ভ্রান্তির অগোচরে পর্ব ২৬

#ভ্রান্তির_অগোচরে
লেখা আশিকা জামান
পার্ট ২৬

এসিটা অন করে বিছানায় গা এলিয়ে দেয় সবুজ। ঘরের সর্বত্র আসবাবপত্র স্বমহিমায় মিমের অস্তিত্ব জাগান দিতে লাগলো। এই মুহুর্তে ওকে পাশে পেলে খুব ভালো লাগতো। বাচ্চাটাকেও কাছে পেতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু মিম সে তো গোঁ ধরে বসেই আছে। উফ্ কবে যে রাগের পাহাড় গলবে কে জানে?
সবুজ বিছানা থেকে নেমে ব্যালকনিতে যাওয়ার জন্যে পা বাড়াতেই হন্তদন্ত হয়ে কেউ রুমে ঢুকে। সবুজ কপাল ভাঁজকরে পেছনে তাকায়।
” নাসির তুই এমন গালে হাত ধরে আছিস কেন?”

” সবুজ ভাই, মাইয়াটা আমাকে পাচঁ আঙুলের দাগ বসাই দিছে। হাতে ভালাই জোড় আছে। দেহেন কেমুন লাল টুকটুকে হয়া গেছে।”
নাসির কথা বলতে বলতে একদম সবুজের গাঁ ঘেষে দাড়ায়।
“আহারে, নাসির! তোকে চড় দিয়া গেলো আর তুই কিচ্ছু করতে পারলিনা। ”
মুখটা কোনরকমে বাকিয়ে কথাটা বললো সবুজ।
মুহুর্তের মাঝেই নাসির সবুজের হাতে পায়ে পড়ে গেলো। সবুজ বিস্মিত হয়ে নাসিরের দিকে তাকায়।
” ভাইজান, এই মাইয়ারেই আমার লাগবো। আমি ওরে ছাড়া বাচুম না। সবুজ ভাই কিছুতো করেন।”
সবুজ নাসিরকে হাত ধরে উঠাতে উঠাতে বলে,
” আরে ভাই এত চিন্তা করে কেউ। ধুর এই মেয়ে একা একাই তোমার কাছে ধরা দেবে তোমার যে এটিটিউড। আমি মুগ্ধ। দেইখো মেয়েটা আবার আসবে। ইনফ্যাক্ট তোমাকে না দেখে থাকতেই পারবে না।”
মুখে একটা মেকি হাসি টেনে কথাগুলো বলল সবুজ।
নাসির গদগদ হয়ে বলে উঠলো,
” সত্যি ভাই।”
পরক্ষণে আবার কি যেন মনে করে ভ্রুকুচকে প্রশ্ন করে বসলো,
” আচ্ছা আপনি না কইছিলেন ঐ মেয়ে নাকি আমার বউ লাগে । তাহলে আমাকে না চিনে রাগে চলে গেলো কেন?”
” নাসির, সেটাতো আমি বলতে পারবোনা । তোমাদের ব্যাপার ভাই।”
নাসির কি বুঝল কে জানে কথা না বাড়িয়ে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো।
সবুজ যেন হাফ ছেড়ে বাচল।
বিড়বিড় করে বললো, মেয়ে দেখলেই যে তোর টাংকি মারার সখ হয় সে কি আমি বুঝিনারে যত্তসব।
আর বিরক্ত লাগলেও নাসির নামক আবুলের বকবকানি সয্য করা ওর নিত্যকার ব্যাপার।
সবুজ ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ায়। ওদের বাসাটা মেইনরোডের সাথেই। রাস্তায় মানুষের সাথে সমানতালে যানবাহন ও চলছে। এই মুহুর্তে এখানে জ্যাম লেগে গেছে। হঠাৎ করেই রিক্সায় চোখ আটকে যায়। ব্যাস্ত নগরীর ব্যাস্ততাকে পাশ কাটিয়ে এক দম্পতি নিজেদের মধ্যে খুনসুটিতে ব্যাস্ত।
বাহিরে ঝলমলে রোদ সাথে তীব্রতাও প্রখর। ছেলেটা ঘেমে একাকার আর মেয়েটা ভালোবাসার পরশ বুলিয়ে টিস্যু দিয়ে সযত্নে মুছে দিতে লাগলো।
” সবুজ! এই সবুজ! বাসায় এসে কোন চুলোয় গিয়ে বসে আছিস?”
মায়ের চেঁচামেচিতে সবুজের সম্বতি ফিরে।
” আম্মু এইতো আমি এখানেই।”
গলা উঁচিয়ে কথাটা বলেই মায়ের ঘরের দিকে যেতে থাকে সবুজ।
সোহেল চৌধুরীকে এই সময় বাসায় দেখে ও অনেকটা অবাক বনে যায়। সবুজ প্রশ্নটা করতে চেয়েও কি যেন মনে করে থেমে যায়।
” বসো। ঐ চেয়ারটা টেনে বসো।”
সোহেল চৌধুরী অনেকটা গম্ভীর মুখেই ছেলেকে কথাটা বললেন।
সবুজ চেয়ারে বসে ভাবলেশহীন বাবা মায়ের দিকে তাকায়।
” সবুজ, আমিতো নায়রা মেয়েটাকে ড্রয়িংরুমে বসিয়ে রেখে তোমার ছোট মামার সাথে ফোনে কথা বলতে গিয়েছিলাম। এসে আর মেয়েটাকে পেলাম নাতো? অদ্ভুত তোমার সাথে কি দেখা হয়েছিল?”
মায়ের এই প্রশ্নে ও কিছুটা ঘাবড়ে যায়। তারপর নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে বলে উঠে,
” না আমি কি করে বলবো। আমার সাথে কোন দেখা হয়নি।”

” আচ্ছা মেয়েটা তোমার খুজ করছিলো। অন্তত একটা ফোনতো করতে পারো। বন্ধু হিসেবে এইটুকু আশাতো করতেই পারে।”
শিউলি ছেলের অগুছালো এলোমেলো চেহার দিকে তাকাতে তাকাতে কথাটা বললো।
সবুজ নিচের দিকে মাথা ঝুঁকালো।
সোহেল চৌধুরী এইবার আসল কথায় চলে গেলেন,
” দেখ বাবা, আমি জানিনা তোমাকে এখন কিভাবে এই কথাগুলো বলবো। তবুও আমি বাবা তাই তোমার ভালোর জন্য সর্বরকমের চেষ্টা করেই যাব। তোমার লাইফে একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেছে এখন এটার জন্যে সারাজীবন স্পয়েল করার কি ভ্যালিড রিজন আছে? না নেই। দেখ মিমকে আমরা অনেকভাবেই খুঁজেছি চেষ্টার কোন ত্রুটি রাখিনি। কিন্তু আনফরচুনেটলি ও আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ওর জন্যে যে শুধু তোমারি কষ্ট হয় এরকমটা না আমাদেরো খারাপ লাগে কষ্ট হয়। তোমার মা ওকে ছোট থেকে নিজ হাতে মানুষ করেছে তার কিন্তু কম কষ্ট হচ্ছেনা। কিন্তু এরপরেও জীবন থেমে থাকবেনা। তুমি রাত হলে বাসায় থাকছোনা কোথায় যাচ্ছ আমরা জানতে চাচ্ছিনা। কিন্তু এইগুলাতে যে আমাদের খারাপ লাগে তুমিকি সেটা বুঝো। বুঝোনা…
দেখ আমি ক্লিয়ার তোমাকে বলে দিচ্ছি, আমরা চাই তুমি নতুন করে জীবন শুরু করো। এরজন্যে তোমার প্রছন্দের কেউ থাকলে বলতে পারো। নইলে আমাদের উপর ছেড়ে দাও।”
সোহেল চৌধুরী একনাগাড়ে আস্তে আস্তে কথাগুলো বলে গেলেন।
সবুজ বাবার কথাশুনে চোখ বড়বড় করে তাকায়। উদ্ধত ভঙ্গিতে বিনাবাক্য ব্যায়ে ওখান থেকে প্রস্থান করে।
সোহেল আর শিউলি ছেলের এইরুপ আচরণে বিস্মিত না হয়ে পারলেন না।
” দেখেছো ছেলেটা দিনদিন কেমন বেয়াদব হয়ে যাচ্ছে। ওতো এমন ছিলো না। তুমি কিছু করো। দেখো না রাতবিরেতে কোথায় যাচ্ছে কিচ্ছু জানিনা। এমন পালটে গেলো কি করে।
কোনভাবে ধরে বেধে বিয়েটা দিয়ে দাওনাগো তাহলেই ছেলের মতি ফিরবে। ”
শিউলি নাকি সুরে কান্না শুরু করলেন।
” থামো। ন্যাকা কান্না বন্ধ করো। আগে ছেলের মন বুঝার চেষ্টা করো তারপর আমার সামনে ঘ্যানঘ্যান করো ”
সোহেল চৌধুরী বিছানা থেকে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়।
” এই ভরদুপুর বেলা তোমাকে ডেকে এনে আমার কি লাভ হলো বলতে পারো। কাজের কাজতো কিচ্ছু পারোনা।”

” তুমি পারোতো তুমিই করো। আমাকে ডেকো না এর মধ্যে।”

” হ্যা যা করার আমিই করবো।”
শিউলি রাগে কটমট করতে করতে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।
————————————

” আরে আন্টি যে, তুমিতো আজকাল আমাকে ভুলেই গেছো?”
মিম অভিমানী সুরে নীলিমার দিকে তাকায়।
” কিরে রুমে ঢুকতে দিবি না চলে যাবো।”
মুখে একগাদা হাসি টেনে নীলিমা আন্টি ভেতরে ঢুকলেন।
আয়েশ করে সোফায় বসতে বসতে মিমের দিকে তাকায়।
” আর বলিসনা নায়রা আসার পর থেকে আমি একদমই তোর এখানে আসার সময় পাইনা। মেয়েটার কথা আর কি বলবো একরোখা আর প্রচন্ড জেদি। হলফ করে বলতে পারি এই মেয়ে যে কবে আমায় ডোবাবে। ”

” তুমি যে কি বলোনা। বিয়ে দিয়ে দাও সব ভুত এমনিই নেমে যাবে।”
মিম নীলিমার পাশে বসে পড়লো।
” ওটা করতে পাচ্ছিনে বলেইতো আরো টেনশনে পড়ে গেছি। সবি আমার কপাল বুঝলি। সাথে ভালুমানুষ ছেলেটার কপালটাও মন্দ। দুঃখের কথা আর কি বলবো। থাক বাদ দেই।
ইবতিহাজ কোথায় ঘুমুচ্ছে বুঝি।”

” হ্যা ঘুমিয়ে গেলো একটু আগে।”

নীলিমা এদিকওদিক তাকিয়ে ফিসফিস করে বললো,
” হ্যারে, নুরীর কাছে শুনলাম তোর স্বামী নাকি ফিরে এসেছে?”

মিম মাথা নিচু করে উত্তর দিলো,
” হুম, এখানেই থাকছে। আমি ওর সাথে ফিরে যেতে রাজি হয়নি।”
” কিরে মা, মাথাটা এমন নিচু করে রেখেছিস কেন? তোল মাথাটা।”
নীলিমা স্বহস্তে মিমের মাথাটা উপরে তুলে ধরে।
” এটাতো খুশির কথা মা। তুই ভালো আছিস ভালো থাকবি এটা জানতে পারলে যে আমার কতোটা ভালো লাগে তোকে বুঝাতে পারবোনা।
তবে মা এইবার আর কোন ভুল সিদ্ধান্ত নিস না। আমার মনে হয় তোর এইবার শ্বশুরবাড়ী ফিরে যাওয়া উচিৎ। এখনি যেতে বলছিনা, একটু সময় দিয়ে বোঝ তুই আসলে কি চাস? কিন্তু আমার কথাটা একটু ভেবে দেখিস মা।”
মিম মাথা নিচু করে কথাগুলো শুনেই গেলো। আন্টির কথাতে হয়তোবা যুক্তি আছে।
দরজা নক করার শব্দ হতেই দুজনেই নড়েচড়ে বসলো। মিম নীলিমাকে বসতে বলে দরজা খুলে দিলো। সবুজ রোবটের মত ঘরে ঢুকে। এই মুহুর্তে নিজেকে অনুভুতিহীন জড় পদার্থ ছাড়া আর কোন উপাধি দিতে পারছেনা
সবুজ ড্রইংরুম পেরিয়ে সোজা বেডরুমের দিকে যেতে থাকে।
মিমের কাছে ওকে বড্ড অস্বাভাবিক লাগছে।
নীলিমা এক পলকেই ছেলেটাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো। যথেষ্ট হ্যান্ডসাম বেশ বড়লোকের ছেলে বলেই মনে হচ্ছে, মিমের সাথে বেশ মানিয়েছে।
” এই দাড়াও।”
মিমের আহ্বানে সবুজ পেছনে তাকায়।
” তোমাকে আন্টির কথা বলেছিলাম না। এই দেখ আন্টি এসেছে একটু কথা বলে যাও।”

অনিচ্ছা সত্ত্বেও সবুজ নীলিমার সামনে গিয়ে সালাম দেয়। তারপর বললো,
” আসলে আমি একটু অন্যমনষ্ক থাকায় আপনাকে দেখতে পাইনি। এক্সট্রেমলি সরি। আপনাদের কথা মিম খুব বলে। ইচ্ছে ছিলো পরিচিত হওয়ার তা হয়ে গেল। আপনাদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। আপনারা আমার আমানতকে রক্ষা করেছেন। কি বলে যে ধন্যবাদ দিব সেই ভাষা আমার নেই।”

ছেলেটার আচার আচরণ নীলিমার বেশ ভাল লাগলো।
” দেখ মিমকে আমি আমার মেয়ের যায়গায় বসিয়েছি। আর ও এমনি একটা মেয়ে ওকে কি না ভালোবেসে থাকা যায়। দোয়া করি সারাজীবন এইভাবেই পাশাপাশি থাক। আচ্ছা উঠি মেয়ে ফোন দিচ্ছে।”
আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই নীলিমা হনহন করে বেরিয়ে গেলো।

মিম দরজা লাগাতে লাগাতে সবুজের দিকে তাকায় কেমন অন্যমনস্কভাবে গালে হাত দিয়ে বসে আছে।
মিম আচমকা একেবারে সবুজের বুকে গিয়ে মুখ লুকালো।
” মুখটাকে ওমন গম্ভীর বানিয়ে রাখছো কেন? কি হয়েছে। ”
সবুজ নিশ্চুপ থাকলো।
ও জানেনা ওর কি করা উচিৎ। বাবা মা যে ওকে ঠিক কি ভাবছে সেটা ও বেশ ভালো করেই বুঝতে পারছে। মিমের কথা বলতে খুব করে ইচ্ছে করছিলো। কিন্তু বাবা মা যখন জানবে মিম ওখানে যেতে চায়না তখন খুব কষ্ট পাবে সাথে সাথে মিমকেও ভুল বুঝতে পারে। তবে ও বেশ বুঝতে পারছে, একটা বড় জটিল রকমের জালে আটকা পড়েছে, এখান থেকে বের হওয়া বড্ড মুশকিল। ইশ মিমটা যে কেন এতো জেদ আর ছেলেমানুষি করে? ভেবে পায়না। বিয়ের প্রথমরাত থেকেই একটারপর একটা ঝামেলা লেগেই আছে। নাহ্ ও জীবনেও শান্তি পাবেনা।
সবুজ মিমকে ছাড়িয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ায়।
মিম স্তব্ধ হয়ে যায় পরক্ষণেই দাঁড়িয়ে সবুজের শার্টের বোতামে হাত লাগিয়ে সেকেন্ড বোতামটা খুলতে থাকে।
” হাত সরাও। ভালো লাগছেনা।”
আবার মিমকে সরিয়ে দিয়ে ব্যালকনিতে চলে আসে। প্যান্টের পকেট থেকে লাইটার বের করে সিগেরেট ধরায় সবুজ। আজ বড্ড নিসঙ্গ মনে হচ্ছে, নিজের অনুভুতিগুলোর সাথে হয়তোবা কাউকেই পরিচিত করাতে পারেনি ও। ব্যার্থ! বড্ড বাড়াবাড়ি রকমের ব্যার্থ।
মুখ হা করে ভিতরে ধোয়া টেনে নিতেই কারো কাশির শব্দে ও চমকে পিছনে তাকায়।
সিগেরেট হাতে ধরে মিমের দিকে তাকায়। রাগে লাল হয়ে কটমট করে সবুজের দিকে তাকিয়ে আছে।
” এইসব খাওয়া কবে থেকে শুরু করলে?”
” বাসররাতটা যেদিন মাটি হয়েছিলো সেদিন থেকে আমার নিত্যদিনের সঙ্গি।
আর কিছু বলবা?”
সবুজ সিগেরেটটা ছুড়ে ফেলে সোজা বিছানায় এসে বসে।
মিমের প্রচণ্ড খারাপ লাগছে। এই মানুষটা কি ওর কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেয়া ছাড়া আর কিছু করতে পারে না। প্রতিদিন একটা না একটা কিছু হবেই। মিম নাক টানতে টানতে বিছানায় সবুজের উলটো পাশে শুয়ে পড়ে।
সবুজ কয়েকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মিমের দিকে তাকায়। মেয়েটা অবুঝ শিশুর মত নাক টেনে কেঁদেই চলেছে। ও কি এমন বলেছে যে এইভাবে কান্না করতে হবে। হ্যা বাসা থেকে আসার পর থেকে বড্ড মুড অফ ছিলো। তাই এইভাবে হাত পা ছাড়িয়ে কাঁদতে হবে। মেয়েটা কি একটুকুও বুঝে না ও কাঁদলে যে ওর কলিজাটা মোচড় দিয়ে উঠে।
সবুজ মিমকে একটান দিয়ে বিছানা থেকে তুলে ফেলে।
একরকম জোড় খাটিয়েই বুকে টেনে নেয়।
চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে বলে উঠে,
” ঠিক বুঝে গেছো কি করলে আমি ঘায়েল হবো তাই না!
তোমার এই কান্না অস্ত্রটা কি এবার বন্ধ করা যায়। হৃদয়ে যে গুলি বর্ষন হচ্ছে বারংবার,
হৃদয় ক্ষত বিক্ষত হচ্ছে অজস্রবার।”
মিম ঠোট ফুলিয়ে সবুজের দিকে তাকায়। এমন করে তাকালে কি চুমো না খেয়ে থাকা যায়।
সবুজ ওর ঠোট দিয়ে মিমের ঠোট ছোঁয়াতেই মিম উঁহু করে উঠলো।
” কি উহু? হুম?”
” তুমি মাত্র সিগেরেট খেয়েছো? মনে নেই।”
অভিমানী সুরে কথাটা বললো মিম।
” আচ্ছা সিগেরেট খেলে যে বউকে আদর করা যাবেনা এমন কোথাও লিখা আছে নাকি। কই আমিতো জানিনা।”
কথাটা বলেই মিমের ঠোটে ঠোট বসালো সবুজ। হারিয়ে যেতে থাকলো দীর্ঘ সময়ের অতলে।
চলবে…

এইবার আপনাদের মুল্যবান মন্তব্যখানা দিয়া যান। আমিও আপনাদের মত অধীর আগ্রহে বসে আছি। হ্যাপি রিডিং😍

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here