ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2 পর্ব ৪+৫

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী(writer)
#৪_পর্ব
.
মেহরাব ভাই আমি এসেছি (দাঁত কেলিয়ে)

তো আমি কী করবো(নিশ্চয়ই মনে মনে কোনো ফঁন্দি এঁটেছে নয়ত এতো মিষ্টি করে কথা বলছে কেনো)

উমন করেন কেনো একটু ভালো করে কথা বললে কি হয়,, আচ্ছা বাদ দেন শোনোন না আমার না আপনার একটা হেল্প লাগবে।

ওহ তাহলে এই বেপার সাহায্য চাই আমার হুম, মনে মনে বলল মেহরাব।

কেমন সাহায্য??

আরে শুনুন না, আমি আর মেঘলা আপু ভাবছি মীরা আপুর জন্মদিনে শাড়ি পড়ে যাবো কিন্তু কেউই শাড়ি পড়তে পারি না তাই বলছিলাম কি।

কি বলতে চাইছিস আমায় তোকে শাড়ি পড়িয়ে দিতে হবে??( ভ্রু কুঁচকে বলল মেহরাব)

না না তা না, আপনি শুধু একটু দেখাই দিলেই হবে।

আমি কীভাবে দেখাই দেবো আমি কি শাড়ি পড়তে পারি নাকি??

আপনি শুধু ইউটিউব দেখে আমাকে একটু বলে দিলেই হবে তারপর আমি নিজেই পরতে পারবো।

এতে আমার কি লাভ??

প্লিজ মেহরাব ভাই এমন করেন না। একটু সাহায্য করলে কি হয়, আমি ছোট মানুষ ভেবে আমার ভুলগুলো ক্ষমা করে একটু সাহায্য করেন প্লিজ।

ওকে ওকে ঠিক আছে করছি।

এই বলে মেহরাব ফোন নিয়ে ইউটিউব এ গেলো তারপর ওখান থেকে একটা শাড়ি পড়ার ভিডিও বার করে টেবিলের উপর রেখে ওখানে যেমন যেমন করে শাড়ি পড়ছে মেহরাব ও মাহিকে তেমন তেমন করে পড়তে বলছে,,, কুঁচি দেওয়ার সময় মাহি বলল।

ও আচ্ছা আমি বুঝতে পেরেছি,, শাড়িটা এভাবে ধরে তারপর এভাবে উল্টাইয়া পাল্টাইয়া এমন করে গুঁজে দিতে হবে তাইতো??

আরে না, হয়নি এভাবে না দাঁড়া আমি তোকে দেখাচ্ছি।

( প্রায় সব গল্পেই এমন সিচুয়েশনে নায়ক রাগ করে নায়িকার হাত থেকে শাড়ি নিয়ে নিজে পড়িয়ে দেয় কিন্তু এখানে এমন কিছুই হবে না৷, কেননা কাহিনি মে টুইস্ট হে😁😁)

এই বলে মাহি খাটের ওপর রাখা আরেকটা শাড়ি যেটা মেঘলা পরবে বলেছিলো, ওটা নিয়ে মেহরাব নিজে পরে মাহিকে বুঝাতে লাগল এমন ভাবে বুঝাচ্ছে যেন মনে হচ্ছে কোনো অংক টিচার তার একজন ফেল করা ছাত্রী কে খুব মনোযোগ দিয়ে অংক বুঝাচ্ছে।

দেখেছিস এভাবে শাড়ি পড়তে হয়,,, আমি একবার দেখেই বুঝে গেছি (শাড়িটা পড়ে মেহরাব ভাব নিয়ে বলল)

হুম মেহরাব ভাই বুঝলাম,, আর এটাও বুঝলাম যে আপনার মাথায় হেব্বি বুদ্ধি,, এখন যায় আমি।

সে কিরে শাড়ি পরবি নাহ??(মেহরাব নিজের গায়ের শাড়িটা খুলতে খুলতে বলল)

নাহ পড়বো না, যেটার জন্য এসেছিলাম সেটা হয়ে গেছে এখন আমি যাই। (এই বলে মাহি নাচতে নাচতে চলে গেলো আর মেহরাব ওখানেই বোকার মতো দাঁড়িয়ে থাকল, কি যে হলো কিছুই বুঝলাম নাহ)

,,,,,,জন্মদিন পার্টিতে,,,,,,

মেহরাব এর সাথে মাহি আর মেঘলা চলে এসেছে সারা রাস্তা তো মাহি হেব্বি মুডে ছিলো ,, আর মেঘলা খুব ভয়ে ভয়ে ছিলো,, যে সে চুরি করেছে আর পুলিশ এই ওর ঘাড়টা ধরলো বলে।

গাড়ি থেকে নামার সময় মেঘলা আর মেহরাব নেমে গেছে তখনি মাহি গাড়ি থেকে না নেমে মেহরাব কে উদ্দেশ্য করে বলল।

আমার গাড়ির দরজা টা খুলে দিন আমি নামবো (অনেকটা ভাব নিয়ে)

হোয়াট?? আমি?? কখনোই না (রেগে বলল মেহরাব)

দিবেন না তো??

নাহ।

তাহলে এটা সবাইকে দেখিয়ে দিই(মাহি ফোন বার করে ফোনে মেহরাব এর শাড়ি পড়া পিকটা বার করে বলল)

পিকটা দেখে মেহরাব রেগে চোখ লাল করে মেঘলার দিকে তাকালো,, কেননা মাহিকে শাড়ি পরিয়ে দেওয়ার সময় তো মাহির হাতে কোনো ফোন ছিলো না আর মাহি ও তো ছবিটা তুলবে না,, তাহলে একমাত্র মেঘলায় ছবিটা তুলেছে কেননা বাড়িতে আর কেউ ছিলো না,,, আপন বোন হয়ে এমন টা করতে পারলো?? মেহরাব এর মনে হচ্ছে মেঘলার কানের নিচে একটা দিতে।

ওদিকে মেহরাব এর তাকানো দেখে মেঘলা ভয়ে হাতের নখ কাঁমড়াতে কাঁমরাতে মনে হয় আঙুল টাই খেয়ে ফেলবে এমন অবস্থা।

কি হলো ওভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো?? যতই চাপাচাপি করেন কোনো লাভ নাই, যা বলছি তাই করেন নইলে কিন্তু এটা সবাইকে দেখিয়ে দেবো (মাহি)

মেহরাব দাঁতে দাঁত চেপে মাহি যা বলল তাই করল, তারপর হনহন করে ভিতরে চলে গেলো।

আমি শেষ,, আল্লাহ জানে আমার কপালে কি আছে (ভয়ে ভয়ে বলল মেঘলা)

আরে এতো ভয় পাও কেনো,, আমি আছি তো (মাহি)

হুম তুই আছিস বলেই তো ভয় (বিরবির করে বলল মেঘলা)

কি হলো আপু কিছু বললে??

নাহ কিছু না চল।

আরে মেহরাব বাবা যে কত সুন্দর লাগছে তোমাকে বাহ ছেলেই একখান (মেহরাব এর গাল টেনে বলল,, এলিনা। এলিনা হলো মেহরাব এর খালার প্রতিবেশী,,তবে মহিলা টার একটাই স্বভাব যাকে দেখবে তারই গাল টিপে দেবে..আর মেহরাব এখানে আসে সেখান থেকেই ওকে চেনে)

জি আন্টি ভালো (বিরক্তি নিয়ে,,, হালকা হাসার চেষ্টা করে,,, এমনি তেই মেজাজ খারাপ তারপর আবার এনার কান্ড পুরা মাথাটাই নষ্ট করে দেবে এখন)

মেহরাব এর অবস্থা দেখে তো মাহির হেব্বি হাসি পাচ্ছে।

আরে মেহরাব তুমি এসে গেছো আসো আমি তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম,, এখন একসাথে কেক কাটবো(মীরা মেহরাব এর হাত ধরে বলল,,,আর মীরা হলো মেহরাব এর খালার একমাএ মেয়ে)

মীরা তোকে কতবার করে বলেছি আমাকে ভাই বলবি,, মনে রাখিস আমি তোর অনেক বড়। (মীরার থেকে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে)

ওকে বলবো বলবো এখন চলো তো।

তারপর ওরা সবাই মিলে কেকটা কাটলো মীরা এক টুকরো কেক নিয়ে মেহরাব কে খাওয়াতে গেলে।

আমি মিস্টি খাইনা..

তাই কি মেহরাব আজকে অন্তত খা মীরা এতো করে বলছে যখন (মীরার মা)

সরি খালা মনি আমি খারো জন্য নিজের অভ্যাস বদলাতে পারবো না (এই বলে মেহরাব ওখান থেকে চলে গেলো)

মীরা রাগে দুঃখে হাতে কেকটা সামনে ছুঁড়ে মারলো আর সেটা সোজা গিয়ে একটা ছেলের মুখে লাগল।

আরে কে করল এটা কানা নাকি চোখে দেখতে পাইনা নাকি রাবিশ (ছেলেটা)

মাহি ওখানেই মেঘলার সাথে ছিলো,, ছেলেটার কথাশুনে ওর হাতে থাকা রুমালটা ছেলেটার দিকে দিলো,।

নিন ভাইয়া এটা দিয়ে পরিষ্কার করে নেন।

ছেলেটা মাহির হাত থেকে রুমালটা নিয়ে নিজের মুখটা মুছে,,, মাহিকে উদ্দেশ্য করে বলল।

ধন্যবাদ।

ওকে ঠিক আছে,,

আমি নেহাল আপনি??

ছেলেদের এই একটা সম্যসা কোনো মেয়ে একটু ভালো কথা বললেই,, নাম কি বাসা কই সব কিছু জিগাস করতে শুরু করে যত্তসব, এই বলে মাহি চলে গেলো।আর নেহাল ওখানেই হা করে দাড়িয়ে থাকল কি যে হলো কিছুই বুঝলাম না।

মেঘলা সে কখন থেকে মাহিকে খুঁজছে কিন্তু তার তো কোনো খোঁজই নেই,, কোথায় যে গেলো মেয়েটা,,, মেঘলা মাহিকে খুঁজতে খুঁজতে সামনে তাকিয়ে দেখল মেঘ দাঁড়িয়ে কার সাথে যেনো কথা বলছে।

আরে এই পুলিশটা এখানে কেনো?? যদি একবার দেখে নেয় তাহলে আমি শেষ, পালাই বাবা,, এই বলে যেই মেঘলা পালাতে যাবে তখনি,,,,,

এই মেয়ে দাঁড়াও ওখানে।

#৫_পর্ব
.
বাবার কোনো এক বন্ধুর মেয়ের নাকি জন্মদিন,, কিন্তু হঠাৎ করে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় আমাকে আর আমার ছোট ভাইকে পাঠালো কিন্তু এখানে এসে যে আমি আমার ভালোবাসা কে দেখতে পাবো ভাবিনী,, কিন্তু ও আমাকে দেখে পালাচ্ছিলো তখনি ওকে ডাক দিলাম।

এই দাঁড়াও ওখানেই (মেঘ)

এই রে দেখে ফেলেছে এই জন্যই মনে হয় বলে যে,,, যেখানেই বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয় (মনে মনে বলে সামনে ঘুরে মুখে একটা প্লাস্টিক মার্কা হাসি দিয়ে বললাম)

জ,,,জি স্যার বলুন (ভয়ে ভয়ে)

তুমি আমাকে দেখে পালাচ্ছিলে কেনো??

ক,,,কই না তো আমি তো আরো আপনার কাছেই যাচ্ছিলাম।

তাই নাকি??(ভ্রু কুঁচকে)

হ্যাঁ।।

আরে মেঘ তুই এখানে??(পাশ থেকে মেহরাব বলল)

খাইছে ভাইয়া?? এখন যদি এই পুলিশ ভাইয়াকে কিছু বলে তাহলে তো আমি শেষ (মনে মনে)

হমমম,, আমি বাবার বদলে আমি আসলাম,, তা তুই এখানে??(মেঘ)

আরে আমার খালাত বোনের জন্মদিন তাই,, তা তুই মেঘলার সাথে কি কথা বলছিস??

এমনিতেই তোর কথা জিগাস করছিলাম আর কি (মেঘলার দিকে তাকিয়ে)

আল্লাহ বাঁচলাম,,,, ভাইয়া তোরা কথা বল আমি গেলাম (এই বলে মেঘলা দৌড়ে ওখান থেকে চলে গেলো)

কিরে কোথায় ছিলি তুই সেই কখন থেকে তোকে খুঁজছি আর এমন ফুসছিস কেনো?? কি হয়েছে??(মাহিকে দেখে বলল মেঘলা)

আর বলো না আপু একটা ছেলের মুখে কেক পরেছিলো তো আমি ওনাকে আমার রুমালটা দিয়ে বললাম যে আপনি আপনার মুখটা পরিষ্কার করে নেন,, আর ওনি আমার নাম কি এসব জিগাস করে আলাপ জমাতে আসছিলো পুরা মেজাজটাই খারাপ করে দিলো,,, আরে আমি ওনাকে কেনো আমার সব কিছু বলবো আজব, যাকে বলার এখন পযন্ত তাকেই বলতে পারলাম না (এটা বলেই জিব্বাহই কামড় দিলাম আল্লাহ কি বলতে কি বলে ফেললাম)

কীহ?? কি বললি তুই?? (ভ্রু কুঁচকে)

ক,,,কই কিছু না চলো তো,,,

,,,পরেরদিন সকালে,,,,

মা যলদি নাস্তা দাও আমি কলেজে যাবো দেরি হয়ে যাচ্ছে তো (খাবার টেবিলে বসে বলল মাহি)

আগে থেকে মনে থাকে না?? বেলা দুপুর করে ঘুমাবে আর ঘুম থেকে উঠেই আমার কাজে এমন তাড়াহুরা বাধাই দিবে।

আর আপু তোর তো খাইতে অনেক দেরি হয়,, জলদি খেতে পারিস না?? কুঁড়ে একটা (মনির)

এই তুই চুপ থাক বেশি কথা বললে না মাথায় একটা টক্কা মারবো চুপচাপ খা।

তারপর খাওয়া শেষ করে আম্মু কে বলে কলেজ এর উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়লাম,,, রাস্তায় দাড়িয়ে আছি রিক্সার জন্য তখনি দেখলাম মেহরাব ভাই গাড়ি নিয়ে আসছে, আসুক তাতে আমার কি আমি তো ভুলেও আজকে ওনার গাড়ীতে উঠবো না,, বেটা বদ আবার না জানি কোথায় নামিয়ে দেয়,, এসব ভাবছিলাম তখনি ওনি গাড়ি নিয়ে আমার সামনে থামালো।

উঠে আয় চল তোকে পৌঁছে দিয় (মেহরাব)

ওনার কথাশুনে আমি ওনার দিকে তাকিয়ে দেখি ওনার পাশে মীরা আপু অনেক ভাব নিয়ে বসে আছে,, আমাকে দেখে মুখটা অন্য দিকে ঘুরালো যেনো ওনি আমাকে নিয়ে খুবি বিরক্ত।

নাহ থাক লাগবে না আমি রিক্সা নিয়ে চলে যাবো,আর তাছাড়া, আজকে আমার হাঁটার কোনো ইচ্ছে নেই। (মুখ ঘুরিয়ে বললাম)

হুম বুঝলাম মহারানি কালকের ঘটনায় অভিমান করেছে,,,, আচ্ছা ঠিক আছে কালকের জন্য সরি এবার তো আয়,, মীরা কে ওর ভার্টিতে নামিয়ে দিয়ে তোকেও তোর কলেজের সামনে নামিয়ে দিয়ে আমি অফিসে চলে যাবো।

কেনো মেহরাব ভাই আপনি কি সবাইকে তার গন্তব্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন নাকি??(মীরা আপুর দিকে তাকিয়ে বললাম)

আরে মাহি তুমি এতো ভাব দেখাচ্ছো কেনো আাসার হলে আসো নয়ত যাও তো ভালো লাগছে না,, মেহরাব চলো আমরা চলে যাই,, আর তাছাড়া ও তো বলছে ও যাবে না তাহলে ওকে এতো বলার কি আছে??(মীরা মুখ বাঁকিয়ে বললো)

মীরা আপুর কথা শুনে খুব খারাপ লাগল,, এবার তো আরো বেশি করে যাবো না আমি ওনার সাথে,, পারলে আমি হেঁটে যাবো তবুও ওনার সাথে যাবো না,, ওনি ওই ঢঙ্গীটাকেই নিয়ে যাক (মনে মনে কথাগুলো বলে মুখটা অন্যদিকে ঘুরায়ে আগের মতোই দাড়িয়ে থাকলাম)

মীরা তুই চুপ থাক তোকে এতো বেশি কথা বলতে কে বলেছে,,, আর মাহি তুই আসবি নাকি আমি নামবো (মেহরাব)

বললাম তো যাবো না, আপনারা যান (ওভাবেই জেদ করে দাঁড়িয়ে থেকেই বললাম)

মাহির কথা শুনে মেহরাব গাড়ি থেকে নেমে মাহির কাছে গিয়ে ওর হাত ধরে বলল।

যাবি নাকি কোলে তুলে নিয়ে যেতে হবে??

বললাম তো আমি যাবো না,, আপনি মীরা আপুকে নিয়েই যান,, আমার হাত ছাড়ুন (হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে)

যত্তসব ঢং এই মেয়েটাকে নিয়ে মেহরাব একটু বেশি বেশি করে,, তবে যাই হোক না কেনো, আমি আমার সিট ছাড়ছি না, আমি এখানে বসেই যাবো মাহি পারলে পিছনে বসুক (মনে মনে কথা গুলো বললো মীরা)

তুই যাবি তোর ঘাড় যাবে,, এই বলে মাহির হাত টেনে গাড়ির কাছে নিয়ে এসে গাড়ির পিছনের দরজাটা খুলে ওকে বসিয়ে লক করে দিলাম। এবার দেখি তুই না গিয়ে কীভাবে থাকিস,, তারপর আমিও ডাইভিং সিটে গিয়ে বসে গাড়ি স্টার্ট দিলাম,, আর মাহি তো মুখ ফুলিয়ে বসে আছে,, ওদিকে যে মেহরাব সামনের আয়না দিয়ে ওকে দেখছে এটা ও খেয়ালই করছে না।
,,,,৷৷,,,

জানিস তো আজকে আমাদের ভার্সিটীতে কোন মন্ত্রী যেনো আসবে ভার্সিটীটা দেখতে, আর এখানে নাকি আরেকটা বিল্ডিং ও বানাবে কিন্তু কিসের তা জানি না, (চায়না মেঘলার বান্ধবী)

হুম শুনলাম তো একটু পরের চলে আসবে আর স্যার কি বলেছে জানিস তো?? ওনাকে অনেক সুন্দর করে বরণ করতে হবে,, তাই জন্যই তো আমাদের গেটের কাছে ফুল নিয়ে দাঁড়াতে বলেছে,, এখন চল আমরা কাজে লেগে পড়ি নয়ত আবার স্যার রাগ করবে,৷

এই বলে আমরা সবাই একদম রেডি হয়ে গেটের কাছে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম,, তার একটু পরেই অনেক গুলো গাড়ি এসে থামলো, আর গাড়ি থেকে একজন বেরিয়ে মন্ত্রীর গাড়ির দরজা খুলে দিলো,, তারপর সে পিছন ফিরতেই দেখি ওমা এটা তো সেই পুলিশটা এবার কি হবে (মেঘলা)

মন্ত্রী সাহেব এর সিকিউরিটির জন্য অনেকগুলো পুলিশ ফোর্স দেওয়া হয়েছে সেখানে আমিও আছি,, মন্ত্রী সাহেব কোন এক ভার্সিটীতে আসবেন তাই জন্য,, কিন্তু এখানে এসেও যে আমি আমার ভালোবাসা কে দেখতে পাবো ভাবিনী, তাহলে ও এখানেই পড়ে হুম বুঝলাম,, কিন্তু মুখটা ওমন করে রেখে কেনো হয়ত ভয় পেয়েছে আমায় দেখে পাগলি(মেঘ)

কিরে ফুল সিটা মন্ত্রী সাহেব তো ভিতরে চলে গেলো (চায়না ফিসফিস করে মেঘলার কানে বলল)

হুম হুম দিচ্ছি দিচ্ছি,, এই বলে আমি ফুল সিটাতে লাগলাম আমার সামনে দিয়েই প্রথমে মন্ত্রী সাহেব গেলো তার পিছন পিছন আরো অনেকই গেলো সব শেষে ওই পুলিশটা যাওয়ার আগে আমার সামনে দাড়িয়ে বলল।

তোমার সাথে কথা আছে যাওয়ার আগে আমার সাথে দেখা করে যাবে ওকে (এই বলে মেঘ চলে গেলো,,আর আমি তো ওনার কথা শুনে ওখানেই ফ্রিজ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি না জানি আবার কি বলে)

চলবে,,,,,,??

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here