#ভ্রান্তির_অগোচরে
পর্ব ২২
লেখা আশিকা জামান
মিম লুকিং গ্লাস দিয়ে তাকিয়ে নুরী ছাড়া আর কাউকে দেখতে পেলনা। সবুজ চলে গেছে? মনে হতেই ভিতরটা খা খা করতে লাগলো। যে যাবার সেতো চলেই যাবে তার জন্য কষ্ট পাওয়ার কি আছে।
মুহুর্তের মাঝেই চাপা কষ্ট বাধণছাড়া হওয়ায়, নুরীর উপর প্রচণ্ড রাগ লাগছে।
মিম দরজা খুলে দেয়। নুরী বাচ্চা কোলে দরজার সামনে ভয়ে ভয়ে তাকায়।
” তোর সমস্যা কি? তুই ওকে নিয়ে এতোক্ষণ কোথায় ছিলি? আমার চিন্তা হয়না বুঝি।”
নুরী মিমের মুখের দিকে তাকায়। চোখ মুখ অসম্ভবরকমের ফুলে গেছে বোধ এতোক্ষণ খুব করে কান্না করেছে। আর সাথে এও বুঝে দুলাভাই এর উপর অভিমানটা এখন ওর উপর রাগ হয়ে ঝড়ে পড়ছে।
সবুজ প্রায় ওদের কথার মাঝখানেই উদ্ভ্রান্তের মত হন্তদন্ত হয়ে রুমে ঢুকে।
মিম কিছুটা বিস্মিত হয়ে পিছিয়ে যায়। ও বুঝে উঠতে পারেনা এখন ওর কি রিয়েক্ট করা উচিৎ।
এই বাসায় পাশাপাশি দুইটা বেডরুম। সদরদরজার সাথে ড্রয়িং আর ডাইনিং তার বা পাশেই কিচেন। মিম অবস্থা বেগতিক দেখে মুখ ঘুরিয়ে ফেলে।
সবুজ অকুলান হয়ে মিমের হাত ধরতে যায়। মিম হাতটা সরিয়ে দিয়ে বা পাশের বেডরুমে ঢুকে পড়ে।
” মিম, দাড়াও শোন! কথাটা,শোন!”
মিম সবুজের কথার বিন্দুপরিমাণ পাত্তা না দিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয় সবুজের মুখের উপর।
” মিম, দরজা খোল। প্লিজ খোলনা।”
কিন্তু ওপাশে কোন সাড়া পাওয়া যায়না।
” দরজা খোল, দুইমিনিট এর জন্য খোল। প্লিজ।
দুইমিনিট কথা বলেই আমি চলে যাব। এই খোলনা।”
কিছুক্ষণ থেমে আবার বলে উঠে।
“আপা, দরজা খুলেন। কি কয় শুইনা না হয় আবার বন্ধ কইরেন। এত নিষ্ঠুর হইয়েন নাগো আপা।”
নুরী গমগম করে বলে উঠে।
সবুজের প্রচন্ড লাগছে কিন্তু এই মুহুর্তে রাগটাকে হজম করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। সবুজ ইবতিহাজকে কোলে নিয়ে ড্রয়িংরুমের সোফায় বসে পড়ে।
” নুরী, আমাকে এক গ্লাস পানি দিতে পারবে?”
নুরী ডাইনিং টেবিল থেকে পানি সহ গ্লাস সবুজের দিকে এগিয়ে দেয়। সবুজ ঢগঢগ করে পানি গিলে নুরীর দিকে তাকায়।
” নুরী তোমার কাছে মিমের নাম্বার আছে? থাকলে আমার ফোনে তুলে দাও।”
সবুজ ফোনটা নুরীর দিকে এগিয়ে দেয়।
একনাগাড়ে ফোন দিয়েও ফোন পিক আপ করেনা মিম। সবুজ হতাশ হয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকে।
” দুলাভাই আমার যাওনের সময় হইছে আমি যাই। আর আল্লাহু আল্লাহ করেন আপার রাগ যেন তাড়াতায় পানি হইয়া যায়।”
সবুজ মুচকি হেসে নুরীকে বিদেয় করলেও বুঝে যায় ওর আজকে হালুয়া টাইট হতে বেশীক্ষণ লাগবেনা।
সবুজ ছেলেকে কোলে নিয়ে অনেকক্ষণ এদিক সেদিক পায়চারী করলো কিন্তু মিমের কোন সাড়াশব্দ নেই। একটুপরেই ইবতিহাজ গগনবিদারী কান্নায় সবুজকে বিড়ম্বনায় ফেলে দিলো।
অবশ্য ওর মনে ক্ষীণ আশার আলো উদ্রেক হতে লাগলো। ছেলের কান্না শুনে নির্ঘাত দরজা খুলবে। সবুজ বাচ্চার কান্না থামানোর বদলে ওকে একদম দরজার কাছাকাছি নিয়ে গেল। যাতে মিম শব্দটা বেশ ভালোভাবেইই শুনতে পায়। কিন্ত এবারো মিমের দিক থেকে কোন সিগন্যাল এলোনা।
” মিম, বাবুটা কাঁদছেতো। আই থিংক ওর ক্ষুধা লেগেছে। আমি ওকে কি খাওয়াবো? ইউ নো আই হ্যাভ নো মিল্ক। বাবা কাঁদেনা কাঁদেনা। এই মিম, ওকে একটু খাওয়াওনা। আমি কোথাও দুধ পাবো বলোনা? আমিতো ছেলে! এমন নিষ্ঠুর মা আমি জীবনেও দেখিনি।”
সবুজ বাইরে থেকে অনেক্ষন চেঁচালো।
কিছুক্ষন পর সবুজের ফোনে ম্যাসেজ আসার শব্দ হলো। ও প্যান্টের পকেট থেকে ফোনটা বের করে,
” টেবিলের উপর ফিডার রাখা আছে। রান্নাঘরে গরম পানি আর মিল্ক রাখা আছে। পরিমাণমতো বানিয়ে খাওয়ান।”
মেসেজ দেখে সবুজের চোখ চরক গাছ। হুয়াট এই মেয়ে বলে কি? ও দুধ বানাবে? কি করে?
বাচ্চাটা আগের থেকে আরো জোড়েসোড়েই চেঁচিয়ে উঠলো। দ্বিগবিদিক শুন্য হয়ে সবুজ ছেলেকে দোলনায় শুইয়ে দিয়ে, বউ এর ইন্সট্রাকশন ফলো করে ফিডার নিয়াসলো। বাচ্চার মুখে ধরতেই চোঁচোঁ করে এক নিঃশ্বাসে সব সাবাড়। এরপর বাচ্চাটা কিছুটা শান্ত হলেও একটুপর আবার কান্না করতে থাকে। সবুজ ছেলেকে নিয়ে পায়চারী করতে লাগলো। কিন্তু মজার কথা হলো যখনি ও টায়ার্ড হয়ে বসতে যায় তখনি বাচ্চাটা চেঁচিয়ে উঠে, আবার দাড়ালে ঠিক শান্ত হয়ে যায়। কেমন নচ্ছার বাচ্চারে।
এরকম করতে করতে সবুজের খুব খিদে লেগে যায়।
” মিম, দরজা খোল, খুব খিদে পেয়েছে । আরে খোলনা। তোমারোতো খিদা লাগছে চলো দুইজন খাই। আরে খোলনা। হায়রে নিষ্ঠুর পৃথিবী বউ এর কাছে খাইতে চাইলেও খাবার পাওয়া যায় না”
আবার সবুজের ফোন বেজে উঠে,
” রান্নাঘরে খাবার রাখা আছে নিজে নিয়ে খান।”
মেসেজ দেখে সবুজের ইচ্ছে হচ্ছে ফোনটা আছাড় মেরে ভেঙ্গে ফেলতে।
বাচ্চাকোলে নিয়ে একহাতে প্লেটে কোনরকমে ভাত তরকারি তুলে নিলো সবুজ। ধুর কি সব মাছ রান্না করে রাখছে। আর কিছু নেয়ার রুচি ওর হলোনা। এতদিন পর জামাই আসছে কই ভালোমন্দ রান্না করে খাওয়াবে! তা না উনি কি সব দুই তিন রকমের মাছের আইটেম করে অন্দরমহলে ঢুকে আছেন। ওখান থেকে আর বের হতে পারছেননা ।
বাচ্চাটা বারবার প্লেটে হাত দিতে লাগলো ও ঠিককরে খেতেও পারছিলোনা। হাত সরিয়ে দিলে বাচ্চাটা আবার চেঁচিয়ে উঠতে লাগলে। শ্যাষম্যাষ সবুজ দাঁড়িয়ে খেতে লাগলো। ওর অবস্থা এমন হলো যে একবার মুখে দিয়ে দাঁড়িয়ে পায়চারী করতে লাগলো আবার কিছুক্ষন পরে এসে আবার খেতে লাগলো। সবুজ বিরক্ত হওয়ার চরম সীমায় পড়ে গেলো তখনি যখন বাচ্চাটা পটি করে দিলো। খাওয়া বাদ দিয়ে চেঁচিয়ে মিমকে দুই একবার ডাকলেও ওপাশের জন সাড়া দেবার প্রয়োজনই বোধ করলো। বহু কষ্টে এই তুলার বস্তাকে ক্লিন করে নিয়াসলো। ওর অবস্থা এমন হলো যে মাত্রই যুদ্ধ করে আসলো। কিন্তু ও হয়তোবা বুঝে উঠতে পারেনি বাচ্চাটা তার মায়ের থেকেও তিন ডিগ্রী আপার লেভেলের বিটলা। মুহুর্তের মাঝেই হিসু করে করে শার্ট প্যান্ট দুইটাই ভিজিয়ে দিলো।
সবুজ চরম বিরক্ত হয়ে বাচ্চাটা বিছানায় ছুড়ে মেরে শুয়ে পড়লো। কিন্তু তুলার বস্তাটা খাওয়ার জন্য আবার ভ্যা ভ্যা করতে লাগলো।আবার রান্নাঘরে দৌড়িয়ে দুধ বানিয়ে নিয়াসলো। বাচ্চাটা একসময় শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেলে সবুজ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।
কিন্তু এই ভেজা জামা কাপড় ও কি করে পড়ে থাকবে। আর এখন পড়বেই বা কি?
দিকবিদ্বিগ শুন্য হয়ে সবুজ ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ায়। আকাশ জুড়ে তারারা মেলা সাথে চাঁদেরহাট বসিয়েছে । বাহিরে মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। বাতাসের তাড়নে ব্যালকনিতে ঝুলানো মিমের শাড়ীর আচল ওর মুখের উপর আছড়ে পড়তে লাগলো। আবহাওয়াটা রোমান্টিক! ইশ ওর যে কি ইচ্ছে হচ্ছে তা ভাষায় ও প্রকাশ করা যাবেনা । এতোদিন পর বউকে পেয়ে বউ এর কাছে না যেতে পারাটা যে ঠিক কতোটা যন্ত্রণার সেটা ওর আনরোমান্টিক বউ জীবনেও বুঝবে। বাকী রাতটুকু বউ ছাড়া ও থাকবে কি করে? মিম যে ঠিক এইভাবে ওকে শায়েস্তা করবে এটা ঠিক ওর জানা ছিলোনা। বেচারি মিম তুমি যদি বুনো উল হও আমিও বাঘা তেতুল। দেখি কতক্ষণ দূরে থাকতে পারো। তোমার আমি কি হাল করবো চিন্তাও করতে পারবা না। সবুজ মিমের শাড়ী টা নিয়া রুমে এসে চেঞ্জ করে লুঙ্গীর মত পড়ে নেয়। অবশ্য এ ছাড়া আর কোন বেটার অপশন ওর কাছে নেই।
খুব টায়ার্ড লাগছে , ছেলের পাশে ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু মাঝরাতে ছেলের চিৎকারে আবার হকচকিয়ে উঠে। আবার খাওয়ানো, ডায়পার চেঞ্জ এইসব করতে করতে ওর রাতের ঘুম হারাম।
একরাতেই বাচ্চার শখ চিরদিনের মত উবে যায় ওর।
————————————
ভোরের এলার্ম এ যথারীতি ঘুম ভাঙে মিমের। সকালে উঠে প্রতিদিনের মত ঘর গুছিয়ে রান্না করে তারপর স্কুলে যেতে হয়। বিছানায় মিম হাতড়াতে হাতড়াতে ইবতিহাজকে খুঁজতে লাগলো। হুট করে কালকের কথা মনে পড়ে গেল। নাহ্ ও মনে হয় একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে কালকে। দেখতে হচ্ছে বেচারার কি হাল!
মিম দরজা খুলে পাশের রুমে আসে। রুমের অবস্থা দেখে ওর চক্ষু চড়কগাছ। এলোমেলো ঘর, ডায়পার, ফিডার-চামচ, টিস্যু, বেবির জামা কাপড়, শার্ট প্যান্ট সব ফ্লোরে গড়াগড়ি খাচ্ছে। মিমের প্রচণ্ড হাসি পেলো ওর শাড়ী পরে মরার মত বেচারা নাক ডেকে ঘুমুচ্ছে। বহু কষ্টে দাতে দাত চেপে হাসি আটকালো ।
মিম দ্রুত কাপড় চোপড় ধুয়ে ব্যালকনিতে মেলে দিলো। কিচেনে এসে হাত চালিয়ে খিচুড়ি আর মুরগীর মাংস ভুনা করে ফেললো। ইবতিহাজকে ঘুম থেকে তুলতে হবে একটুপরেই নুরী এসে পড়বে।
যে ভাবা সেই কাজ। ও বিছানার এক পাশে বসে পড়ে। ফ্যানের বাতাসে সবুজের মাথার চুল ছন্নছাড়া হয়ে উড়তে লাগলো। প্রশস্ত কপালে সুক্ষ্ম চিন্তার ভাজ স্পষ্ট। চোখ দুটো নিচের দিকে নামলে মিম লজ্জায় আর তাকাতে পারছিলোনা। ফর্সা বুকের ঠিক মাঝখানের কুচকুচে তিলটাকে বেহায়ার মত ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে । অনিচ্ছাসত্ত্বেও হাতটা সহসায় ওখানে চলে যায়। সবুজ হাতটা খপ করে ধরে ফেলে। মিম অবাক হয়ে তাকায় তার মানে সবুজ জেগে ছিলো?
ওকে বেশীক্ষণ ভাবার সুযোগ আর দিলোনা তার আগেই এক টানে সবুজের উন্মুক্ত বুকের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে মিম।
” কি দেখছিলে এতোক্ষন?”
দুষ্টু হাসি দিয়ে মিমের দিকে তাকায়।
” কিছু না। আমাকে ছাড়ুন। কাজ আছে।”
মিম আমতাআমতা করে বলে উঠে।
সবুজের বয়েই গেছে মিমের কথা শুনতে। দুইবাহু দ্বারা শক্ত করে মিমের কোমড় জড়িয়ে ধরে ওকে ঠাই বিছানায় ফেলে দেয়। তারপর এমনভাবে ওকে আকড়ে ধরে যেন আর উঠতে না পারে। নিচে পড়ে কৈ মাছের মত তড়পাতে থাকলেও তাতে সবুজের খুব একটা যায় আসেনা ।
নাকে নাক ঘষে দিয়ে সবুজ বলে উঠে,
” তুমি না একটা আস্ত খাটাশ।”
” কিরকম।”
মিম অগ্নিচোখে তাকিয়ে তারপর বললো।
” বউকে পাশের রুমে রেখে অন্যরুমে স্বামীর রাত কেমনে পার হয় তুমি বুঝো। অন্য কিছুতো করতে দিবেই না অন্তত হাফ এন আওয়ার মত জড়িয়ে ধরলেও খা খা করা বুকটা একটু হলেও শান্তি পেত। তারপর না হয় খুব করে হলেও একটু চুমোই খেতাম। তারজন্য তুমি দরজা বন্ধ করে বসে থাকবা? এ কেমন বউ?”
মিমের কান এমনভাবে গরম হয়ে গেলো যেন উষ্ণ ভাব বের হচ্ছে। চোখ মুখ সবিস্তারে কুঁচকিয়ে ফেললো ও।
মিম নিজেকে সবুজের বাহুডোর থেকে মুক্ত করার জন্য নড়াচড়া করে একসময় পিছনে ঘুরে যায়। সবুজও মিমের পিঠের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ওর কানের কাছে মুখ নিয়ে আবার বলে উঠে,
” তোমাকে শাড়ীতে খুব সুন্দর লাগে। ইশ মনে হয় খেয়ে ফেলি।”
মিম সবুজের দিকে আবার ঘুরে। এই ছেলে কি বুঝেনা ওর প্রচন্ডরকমের লজ্জা করছে।
” প্লিজ ছাড়ুন। আমার লজ্জা লাগছে। প্লিজ।
দেখুন এখন কিন্তু বিরক্ত ও লাগছে।”
সবুজ মিমের ঠোটের ঠিক কাছটায় ঠোট নিয়ে বলে,
” এখনি? আরেকটুপর তোমার কি অবস্থা হবে একটু ভাবো?”
মিম সমানতালে ছাড়া পাওয়ার জন্য হাত পা নাড়াতে থাকে। কিন্তু বৃথা চেষ্টা।
” তোমার কি এতই শক্তি হয়ে গেছে। পারবে নাতো? অযথা ফাউ কাজে এনার্জি লস করো কেন?”
মিম ভ্রুকুচকে চুপ করে যায়। আসছে এতোদিনে ভালোবাসা দেখাইতে? চাইনা ছাতার ভালোবাসা। বেশরম এইবার ছাড়।
ভেতরে ভেতরে ক্ষুব্ধ হতে থাকলো মিম।
সবুজের নিঃশ্বাস গাড় হতে থাকলো। এখন মিমকে ছেড়ে দেয়ার প্রশ্নই আসেনা। উত্তেজনায় শরীর কাঁপতে লাগলো। সবুজ মিমের ঠোটে ঠোট ছোঁয়াতে আসলে মিম কেপে উঠে। মুখের উপর সেটে থাকা গভীর কালো কুচকুচে চোখের দিকে তাকায়। যে চোখ তার অন্তর্ভেদি দৃষ্টি দিয়ে ওর সর্বস্ব দখল করার পায়তারা করছে।
এখান থেকে ওর মুক্তি নেই। সহসায় ইবতিহাজের গগনবিদারী চিৎকারে দুজনের সম্বতি ফিরে।
” ছাড়ুন, বাবু উঠে পড়েছে। কাঁদছেতো।”
মিম মিনমিনিয়ে বলে উঠে।
সবুজ মাথার তালু চুলকাতে চুলকাতে বিছানায় উঠে বসে।
” হায়রে দুনিয়ায় কেউ কারোনা। এই তুমি তোমার ছেলেকেতো পুরা নিজের দলে নিয়া নিছো। তুলার বস্তা তোর জ্বালায় বউকে একটু আদর ও করতে পারিনা।”
সবুজের ঘর কাপানো হাসিতে মিমের কলিজার অন্ত:স্থলে চিনচিনে ব্যাথা অনুভুত হতে থাকলো।
চলবে..