
tere bina gajari.. a dil he muskil..
(ইভান তামান্না কাছে দাড়িয়ে ডান্স শুরু করলো.. তারা একা একা ডান্স করছে কোন টাচ ছাড়া..)

tujko me kitni siddath se cahatiho,
chaana tu rehna bekavar…
( আচমকা ইভান তামান্নার হাত ধরে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিল,, তামান্না আচমকা তার স্পর্শে কেপেঁ ওঠলো… ইভান তামান্নার কোমড় আর পিটে আলতো করে স্লাইড করতে লাগলো .. আবেশে চোখ বুজে ফেলল সে. এতে ডান্স করা থেমে গেল তার.. ইভান থেমে নেয়… সে কাপল ডান্স করতে লাগলো… আর এতে সে জিতে গেল))

সানিয়া অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করলো তামান্নার দিকে.. এইটা কি করলো সে.. তামান্না নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো.. মুনিরা হেসে বলল.. সমস্যা নেয়।। আমরা তো আছি…

এবার সানিয়া আর ইশান.. ইশান চোখ টিপ দিয়ে দিল তাকে…সানিয়া মুচকি হেসে ব্রু নাচালো…
“” gali gali me firtahe to kiu bantahe banjara, a mere dil me basja,,, mere asiq awara….

গানটা প্রথম যখন শুরু হয়।। ইশানের ঠিকই ছিল.. কিন্তু যখন সানিয়া আস্তে আস্তে তার কাছে আসতে লাগলো.সানিয়া স্পর্শে ইশান মোহিত হতে লাগলো।। শেষে ইশান নিজেই হার মেনে নিল। কারন এ অত্যচার তার কাছে খুব কষ্টের।। এমনিতেই মেয়েটাকে দেখলেই তার বুকের ভিতর মোচর দিয়ে ওঠে.. আর এমন স্পর্শ আর গান!! তার মনে হচ্ছে গান তার বুকের ভিতর বাঝছে… তার দ্বারা সহ্য করা দুষ্কর!!

মুনিরা কোমড়ে হাত গুঁজে বলল.. এখনো আমরা পিছিয়ে নেই আমরা.. মেহেদী ভাই আর আরাফ ভাই দুইজনকেই আমাদের হারাতে হবে.. আর একজন ও যদি হারে.. ম্যাচ ড্র হয়ে যাবে.. আর কালকের পয়েন্টে আমরা জিতব…

আরাফ সবাই গোল করে বলল.. আমাদের জিততেই হবে..আমরা একজন জিতলে কালকের সাথে ম্যাচ করে ড্র হবে।। না হয় আমরা হেরে যাব.. ছেলে হিসেবে ড্র মনজুর তবে হারা না….

হাসনাত মুচকি হেসে হেসে রোদেলার দিকে তাকালো.. রোদেলা সেদিকে না তাকিয়ে বলল– কিরে ভেটকান কেন??
হাসনাত মুচকি হেসে বলল– আমাদের উয়িক পয়েন্টে আঘাত করো কেন তোমরা মেয়েরা.. তোমরা কেন বোঝনা আমরা যদি একটু তোমাদের উয়িক পয়েন্টের আঘাত করি তোমরা স্টাচু হয়ে যাবা…
রোদেলা মুখ ভেঙ্চিয়ে বলল– হু.. আমাদের কোন উয়িকপয়েন্ট নেই.. তোমরা ছেলেরা না একটু টাচ করলে কাত হয়ে যাও..

হাসনাত মাথা দুলিয়ে বলল– ওহ,, তাই নাকি.. ওকে বাকি দুইজনের সাথে আমি কথা বলো আসি.। মেয়েদের উয়িকপয়েন্ট টা দেখিয়ে আসি.. আজকে যদি আমরা না জিতি হাসনাত আরিয়ান নাম পাল্টায় দিও…
এইবলে হাসনাত ওঠে চলে গেল…

রোদেলা বরফ হয়ে বসে রইলো.. পরপর কয়েকবার ঢুক গিলল সে.. এখন কি হবে.. হাসনাত কে সে ভালোভাবে চিনে.. যা বলে তা করার খুব বাজে অভ্যাস আছে তার।। যেভাবেই হোক.. কিন্তু মেয়েদের হারতে দেওয়া যাবে না.. ম্যাচ ড্র হোক.. কিন্তু মেয়েরা যে হারবে না…

মিতা আর মায়া ভাবছে আজকেই শেষ গেম. এমন চললে বিয়ের আগে হাসনাত রোদেলা না জানি রেসলিং এ নেমে যায়!!!!!

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here