ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2 পর্ব ৬+৭

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#৬_পর্ব
.
আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে যেনো মনে হচ্ছে বৃষ্টি আজকে পণ করেছে যে আজই সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাবে,, থামার কোনো নাম গন্ধ নেই,, সেই ভারী বর্ষণ এর মধ্যে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে মেঘলা ,, বৃষ্টি তে ভিজে পুরো শরীল একদম চুপষে গেছে,, একটু আগে।

মেঘলা মেঘ এর জন্য ভার্সিটির সামনে অপেক্ষা করছিলো তার একটু পর মেঘ আসলো।

তুমি আছো আমি তো ভাবছিলাম তুমি চলে যাবে(মেঘ)

বলুন কি বলবেন (মেঘলা)

আসোলে মেঘলা প্রথমেই আমি তোমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কেননা এতোদিন আমি তোমাকে মিথ্যা বলেছি,, আমার কাছে কেউ তোমার নামে কোনো কমপ্লেন করেনি আমি এমনি এমনি তোমার সাথে ওমন করতাম,, আর এমন করার ও কারন আছে,, আমি তোমাকে যেদিন প্রথম দেখেছিলাম সেদিনই আমার বুকের ভিতর তোমার জন্য একটা টান অনুভব করেছিলাম, যেনো মনে হয়েছিলো আমরা জন্ম জন্মান্তরের চেনা ,, কি ভেবেছো আমি এভাবে বলবো???

না আমি এটা বলবো না,, আসোলে আমি সব কথাই সরাসরি বলতে পছন্দ করি ,, তোমাদের বাড়িতে গিয়ে আমার প্রথম তোমাকে দেখে ভালো লেগেছিলো,, কিন্তু তারপর যতবারই তোমাকে দেখেছি জানি না কেমন যেনো একটা লাগত, তখন সেটা বুঝিনি কিন্তু এখন বুঝতেছি,, আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি।

মেঘের কথা শুনে মেঘলা কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না শুধু হা করে এক ধ্যানে মেঘের দিকে তাকিয়ে আছে,, মেঘ আবারও বলা শুরু করলো।

আমি তোমাকে গ্রেফতার করবো তো জেলেও নিয়ে যাবো কিন্তু সেটা আমার মনের জেলে,, আমার একমাএ মনটা চুরি করার অপরাধে তোমাকে আমি গ্রেফতার করবো তবে সেটা ১ সপ্তাহ পর,,, মেঘলা (হঠাৎ করে মেঘলার হাত ধরে) আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি তবে আমি তোমাকে বলছিনা যে তুমিও আমাকে এখনি ভালোবাসো আমি ১ সপ্তাহ এর জন্য একটা কাজে বাইরে যাচ্ছি এই এক সপ্তাহ আমি তোমার সাথে কোনো যোগাযোগ করবো না,, আবার ১ সপ্তাহ পর আসবো তোমার কাছে তোমার উত্তর শুনার জন্য,, গেলাম ভালো থেকো এবং নিজের খেয়াল রেখো,, (এই বলে মেঘ চলে গেলো)

মেঘলা ওখানেই দাঁড়িয়ে আছে, যৌবনের প্রথমেই কোনো পুরুষের ছোঁয়া যেনো তাকে পাথর করে দিয়েছে সারা গায়ে এক অচেনা অনুভূতি বয়ে যাচ্ছে,, গায়ের পশম গুলি দাঁড়িয়ে গেছে যেনো মনে হচ্ছে এখন প্রচন্ড শীত পরছে,,, তখনি আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি এলো আর সেই বৃষ্টির সাথে মেঘলা ভাবতে লাগলো লোকটা ১ সপ্তাহ পর আসলে তাকে কি উত্তর দিবো।

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

ধুর ধুর কিচ্ছু ভালো লাগে না কি যে করবো,, অনেকক্ষণ তো বৃষ্টিতে ভিজলাম তারপর মায়ের বকা শুনে বৃষ্টি থেকে উঠে এসে চেঞ্জ করে এখানে বসলাম তবুও বৃষ্টি কমলো না,, তাহলে কি আকাশ ফুঁটো হয়ে গেলো??( জানালার পাশে বসে এমন অদ্ভুত আর আকাশ পাতাল চিন্তা করছিলো মাহি,, তখনি মাথায় একটা উদ্ভট বুদ্ধি এলো।)

ইয়েস পেয়ে গেছি বৃষ্টি তে তো খিচুড়ি আর বেগুন ভাজি করতে হয়,, যাই তাহলে আমি খিচুড়ি রান্না করবো স্পেশাল করে হাহাহা (এই বলে মাহি চটাং করে জানালার ওখান থেকে নেমে ফটাং করে রান্নাঘরে চলে গেলো)

কিরে তুই এখানে?? কি দরকার??(মাহির মা)

আরে আম্মু আমি ভেবেছি আজকে আমি খিচুড়ি রান্না করবো।

কিহ?(হালকা জোরে)

হুমম কেনো তুমি খুশি হওনি?? এর আগেও তো আমি তোমাদের রান্না করে খাওয়ালাম তোমরা কত প্রশংসা করলে,, তাই ভাবছি আবারো রান্না করবো (এই বলে মাহি রান্না করতে চলে গেলো)

মাহির মা ভাবছে কদিন আগের কথা মাহি রান্না করেছিলো, সে কি রান্না পুরাই অখাদ্য, লবন দিয়ে একদম ভরে রাখছিলো, কিন্তু সেটা তো বলা যাবে না বললে পুরো বাড়ি মাথায় তুলে ফেলবে তাই ওর মন রক্ষার্থে কোনো রকম এক লোকমা খেয়ে বলছিলাম এখন তো দেখছি সেই কথাটাই কাল হয়ে দাড়ালো আজকে আবার খাওয়া লাগবে। নিজে তো খাবে না,, কিন্তু সবাইকে খাইয়ে ছাড়বে (মাহির মা কিছু সময় মাহির দিকে তাকিয়ে থেকে চলে গেলো কেননা মাহিকে এখন থামানো যাবে না, ও যখন বলেছে তখন রান্না করেই ছাড়বে)

বৃষ্টি প্রায় কমেই এসেছে একে তো বিকেল তারপর আকাশ মেঘলা থাকায় মনে হচ্ছে যেনো সন্ধ্যে হয়ে গেছে,,, মাহির রান্না শেষ অনেকক্ষণ ধরে রান্না ঘরে বাসন চামচ আর সবজির সাথে যুদ্ধ করে অবশেষে রান্না শেষ করেছে,,,গামলা ভর্তি করে খিচুড়ি আর বেগুন ভাজি সাথে ডিম ভাজিও আছে,, ওগুলো ডাইনিং টেবিলে রেখে একটা চেয়ারে বসে খাবার গুলোর দিকে তাকিয়ে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল।

আহ কি সুন্দর দেখতে লাগছে সত্যি আমি কত সুন্দর করে রান্না করতে পারি (নিজে নিজেই বলছিলো তখনি কলিং বেল টা বেজে উঠল)

এসময় আবার কে আসল,, চেয়ার থেকে অলস ভঙ্গিতে উঠে দরজা খুলে দিলো দেখলো মেহরাব ছাতা মাথায় দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

কিরে বাট্টু সামনে থেকে সর ভিজে যাচ্ছি তো আমি (মেহরাব)

কি মেহরাব ভাই আমি মোটেও বাট্টু নয় আমাকে বাট্টুু বলবেন না আর আপনি ভিজবেন কি করে আপনার কাছে তো ছাতা আছে,,, আর ছাতা থাকলে কি মানুষ ভিজে?? আপনি এই কথাটাও জানেন না কি বোকা আপনি (দরজার সামনে থেকে সরে বলল মাহি)

এই তো আমি কি সাধে তোকে বাট্টু বলি তুই শুধু বাট্টু নয় সাথে গাধীও (ভিতরে গিয়ে ছাতা বন্ধ করে বলল)

কেনো কেনো আমি কি এমন বললাম যে আপনি আমায় গাধী বলছেন??

এই দ্যাখ ছাতা তো শুধু মাথার উপর আছে,, তাহলে মাথা ভিজতেছে না, কিন্তু আমার পায়ের ওখানে তো কিছু নেই তো বৃষ্টি তে আমার পা ভিতে যাচ্ছে,, আর যেহেতু এখানে ফ্লোর আর ফ্লোরে পানি দিয়ে সেটা ডব দিয়ে আরো উপরে উঠছে সেহেতু আমার পা তো ভিজতেছই সাথে আরো পায়ের উপরের অংশ ও ভিজে যাচ্ছে আর আমি যদি আরো কিছু সময় এভাবে থাকি তাহলে আরো বেশি হবে, আর একটা সময় আমি পুরো ভিজে যাবো,, এবার বুঝলি গাধী(এটা বলে মেহরাব মাহির মাথায় একটা চাটি মেরে ভিতরে চলে গেলো)

আর এদিকে মাহি মেহরাব এর এমন উদ্ভট যুক্তি শুনে মাথায় হাত দিয়ে ওখানেই হ্যাবলার মতো দাঁড়িয়ে থাকল।

ফুপি ও ফুপি (মেহরাব মাহির মা কে ডাকতে ডাকতে সোফায় বসে পড়ল)

আরে মেহরাব তুই এসময়?? কি বেপার কোনো সম্যসা হয়েছে নাকি?? আর তুই অফিসে যাসনি??

আরে না ফুপি কোনো সম্যসা হয়নি আর আমি অফিসে গিছিলাম এই একটু আগেই চলে আসলাম, আব্বু অবশ্য আছে অফিসে,,, আর শোনো যে কথা তোমাকে বলতে এসেছিলাম,,, ফুপাকে বলো কাল সকালে যেনো একবার আমাদের বাড়ি যাই আব্বু যেতে বলছে।

কেনোরে কিছু কি হয়েছে??

সেটা আমি কি করে জানবো,, যেতে বলো হ্যাঁ আমি তাহলে এখন আসছি??

মাহি মাথায় হাত দিয়ে ভিতরে আসলো তখন মাহির মা ওকে বললো। কিরে ওমন মাথায় হাত দিয়ে কি ভাবছিস??

নাহ কিছু না,, আর মেহরাব ভাই আপনি একদম ঠিক সময় আসছেন (মাহি)

মানে??

আরে আমি আজকে নিজে খিচুড়ি রান্না করছি চলুন খেয়ে বলবেন কেমন হয়েছে, আমি অবশ্য অনেক ভালো রান্না করি (অনেকটা ভাব নিয়ে বলল মাহি)

ওহ সত্যি?? তাহলে তো খেয়ে দেখতে হয় (মেহরাব)

হুম চলুন।

আজকে মেহরাব শেষ,, ছেলেটার আজকে বারোটা বাজবে নিজেই নিজের বারোটা বাজাচ্ছে পাগল ছেলে (মনে মনে বলল মাহির মা)

শুনুন না মেহরাব ভাই আমি ভাবছি একটু মামি আর মেঘলা আপুর জন্যও নিয়ে যাবো ওরাও জানুক ওদের মাহি কত ভালো রান্না জানে (মাহি মেহরাব এর প্লেটে খাবার বেড়ে দিতে দিতে বলল)

হুম নিয়ে যাবি নিষেধ করেছে কে?? এখন কথা না বলে ভাজির বাড়িটা এদিকে দে।

এই নিন।

তারপর মেহরাব ভাজি আর ভাত একসাথে মেখে নিয়ে এক লোকমা মুখে দিয়ে একটু চিবিয়েই চোখ বড় বড় করে মাহির মায়ের দিলে তাকালো।
মাহির মা এমন রিআ্যকশন দিলো যেনো বলছে বৎস্য তোমার আগেই আমার কাছে জিগাস করা উচিত ছিলো,, এখন বোঝো ঠেলা।

মাহি মেহরাব কে জিগাস করলো কেমন হয়েছে মেহরাব ভাই?? নিশ্চিয় অনেক সুন্দর?? (মেহরাব এর মুখ থেকে উত্তর শুনার জন্য মাহি অধীর আগ্রহের সাথে মেহরাব এর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে)

মেহরাব কোনোমতে ভাতটা গিলে বলল,,, অনেক সুন্দর (আসোলে খিচুড়ি তে অনেক ঝাল আর ভাজিতে লবন বেশি হয়েছে)

(আপনাদের লেখিকাও এমন রান্না করতে গেলেই লবন বেশি হয়ে য়াই😶🙄)

আমি জানতাম অনেক ভালো হয়েছে,, এই নিন আর একটু নেন (আর এক চামচ ভাত মেহরাব এর পাতে তুলে দিয়ে বলল মাহি)

ওরে আমার দাদী আর দিস না,, আমি এটাই শেষ করতে পারবো কি না জানি না হয়ত শেষ করার আগেই আমি শহীদ হয়ে যাবো (,বিরবির করে বলল মেহরাব)

কিছু বললেন মেহরাব ভাই???

নাহ কিছুই বলিনি(আমি শুধু ভাবছি এগুলো নাকি ও আমাদের বাড়ি নিয়ে যাবে, মা আর মেঘলার অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে ভাগ্যিস আব্বু বাড়ি নেই বেঁচে গেছে)

চলবে,,,,,,???

(আপনাদের ও মাহির খিচুড়ি খাওয়ার দাওয়াত থাকলো😁😁)#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী( writer)
#৭_পর্ব
.
মামীমণি দাখো আমি তোমাদের জন্য কি নিয়ে এসেছি (মেহরাব এর সাথে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বলল মাহি ,, আর মেহরাব গালের মধ্যে চিনি নিয়ে চেপে ধরে শুসে শুসে খাচ্ছে আজকে ওর অবস্থা খুবি খারাপ ঝালে একেবারে যাচ্ছে তাই,, এই জন্য গালের মধ্যে চিনি নিয়ে আছে যাতে ঝালটা একটু কমে)

আরে মাহি তুই?? এই সময় এখানে?? আর মেহরাব তুই মুখটা অমন করে রেখেছিস কেনো??(রুপালি মেহরাব এর মা)

হ্যাঁ ভাইয়া তুই মুখটা ওমন বাংলার পাঁচ এর মতো করে রেখেছিস কেনো?? আর তোর চোখমুখ ওমন লাল হয়ে আছে কেনো??(মেঘলা)

আরে আমি আজকে স্পেশাল খিচুরি রান্না করেছি আর মেহরাব ভাই ওটা খেয়েছে অনেক ভালো হয়েছে তো তাই ভাইয়া বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে,,, আর এতে (টিফিন বাটি) আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি (মাহি)

ওমা সত্যি?? বাহ কি ভালো মেয়ে আমার আয় টেবিলে রাখ ওটা (রুপালি)

মেহরাব চোখের ইশারায় মেঘলাকে না করছে,, যাতে ওরা খিচুরিটা না খায়,, কিন্তু মেঘলা কিছুই বুঝতেছে না তাই বলল।

কিরে ভাইয়া তুই ওমন করে মাথা ঝাকাস কেনো?? কি হয়েছে কিছু বলবি??

আরে না ভাইয়া কি বলবে তোমরা আসো তো খেয়ে বলো কেমন হয়েছে।

তারপর একে একে সবাই টেবিলে গিয়ে বসল শুধু মেহরাব বাদে,,, একবার খাও তারপর বুঝবে মজা (মেহরাব মনে মনে বলল)

রুপালি আর মেঘলা টেবিলে বসে প্লেট নিলো আর মাহি সুন্দর করে প্লেটে খাবার তুলে দিলো,, মেঘলা আর রুপালি এক লোকমা মুখে দিয়ে চিবিয়ে চোখ বড় বড় করে দুজন দুজনের দিকে তাকালো তারপর মেহরাব এর দিকে তাকালো।

আগেই নিষেধ করেছিলাম আমার কথা না শুনলে এমনি হয়,, এখন বোঝো ঠেলা (মেহরাব)

,,,,,,,,রাতে,,,,,,,,

মাহি আর আজকে বাড়ি যাইনি রাতে মেঘলার কাছেই শুয়ে আছে,,, সবাই ঘুমে বিভোর কিন্তু ঘুম নেই শুধু মাহির সে একটা জিনিস ভাবছে।

আচ্ছা মেহরাব ভাই এর গাল কি অনেক নরম নাকি শক্ত?? না না নরমই হবে নরম না হলে ওদিই ওই আন্টিটা ওমন করে টিপে দিলো কেনো?? নাহ আমাকেই দেখতে হবে (এটা ভেবে মাহি বিছানা থেকে উঠে পড়লো তারপর মেঘলার দিকে তাকিয়ে দেখলো মেঘলা ঘুমিয়ে আছে, মাহি আস্তে করে খাট থেকে নেমে দরজা খুলে বাইরে চলে গেলো)

যাবো কি যাবো না,, ভাইয়া যদি একবার বুঝতে পারে তাহলে আমি শেষ,, না না ওনি জানবে কীভাবে আমি ফট করে গিয়ে চট করে গালটা টিপে দিয়েই চলে আসবো,,, হ্যাঁ যায়,

এই বলে মাহি চুপি চুপি মেহরাব এর রুমের কাছে গেলো গিয়ে দরজা ধাক্কা দিলো দেখলো দরজা ভিতর থেকে বন্ধ।

ওফ আমিও না একটা গাধী রাতের বেলা তো দরজা বন্ধই থাকবে (নিজে নিজেই কথাটা বলে মাহি চলে গেলো)

,,,সকালে,,,,

সবাই নিচে বসে আছে মাহি সোফায় বসে চিপস খাচ্ছে রান্না হলে খেয়েই চলে যাবে, তখনি মেহরাব একদম রেডি হয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছে, মাহি একধারে মেহরাব এর গালের দিকে তাকিয়ে আছে,,, যেনো মনে হচ্ছে এই মর্হুতে মাহির কাছে মেহরাব এর গাল টিপাটাই মেন।

মেহরাব আর চোখে মাহির দিকে একবার তাকিয়ে ডাইনিং টেবিলে গিয়ে বসে ওর মাকে ডাকলো।

মা যলদি খাবার দাও অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে।

মাহি আরে আরে মেহরাব কে দেখছে এটাই সুযোগ এখানে কেউ নেই এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে হবে,, পিছন থেকে গিয়ে আচ্ছা করে মেহরাব ভাই এর গালটা টিপে দিতে হবে,,
এই ভেবে মাহি সোফা থেকে উঠে আস্তে আস্তে পা ফেলে মেহরাব এর পিছনে গিয়ে দাঁড়ালো তারপর চেয়ারের দুপাশ দিয়ে হাত দিয়ে মেহরাব এর গাল দুটো আচ্ছা করে টিপে দিয়ে দে দৌড় এক দৌড়ে বাড়ি,,,

মেহরাব চোখ বড় বড় করে মাহির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে কি হলো কিছুই বুঝলাম না,, আস্তে করে হাতটা গালে দিয়ে ঠোঁটের কোনে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠল।

আষাঢ় মাসে এই এক সম্যসা,,না জোরে বৃষ্টি হয়,, না থেমে যায় সারাদিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হতেই থাকে, রাস্তাঘাট ও কেমন স্যাঁতস্যাতে হয়ে থাকে,,, মেঘলা একহাতে ব্যাগ আর আরেক হাতে ছাতা ধরে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, কেনো জানি আজকে নিজের উপর ভিষণ বিরক্ত লাগছে, একেতে বৃষ্টির দিন সব খানেই কাঁদায় ভর্তি তারপর তারাহুরো করে আজকে সাদা প্লাজুটাই পরে আসছে,,, এখন প্লাজুতে কেমন কাঁদা লেগে দাগ হয়ে যাচ্ছে।

রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে কলেজের উল্টো দিকের রাস্তায় তাকিয়ে আছে মেঘলা, কেনো জানি মনে হচ্ছে ও কারো অপেক্ষাই আছে।

আচ্ছা আজকেউ কি ওনি আসবে?? না না ওনি তো কাল আমায় বলল ওনি ১ সপ্তাহের জন্য বাইরে যাবে তাহলে ওনি এখন আসবে কি করে।আচ্ছা আমি কি কোনোভাবে ওনাকে মিস করছি??(নিজেই নিজেকে বলল) ধূর আমিও না কি সব ভাবছি আমি কেনো ওনাকে মিস করতে যাবো,, কি যে হয়েছে আমার,, এটা বলে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে লাগল তখনি পিছন থেকে একটা বাইক ঝরের গতিতে মেঘলার পাশ দিয়ে গেলো আর রাস্তায় থাকা কাঁদা পানি সব গিয়ে পড়ল মেঘলার উপর.

এই ইডিয়ট এটা কি করলেন চোখে দাখেন না?? কানা নাকি?? যত্তসব বিয়াদপ ছেলে কোথাকার (রেগে বলল মেঘলা)

ছেলেটা একটু গিয়ে বাইক টা থামিয়ে বাইক থেকে নেমে মাথা থেকে হেলমেট টা খুলে বাইকে ঝুলিয়ে মেঘলার কাছে গেলো।

কি বললেন??(নেহাল)

বললাম চোখে দাখেন না?? কানা নাকি?? দাখেন তো আমার জামাটার অবস্থা পুরাই খারাপ করে দিলেন যত্তসব (জামা ঝড়তে ঝাড়তে বলল মেঘলা)

আসলে আম সরি আমি দেখতে পাইনি আমার একটু তাড়া আাছে তো তাই যলদি যেতে গিয়ে আপনার জামায় কাঁদা পানি লেগে গেলো,, আমি সত্যি অনেক দুঃখিত(নেহাল)

ওকে ইটস ওকে,, আজকে আর ভার্সিটী যাওয়া হবে না,, এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে তার উপর আবার এই অবস্থায় তো যেতেও পারবো না,,, আবার বাড়ি গিয়ে চেঞ্জ করে আসতে অনেক দেরি হয়ে যাবে (এটা ভেবে মেঘলা চলে গেলো)

নেহাল তো আস্তে করে বাইক এ গিয়ে বসে আবার বাইক নিয়ে চলে গেলো,, কিছু দূর গিয়ে আবার সেই সেম কাহিনি হলো।
মানে আবারও কারো গায়ে কাঁদা পানি লেগে গেলো। যথারীতি নেহাল বাইক থেকে নেমে আসতে আসতে মনে মনে বলল,,,সালার কপালটাই আজকে খারাপ,, আর কয়জনের কাছে যে সরি বলতে হবে আল্লাহ জানে।

এই বলে নেহাল যার গায়ে কাঁদা পানি লেগেছে তার কাছে এসে বলল।

সরি আসলে আমি দেখতে পাইনি,,,,

তখনি হঠাৎ,,,,,,

চলবে৷৷,,,??

(বলুন তো এবার কার গায়ে কাঁদা পানি টা লেগেছে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here