চারিদিকে নিকট কালো অন্ধকার। সেই অন্ধকারে মুখ বাঁধা অবস্থা পড়ে আছে,সাত মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী।তাঁকে উপর করে ফেলে রাখা হয়েছে, যাতে তাঁর কষ্ট হচ্ছে আকাশ সমান। আর সেই কষ্ট দেখে কেউ চাইছে উচ্চ সরে হাসতে।কিন্তু না সে হাসবে না,কারণ এখন হাসলে যে ওই রমনী বুঝে যাবে,সে কে ছিলো। কিন্তু না সে এতো তাড়াতাড়ি নিজেকে ধরা দিবে না।অনেক প্ল্যান করে সব কিছু সে সাজিয়েছে।এতো তাড়াতাড়ি কি করে ধরা পড়বে সে।কখনোই না।তারপর সেই মুখোশ ধারি লোক দরজা বন্ধ করে চলে গেলো।যেদিকে তাকায় মনি, সেদিকেই কালো অন্ধকার। চারিদিকে যখন গুমোট পরিস্থিতি তখনই হঠাৎ মিতুর পেটে ব্যথা শুরু হলো।এই ব্যথা না সয্য করা যায় না যায় চিৎকার করা।কিন্তু এখন এই মুহূর্তে চিৎকারও কেউ শুনবে না।কারণ সে জানে না সে কোথায় কি করে এলো।কিন্তু সে কোথায়।বারবার কেন তাঁর সাথেই এমন হয়। বুক ফাটা চিৎকার করে কাঁদতে থাকলো মনি।কিন্তু সেই কান্না কারো কান অবধি পৌঁছাতে পারলো না। আবারও শুরু হলো অসয্য ব্যথা,মাতৃত্বের কষ্ট বুঝি এমনই হয়।
শীতের শুরু। গ্রামে বেস ভালোই শীত পড়েছে। এই কনকনে শীতে গায়ে চাদর জড়িয়ে চারিদিকে সবাই টর্চ জ্বালিয়ে খুঁজছে কাউকে। সবার বুকে ভয়,আর চিন্তা।সবাই চিন্তা করছে একটা অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে কোথায় গেলো,তাঁর কোন বিপদ হলো না তো।নয়ন বেগম শুধু প্রলেপ কাটছে, তাঁর মনির সাথে যাওয়া উচিৎ ছিলো।কি জবাব দিবে সে নিয়াজ এলে।আর পাড়া প্রতিবেশী সবাই একথা ওকথা বলে শান্তনা দিচ্ছে। কিন্তু নয়ন বেগম একটা কথাই ভাবছে নিয়াজ এলে তাঁকে কি উত্তর দিবে। অবশেষে সবাই খালি হাতেই নিয়াজদের বাড়িতে এলো।নয়ন বেগম আরো কাঁদতে থাকে।একে তো মনির ওই অবস্থা তাঁর উপর কিছুদিন ধরে থেকে থেকে পেটে ব্যথা হচ্ছে। এই অবস্থায় মেয়েটা কোথায় গেলো।
ভর সন্ধ্যা বেলায় নিজের বাড়ির সামনে এতো লোকের সমাহার দেখে নিয়াজ একটু ভয় পেলো।সে জানে মনির শরীরটা আজকাল ভালো যাচ্ছে না।তাহলে কি মনির কিছু হলো।এসব ভাবতেই বুকটা ছেত করে উঠলো।সব কিছু ঠেলেঠুলে ভেতরে গিয়ে মা’কে বসে কাঁদতে দেখে একটু ভয়টা কয়েক গুণ বেড়ে গেলো।অফিসের ব্যাগটা কোন মতে একটি চেয়ারে রেখে ছুটে মায়ের পাশে বসলো।
মা কি হয়েছে।তুমি এভাবে কাঁদছো কেন।আর মনি, মনি কোথায়।
মনির কথা শুনতেই চিৎকার করে কাঁদতে থাকলো নয়ন বেগম।আর নিয়াজের বুকে ভয় ঝাপটে ধরলো।
মা শান্ত হও,কি হয়েছে বলো আমায়।
নিয়াজ,আছরের নামাজের পর,মনি বললো।ওর ভালো লাগছে না।তাই ও ওদের বাড়িতে আজকের রাতটা থাকবে।আমি আর না করিনি।তাই যাওয়ার অনুমতি দিলাম। আমিই ওকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু হঠাৎ আমি দুয়ারে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেলে ও একাই চলে যায়।কিন্তু সন্ধ্যায় মনির মা আসে মনিকে দেখতে,সে নাকি কিছু দিন ধরে দূ-স্বপ্ন দেখছে।আমি যখন বললাম,মনি ওদের বাড়ি গেছে তাও আছরের সময়।তখন মনির মা জানায় মনি তাঁদের বাড়িতে যায়নি।আমি সব জায়গায় খুঁজেছি। কিন্তু কোথাও ওকে পাওয়া যায়নি।আমি কি করবো বুঝতে পারছি না নিয়াজ।
মায়ের কথা শুনে নিয়াজ কি বলবে যেন কিছুই বুঝে উঠলো না।হঠাৎ কি ভেবে, ফোনটা বের করে একটি আননোন নাম্বারে ফোন দিলো।এই নাম্বার থেকে কিছুদিন ধরে আজেবাজে মেসেজ আসছিলো।তাহলে কি লোকটা সত্যি বলেছিলো।কিন্তু লোকটা কে,কেনই বা বারবার আমাকে সাবধান করেছিলো।সে কি জানতো এমন কিছুই হবে। সে কে ছিলো,যে আমায় মেসেজ দিয়ে সাবধান করতো।
চলবে,,
কেমন আছো, আমি আলহামদুলিল্লাহ। আমি আগেই ভেবেছিলাম গল্পটা সিজন টু লিখবো,কিন্তু তোমরা কেউ আমার কাছে সিজন টু চাওনি,তাই আর ইচ্ছে করেনি লেখার।কিন্তু গল্পটা অসমাপ্ত রয়ে গেছে, কারণ আমি নিজেই অসসমাপ্ত রেখে ছিলাম।তাই শেষ করতেই চলে এলাম।সিজন টু নিয়ে।
#সে-কে-ছিলো
সিজন ২
#সমুদ্রিত সুমি।