#যদি_দেখা_না_হতো
#পর্ব_০২_০৩
#Tanish_Esu
হঠাৎ কাব্যের চিৎকারে আমার ভাবনার জগৎ থেকে বাস্তব জগতে ফিরলাম।নিচে গিয়ে দেখলাম আজ তাড়াতাড়ি ফিরেছেন তিনি।।তাতে হয়তো আমার কোন যায় আসেনা।
কাব্য আমাকে দেখে রাগে গজগজ করতে করতে উপরে চলে আসলো।।
কাব্যের আম্মুঃ এই যে মেয়ে কাব্য যতক্ষণ রুমে আছে ততক্ষণ রুমে যাবেনা(বলে চলে গেলো তার রুমে)
এটা আর নতুন কিছুনা কাব্য ভাইয়া হুটহাট কোন কারণ ছাড়াই আমার উপর রেগে যান।।কেন তা আজও জানলাম না।। আমার তো কোন কাজ নেই চলে আসলাম নিজের জায়গ
এইভাবেই চলতে লাগলো,,,কাব্য ভাইয়া আর আমি অনেক ক্লোজ ফ্রেন্ড হয়ে গেলাম হয়তো আমি ছোট তারপরও কোথায় ভাইয়া আর কাব্য ভাইয়া গেলে আমাকে নিয়ে যেতো।কলেজ লাইফ ও শেষ হলো,,,আমি এইবার ভাবলাম কাব্য ভাইয়াকে মনের কথা বলা উচিত।।
বসন্ত চলে এসেছে,,,,
গাছে নতুন নতুন পাতা গজাচ্ছে,,কত না সুন্দর লাগছে আকাশ একদম পরিষ্কার,,না গরম না ঠান্ডা।আকাশে পাখি উড়ছে।।এতো সুন্দর্যের কারণেই আমার বসন্ত মাসটা এতো পছন্দ।এটাই প্রোপজ করার উপযুক্ত সময়,,,,
সকালে এইগুলোই ভাবছিলাম,,বেশ কয়েকদিন ধরে কোন খোজ নেই।তাকে দেখার জন্য মনটা ছটফট করছে,,ভাইয়া তো বাইরেও যেতে দেয়না আমাকে,,ফেসবুকেও তেমন একটিভ দেখছিনা,, কিছু হলো নাকি ওর এই টেনশনে গলা যেন শুকিয়ে আসছে।।
বেলকুনিতে বসে আছি সমরেশ মজুমদারের লিখা সাতকাহন গল্পটি পড়তে ছিলাম,,, হঠাৎ আবির আর কাব্য ভাইয়া বেলকুনিতে আসে আমি বইটি রেখে দাড়ালাম,,, এতোদিন পর কাব্য ভাইয়াকে দেখে খুশিতে আমি পাগল হয়ে উঠেছি বাট প্রকাশ করলাম না…
তানিশাঃ ভাইয়া আপনি
কাব্যঃ বাবাহ সাহিত্য পড়(অবাক হয়ে)
আবিরঃ তোরা কথা বল আম্মু ডাকছে আমাকে
কাব্যঃতোমাকে আমার কিছু বলার আছে
তানিশাঃ আপনাকেও কিছু বলার আছে(খুশি হয়ে)
কাব্যঃ আচ্ছা বলো
তানিশাঃ আপনি আগে বলেন(ভেংচি কেটে)
কাব্যঃ তুমি আগে
তানিশাঃ আপনি আগে বলতে চেয়েছেন বলেন(রেগে)
কাব্যঃ ওকে বাবাহ বলছি,,আসলে আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে এই নেও বিয়ের কার্ড
এমন কথা শোনার জন্য মটেও প্রস্তুত ছিলাম না আমি,,কেমন জানি কেউ আমাকে গলা চেপে ধরলো নিঃশ্বাসে পবলেম হচ্ছে আমার,,সব অন্ধকার হয়ে আসছে আমার কাছে নিজেকে একটু শান্ত করলাম এবং ভাইয়ার হাত থেকে কার্ডটা নিলাম
কাব্যঃ আগামী সোমবার আমাদের বিয়ে সো তোমাকে যেন বিয়েতে দেখি ওকে।।আর কি যেন বলতে গেছিলে
তানিশাঃ কই ওওও বলতে গেছিলাম যে আমি কথাটা ভুলে গেছি
ভাইয়া আমার কথাটা শুনে হাসতে শুরু করলো আমিও মিথ্যে হাসার অভিনয় করলাম।
ভাইয়া আর বসলো না চলে গেলো তার সাথে আমিও আমার রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলাম।।।
পাগলের মতো কাঁদতে লাগলাম,, রাতের খাবার আর গলা দিয়ে নামলো না।।। বসন্তের ফুল আর আমার ফুটলো না,,আসলেই অসমাপ্ত রয়ে গেলো আমার একতরফা ভালোবাসা তাকে আর বলতেও পারলাম না।
দিনের পর দিন কাটতে লাগলে কেমন জানি ভেঙ্গে পরেছিলাম আমি,,সারাদিন সাহিত্য বাদ দিয়ে তার ছবি দেখেই কাটিয়ে দিতাম। নিজেকে আয়নায় দেখার মতো সাহস ও হতো না আমার এতোটা খারাপ অবস্হা হয়ে গেছিলো আমার।।
রবিবারে,,
ভাইয়া আমাদের সকলকে নিয়ে গেলেন তাদের বাড়িতে সেদিন একটু সেজেছিলাম। কালই বিয়ে হবে ভাইয়ার নাতাশা আপু এসেছিলো এংগেস্টমেন্ট পার্টি ছিলো বেশ মানিয়েছে দুজনকে। আমার সামনে আমার ভালোবাসার মানুষটি অন্য মেয়ের হাতে রিং পরিয়ে দিলো আর আমি শুধু চেয়ে রইলাম। আর সহ্য করার ধৈর্য আমার ছিলো না তাই বাড়ির বাইরে চলে আসলাম।।
ওখানে বসার সিস্টেম ছিলো কেউ নেই বাড়িটা সম্পূর্ণ আলো দিয়ে সাজানো তাই এদিকেও আলোতে ঝলমল করছে।চোখ থেকে লোনা জল পরছে আমার হেলান দিয়ে বসে আছি ঠিকি কিন্তু অখেয়ালে আছি,, জানিনা কি এতো ভাবছি শুধু এতোটুকু বলতে পারি ভাবলার একমাত্র জগত হলো কাব্য।
হঠাৎ করেই কেউ কাঁধে হাত দিলো আমি তারাতারি চোখ মুছে তাকিয়ে দেখলাম কাব্য ভাইয়া।কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম ওকে দেখে
কাব্যঃ এখানে বসে কি করছো তুমি
তানিশাঃ আসলে এমনি।।
কাব্যঃ তোমার কন্ঠ এমন লাগছে কেন কান্না করছো
তানিশাঃ কই নাতো
কাব্যঃ আমার কাছে কিছু লুকাবে না(ধমক দিয়ে)
ধমকটা আর সহ্য করতে পারলাম না আমি কাব্য ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলাম
তানিশাঃ আমি তোমাকে ভালোবাসি কাব্য ভাইয়া(কান্নারত অবস্হায়)
কাব্য ভাইয়া কথাটা শুনে এক ঝটকায় তার থেকে আমাকে দূর করে দিলো
কাব্যঃ কি বলছো এসব,,,তুমি আমার ছোট বোনের মতো।।
বোন কথাটা শুনে কেমন জানি কস্ট হলো তাই নিজেকে সামলে চোখের পানি মুছে দাড়ালাম
তানিশাঃ সরি ভাইয়া,,,আমি নিজের হুসে ছিলাম না তাই হয়তো আপনার সাথে,,রিয়েলি সরি
আর একবারো পিছে ফিরে তাকালাম না আমি বাড়ির মধ্যে চলে আসলাম।।কাব্য ভাইয়াও হয়তোবা আমার থেকে এমন ব্যবহার আশা করিনি।
অনুষ্ঠান চলছে বাট আমি অখেয়ালে আছি এখনো ওই চিন্তা ভাবনায় কাজ করছে কি করলাম আমি ওইগুলো বলার কি খুব দরকার ছিলো।যাই হোক একটু কথা বলতো তাই এখন থেকে বলবেন না তিনি।
বাড়িতে চলে আসলাম জ্বরটা আবার ঘুরে আসলো ভালোই হয়ছে কাল বিয়েতে না যাওয়ার বাহানা খুঁজে পেলাম।
সকালে,,
আমার এতো জ্বরের কারণে ভাইয়ার ও আর বিয়েতে যাওয়া হলো না আমাকে হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হলো।।।সেলাইন চলছে তার সাথে ঘুমের মেডিসিন ও দিছে আর কোন হুস নেই আমার।।।
পরের দিন,,,
নিজেকে আমার বেডরুমে আবিষ্কার করলাম। নিজের এমন হাল থাকা সত্ত্বেও একজনের কথা বার বার আমার মনকে শান্তি দিচ্ছে না।
তানিশাঃ হয়তো তোমার বিয়ে হয়ে গেছে কাব্য ভাইয়া,,,তুমি আর আমি এখন অনেক দূর হয়ে গেলাম।সাহিত্যের মতো ভালোবাসার মানুষটিকে নিজের করে পাওয়া যেত তাহলে হয়তো কেউই আর ডিপ্রেশনে থাকতে হতো না।
আম্মু ভািয়ার সাথে কথা বলতে লাগলো,,আমাকে নাকি আবহাওয়া পরিবর্তন করা উচিত এতো ঘন ঘন অসুস্থ হওয়ার জন্য।।তাই তারা সিন্ধ্যান্ত নিলো আমাদের দাদুবাড়িতে চলে আসবে।দাদু বাড়ি ঢাকায়।
দুদিন পর,,,
আমরা দাদুবাড়িতে চলো আসলাম,, কাব্য ভাইয়ার খবর আর আমি জানিনা।।ফেসবুক,,হুয়াট এপস,ইমো সব থেকেই আমাকে ব্লক করে দিছে।আগে যতোনা কষ্ট পেয়েছি এখন তার দ্বিগুণ কষ্ট হচ্ছে,,কিছু পিক আর পুরাতন মেসেজ ছাড়া তার অস্তিত্ব বলে আমার কাছে আর কিছু বাকি রইলো না।
আমার সুস্হ হওয়ার পরই ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করা হলো,,, এখন দিনে হাসিখুশি আর রাতে চোখের পানিতে বালিশা ভিজিয়ে ফেলি,,মুখ চেপে কান্না।এর মধ্যেও কোন খোঁজ পেলাম না কাব্য ভাইয়ার হতো ভালোই আছি।
আমি আবার মনোযোগ দিলাম পড়ালেখায়।
”
”
”
”
”
”
চলবে…..💔
#যদি_দেখা_না_হতো
#পর্ব_০৩
#Tanisha_Esu
আমি আবার পড়ালেখায় মনোযোগ দিলাম।কিন্তু তাও বেশিদিন চললো না।
আমার ক্লাসমেট শুভ্রর সাথে আমার অনেক ভালো সম্পর্ক হলো।যেখানেই যেতান ওকে নিয়ে যেতাম।।।ও আমাকে বেষ্টফ্রেন্ডের মতো ভালোবাসতো।
এইভাবেই চলতে লাগলো আমার দিনগুলো ইতিমধ্যে কাব্য ভাইয়াকে টোটালি ভোলার জন্য ওর সব পিক ও পুরানো মেসেজ ডিলিট করেদিছি।তারপরও কেমন জানি বুকের মধ্যে ওকে একবার দেখার জন্য আনচান করতেই থাকে।
হঠাৎ এক ঝড়ে আবার জীবনটা তচনচ হয়ে যায়।হুট করে আমার বিয়ে ঠিক করে আমার মতের বিরুদ্ধে পারিবারিক ভাবেই বিয়েটা যেমন আমাকে অবাক করলো তার থেকেও কয়েকগুণ বেশি অবাক করলো বরকে দেখে।কারণ,, বরটা ছিলো আর কেউনা কাব্য ভাইয়া।
বাসররাতে যখন বসে ছিলাম মনে হচ্ছে কেউ কলিজা ছিড়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে।কারণ একটাই কাব্য ভাইয়া,,,ওর তো একবার বিয়ে হয়ছে নাতাশা আপু সে কই আর আমাকেই কেন বিয়ে করলো,,এমন হাজার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আমার মাথায় বাট তাকে কিভাবে বলবো,, কোন মুখেই বা বলবো সেটাই বুঝতে পারছিনা।
ঠিক রাত ১২ঃ৩০ বাজে,,
তখন তিনি রুমে আসলেন।রীতি অনুযায়ী আমি তাকে সালাম করতে গেলাম তিনি পা দুরো সরিয়ে নিলেন এবং আমার হাত দুটো ধরে টানতে টানতে একটা রুমে গিয়ে টান মেরে ফ্লোরে ফেলেদিলো।
আমি কাচুমাচু হয়ে পরে রইলাম।।।
কাব্যঃ আজ থেকে এটাই তোমার রুম,,আমার সামনে আসবে না তাহলে তোমার অনেক বিপদ হবে এবং আমার রুমেও আসবে না।(হনহন করে চলে আসলো)
তার কথাগুলো আমার মাথার উপর দিয়ে গেলো,,এমনি যদি করবে বিয়ে করলো কেন,, এবং কেনইবা করলো বিয়ে আমাকে,,,,আর নাতাশা আপুইবা কি রকম যে নিজের বরকে আবার বিয়ে করতে দিলো।এমন চিন্তায় আর ঘুম হলো না।।।।
ভোরে,,,
চোখ লেগে আসছিলো কিন্তু ঘুম ভেঙ্গে গেলো।আমি চেন্জ করবো কিন্তু আমার লাগেজ ভাইয়ার ঘরে কি করি,,যাবো কি একবার কিন্তু ভাইয়া যে নিষেধ করছে।।।যাই একবার যা হবে দেখা যাবে।(এসব ভাবছিলো)
তারপর আমি গুটিগুটি পায় পা টিপে টিপে,, ভাইয়ার রুমে চলে আসলাম।তারপর লাগেজ খুজতে লাগলামম,,যেই নিতে যাবো একটা চিৎকারে আমার আত্না কেপে উঠলো।
কাব্যের চিৎকার শুনে সবাই রুমে প্রবেশ করলো।আমি মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকলাম
কাব্যঃ কেন এসেছো তুমি আমার রুমে।কি হলো বলো,,আমি তোমাকে নিষেধ করেছি না আমার রুমে আসবে না(ধমকের সুরে)
কাব্য ভাইয়ার রাগটা সামলানোর জন্য কাব্য ভাইয়ার আম্মু বলতে লাগলো,,,
শাশুড়ীঃ কাব্য শান্ত হও,,,এই মেয়ে কেন এসেছো কাব্যের রুমে,,ও নিষেধ করেছেনা।
আমিঃ আসলে আমি চেন্জ করবো,,তাই লাগেজ নিতে এসেছিলাম(মাথা নিচু করে)
কাব্যঃ লাগেজ নিতে আসছিলে,,বাড়িতে কি কাজের লোকের অভাব তাদের বললে কি হতো(রেগে)
তানিশাঃ আমি তো কাউকে চিনিও না কিভাবে বলতাম এতো সকালে।।।
এইবার সবাই চুপ হয়ে গেলো আসলেই তো আমি তো এর আগে যাদের দেখেছি তারা তো কেউই নেই।।।
শাশুড়ীঃ ও আচ্ছা,,এরপর আর কাব্যের সামনে আসবে না।। আমি সবার সাথে তোমার পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি।মন্ডল ওর লাগেজ ওর রুমে দিয়ে আই,,,আর তুমি চলো।।।
মন্ডলঃ আগ্গে আপা( এই বলে লাগেজ নিয়ে গেলো)
“”কি কপাল আমার আমা নিজের স্বামীর রুমে আসবো তাও আবার এতো ঘটনা হয়ে গেলো(মনে মনে)””
আমিও রুমে চলে আসলাম,,,সবাই রোবোটের মতো কাজ করতো,,কেউ এক মিনিট ও আমার সাথে দরকারী ছাড়া কথায় বলতো না আর কাব্য ভাইয়া তো বলতোইনা।
এইভাবেই দিন চলে যেতো আমার,, সব জেন এখন অপরিচিত লাগে।।কাজের লোকেরাও অনেক বিজি,,আমার রুমে টাইম অনুযায়ী খাবার চলে আসতো।একসপ্তাহ ও এমন গেছে আমি কাব্যের মুখই দেখিনি একদম বন্দী।। তারপরও আমি নাতাশা আপুর কোজ নিতে চেয়েছি বাট কোন রকম ভাবে খোজ নিতে পারিনি কপাল খারাপ।
একদিন আমার শশুড়- শাশুড়ী এক কাজিনের অসুস্হতার কারণে তাদের বাসায় গেলেন বলে দিলেন দুদিন থাকবে সেটা আমি জানতে পেলাম কাজের লোকেদের কাছ থেকে।এ বাড়িতে আমি যে একজন সেটা কেউ মুল্যই করেনা।
আজ জানি একটা নেশা উঠে গেলো কাব্য ভাইয়ার কাছ থেকে সবকিছু জানার,,রাতেও কাজের লোকেরা থাকেনা এর মতো মুক্ষম উপায় আমার আর আসবে না যে করেই হোক জানতেই হবে।।
রুমে বসে ছিলাম হঠাৎ ডাক পরলো আমি গেলাম সেখানে।।।
কাব্যঃ আমার খাবার দাও খিদে লাগছে(গম্ভীর হয়ে).
আমিও খাবার দিয়ে তার পাশে দাড়িয়ে থাকলাম তিনি খেতে লাগলেন।।খাওয়া শেষে হাত ধুয়ে সোজা আমার শাড়িতে হাত মুসলো আমি বেশ অবাক হলাম,,, তিনি রুমে চলে আসলেন।
আমি ভাবলাম তার বিশ্রামের প্রয়োজন তাি কিছুক্ষণ পর তার রুমে গেলাম।।।
দেখলাম বেডে হেলান দিয়ে তিনি লেপটপে কাজ করছে।আমি দরজা নক করলাম নিচে তাকিয়ে
কাব্যঃ কিছু বলবে
তানিশাঃ জ্বী,,কিছু প্রশ্নের জবাব চাই আমি আপনার কাছ থেকে
কাব্যঃ ভেতরে আসো
আমিও ভেতরে গেলাম উনার সামনে গিয়ে দাড়ালাম ।।তিনি লেপটপ অফ করে পাশে রাখলেন,,পা গুটিয়ে বসলেন এবং আমাকেউ বসতে বললেন আমি বসলাম।
কাব্যঃ এইবার বলো কি বলবা
তানিশাঃ আমাকে বিয়ে করার কারণ
কাব্যঃ তোমাকে তোমার প্রাপ্য শাস্তি দেওয়ার জন্য
তানিশাঃ শাস্তি মানে,,কিসের শাস্তি।।।কেনইবা বিয়ে করলেন আর কেনইবা শাস্তি দিচ্ছেন। একটা কারণ তো আছি নাকি প্লিজ বলুন
কাব্যঃ আমি কারণ বলতে বাধ্য নয়(দাড়িয়ে চলে যাবে)
ঠিক সেই সময় আমি তার পা চেপে দরলাম আমাকে যে শাস্তির কারণ জানতেই হবে
তানিশাঃ প্লিজ বলুন,, প্লিজ কেন শাস্তি দিচ্ছেন কি করেছি আমি
কাব্যঃ কি করছো পা ছাড়ো বলছি
তানিশাঃ যতোক্ষণ না আমাকে শাস্তির কারণ না বলবেন ততোক্ষণ আমি পা ছাড়বো না
কাব্য খুব জোরে আমার বাহু চেপে ধরে বলতে লাগলো
কাব্যঃ শুনতে চাও তো শুন কি কারণ(চোখ নিমেষেই লাল হয়ে গেলো)
এখনকার কাব্যকে দেখে আমার খুব ভয় করছে কিন্তু কারণ তো জানতেই হবে আমাকে।কাব্য একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলতে লাগলো,,,
তখন কলেজে চান্জ পেয়ে কেবল প্রথম দিন ক্লাস শেষে একটা মেয়েকে দেখে আমার কেমন জানি ফিল হতে থাকে।মেয়েটি আর কেউ না নাতাশা।
”
”
”
”
”
”
”
”
চলবে