মিস্টার সিনিয়র পর্ব -১৪

#মিস্টার__সিনিয়র
#পর্বসংখ্যা_১৪(১)
®ফিহা আহমেদ

“আহ্ কি করছিস কি নিহান ছাড় আমায় আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে”। (নয়ন ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিতে নিতে বললো)

“আর বলবি অন্য কোনো ছেলের সাথে কথা” । (নিহান রেগে বললো)

নিহান নয়নকে পানিতে চুবানি খাওয়াচ্ছে। নিহান খুব রেগে আছে। এইদিকে নিহানের চুবানি খেতে খেতে নয়নের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। নয়নকে জোরে জোরে শ্বাস নিতে দেখে নিহান নয়নকে ছেড়ে দিল।নিহান নয়নকে টেনে পুকুর থেকে তুললো।নয়ন অসহায় ভাবে নিহানের দিকে তাকিয়ে আছে। পানিতে থাকাকালীন নয়নের হাতে নয়নের মোবাইলটি ছিল।

নয়নের সাথে সাথে নয়নের হাতে থাকা মোবাইল ও চুবানি খাচ্ছিলো।মোবাইলটি নষ্ট হয়ে গেল।নয়নের এখন নিজের ওপর রাগ হচ্ছে। কেন যে এই বজ্জাতটাকে রাগাতে গেলাম।নিহান নয়নের হাতে মোবাইল দেখে মোবাইলটি নয়নের হাত থেকে নিয়ে আছাড় মারল।নয়ন কেঁপে উঠল সাথে রাগ ও হলো।

“সমস্যা কি তোর এতো রাগ দেখাচ্ছিস কেন? আমি যার সাথে ইচ্ছে কথা বলবো তাতে তোর বাপের কি? (নয়ন কিছুটা রেগে বললো)

নয়নের কথায় নিহানের রাগ আরো বেড়ে গেল।নিহান হাত দিয়ে নয়নের গাল দুটো চেপে ধরলো।

“আমার বাপের কোনো সমস্যা নেই কিন্তু আমার অনেক সমস্যা আছে।ছেলেটার মোবাইল নম্বর তোর মুখস্থ আছে বল ,,,,,
(নিহান)

নয়ন কিছু না বলে রাগী চোখ তাকিয়ে আছে।

“যদি মুখস্থ থাকে তাহলে এক্ষুনি উল্টি কর বেরিয়ে যাবে মাথা আর পেট থেকে মোবাইল নম্বর”। (নিহান)

বলে নিহান নয়নের মাথায় থাপ্পড় দিতে লাগলো আর বলতে লাগলো,,,,,

“উল্টি কর বলছি” ।

“শালা এরপর ও ভালোবাসার কথা স্বীকার করবে না। হুদাই মারগুলো খাচ্ছি”। (নয়ন মনে মনে বললো)

“না না মুখস্থ নেই”৷ (নয়ন ভীতু কন্ঠে বললো)

“সত্যি বলছিস তো ,,,,, (নিহান)

“হ্যাঁ। হ্যাঁ। সত্যি বলছি”। (নয়ন দ্রুত কথাটি বললো)

নিহান গায়ের শার্ট খুলে নয়নকে পড়িয়ে দিয়ে সোজা সেখান থেকে চলে গেল।নিহান যেতেই নয়ন নিহানকে বকাঝকা শুরু করলো।

“শালা ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা আমার হাল খারাপ করে দিল। ধ্যাত কেন যে অসভ্যটাকে রাগাতে গেলাম।শুধু শুধু এই শীতে নাকানিচুবানি খেতে হলো”।

নয়ন কতক্ষণ বকবক করে সেখান থেকে চলে গেল।

_____

জোভানকে বাড়িতে নিয়ে আসা হলো। তবে জিহার কাছে তার ভাইকে কেমন রহস্যময় লাগছে। জিহার মনে হচ্ছে তার ভাইয়ের মাথায় কিছু চলছে কিন্তু কি?

“কি ভাবছিস জিহা?

জোভানের কথায় জিহা চমকে উঠলো।তার ভাইকে কেন জানি সন্দেহ হচ্ছে তার। ভাইয়ের কি সত্যি ই পুরোনো কিছু মনে পড়েনি৷ নাকি ভাই অভিনয় করছে কিছু মনে না পড়ার।

“কিরে কথা বলছিস না যে ,,,,, (জোভান)

“আচ্ছা ভাই তোর কি সত্যি কিছু মনে পড়ছে না? (জিহা সন্দেহের চোখে তাকিয়ে বললো)

জিহার কথা জোভান হাসলো।কিন্তু কোনো উওর দিল না।জোভানের রহস্যময় হাসি জিহাকে আরো বেশি ভাবাচ্ছে।

“ভাই আমি আসছি তুই রেস্ট কর”। (জিহা)

“হুম” (জোভান)

পরশির কথা মনে পড়ছে জোভানের। জোভান ঠিক করলো আগামীকাল ই ভার্সিটি যাবে। বাড়িতে বসে বসে রেস্ট নিতে ভালো লাগছে না তার।

“আচ্ছা পরশিকে একবার তার বাড়ি গিয়ে দেখে আসলে কেমন হয়?
(জোভান)

যেই ভাবা সেই কাজ। জোভান ছদ্মবেশে বেলকনি দিয়ে লাফিয়ে বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেল পরশিকে দেখার উদ্দেশ্যে।

_____

পরশি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে সিমির দিকে।

“কিরে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?

“না মানে ,,,,, (পরশি)

“ওহ্ হে তোকে বলতে ভুলে গেছি। ও আমার ভাই তাসির। তাসির শেখ”। (সিমি হাসিমুখে বললো)

পরশি কি বলবে বুঝতে পারছে না। যে ছেলেটা ওর ইজ্জত নষ্ট করতে চেয়েছিল সিমি তার বোন। পরশি চুপ করে তাকিয়ে আছে তাদের দু’জনের দিকে। পরশিকে চুপ থাকতে দেখে সিমি বলে উঠলো,,,,,

“কিরে দাঁড় করিয়ে রাখবি নাকি ভিতরে যেতে দিবি”।

পরশির ভীষণ ভয় লাগছে। তখন না হয় মিস্টার সিনিয়র তাকে বাঁচিয়েছে।এখন যদি কিছু হয় তাকে কে বাঁচাবে?

পরশি ভয়ে ভয়ে দরজার সামনে থেকে সরে গেল। আর তাসির পরশির দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসি দিল।তাসিরের হাসি দেখে পরশির কলিজা কেঁপে উঠলো।

পরশি দরজা বন্ধ করতেই ইয়ানা আসলো পরশির কাছে।

“কিরে এই বেয়াদব ছেলেটা এখানে কেন?

“জানিনা আপু। সিমি বলছে সিমির ভাই” । (পরশি ভয়ে ভয়ে বললো)

“বাড়িতে অনেক মেহমান এখন কিছু বললে সমস্যা হবে।তুই ওই ছেলের থেকে দূরে দূরে থাকবি। আমার সাথে চল স্টেজে”। (ইয়ানা)

বলে ইয়ানা পরশির হাত ধরে স্টেজে নিয়ে গেল।মিসেস শিখা পরশিকে দেখে বলে উঠলো,,,,,

“এই বেয়াদব মেয়েকে এখানে কেন নিয়ে আসলি? (মিসেস শিখা)

লিসাকে দেখে অভিনয় শুরু করলো মিসেস শিখা আর ইয়ানা।

“জ্বালানোর জন্য দাদী”। (ইয়ানা)

দু’জনের অভিনয় দেখে পরশির ভীষণ হাসি পাচ্ছে । পরশি অনেক কষ্টে হাসি আঁটকে রেখেছে।

_____

অবশেষে গায়ে হলুদ শেষ হলো ইয়ানার।পরশি নিজের রুমে এসে ক্লান্ত শরীর এলিয়ে দিল খাটের ওপর। তখন ই বেলকনির দিক থেকে কিছু পড়ার শব্দ কানে আসল পরশি।পরশি ভয় পেয়ে গেল। পরশির ভয় তাসিরকে নিয়ে। যদি তার সাথে আবার বাজে কিছু করে। বেলকনি থেকে একটা মানুষের ছায়া হেঁটে হেঁটে তার রুমের ভিতরে ই আসছে।ভয়ে পরশির হাত-পা কাঁপা-কাঁপি শুরু করলো।

পরশি ভয়ে চোখ বন্ধ করে আল্লাহকে ডাকা শুরু করলো। অনেকক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখার পর ও কিছু হচ্ছে না দেখে পরশি ধীরে ধীরে চোখ খুললো। চোখ খুলে কাউকে দেখতে পেল না। পরশি আরো বেশি ভয় পেয়ে গেল।পরশির মনে হচ্ছে তার রুমে ই কেউ লুকিয়ে আছে তাকে দেখছে।পরশি ভয়ে ভয়ে খাট থেকে নামলো।ধীরে ধীরে হেঁটে বেলকনিতে গেল পুরো শরীর ভয়ে কাঁপছে পরশির। তখনই পিছন থেকে পরশিকে কেউ জড়িয়ে ধরলো।

পরশি নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ভয়ে।লোকটি পরশিকে ভয় পেতে দেখে পিছন থেকে পরশির কানের কাছে মুখ এনে বললো ,,,,,

“মিস জুনিয়র”

নামটি কানে আসতেই পরশির ভয় চলে গেল। পরশি পিছনে মুখ ফিরিয়ে বললো ,,,,,

“মিস্টার সিনিয়র”

ভয়ে ছেড়ে এখন লজ্জারা ঘিরে ধরেছে পরশিকে।লজ্জায় গাল দুটো হালকা লাল বর্ন ধারণ করেছে। জোভান পরশির লজ্জিত মুখের দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে। পরশি নিজেকে জোভানের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দূরে এসে দাঁড়ালো। দু’জন চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। কারো মুখে কোনো কথা নেই। পরশি নিজেকে আড়াল করতে ব্যস্ত আর জোভান পরশিকে দেখতে ব্যস্ত।


#মিস্টার__সিনিয়র
#পর্বসংখ্যা_১৪(২)
®ফিহা আহমেদ

“অতীত”

“ইয়ানা দাদুভাই শরীর খারাপ লাগছে মায়ের কাছে যাবে?

“দাদী আমার হাঁটু অনেক ব্যথা করছে আমি আম্মুর কাছে ঘুমাব”। (ইয়ানা)

“চলো দাদুভাই তোমায় দিয়ে আসি”। (মিসেস শিখা)

মিসেস শিখা আট বছরের ইয়ানাকে ধরে ধীরে ধীরে মিসেস লিমার রুমের দিকে এগোতে থাকে। দু’জন মিসেস লিমার রুমে প্রবেশ করতে ই যাবে তখন তাদের দু’জনের কানে অট্টহাসির শব্দ আসল।ইয়ানা কিছু বলতে যাবে মিসেস শিখা মুখে হাত দিয়ে ফিসফিসিয়ে বললো ,,,,,

“কথা বলো না দেখি তোমার মা কেন এত হাসছে?

ইয়ানা ভালো মেয়ের মতো মিসেস শিখার কথা মেনে নিল।চুপ থাকলো সে।

মিসেস শিখা লিমার রুমের দরজা হালকা ফাঁক করলেন। মিসেস লিমা তখন একটা ছবির ফ্রেমে পরশির বাবা-মা এর ছবিতে ক্রস চিহ্ন দিচ্ছেলো আর জোরে জোরে হাসছিলো আর বলছিল ,,,,,

“ওপারে ভালো থাকিস মিস্টার সৈয়দ সিকদার। আহারে বেচারা তোর সাথে তোর বউ মিতালি ও গেল।তোর মেয়েটার ভাগ্য ভালো বেঁচে গেলো।তবে চিন্তা করিস না অনেক তাড়াতাড়ি তোর মেয়েকে তোদের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। মাঝখানে জোভানটা ফেঁসে গেল।বেচারা তো আঘাত পেয়ে সব ভুলে গেল।এতে আমার ই ভালো হলো। কারন জোভান সব দেখে ফেলেছে। আমি যে তোদের খুনি জোভান দেখে ফেলেছে। তবে জোভানকে ও রাখার ইচ্ছে নাই। কে জানি কখন আমার বিপদ হয়ে দাঁড়ায়।তোর মেয়ের নামে যত সম্পওি আছে সব আমার করে নিয়ে তোর মেয়েকে তোদের কাছে পাঠিয়ে দেব আমি।সাথে জোভানকে ও। কষ্ট পাইছ না তাড়াতাড়ি ই পাঠামু”।

বলে জোরে জোরে হাসতে থাকে।

হাসা বন্ধ করে আবার ছবির ফ্রেমের দিকে তাকিয়ে বলে ,,,,,

“সাথে তোর পুরো পরিবার তোর কাছে পাঠিয়ে দিব।আমি চাই না একজন ছাড়া আরেকজন কষ্ট পাক।আমার সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছিস। আমি ও তোর পুরো পরিবার ধ্বংস করে দিব।আমার স্বামীর স্বাদের চাকরি থেকে বের করে দিলি। তারপর আমার কলিজার ,,,,,

আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই মিসেস লিমার(লিসা) মোবাইল বেজে উঠল।

.

“বর্তমান”

“তারপর দাদী ,,,,, (পরশি)

“তারপরের কারনটা আর শুনলাম না। তবে সেই কারনটি ই লিসার আসল কারন”। (মিসেস শিখা)

“দাদী আমার ভীষণ ভয় লাগছে। একটা খুনির সাথে আমরা থাকছি।দাদী জেঠু সব কিছু জানে? (পরশি)

“হ্যাঁ। জানে”। (মিসেস শিখা)

“তবে যে তারা একসাথে থাকে ,,,,, (পরশি)

“এক রুমে থাকে ঠিক তবে একসাথে ঘুমায় না। আহাদ সোফায় ঘুমায়। ভয় পাইছ না পরশি ওর রহস্য বের করার জন্য আমাদের সবাইকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হবে।এসব জানার পর আমি ঠিক করি তোর সাথে যদি বাজে আচরন করব তাহলে লিসার রাগ যদি কমে। পরে দেখলাম ঠিক। তোর সাথে বাজে আচরন করলে ও সুখ পায়। তাই বাধ্য হয়ে করতে হয়। অনেকগুলো জীবনের দিকে তাকিয়ে একটু কষ্ট সহ্য করবি পরশি দাদুভাই ? (মিসেস শিখা)

পরশি মিসেস শিখাকে জড়িয়ে ধরে বলে ,,,,,

“পারব দাদী। তার আগে ওনার আসল কারন বের করতে হবে আমাদের কেন ওনি এইসব করছেন? (পরশি)

“তুই ঠিক বলেছিস। আমি যাই একটু পর বরপক্ষ চলে আসবে।তুই তৈরি হয়ে নিচে আয়”। (মিসেস শিখা)

“ঠিক আছে দাদী”। (পরশি)

_____

বরপক্ষ চলে এসেছে বাড়িতে হৈ-হুল্লোড় পড়েছে। ইয়ানাকে সাজাচ্ছে পরশি।ইয়ানা টলমল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে পরশির দিকে।

“এক ফোঁটা ও যেন চোখের পানি না পড়ে তাহলে খুব খারাপ হবে।আর সুন্দর সাজ ও নষ্ট হয়ে যাবে”। (পরশি)

“পরশি” (ইয়ানা)

“আজ তৌশিক ভাইয়া চোখ ফেরাতে পারবে না তোমার থেকে।তোমায় আজ অসম্ভব সুন্দর লাগছে। একদম পরী পরী ভাব আসছে তোমার মাঝে”।(পরশি চোখ টিপ দিয়ে বললো)

ইয়ানা হেসে দিলো পরশির কথায়।

“প্রসংশা একটু বেশি হয়ে গেল না”। (ইয়ানা)

“একদমই না” (পরশি)

অবশেষে ইয়ানা আর তৌশিকের বিয়ে সম্পন্ন হলো। লিসার চোখে কান্না নেই সে শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে ইয়ানার কান্না দেখছে। সবাই অনেক কষ্টে ইয়ানাকে বিদায় দিল।এসব কান্নাকাটি দেখে লিসা খুবই বিরক্ত।

“কি আশ্চর্য এইসব মানুষ।বিয়ে হয়ে গেছে চলে যাবে তা না বসে বসে ঢং করে কান্নাকাটি করে যাচ্ছে” । (লিসা বিরক্ত নিয়ে বললো)

_____

“মিস জুনিয়র তুমি এখানে আর এসব কি পোশাক পড়ে আছো। ছেলেদের শার্ট – প্যান্ট পড়ে বসে আছো। আগে তো তোমায় কখনো এসব পড়তে দেখিনি আমি” । (জোভান বেশ অবাক হয়ে বললো)

“হোয়াট ?

“আর আজ না তোমার বোনের বিয়ে তুমি মাঝ রাস্তায় বেঞ্চে কেন বসে আছো ? (জোভান)

“বুঝলাম না আপনি কে?

পরশির কথা জোভান কিছুটা আ/শ্চ/র্য হলো।

“মজা করছো আমার সাথে পরশি। ওকে সমস্যা নেই। কিন্তু তুমি এখানে একা একা কি করছো ? (জোভান)

“আপনি কে আর এমন আবোলতাবোল বকছেন কেন? আর পরশিটা কে? আমি স্পর্শি। “স্পর্শি মুখার্জি”।

মেয়েটার কথায় জোভান আকাশ থেকে পড়লো। কিন্তু জোভানের বিশ্বাস হচ্ছে না। জোভান ভাবছে পরশি হয়তো মজা করছে তার সাথে।

জোভান পরশির হাত ধরে বলে ,,,,,

“মজা করো না আমার সাথে। বাড়ি যাও।না হয় তোমার ইবলিশ দাদী তোমায় আবার মারবে”।

মেয়েটা জোভানের পেটে একটা ঘুসি মেরে বলে ,,,,,

“কথা একটা একশোবার বলছেন কেন? আমি পরশি নই। এই পরশিটা কে? (মেয়েটা হালকা চিৎকার করে বললো)

“তুমি আমায় মারলে পরশি “। (জোভান টলমল দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো)

“স্টুপিড বয়। আর কিছু বললে তোর চুল ছিঁড়ে একদম টাকলু বানিয়ে দিব”।

বলে মেয়েটি রেগে সেখান থেকে চলে গেল।আর জোভান মেয়েটির যাওয়ার দিকে হাবার মতো তাকিয়ে আছে।

“মেয়েটার আজ হলো কি এমন অদ্ভুত বিহেভ করছে। আর আমায় মেরে ও গেল।পরশি তো এমন নয়।তবে সত্যি মেয়েটা স্পর্শি।কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব?

জোভান চিন্তায় পড়ে গেল পরশিকে নিয়ে।

_____

“দেখ কি মাল রে একে তো টেস্ট না করলে আজ রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাবে”।

ছেলেটার বিশ্রী মার্কা কথা শুনে মেয়েটি রাগী চোখে সেদিকে তাকালো।

“দেখ দেখ বিল্লা মেয়েটার কি তেজ। আমি তো মেয়েটার চোখ রাঙানি দেখে ভয় পাচ্ছি”। (ছেলেটা মস্করা করে বললো)

“ঠিক বলেছিস মিন্টু। চল মেয়েটাকে তুলে নিয়ে যাই”। (বিল্লা)

“চল” (মিন্টু শয়তানি হাসি দিয়ে বললো)

দু’জন মেয়েটির কাছে আসতেই মেয়েটি মিন্টুর নাক বরাবর ঘুসি মারে। এক ঘুসিতে মিন্টুর নাক থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে।বিল্লা তেড়ে আসতেই বিল্লার ও নাক বরাবর ঘুসি মারে। বিল্লা দুই-তিন হাত পিছনে চলে যায় ঘুসি খেয়ে। মিন্টু নাকের রক্ত মুছে বলে ,,,,,

“তোর তেজ এক্ষুনি বন্ধ করে দিব শালী”।

মিন্টু কথা শুনে মেয়েটি রেগে মিন্টু নিছ বরাবর লাথি মারে।মিন্টু গগনবিদারী চিৎকার দিয়ে দূরে ছিটকে পড়ে।বিল্লা ভয় পেয়ে দৌঁড় দিতে যাবে বিল্লার পিছন থেকে শার্টের কলার টেনে ধরে মেয়েটি সামনে নিয়ে আসলো। বিল্লার ও জায়গামতো লাথি মারে। বিল্লা চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।দু’জনের অবস্থা দেখে মেয়েটা হেসে বলে ,,,,,

“জীবনে আর কোনো মেয়েকে দেখলে উওেজনা আসবে না তোদের”।

বলেই মেয়েটি রেগে আরো দুই-তিন বার নিচ বরাবর লাথি মেরে সেখান থেকে চলে গেল।মিন্টু আর বিল্লা অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।

দূর থেকে সবকিছু দেখে নিহান হার্টএটাক করবে এমন অবস্থা।

“পরশি মারপিট করলো। আমি কি ঠিক দেখেছি। নাকি আমার চোখ ঠিক নেই”। (নিহান অবাক হয়ে বললো)

চলবে…..
_____

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here