ভ্রান্তির অগোচরে শেষ পর্ব

#ভ্রান্তির_অগোচরে
লেখা আশিকা জামান
অন্তিম পর্ব

দুইদিনে বাসার সব জীনিস ভেঙ্গে তবে সবুজ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। অবাক হওয়ার মতো বিষয় হলো কেউ কোন বাধা দিল না। তাই ভেঙ্গেও শান্তি!
সবাই রেডি হয়েছে মেবি। নিচে অনেকের চেঁচামমেচি শুনা, যাচ্ছে। ওর প্রচন্ড,বিরক্ত লাগছে ওর ফ্রেন্ডরা একেকজন একটু পর পর ফোন করে কনগ্রাচুলেশন জানাচ্ছে।
” কেনরে শালা, এত কনগ্রাচুলেশন জানানোর কি দরকার?
তোদের বিয়ের সময় কি সবুজ এক সেকেন্ড পর পর ফোন করে জ্বালিয়েছে? মজা নিচ্ছো সবাই। বেশতো নাও।”
এই কয়েকদিন যাবৎ নাসিরের ব্যাবহার আরো বিরক্তিকর লাগছে। কথায় কথায় হলুদ দাত বের করে হাসি। উফ্ কি ইরিটেটিং…
শিউলি বেশ সেজেগুজে সবুজের সামনে এসে দাঁড়ায়। সবুজ হা হয়ে মায়ের দিকে তাকায়।
শিউলির মহাবিরক্ত লাগছে। একেতো রেডি হয়নি তারপর হাবলার মত তাকিয়ে আছে।
অনেকটা ধমকের সুরে বলে উঠেন,
” সবুজ, তুমি এখনো রেডি হওনি কেন? আমিতো সেই কখন তোমার ড্রেস রেডি করে রেখে গেছি। তাড়াতাড়ি রেডি হও।”
” মা, আমি না গেলে হয়না।”
শিউলি বিস্মিত হয়ে ছেলের দিকে তাকায়।
” জাস্ট ফাইভ মিনিটস। ইমিডিয়েট রেডি হয়ে নিচে নামো। মেজাজ খারাপ করাবানা একদম। ভেবোনা, না গেলে জোড় করে ধরে নিয়ে যাওয়ার মত লোক ও রেডিই আছে।”
একদমে কথাগুলো বলে শিউলি হনহন করে বেরিয়ে যায়।
সবুজ লাস্টবারের মত মিমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলো। কিন্তু এ যাত্রায় ব্যর্থ হওয়ার মেজাজ আরো বিগড়ে যায়।
আজকে দিনটা কোনরকম ভাবে যেতে দাও, তোমার টুটি ধরে টেনে নিয়াসবো। দেখে নিও।
সবুজ মুখে মেকি হাসি টেনে রেডি হয়ে সবারসাথে গাড়িতে বসলো। শুধু ভেতরে কি দহন চলছে সেটা কারোই বোধগম্য নয়। তাছাড়া নিজের ইমোশনগুলোকে অন্যের কাছে প্রকাশ করার মত ছ্যাছড়া সবুজ নয়।
বাসা থেকে ১৫ মিনিটের দুরত্ব পার হতেই ওরা পার্টি সেন্টারের সামনে এসে পড়লো।
সবাই যার যার,মত নেমে পড়লো। তবে এখানে এসে যা,বুঝলো তা হলো মেইন পোগ্রাম অনেক আগেই শুরু হয়ে গেছে। এখানে অনেক মানুষের আনাগোনা আর প্রায় সবাইওর চেনা জানা।
ও ভেতরে ঢুকতেই ওর বন্ধুরা কনগ্রাচুলেশন জানাতে লাগলো। সাথে বাকী সবাইও কনগ্রাচুলেট করতে লাগলো।
একজনতো বলেই বসলো,
” উফ্ সবুজ ভাবিতো সো কিউট। আমাদের যা আতিথিয়েতা করলেন। আর ইউ সো লাকি। বাট আফসোস এতোদিনেও কেন যে পরিচয় করাই দিলি না। আই থিংক আরো আগে পরিচিত হওয়ার দরকার ছিলো।”

বুকের ভেতরকার তুষের আগুনটা ধপ করে জলে উঠলো। এইসব হচ্ছে কি ভাবি কোত্থেকে আসল? আগে পরিচর করাই দিবে কি করে?
সবুজ দ্বিগবিদিক শুন্য হয়ে ওর মাকে খুঁজতে লাগলো। এদিক সেদিক খুঁজে হয়রাণ তখন স্টেজের মত করে ফুলেল সাজে সাজানো যায়গায় চোখ যায়। ওর মা কোলে একটি বাচ্চা। সবার সাথে পরিচয় পর্ব সারতে ব্যাস্ত। ওটা ইবতিহাজ!
সবুজ দ্রুত অনেকটা দৌড়ানোর মত করে ওর মায়ের কাছে যায়।
ওকে দেখে শিউলি না দেখার ভাব করে অন্যদিকে তাকায়।
” মা, ও তোমার কাছে কি করে?”
ওর কন্ঠে উচ্ছ্বাস ঝড়ে পড়ছে।
” কেন, তুমি ওকে চিনো? কে যেণ কোলে দিয়ে গেলো মনে করতে পারছিনা।”
এটা বলেই শিউলি অন্যদিকে ঘুরলো।
” মা, ও আমার সন্তান। আমার আর মিমের ছেলে।”
শিউলি কোন হু হা কোন রিএক্ট করলোনা।
অনেকটা দায়সারাভাবেই বললো,
” ওহ তাই বুঝি। আচ্ছা সমস্যা নাই।”
সবুজের মেজাজ চটে যাচ্ছে এরকম হেয়ালি দেখে।ল
” মা, আমার সন্তান। বুঝতে পারছতো ব্যাপারটা?”
” না বুঝার মত তো কিছু নাই। আচ্ছা আমি একটু ওইদিকে গেলাম।”
সবুজ তার মায়ের ব্যাবহারে পুরা তাজ্জব হয়ে যায়। এসব হচ্ছেটা কি?
কেউ একজন এসে বলে উঠলো,
” সবুজ ছেলেটা কিন্তু পুরা তোমার কার্বন কপি।
মায়ের মতো একটুও হয়নি।”

সবুজের ইচ্ছে হচ্ছে এই ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করতে, ” উনি কি ইবতিহাজের মাকে দেখেছেন?”
কিন্তু না ও প্রশ্নটা করলোনা।
সবুজ আবার এদিক সেদিক ওর মাকে খুজতে থাকে।
তারপর আবার মায়ের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়।
” মা এইটা কিসের পার্টি? সবাইতো দেখি খাওয়া দাওয়াতেই ব্যাস্ত।”
” হুম সেটাইতো স্বাভাবিক।”
” আশ্চর্য মা এখানেতো আমাদের রিলেটিভ ফ্রেন্ডস এইগুলা ছাড়াতো কাউকেই দেখছি না।
কিসের এংগেজমেন্ট? আমি কিছু বুঝতেছিনা।
এটা কেমন পার্টি?”
হুট করে কেউ একজন সবুজের হাত ধরে হলরুম পার হয়ে ভেতরে অন্য আরেকটি রুমে টানতে টানতে নিয়ে যায়। এতোক্ষন পেছনের দিকে খোলা চুল থাকায় কিচ্ছু দেখতে পায়নি। কিন্তু চেনা স্পর্শ, চেনা গন্ধ!
” মিম!”
” হ্যা, তোমার খুব সখ বিয়ে করার তাইনা। ”
” হ্যা একশোটা করবো। তাতে তোমার কি?”
” আমার কি? নাহ্।”
” হ্যা তুমিতো একা থাকতে পারো। আমিতো আবার বউ ছাড়া থাকতে পারিনা তাই বউ লাগবে। সেটা তুমি বা অন্যকেউ যেই হও সমস্যা নাইতো।”
মিম রাগে কটমট করে কিছু একটা বলতে চাইছিলো কিন্তু তার আগেই ওদের দুজনের ডাক পড়লো।
দুজন হুড়মুড়িয়ে বের হয়ে সবার সামনে আসে।
শিউলি আর সোহেল বেজায় খুশি সবার সাথে একমাত্র নাতির পরিচয় করাই দিতে পেরে।
সাথে সবুজ মিম জুটির প্রশংসাতো আছেই।
এতোক্ষণে সবুজ বুঝলো ওকে মানসিক পীড়ায় রেখে সবাই এতোদিন কি মজাটাই না নিলো।
আর মিম ওতো পুরা মিচকে শয়তানের কারখানা। ওর আজকে খবর আছে। সব ঝাল সুদেআসলে তুলবে।
এইসবই প্রি প্ল্যানড! ওর মাও কম যায়না।
কিন্তু ওর মা মিমের খোজ জানলো কি করে?
নাহ ব্যাপাখানা জানতেই হচ্ছে।
পরক্ষণেই সন্দেহর তীরটা ণাসির বদটার উপর যায়। হু একমাত্রই নাসিরই পারে কথাটা মায়ের কানে তুলতে?
তাছাড়া ওর উপর স্পাইগিরি করার জন্য মা নাসিরকে ঠিক কত টাকা দিয়েছে কে জানে?
নাহ্ সব ঠিক আছে। কিন্তু ওকে আজাইরা পেইন দেয়ার দামতো সবাইকে দিতেই হবে।

সবুজদের বাসার ড্রয়িংরুমে সবাই ৩২ পাটি দাঁত বের করে ক্যালিয়ে ক্যালিয়ে হাসছে। অপরপক্ষে সবুজের রক্তগরম চক্ষুর অগ্নিদৃষ্টিতো আছেই। ইচ্ছে হচ্ছে কোন একটা জঙ্গলে সন্ন্যাসী হয়ে ঘুরে বেড়াতে। তাহলে অন্তত এই সব স্বৈরাচারীদের মুখদর্শন করা লাগতোনা।
সবাই হাসছে মিমেরো হাসি আসতেছে। কিন্তু অতি কষ্টে নিজেকে দমিয়ে রেখেছে। কারণ ওতো বেশ ভালো করেই জানে ওর উপর আজকে কি তুফানটাই না যাবে। সবার উপর রাগের ঝালটাতো উর উপর দিয়েই যাবে!

” মা, তুমি কি মানুষের পর্যায়ে পড়। আমাকে অসুস্থ অবস্থায় ফেলে রেখে হাওয়া হয়ে গেলে।”

” কি করবো বল! তোর বাবকে এখন আর ভালো লাগেনা। তাই সোজা বয়ফ্র‍্যান্ডের বাসায় চলে গেছি। বল ভালো করিনি।”
” হুয়াট!! বয়ফ্রেন্ড??”
” হুম বয়ফ্রেন্ড। ইবতিহাজ সো মাচ কিউট। তুই বল এত সুন্দর হলে, আমার বাসায় মন কি করে বসবে?
তাই সব ফেলে ওর কাছে চলে গেছি।”
” আমাকে একটিবার জানানোর প্রয়োজন মনে করলেনা।”
” নাহ, কোন দরকার নাইতো। তুমি আমাদের জানিয়েছিলে? জানাওনিতো..
আমি নিজের যোগ্যতা খাটিয়ে খুঁজে বার করেছি। আর তুমিতো এত পারো ওদেরকে এনেতো সারপ্রাইজ দিতে পারোনি। সেই বেলায় আমি তোমার থেকে এক ধাপ এগিয়ে কি বলো।”
” মা, তুমি নিশ্চিত নাসিরের হেল্প নিছো?”
” নিলে নিছি। ওটা এতো ঢালাউভাবে বলারতো কিছু নাই। আমি আমার মিম আর কিউট নাতিকে আমার একদম কাছে নিয়াসতে পেরেছি এটাইকি এনাফ নয়।”
” হুম, বেশ করেছো। থাকো তোমার আদরের বৌমা আর নাতিকে নিয়ে। হ্যাপি দাদিমা।
হ্যাপি শাশুড়িমা। আমি চললাম।”
” হ্যা যা যা, আমার বৌমা আর নাতি থাকলেই চলব। তোর আর প্রয়োজন নাই। যা ভাগ।”
সবুজ মায়ের আচরণে বিস্মিত হয়ে হনহন করে নিজের রুমে চলে যায়।
শিউলি এসে মিমকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠেন,
” কিরে কি বুঝলি?”
” রেগে মেগে ফায়ার মা। এখন কি হবে?”
” তুই এখনো বসে আছিস কেন যা পাগলটাকে সামলা।”
মিম বড়বড় করে শাশুড়ির দিকে তাকায়।
” ওভাবে তাকাচ্ছিস কেন?
দেখলিনা রাগ করে বললো চলে যাবে। কিন্তু বাহিরে না গিয়ে নিজের ঘরে গেলো। তারমানে বুদ্ধু তোকে ঘরে ডাকতেছে। এইগুলা এখনো শিখাই দিতে হয়।”
মিম লজ্জা পেয়ে আবার শাশুড়ির দিকে তাকায়।
” আমাকে এত লজ্জা পেতে হবেনা। আরে উঠ উঠনা। ”
মিম ইবতিহাজের দিকে তাকায়।
শিউলি ব্যাপারটা বুঝতে পেরে আবার বলে উঠে,
” আমার বয়ফ্রেন্ডতো আজকে আমার কাছে থাকবে। তুই যা।”
মিম মুচকি হাসি দিয়ে উঠে চলে আসে।
” আমার কি হবে এখন?”
সোহেল স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে কথাটা বললেন।
” তোমার আবার কি? তুমিতো আউট! এই শোন আমাদের একদম ডিস্টার্ব করবেনা।”

” শালা, আসতে না আসতেই আমার বউ নিয়া টানাটানি শুরু করে দিলি। ”
শিউলি ফিক করে হেসে স্বামীর দিকে তাকায়।

মিম ঘরে ঢুকেতো পুরো অবাক। এতো পুরা ফুলেল সাজে বাসর ঘর সাজানো।
ওর খুব লজ্জা লাগছে ঘরে ঢুকতে। কোনভাবে রুম থেকে বের হয়ে যেতে পারলে বোধ হয় ভাল হতো।
সবুজের মনটা এমনিতেই ভালো হয়ে গেছে। বাসর ঘর বলে কথা।
মিমের পায়ের শব্দ পেয়ে সবুজ পেছনে না তাকিয়ে বলে উঠলো,
” মিম, সারপ্রাইজটা ভালো লেগছে। হৃদয়ে কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে।”
মিম সবুজের পাশে এসে দাঁড়িয়ে বলে উঠে,
” এই তুমি কিন্তু ভুল ভাবছো।
এই বাসর ঘরটা সাজানোর প্ল্যানটা কিন্তু আমার নাহ।বিশ্বাস করো আমি কিছু জানিনা।”
” তোমাকে কিছু জানতেও হবেনা। আর বাসরো করা লাগবেনা। যাও যাও..।”
সবুজ মিমকে দরজার বাইরে টেনে নিয়ে হুট করে দরজা লাগিয়ে দেয়।
মিম বিস্মিত হয়ে সবুজের কাণ্ডকারখানা দেখতে থাকে।
এটা কি মানুষ না পায়জামা? কি থেকে কি বললাম দরজা লক করে দিলো। ছিঃ আমি এখন যাবটা কোথায়।
নিচে থেকে সোহেল চৌধুরী ছেলের কাণ্ডকারখানা দেখছিলেন। তারপর নিজেই উপরে উঠে এলেন।
শ্বশুরের চোখে চোখ পড়ায় লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করছে মিমের।

” সবুজ দরজা খোল। বউকে বাহিরে রেখে কি অসভ্যতা হচ্ছে?”
বাবার গলার স্বর শোনে সবুজ অতি দ্রুত দরজা খুললো।
সোহেল চৌধুরী মিমকে ইশারায় ঘরে ঢুকতে বলে নিজের যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়।
” বাবা, শোনে যাও অসভ্যতামি আমি না তোমার বৌমা করেছে। ও ইচ্ছে করে ঘর থেকে বের হয়ে গেছে। শুনবে কেন বের হয়ে গেছে।”
” না থাক।”
সোহেল চৌধুরী হাসতে হাসতে প্রস্থান করেন।
ওদিকে মিমের লজ্জায় মাথা কাটা গেছে।
ঘরে ঢুকেই পা ভাজ করে বিছানায় বসে পড়লো মিম।
” এটা কি বললে তুমি? তোমার সমস্যা কি?”
মিম চেঁচিয়ে উঠে।
” প্রতিশোধ নিলাম।”
” বাহ, বেশ করেছো?”
হঠাৎ ই মিমের খেয়াল হলো ফুলসজ্জার খাটের এক সাইডের ফুল্গুলো ছেড়া।
ভ্রুকুচকে সবুজের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে,
” ফুল্গুলো ছেড়া কেন?”
” বাকী ফুল্গুলোও ছিঁড়তে চাইছিলাম সে আর সময় পেলাম কোথায়? তার আগেই বাবা..”
” কেন ফুল কেন ছিঁড়া লাগবে।”
” কেন আবার বাসর রাত মানেই কুফা। আগেই বার ফুলসজ্জার খাট ছিলো কিন্তু পরীটাতো সঙ্গে ছিলোনা। কত প্ল্যান ছিলো সব এখনো বলাই হলোনা।
আর তুমি আজকে ভাবলে কি করে এতোদিন পর তোমাকে কাছে পেয়ে ছেড়ে দিব। তুমিতো এই ফুলের ভয়ে ঘরের ঢুকতেই চাইছিলেনা তাইনা।
তাই আমি সব ফুল ছিঁড়ে ফেলবো। এই এক্ষুণি দাড়াও…।”
মিম এসে সবুজের হাত ধরে ফেলে।
” এই নাহ্, একদম না।”
” কেন?”
মিম ফিসফিসিয়ে বলে উঠে,
” বাসরঘরে ফুলতো অন্যভাবে ছিঁড়তে হয়। বোকা ছেলে।”
মিম সবুজের গালে টুকা দিয়ে অন্যদিকে ঘুরতে নিলেই সবুজ মিমের কোমড় জড়িয়ে ধরে।
” কাম টু দ্যা পয়েন্ট ডার্লিং….।”
সবুজ মিমের ঘাড়ে চুলের কাছটায় নাক ডুবিয়ে দেয়।।সবুজের উষ্ণ নিঃশ্বাস মিমের ঘাড়ে পড়তে লাগলো।।মিম কম্পিত হয়ে সবুজের দিকে ঘুরে।
সবুজ ফিসফিসিয়ে বলে উঠে,
” ভেবেছিলাম আজকে তোমার উপর দিয়ে তুফান তুলবো। কিন্তু তুফান তো আমাকেই দুমচে মুচড়ে ভেঙ্গে চূড়ে খান খান করে দিচ্ছে। এই দেখ বুকের কাছটায়।”
সবুজ মিমের হাত টেনে ধরে বুকের কাছে নিয়ে যায়।
” যাও। তুমি না কিসব বলো। ”
মিম এটা বলেই সরে আসতে চাইলেই সবুজ ওকে নিয়ে বিছানায় পড়ে যায়। তারপর ফিসফিস করে বলে উঠে,
” আচ্ছা এখন আর বলবো না করেও দেখাবো।”
মিম লজ্জায় দুহাঁত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলে।

লজ্জাবতীর লজ্জা ভাঙ্গাতেই সবুজ ব্যাস্ত। দখিনা জানালার নির্মল হাওয়াও ভালোবাসার গান গাইতে গাইতে দুজনের গায়ের উপর আছড়ে পড়তে লাগলো। নতুন দিনের শুভকামনায় দুটি মন আজ আবার এক হলো। সমস্ত ভুল ভ্রান্তির পরে,
ভালোবাসা বাধলো বাসা।
সারাজীবন পাশে,
এইতো আকুল আশা।
রইলোনা অগোচরে,
আর কোন ভুল।
আমৃত্যু ভালোবাসার জন্ম হবে,
এইতো মাসুল।।”

—————- সমাপ্ত——————

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here