বিয়ের আসরে তিশার বিয়ে ভেঙ্গে গেছে একটা অচেনা লোকের জন্য যাকে কি না তিশা এক দিন কত গুলো গুন্ডার সামনে নিজের স্বামী বলেছিল নিজেকে বাচার জন্য কিন্তু তিশা ভাবতে পারি নি এই একটা কথার জন্য ওর জীবনটা এভাবে তছনছ হয়ে যাবে….. তিশার পরিবারের মানসম্মান সব শেষ হয়ে গেলে শুধু মাএ এই লোকটার জন্য…. তিশা কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না কি করে ও সবাইকে সবটা বুঝাবে……
আমাদের গল্পের নায়িকা তিশা ইসলাম….দেখতে শ্যাম বর্নের চুল গুলো কোমড় পর্যন্ত তিশা খুব চঞ্চল মনে যা আসে ও তাই করে দেখতে মাশআল্লাহ সুন্দরী…. এবার তিশা আর্নাস ২য় বর্ষে উঠছে….. তিশারা দু বোন ছোট বোন নিসা ইসলাম এবার এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছে তিশার বাবা ইকবাল ইসলাম একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করে মা রেহেনা ইসলাম গৃহিনী….. ইকবাল ইসলাম তিশাকে খুব বেশি ভালোবাসে….
আর আমাদের গল্পের নায়ক আবির রহমান দেশের নাম করা বিজনেসম্যান আবার একজন মাফিয়া…. ছোট বেলা থেকে আবির যা চেয়েছে ও সেটা আদায় করে নিয়েছে আবির রেগে গেলে সব কিছু ধ্বংস করে দেয়… আবির দেখতে শ্যামলা হলুদ বর্নের হ্যান্ডসাম ডেসিং হাইড ৬ ফুট চুল গুলো কাড়া কাড়া মুখে খোচা খোচা দাড়ি লাল বর্নের ঠোট গুলো যেন মুখে ভেসে উঠে…. আবির দেখতে কোনো হিরোর চেয়ে কম নয় আবিরের জন্য সব মেয়েরা পাগল কিন্তু ও যে পাগল শুধু তিশার জন্য….. আবিরের ছোট একটা ভাই আছে পড়াশোনার কারনে দেশের বাইরে থাকে পাচ বছর আগে আবিরের মা বাবা একটা দুর্ঘটনাতে মারা যায় তারপর থেকেই আবির ওদের এত বড় বিজনেস নিজে এক হাতে সামলাছে…..
এবার গল্পে আসা যাক…..
তিশা : আপনি এসব কি বলছেন?? আপনি আমার স্বামী হলেন কবে থেকে?? আর আপনাকে আমি স্বামী হিসেবে মানিও না আর যেখানে আপনার সাথে আমার বিয়েই হয় নি সেখানে আমি আপনাকে স্বামী মানলেও বা কি আর না মানলেও কি.??
আবির : ও তার মানে তুমি আমাকে নিজের স্বামী হিসেবে মানছো না তাই তো….
তিশা : মানছি না মানে কি??? আমি তো আপনাকে চিনিও না আর আপনার সাথে আমার কবে বিয়ে হয়েছে???
ইকবাল ইসলাম : কি হচ্ছে এসব?? আপনি কে আর কি আজে বাজে কথা বলছেন?? আমার মেয়ের বিয়ে আজকে আর আজকে আপনি কোথা থেকে এসে বলছেন ও আপনার স্ত্রী…..
আবির : হে ও আমার স্ত্রী…..
ইকবাল ইসলাম : কি প্রমান আছে যে ও আপনার স্ত্রী??? আমার মেয়ে এমন কোনো কাজ করবে না যাতে করে ওর বাবার মানসম্মান নষ্ট হয়ে যায়…..
আবির : ও তাই নাকি ঠিক আছে তাহলে আমাদের বিয়ের কাবিন দেখাই আপনাকে….
তিশা : বিয়ের কাবিন…. ( আবক হয়ে)
আবির : হে বিয়ের কাবিন…..
আবির একজন ইশারা করে কিছু পেপার আনতে বলে….. লোকটা পেপার গুলো এনে আবিরের হাতে দেয়….
আবির : এই যে দেখেন আমার আর তিশার বিয়ের কাবিন….
ইকবাল ইসলাম পেপার গুলো চেক করে দেখে সত্যি সত্যি আবির আর তিশার বিয়ের কাবিন…. ইকবাল ইসলাম ধপ করে চেয়ারে বসে পড়ে আর পেপার গুলো হাত থেকে মাটিতে পড়ে যায়……
রেহেনা ইসলাম : কি হয়েছে?? তুমি এভাবে বসে পড়লে কেন??
ইকবাল ইসলাম : আমার মান ইজ্জত সব নষ্ট করে দিলো তোমার এই মেয়েটা….. ও কি করে এসব করতে পারলো এক বারও কি আমাদের কথা চিন্তা করলো না তোমার এই মেয়েটার …. একবারও কি আমাদের চেহেরাটা ওর চোখের সামনে ভাসলো না……
তিশা পেপার গুলো মাটি থেকে তুলে দেখে কনার জায়গাতে সত্যি সত্যি ওর সাইন……
তিশা : এটা কি করে সম্ভব….. বাবা বিশ্বাস কর আমি বিয়ে করে নি এই লোকটাকে….
ইকবাল ইসলাম : চুপ কর তুই চুপ কর…. তর মুখে আর আমি একটা কথাও শুনতে চাই না….. ( চেয়ার থেকে উঠে)
তিশা : বাবা বিশ্বাস কর আমি এমন কিছু করি নি…..
ইকবাল ইসলাম তিশাকে চড় মারতে যাবে সাথে সাথে আবির তিশার বাবার হাত ধরে ফেলে….
আবির : সরি শশুর বাবা ও তো আমার স্ত্রী তাই আমার তো কিছু দায়িত্ব আছে ওকে রক্ষা করার তাই ওর গায়ে আপনি হাত তুলতে পারেন না….
তিশা : আপনার সাহস কি করে হলো আমার বাবার গায়ে হাত দেয়ার… আর আমাকে আমার বাবা মারবে নাকি কাটাবে সেটা আপনি আটকানোর কে???
আবির : আমি তোমার স্বামী তাই আমার এই অধিকারটা আছে তোমাকে সব বিপদ থেকে বাচানোর…..
তিশা : স্বামী কিসের স্বামী আমি আপনাকে আমার স্বামী হিসেবে মানি…..
আবির : তুমি মানো আর না মানো কিন্তু আইনের খাতায় তুমি আমার স্ত্রী…..
তিশা : নাহ আমি আপনার স্ত্রী না…. বাবা বিশ্বাস করো আমাকে …..
ইকবাল ইসলাম : বিশ্বাস করবো আমি তকে যে মেয়ে আমাকে না জানিয়ে সব কিছু করতে পারে তাকে আমি বিশ্বাস করবো…. তুই বেরিয়ে যা আমার বাড়ি থেকে তকে আমি আর সহ্য করতে পারছি না তুই আমার সামনে আর কোনো দিন আসবি না…..তকে আমার মেয়ে ভাবতে ঘৃনা হচ্ছে
ইকবাল ইসলাম এটা বলে এখান থেকে চলে যায়…… ইকবাল ইসলামের পিছন পিছন রেহেনা ইসলামও যায়
নিসা : আপু এটা তুমি কি করলে?? এক বারও কি আমাদের কথা ভাবলে না তুমি….
তিশা : বিশ্বাস কর নিসা আমি সত্যি এসব কিছু করি নি…..
নিসা : পেপারগুলো কি তাহলে ভুল সাইনটা কি অন্য কারোর এটা তো তোমার সাইন…..
তিশা : এই লোকটা মিথ্যা কথা বলছে নিসা তুই আমাকে বিশ্বাস কর বোন …
নিসা চলে যায় তিশার কাছ থেকে….. তিশার সাথে যার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো তিশার কাছে এসে বলে…..
____কাজটা একদম ঠিক করলে না তিশা এর শোধ আমি তুলবো তোমার কাছ থেকে না হলে আমার নাম রবিন আহমেদ নয় ভালো থেকো বাই….
রবিন আবিরের পাশ কেটে যাওয়ার জন্য আবিরের দিকে রাগী ভাবে তাকায় আবির কম কিসে আবিরও রবিনের দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকায়……
তিশা মাটিতে ধপ করে বসে জোরে একটা চিৎকার দেয়…..
তিশা : এমন কিছু করি নি আমি কেন তোমরা আমাকে বিশ্বাস করছো না কেন?? এই লোকটা সব কিছু মিথ্যা কথা বলছে…..
আবির তিশার কাছে গিয়ে হাটু ঘেড়ে বসে….
আবির : তিশা চলো…
তিশা : কোথাও যাবো না আমি কোথাও না…..
আবির : কেন?? যাবেন না আমার সাথে তুমি কি ভেবেছো আমি আমার বউকে এখানে ফেলে রেখে চলে যাবো তা তো হবে না যদি না যেতে চাও তুমি তাহলে আমি তোমাকে জোর করে নিয়ে যাবো…..
#মিশে_আছি_তোমাতে ❤
#Writer_Nusrat_Javan_Bristy
#Part_1
ফিরে এলাম নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে! প্রায় দু মাস গল্প জগত থেকে দুরে ছিলাম জানি না আপনাদের গল্পটা ভালো লাগবে কিনা! তবে চেষ্টা করবো যাতে করে আপনাদের সকলের গল্পটা ভালো লাগে…… আর সবাই প্লিজ আমার পাশে থাকবেন…..