“শালিকা_যখন_বউ part_5+6+7

0
438

#শালিকা_যখন_বউ
#part_5+6+7
#Adnan_Sami_Raj

নিশিঃ আপনার আর আপুর পরিচয় হলো কি ভাবে এটাই জানতে চাচ্ছিলাম। যদি না বলতে চান তাহলে থাক বলা লাগবে না।

আমিঃ হুম বুঝলাম। তাহলে শুনো।

তারপর আমি বলতে শুরু করলাম।


আমি তখন সবে মাত্র লেখাপড়া শেষ করে দেশে ফিরেছি। তো একদিন আমি ও আমার বিন্ধুরা মিলে প্লান করলাম কোথাও ঘুরতে যাবো কিন্তু সেটা দেশের ভিতরেই। তাই সবাই মিলে ঠিক করলাম যে সিলেটে যাবো।


তো সবাই মিলে বেরিয়ে পড়লাম সিলেট এর উদ্দেশ্যে। সব ফ্রেন্ড একসাথে যাবো তাই বাসে করেই যাচ্ছিলাম। কিন্তু বাসে উঠে বাধে এক বিপত্তি। আমার সব ফ্রেন্ড এর সিট এক জায়গায় পড়েছিলো আর আমার সিট পড়েছিল এক মেয়ের সাথে।

তাই কিছু করার না থাকায় বাধ্য হয়ে ঐ সিটে বসে পড়ি। কিছক্ষন পড়ে যখন মেয়েটি আসে আমি তার দিকে তাকিয়ে রিতিমত টাস্কি খায়। কারন এত সুন্দরী মেয়ে আমি এর আগে কখনো দেখি নাই।


মেয়েটির পরে ছিলো একটা নেভিব্লু লং থ্রি-পিচ তার সাথে মেচিং জুয়েলারি সাথে হালকা সাজ। দেখে মনে হচ্ছিল জান্নাতের অপ্সরী। আমি তার দিকে এক ধিয়ানে তাকিয়ে ছিলাম। আমার এভাবে তাকানো দেখে মেয়েটি বলে উঠে ।


মেয়েটিঃ এই যে মিস্টার দেখা শেষ হইলে আমাকে বসার যায়গা টা দিন।
মেয়েটির এমন কথাই আমি কিছুটা লজ্জা বোধ করি তাই আর কিছু না বলে ওনানে বাসার যায়গাটা দিয়ে দিই। কিছক্ষন পরে বাস ছেড়ে দেই।

মেয়েটি কিছক্ষন পরে আমায় জিঙ্গেসা করে।


মেয়েটিঃ হাই আমি ইশা। আপনার নাম টা কি যানতে পারি।

আমিঃ আমি রাজ।( বাহ চেহারার সাথে নামেরও মিল আছে)

ইশাঃ সিলেট যাচ্ছেন নিশ্চয়।

আমিঃ আপনি কেমন করে যানলেন ( শালার এমন আবাল তো জীবনেও দেখি নাই সিলেট এর বাসে করে মানুষ অন্য কোথাও কি যাইতে পারে বলেন তো।

ইশাঃ হুম, এইটা আপনি বুঝবেন না মিস্টার।

আমিঃ ( রাখ তোর বুঝা বুঝি) ওওও

ইশাঃ হুম।

তখন আমি তাকে বললাম যে আপনি কি একাই যাচ্ছেন নাকি উত্তরে সে বলল।

ইশাঃ একা কেন যাবো আমার সাথে তো আপনি আছেন তাই না ( হেসে কথাটি বলল)

আমিঃ আপনি যদি চান তাহলে সত্ত্যিই যেতে পারি।( মনে মনে বললাম)

ইশাঃ কিছু বললেন।

আমিঃ কই না তো….

চলবে….

#শালিকা_যখন_বউ
#part_6_7
#Written_by_Adnan_Sami_Raj

ইশাঃ ওও,,আমি মনে করছিলাম হইতো কিছু বললেন।

আমিঃ না আমি তো কিছুই বলি নাই। তা সিলেটে কোথায় যাচ্ছেন।

ইশাঃ এই তো ফ্রেন্ডদের সাথে ঘুরতে যাইতেছি। আর আপনি।

আমিঃ আমিও তো ফ্রেন্ডদের সাথেই যাচ্ছি।

ইশাঃ আপনি কি স্টুডেন্ট নাকি জব টব করেন??

আমিঃ আমি হলাম,,( না আসল পরিচয় টা দেওয়া যাবে না)

ইশাঃ আপনি হলেন কি (ভুরু কুচকে)

আমিঃ আমি একটা সফটওয়্যার কম্পানিতে জব করি(মিথ্যা পরিচয় দিলাম)

ইশাঃ ওওও


তারপর ইশার সাথে আরো অনেক কথা হলো। তখন যানতে পারলাম সে অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী। এভাবেই আমদের পরিচয় হয়। তারপর পরিচয় থেকে ভালোবাসা। আমি আর ইশা অনেক ভালো ফ্রেন্ড হয়ে গেছিলাম। আমরা সিলেট থেকে ফিরে এসেও একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতাম একদিন আমি ইশাকে প্রপোজ করি আর ইশাও সেটা একসেপ্ট করে। কিন্তু রিলেশনে থাকা অবস্থায়ও আমি আমার আসল পরিচয় টা ইশাকে জানাই নি। আমি চেয়েছিলাম ইশা কে এটা সারপ্রাইজ দিবো। কিন্তু পরে যে আমি নিজেই সারপ্রাইজড হয়ে যাবো এইটা ভাবতে পারি নাই। ( কথা গুলা বলে নিজের অজান্তেই আমার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেছিল সেটা বুঝতেই পারি নাই)


আমি কিছুক্ষন পরে নিশির দিকে লক্ষ্য করে দেখি সেও কান্না কিরছে তখন আমি তাকে বলি।

আমিঃ একি তুমি কান্না করছো কেন।।

নিশিঃ আপনি আপুকে এতটা ভালোবাসতে। আর আপু আপনার সাথে কি করল।

আমিঃ যা হওয়ার তাতো হয়েই গেছে। আর এখন তুমি আমার স্ত্রী এটাই সত্যি। আর আমি চাই এই সম্পর্কটা ভালো ভাবে নিভাতে।

নিশিঃ হুম আমি চেষ্টা করবো। তার আগে বলেন আপনি আর কখনো আপুর কথা মনে করবেন না। ( আমাকে জড়িয়ে ধরে)

আমিঃ হুম কথা দিলাম ( নিশি আমাকে এভাবে জড়িয়ে ধরবে আমি সেটা ভাবতেও পারি নাই। কেন যেন নিশির এভাবে জড়িয়ে ধরা আমার অনেক ভালোই লাগছে)

আমিঃ এইযে মিস এবার কি আমাকে ছাড়বেন।

কথাটি বলা মাত্র নিশি আমাকে ছেড়ে দিলো। আর নিশির মুখ একদম লজ্জাই লাল হয়ে আছে। তখন আমি নিশি কে আমার কোলের উপর বসিয়ে ওর চুলে বিলি কেটে দিতে দিতে বললাম।

আমিঃ আমাকে ছেড়ে কখনো যাবে নাতো।

নিশিঃ না কখনোই না।


তারপর আমি নিশির কপালে আলতো করে একটা চুমু খেলাম। আর আমার ঠোটের ছোয়া পাওয়া মাত্র নিশি কেপে উঠলো।

আমিঃ এখন যাও ফ্রেশ হয়ে আসো। আজ এমনিতেও অনেক ধকল গেছে। আগামীকাল থেকে আমরা নতুন জীবন শুরু করবো।

নিশিঃ হুম ( আমার কথায় হইতো কিছুটা লজ্জা পেয়েছে)


তারপর নিশি ফ্রেশ হয়ে আসে আর আমি নিশিকে জড়িয়ে ধরে সুয়ে পড়ি( এইকয় দিনে আমি নিশিকে অনেটাই ভালোবেসে ফেলেছি)

চলবে…….

(গল্পটা কি Happy ending দিবো নাকি sad ending সবাই নিজের মতামত দিবেন)

#শালিকা_যখন_বউ
#part_7
#Written_by_Adnan_Sami_Raj

পরের দিন সকাল বেলা নিশির আগেই ঘুম ভেঙ্গে যাই। আমি ঘুম থেকে উঠে যখন বসতে যাবো তখন দেখি নিশি আমার বুকের মাঝে শুয়ে আছে। আর নিশির ঘুমন্ত চেহারা টা অনেক সুন্দর লাগছে। হইতো সব মেয়েদের ঘুমন্ত চেহারা এক রকম হয় কিন্তু নিশির মতো কারো হয় না।


তখন আমি খেয়াল করে দেখি নিশির মুখের উপর কিছুটা চুল এসে পড়েছে যার কারনে তার ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। তাই আমি নিশির মুখের উপর থেকে চুল গুলা সরিয়ে কানের সাথে গুজে দিই। তখনি আমার চোখ আটকে যাই নিশির গোলাপি ঠোটের উপর। আমি নিজের অজান্তেই নিশির ঠোটে চুমু দিয়ে বসি। আর তখুনি নিশি জেগে যাই।


আমাকে ওর এত কাছে দেখে নিশি কিছূটা ঘাবরে যাই। আর আমি ওকে কিস করেছি এটা বুঝতে পেরে নিশি লজ্জা পেয়ে আমার বুকের মাঝে মুখ লুকিয়ে ফেলে। তখন আমি নিশি কে বলি।


আমিঃ এই কি হলো তোমার আর এমন কেন করছো।

নিশিঃ আমার মনে হয় লজ্জা করে না।

আমিঃ বাবা এখনি এত লজ্জা তাহলে রাতে যা হবে তখন কি করবা।

নিশিঃ যাহ ফাজিল কোথাকার মুখে কিছু আটকায় না ( বলে আবার আমার বুকে মুখ গুজলো)

আমিঃ নিশি জানো তোমার ঠোটের স্বাদ কিন্তু সেইরকম( নিশিকে লজ্জা দেওয়ার জন্য)

নিশিঃ যাহ ( এই বলে ওয়াশ রুমে পালালো)

আর আমি বসে বসে ভাবতে লাগলাম পাগলি টা এই কয় দিনে আমাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছে। আর আমিও ওকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি)


কিছুক্ষন পরে নিশি ওয়াশরুম থেকে বাহির হলো আর আমি ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। আমি ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি নিশি চুল মুচছে। তখন আমি নিশি কে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরি। আর নিশির চুলের মধ্যে নাক ডুবিয়ে দিই এতে নিশি কিছূটা কেপে উঠে।


আমি নিশির চুলের গন্ধে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম। নিশির ডাকে আমার ঘোর ভাঙ্গল। নিশি আমাকে বলল,,,,

নিশিঃ এই যে মিস্টার অফিসে যাবেন না নাকি।

আমিঃ এত সুন্দর বউ রেখে কিভাবে অফিস যাই বলতো। তার চেয়ে বরং চল তুমি আর আমি ঘুরতে যাই।

নিশিঃ সত্যি বলছেন ( অনেক খুশি হয়ে

আমিঃ না মিথ্যা বলছি।

আমার কথা শুনে নিশির হাসি মাখা মুখ নিমিষেয় গায়েব হয়ে গেল। তখন আমি বললাম,,

আমিঃ থাক আর ঢং করতে হবে না, তারাতারি গিয়ে রেডি হয়ে আসুন।

নিশিঃ আপনি অনেক কিউট ( বলে আমাকে কিস করে এক দৌড়ে পালালো)

আমি তখন মনে মনে বললাম পাগলী একটা। কিছুক্ষন পরে নিশি নেভি-ব্লু শাড়ি পরে বের হল। আর সাথে হাল্কা সাজ। এতে নিশিকে আরো বেশি সুন্দরী লাগছিলো। তারপর নিশি আমার কাছে এসে বলে,,,


নিশিঃ চলুন আমি রেডি।

আমিঃ হুম চলো,,

তারপর আমি ম্যানেজার কে ফোন দিয়ে আসতে বলি (ম্যানেজার মানে ইশার হাজবেন্ড)

কিছুক্ষন পরে ইশা ও তার হাজবেন্ড আসে। আর আমাকে বলে।

মেহেদীঃ স্যার আপনি যা যা বলেছিলেন সব রেডি।

আমিঃ ধন্যবাদ মেহেদী সাহেব।

মেহেদীঃ আরে এতে ধন্যবাদ দেওয়ার কি আছে।

আমিঃ মেহেদী সাহেব আমি আপনাকে একটা জিনিস আনতে বলেছিলাম সেটা কি এনেছেন।

মেহেদীঃ হ্যা স্যার এনেছি,, এই নিন ( আমার দিকে একটা পেকেট এগিয়ে দিয়ে)

তখন আমি নিশি কে ডাকি আর জিঙ্গেসা করি এই টা কেমন হয়েছে। আপনাদের তো বলতেই ভুলে গিয়েছি ওই পেকেটের মধ্যে একটা নেকলেস ছিলো। যেটা আমি নিশির জন্য আনতে বলেছিলাম।

নিশিঃ Wow its so Gorgeus..

আমিঃ হুম এবার পড়ুন দেখি।

নিশিঃ এটা আমার জন্য,,

আমিঃ হুম এবার পড়ুন তো।

নিশিঃ না আপনি আমাকে পড়িয়ে দিই।

তো কি আর করার সবার সামনে আমি নিশিকে ণেকলেস টা পড়িয়ে দিলাম। পড়ানোর পর ইশার দিকে তাকিয়ে দেখি সে কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে নিশির দিকে। হইতো সে এটা ভাবছে যে যা ওর পাওয়ার কথা ছিলো সেটা তার ছোটবোন পাইতেছে।


তারপর আমি আর নিশি ঘুরতে বাহির হলাম। সারাদিন ঘুরা ঘুরি করে যখন নদীর ধারে গিয়ে বসলাম তখন নিশি বলল যে সে ফুচকা খাবে। অনেক বোঝানোর পরেও কোনো লাভ হইলো না তাই তাকে ফুচকা খেতে নিয়ে গেলাম। আর আমি নিশির ফুচকা খাওয়া দেখে অবাক না হয়ে পারলাম না। মেয়েরা এত ফুচকা কিভাবে খেতে পারে সেটা আল্লাই ভালো জানে।


প্রায় অনেক রাত হয়ে যাই বাসাই ফিরতে। তারপর বাসাই ফিরেই আমি ওয়াশ রুমে চলে যাই ফ্রেশ হতে। আমি বের হওয়ার পরে নিশি ডুকে। কিছুক্ষন পরে নিশি বাহির হয়। তখন আমি নিশিকে গিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরি আর বলি।

আমিঃ সকালে কি বলেছিলাম মনে আছে।

নিশি উত্তরে শুধু মাথা নাড়ালো।

আমিঃ তাহলে শুরু করা যাক।

নিশিঃ আমি কি নিষেধ করেছি নাকি।

আমি নিশির সায় পেয়ে ওকে কোলে তুলে নিই আর বিছানায় গিয়ে রাখি।


তারপর আমি নিশির গলায় আস্তে করে কয়েটা কিস করি। এতে নিশির নিশ্বাস আস্তে আস্তে ঘন হতে থাকে। তারপর আমরা দুজন হারিয়ে যাই ভালোবাসার অতলে।
(আর কিছু কমু না লজ্জা লাগে)


পরের দিন সকালে নিশির ডাকে আমার ঘুম ভাঙ্গে। নিশি মাত্র গোসল করে এসেছে। আর ওকে দেখতেও অসাধারণ লাগছে। তাই আমি নিশিকে এক টানে আমার বুকের উপর নিয়ে আসি তখন নিশি বলে

নিশিঃ সারারাত দুষ্টুমি করেও হয় নাই। এখন আবার শুরু করেছেন।
তারাতারি রেডি হয়ে অফিস জান।

আমিঃ ওকে বাবা আমি যাইতেছি তার আগে একটা কিস দাও।

নিশিঃ একটা দিলে যাবেন।

আমিঃ হুম যাবো।

তারপর নিশি আমাকে একটা কিস দেয়। আর আমিও উঠে ফ্রেশ হয়ে অফিসে চলে যাই। কিছুদিন পরে আমি আর নিশি আমাদের বাসাই চলে আসি আর সেখান থেকেই অফিস শুরু করি।


খুনসুটি ভালোবাসাই আমাদের দিন খুব ভালোই চলছিলো কিন্তু একদিন হঠাৎ করেই সব কিছু এলোমেলো হয়ে যাই। যা আমাকে আর নিশি কে….

চলবে…..

(গল্পের একটা নতুন মোর নিতে চলেছে যা আগামী পর্ব থেকে যানতে পারবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here