শ্যামাকন্যাতে আসক্ত পর্ব -০৫

#শ্যামাকন্যাতে_আসক্ত

#লেখনীতেঃহৃদিতা_ইসলাম_কথা

বেড থেকে ফ্লোরে যেইনা পা রাখবে পৃথা অমনি হুট করেই কেউ তাকে কোলে তুলে নিল।ঘটনাটি এতটাই দ্রুত ঘটে যে পৃথা খানিকক্ষণের আটকে যায়।যখন হুশ ফিরে তখন সে খুব বেশি ছটফট করতে থাকে অর্নর কোল থেকে নামার জন্য। কিন্তু অর্ন ওকে বেশ শক্ত করেই ধরেছে।

বিরক্ত নিয়ে অর্নর দিকে রাগী লুক দিয়ে ভারী কন্ঠে বলল পৃথা,

— ছাড়ুন বলছি।একদম আদিক্ষ্যেতা দেখাবেন না বলে দিচ্ছি। আপনার সাহস কি করে হলো আমাকে টাচ আমার। আমি আপনাকে মানি না, আর না আমাদের বিয়ের কোন মুল্য আছে আমার কাছে।এই সম্পর্কটা শুধুই একটা বাধ্যবাধকতা তাই আপনি নিজের লিমিটের মধ্যে থাকুন।কাছে আসার চেষ্টা করবেন না আর না আমাকে ছোয়ার।মাইন্ড ইট।

বেশ চেচিয়ে কথাগুলো বলে আবারো ছটফট করদে শুরু করে দিল পৃথা।অর্ন এবার বাকা হেসে আগ্রাসী কন্ঠে বললো,

— তুমি যদি না চাও এখানে তোমার অনিচ্ছাকৃত কিছু ঘটুক তাহলে চুপ করে থাকো।নয়তো এখানেই ফেলে দিব।এতদিন কিছু বলিনি বলে কি ভেবেছ নিজের মর্জি মত সব করবে তা হবে না ম্যাডাম। এতদিন তোমাকে সময় দিয়েছিলাম নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য কিন্তু তুমি তার অপপ্রয়োগ করেছো তাই এখন সবটা আমার ইচ্ছেতে হবে।সবটা মানে সবটা। বুঝতে পারছো আমি ঠিক কি মিন করতে চাইছে।আই নো ইউ নো ভেরি ওয়েল হোয়াট আই মিন।

বলেই দুষ্টু হেসে চোখ মারলো পৃথাকে। পৃথা তো তাজ্জব বনে গেছে।এমন কিছু সে কখনোই আশা করেনি অর্নর থেকে। এই তিনদিনের অর্ন আর আজকের অর্নর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। অর্নর চোখে মুখে দুষ্টুমির ঝলক।পৃথা খানিকটা ভয় পেল। শুকনো ঢোক গিলে গলাটা হালকা ভিজিয়ে আমতা আমতা করে বলে উঠল,

— হ্ হোয়াট ডু ই্ ইউ মিন বাই দ্যাট? ক্ কি বলতে আর ব্ বোঝাতে চ্ চাইছেন আপনি?

— সেটা কি এখানেই বলতে হবে।দেখো বেডরুমের ব্যপারে তো সব জায়গায় আলোচনা করা যায় না।সেটা সমীচীন নয়।তাই যা করার বেডরুমে গিয়েই করবো।

বলেই দুষ্টু হাসি দিল অর্ন।সে জানে যে কিভাবে এই বাঘিনীকে কব্জা করতে হবে।কালকে রাতের ঘটনার পর অর্ন সবটা বুঝে গেছে যে পৃথা কি করতে চাইছে আর কেনই বা করছে এসব কিছু।ওর একমাত্র উদ্দেশ্য অর্নকে আঘাতে আঘাতে জর্জরিত করা।আর এটা তখনই সম্ভব হবে যখন ও নিজেকে আঘাত করবে।তাই সে সবসময় নিজেকে কষ্ট দিয়েছে যাতে তার মাধ্যমে অর্নকে কষ্টে জর্জরিত করতে পারে। ও জানে ওর আঘাত মানে অর্নর বুকে প্রলয়।কিন্তু পৃথা এখনই অর্নর ভালোবাসার গভীরতা বোঝার চেষ্টা করছে না।কেননা সে ভিষন জেদি আর রাগী । রাগের বশে নিজের যোগ্য ভালোবাসার মানুষটিকে সে দুরে ঢেলে দিচ্ছে।সে এখন আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। কাউকে না কারন সবাই ঠকবাজ প্রতারক। কেননা সে একবার ঠকেছে ভালোবাসা তাই তারজন্য সবকিছু মেনে নেওয়া এতটাও সহজ নয়।আর অর্নর প্রতি ঘৃনার মুল কারন হলো অর্ন তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে করেছে।জোর করে সবকিছু পেলেও ভালোবাসা পাওয়া যায় না কারন সেটা মনের ব্যাপার। যেখানে মনের রাজত্ব চলে সেখানে অন্য কোন কিছুর পরোয়া করে না এই বেহায়া মন।

ওদের কথপোকথনের মধ্যেই একজন নার্স প্রবেশ করে।ওদের এভাবে দেখে সে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকে।প্রানের ভয় তার এখন আর হচ্ছে না।কাল রাতের অর্নর করা পাগলামির পর পুরো হসপিটাল বুঝে গেছে অর্ন খানের প্রান ভোমরা এই রুপসীর মধ্যে।পৃথা নার্সকে দেখেই লজ্জায় নেতিয়ে যায়।এভাবে কখনো কারো কোলে চরেনি সে এমনিতেই তার ভিষন রকম অস্বস্তি হচ্ছে তার মধ্যে এই চরম বেহায়া বেশরম লোক যা তা বলে যাচ্ছে। লজ্জায় রাগে ক্ষোভে তার তো মরে যেতেই ইচ্ছে করছে। তারপর এখন আবার নার্সের সামনেও এভাবে কোলে তুলে রেখেছে।অসভ্য বজ্জাত পাজি লোক একটা।পৃথা এবার অর্নর কানের কাছে মুখটা নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল,

— এক্ষুনি নামিয়ে দিন আমায়।লজ্জা করছে না এভাবে সবার সামনে কোলে তুলে রেখেছেন।আপনার মানসম্মান নাই থাকতে পারে আমার আছে।আমার প্রেসটিজ কেনো পাঞ্চার করছেন। নামান, নামান বলছি আর একমুহূর্ত ও নয় অনেক সহ্য করেছি।

অর্ন এবার মৃদু হেসে নার্সের দিকে ঘুরে বললো,

— আরে আরে এখানে লজ্জা পাওয়ার কি আছে বল তো আমি তো আমার বউকেই কোলে নিয়েছি তাই না।নার্সকে তো আর কোলে তুলি নি।

শেষের কথাগুলো পৃথার কানে কানে বলে দুষ্টু হাসি ফুটিয়ে তুললো ঠোটের কোনে।পৃথার তো চোখ কোটর বেরিয়ে আসার উপক্রম।

— কি বলে এই লোক।এতবড় সাহস ঘরে বউ থাকতে কিনা বাইরের একটা মেয়েকে কোলে নেওয়ার কথা চিন্তা কেছে তাও আবার আমার কাছে।হারামি বজ্জাত খাটাশ মেয়েবাজ ছেলে।তোর গুষ্টির তুষ্টি।তোকে মবিলে চুবিয়ে মারবো।(মনেমনে)

মনেমনে এসব ভাবছে আর রাগে ফুসছে।যার বহিঃপ্রকাশ তার চোখেমুখে ফুটে উঠেছে। যেনো চোখ দিয়েই ভস্ম করে দিতে ইচ্ছে করছে তার।অর্নর পৃথার চোখের ভাষা বুঝতে পেরে শব্দ করে হেসে দিল। এই হাসিতে যেন গা পিত্তি জ্বলে গেল পৃথার।অর্ন বুঝতে পারছে বেশ ভালো করেই যে পৃথা তার এমন উক্তিতে বেশ রেগে গেছে। ওক৷ আরও একটু রাগীয়ে দিতে ইচ্ছে করছে অর্নর।তাই সে আবারো পৃথার কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললো,

–নার্সটা কিন্তু খুব হট।দেখতে পাচ্ছো তোমার এই হ্যান্ডসাম বরের দিকে কেমন ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে। এখনও সময় আছে মেনে নাও আমায় নইলে দেখা যাবে তোমার বর তোমার হাতছাড়া হয়ে গেল।এমন সুন্দরী নার্স সামনে থাকলে কি করে আর একলা থাকি বলো।এমনিতে তুমি আমায় বর হিসেবে মানো না আর বিয়েটাকে মেনে নিতে চাইছো।তাহলে এক কাজ করি আমি আবার একটা বিয়ে করেনিই কি বলো? তোমার মত ঝগড়ুটে মেয়েকে নিয়ে আর থাকতে পারছি না।

বেশ সিরিয়াস ভঙ্গিতে কথাগুলো বলে পুনরায় নার্সের দিকে চোখ ফেরালো।এমনিতেই ওর কথায় পৃথার গায়ে যেন কেউ কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে এমনভাবে জ্বলছে আর সে আবার এই নার্সকে দেখছে।পৃথার এখন ইচ্ছে করছে এই ছেলেটার চোখদুটো গেলে দিতে।চরিত্রহীন একটা।ঘরে বউ রেখে অন্য মেয়েকে দেখা হচ্ছে। সময় আসুক একবার শোধ তুলবো এর আমি।

রাগে ফোস ফোস করে নিশ্বাস ছাড়ছে পৃথা।তা দেখে অর্ন ঠোঁট চেপে হাসি দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।কেন যেন ওর ভালোলাগছে পৃথাকে এইভাবে রাগাতে পেরে। বেশ মজা পাচ্ছে ও।পৃথাকে দেখিয়ে দেখিয়ে ও নার্সটার সাথে হেসে কথা বলার চেষ্টা করছে।

মেয়েটা অল্পবয়সী। এইতো সতেরো আঠারো হবে।দেখতেও বেশ সুন্দরী যা পৃথার একদমই ভালো লাগছে না।কিন্তু খারাপ লাগার কারনও সে খুজে পাচ্ছে না।সে বুঝতে পারছে তার এই মেয়েটাকে একদমই সহ্য হচ্ছে না।সে বিরক্ত ওদের দুজনের উপর। কি দরকার অর্নর এভাবে হেসে হেসে কথা বলার।

অর্ন পৃথার অবস্থা বুঝতে পেরে মেয়েটিকে বলে উঠলো,

–তুমি না দেখতে বেশ সুন্দরী। নাম কি তোমার?

মেয়েটা যেন আকাশোর চাঁদ হাতে পেয়েছে।এতবড় একজন পলিটিশিয়ানের ছেলে অর্ন খান।যে ভবিষ্যৎ লিডার হবে সে কিনা তাকে সুন্দরী বলছে।এতো আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার থেকেও বেশি খুশি সে।খুশি যেন তার ধরছে না।খুশিতে গদগদ হয়ে বললো,

— জ্ জ্বী স্যার। আ আমার নাম মিথিলা।আ্ আপনি তো অর্ন খান তাই না। আপনি আমার অনেক প্রিয় একজন মানুষ। আমাদের এলাকার৷ সব মেয়েরা আপনার জন্য পাগল।সবাই আপনাকে খুব ভালোবাসে।

— উনি কি কোন সেলিব্রেটি যে আপনারা উনার জন্য পাগল। ওই তো একটা গুন্ডা।সারাদিন গুন্ডামি করে বেড়ায়। রাজনীতির অপব্যবহার করে।একজন অসৎ লোক। ওনার জন্য পাগল হওয়ার কি আছে শুনি।

থমথমে মুখে বলে উঠলো পৃথা।ওর ভালো লাগছে অর্নকে নিয়ে কারো এরকম মাতামাতি এভাবে ভাবা সহ্য হচ্ছে না ওর।মনে হচ্ছে ভিতরে তি যেন একটা পুড়ছে।কোথাও কষ্ট হচ্ছে কিন্তু কেন হচ্ছে এমন ও তো আর অর্নকে ভালোবাসে না।তবে কেন এরকম অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে ওর।ও আর পারছে না এসব নিতে।চরম লেভেলের বিরক্ত যাকে বলে।ইচ্ছে করছে মেয়েটার সবগুলো চুল ছিড়ে ফেলি।

মেয়েটা হাসিমুখে বললো,

কি বলছেন কি ম্যাম! স্যার আমাদের আইডল।উনার কত ফ্যান ফলোয়িং জানেন আপনি।সবাই তো স্যারের মত আদর্শ একজন হতে চায়।স্যার কখনো অন্যায় কোন কাজ করে না। অন্যায়কারীকে শাস্তি দেন।তাই অন্যায় কারীরা স্যারকে যমের মত ভয় পায়।সাধারন মানুষ দো স্যারকে খুব ভালোবাসেন।স্যার তো আজ পর্যন্ত কারো ক্ষতি করেনি ম্যাম।আপনি কেন এমন বলছেন?

— করেছে!আমার ক্ষতি করেছে আমার লাইফটা হেল করে ছেড়েছে আপনার এই গুনধর বজ্জাত হনুমান রাক্ষস পলিটিশিয়ান।যান তো যান এখানথেকে ভালোলাগছে না আমার এসব। আমি একা থাকতে চাই।

মুহূর্তের মধ্যেই পৃথার কথাগুলো শুনে মেয়েটার মুখটা থমথমে হয়ে গেল। বেচারি ভাবতেও পারে নাই পৃথা তাকে এভাবে কথা শোনাবে।চুপসে যাওয়া মুখ নিয়ে নিম্নস্বরে বললো,

— আপনার ড্রেসিং করতে হবে ম্যাম। আমি করেই চলে যাবো।

–নাহ আমি আপনার কাছে ড্রেসিং করবো না।আপনি চলে যান আর আসবেন না বলে দিলাম।

মেয়েটা পৃথার এমন আচরনে বেশ কষ্ট পেল।পৃথা রাগের বশে এসব বলছে পরে রাগ পানি হলে সে নিজেও বুঝতে পারবে সে এটা ঠিক করেনি পরে তার এই নিয়ে আফসোসও হবে।কেন জানি আজ সে কোন কিছুর পরোয়া করছে না।সবকিছু যেন এলোমেলো হয়ে তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে ওর।

অর্ন ইশারায় মেয়েটাকে বেরিয়ে যেতে বোঝালো আর আশ্বস্ত করলো যে সে ওকে সামলে নিবে। আর এই সময় পৃথা প্রচন্ড রেগে আছে। নার্সটা বেরিয়ে যেতেই অর্ন পৃথাকে বেডে বসিয়ে দিয়ে নিজেও বেরিয়ে গেলো।বাইরেই মেয়েটা চলে যাচ্ছিলো।তাকে ডেকে তার কাছ গিয়ে অপরাধীর সুরে বললো,

— আমি ওর হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আসলে মজা করতে গিয়ে একটু বেশিই রেগে গেছে।তাই ও তোমাকে এভাবে….

–ন্ না স্যার আপনি ক্ষমা কেন চাইছেন প্লিজ এভাবে বলবেন না।আসলে আমি বুঝতে পারি নাই ম্যাম রেগে আছে।আর এখন উনি কোন কিছু নিয়ে আপসেট তাই উনার একটু এরকম উশৃংখল লাগছে চারপাশ।উনার রেস্ট প্রয়োজন তাহলে জলদি সুস্থ হবেন।আর আপনি প্লিজ স্যার আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে আমাকে ছোট করবেন না। আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ । আমি কিছুই মনে করিনি।আমি বরং কাউকে পাঠিয়ে দিচ্ছি ম্যামের ড্রেসিং করতে।আপনার অনেক উপকার আমার উপর।

বলেই মেয়েটি আর সময় নষ্ট না করে চলে গেল।সত্যি বলতে সে কষ্ট পেয়েছে। সেটা প্রকাশ না করলেও অর্ন বুঝতে পেরেছে।

—————————————

খানিকবাদে অন্য একজন নার্স এলো পৃথার ড্রেসিং করতে।পায়ের ব্যান্ডেজ খুলে ক্ষত স্থান পরিষ্কার করে মেডিসিন লাগিয়ে নতুন করে ব্যান্ডেজ করছে।পৃথা বারবার লক্ষ করছে এই নার্স মেয়েটি কাজের দিকে মন একদমই নেই।সে তো অর্নকে দেখতে ব্যস্ত।কিছুক্ষন পরপরই সে আড়চোখে অর্নকে দেখছে। যা পৃথার চোখের আড়াল হয়নি।

— একটাকে ভাগিয়েছি এবার আরেকটা এসে জুটেছে। এই ছেলের মধ্যে কি এমন আছে যে সবাই এমন চোখ দিয়ে গিলে খায়।

মনেমনে এসব কথা আওড়ানোর পর সে নিজেই অর্নকে পরোখ করতে চোখ তুলে চাইলো।অর্ন পকেটে একহাত গুজে স্টাইলের সাথে দাড়িয়ে ফোন স্ক্রল করছে।অসম্ভব সুন্দর লাগছে তাকে। গায়ে ব্রাউন কালারের একটা জ্যাকেট আর এ্যাশ কালার টিশার্ট গলা অবধি। চুলগুলো সেট করা।কিছু অবাধ্য চুল কপালে এসে পড়ছে।হাতে একটা ব্যান্ডেড ঘড়ি।পুরাই ক্রাশ লুক।লুক লাইক সাউথ সুপার স্টার হিরো প্রভাস।( আপনাদের অবগতির জন্য জানানো হচ্ছে যে আপনাদের লেখিকা প্রভাসের মস্ত বড় একজন ফ্যান😐।সো আমার গল্পে র হিরোগো লুক ঠিক প্রভাসের মতই হয়।সেটা আমার কল্পনা।)

সেই একটা লুক। এই লুকে প্রতিনিয়ত হাজারো মেয়ে আহত হয়,নিহত হয়,ঘায়েল হয়।কিন্তু প্রকাশ করতে পারে না।কারন সে অর্ন খান।ওয়ান অফ দ্যা গ্রেট হ্যান্ডসাম এন্ড ড্যাশিং ম্যান ইন দা ওয়াল্ড দ্যা গার্ল এভার সিন।(হিহিহিহি😁একটু কমই বলছি আমি😑)

পৃথা কখনো অর্নকে সেভাবে লক্ষ করেনি।আজ তার এই লুকে সে যেন ক্রাশ খেতে বাধ্য । ছোটখাটো একটা ক্রাশ সে ইতোমধ্যে খেয়ে ফেলেছে।এখন সে ভাবছে এই ক্রাশটাই না জানি তাকে বাশ দেয়।আজকের পর এর সাথে সাবধানে ডিল করতে হবে।হুট করেই অর্ন পৃথার দিকে ফিরতেই দুজনের চোখাচোখি হয়ে গেল। সাথে সাথে চোখ সরিয়ে নিল পৃথা।লজ্জা করছে তার। কি ভাবলো বজ্জাতটা। কি দরকার ছিল এভাবে দেখার।

অর্নর পৃথার অবস্থা দেখে ঠোঁট কামড়ে হাসছে। সে বুঝতে পারছে তার প্রেয়সী একটু একটু করে তাকে পছন্দ করতে শুরু করেছে। এভাবেই একটু একটু করে তাকে ভালোও বাসবে।সে আশা মনে সঞ্চার করছে সে।

#চলবে………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here