অতিরিক্ত চাওয়া { ২ }
২৬ |
বেলী ফোন হাতেই দরজায় হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। বন্ধ চোখের মাঝে ভাসছে আনন্দময় কিছু মুহুর্ত। যেখানে সকলের হাসিহাসি মুখ। তাদের দিক তাকিয়ে বেলী খিলখিল করে হাসছে। সেই হাসি দেখে আনন্দিত হচ্ছে তৃষ্ণা। তার মুগ্ধ নয়ন দেখে বেলী হাসির মাঝেও লজ্জা পাচ্ছে। হঠাৎ কিছুর আওয়াজে বেলীর ঘুম ভেঙে গেলো এবং সে উঠে দাঁড়ালো। ঘনঘন অন্ধকারে হালকা চাঁদের ছোঁয়া। অদ্ভুত কিছু শব্দ আসছে গাছগাছালির থেকে। শুনলেই শরীরের পশম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে প্রায়। বেলী মনোযোগ দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে রইলো। ভয় করছে কিন্তু তাও তার চোখ সরছে না।
—- এখনও জেগে যে?
হটাৎ মায়ের আওয়াজে কেঁপে উঠলো বেলী। থতমত খেয়ে বলল,
—- পানি খেতে।
খুশি ঘুম জড়ানো চোখ নিয়ে হেসে ফেলল,
—- পানি না দক্ষিণে। তুই পেছনের দরজায় এমন লুকিয়ে দাঁড়িয়ে পানির আশায়?
—- যে..যেতাম। এইতো যাচ্ছিলাম মা।
খুশি বেলীর কান টেনে ধরলো,
—- বড় হইগেছিস? মিথ্যে বলছিস যে? আমি দেখলাম তুই এখানে ঘুমিয়ে পড়েছিলি?
বেলী ভরকে গেল। এবং ক্রমাগত মাথা নাড়াচ্ছে।
আড়চোখে মায়ের ঠোঁটে এখনও হাসি দেখতে পেয়ে কিছুটা সেও জোর করে হাসলো। সেটা খেয়াল করে খুশি একটু আওয়াজ করেই হেসে ফেলল। বেলী করুন চোখে তাকিয়ে। হাসি থামিয়ে খুশি বেলীর মুখের দিক কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো। মাথায় হাত বুলালো। গালে কিছুক্ষণ হাত ছুঁয়ে, মেয়েকে বুকে জড়িয়ে নিলেন। বেলীর চুল গুছিয়ে দিতে দিতে বলল,
—- আমার সেই ছোট্ট বেলী-টি বড় হয়েছে। এখন সে আর টুকটুক করে রান্নাঘরে গিয়ে বসে বসে কাঁদেনা খাওয়ার জন্য। আর আমাকেও এখন আর ঘুম ফেলে গিয়ে মধ্যরাতে উঠে তাকে খাওয়ানো লাগে না। এখন সে নিজেই পারে সব। এইতো বিয়ের প্রস্তাব আসছে। আর মাত্র কয়বছরই বা রাখতে পারবো।
বেলী খুশির বুকে মাথা গুঁজে দিল। ছোট ছোট চোখ করে মায়ের পড়ন্ত শাড়িটির দিক তাকিয়ে রইল। খুশি বেলীর মুখের দিক তাকিয়ে প্রশ্ন করল,
—- তৃষ্ণা কে সত্যি পছন্দ করিস?
বেলীকে চুপ থাকতে সে আবারও প্রশ্ন করলো,
—- তৃষ্ণাকে ভালো লাগে?
বেলী অস্ফুট স্বরে উত্তর দিলো,
—- হু!
—- এখন কেমন আছে সে?
বেলী লজ্জা পেয়ে গেলো। মা’কে আরেকটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
ঘুমুতে গিয়ে দেখল আবিদ কল দিচ্ছে। রিসিভ করতেই আবিদের দ্রুত কথা,
—- বেলী চিন্তা করিও না। ভাইকে নিয়ে আসছি বাড়ি।
—- ঘুমাচ্ছে?
—- না! শুধু শুধু চেচাচ্ছে।
—- চেচাচ্ছে?
—- মানে উল্টপাল্টা বকছে। তোমার জেনে কাজ নেই। যাও ঘুমাও।
আবিদ কল কেঁটে দিলো। বেলী চুপচাপ শুয়ে। তৃষ্ণার চেহারাটা বারবার ভেসে উঠছে চোখের সামনে। আবার হঠাৎ তৃষ্ণার সাথে ফোনালাপের কথা মনে হতেই, লজ্জায় লাল হয়ে উঠলো। দ্রুত বালিশে মুখ গুঁজে ফেলল। রাত্রিযাপন হলো বেলীর কিছু অদ্ভুত স্বপ্নে। যেই স্বপ্নে সে কোনো সুখের দুনিয়ায়। কোনো মায়ার দুনিয়ায়।
পরপর দু’দিন থেকে বাড়ি ফিরেছে হাওলাদার বাড়ি। বিকেলে পৌঁছে বেলী আগে টাম্মিকে আনতে চলে গেছে। সে শীলাদের বাড়িতে টাম্মিকে রেখে গিয়েছিল। হাঁটতে গিয়ে বেলী বারবার ভাবছে তৃষ্ণার কথা। লোকটা আবার এ-ই দু’দিন কল করেনি কেন? খবর ও নিলো না?
কিন্তু আবিদ, আয়ুশ, অভি এঁরা কিন্তু ঠিকই খবর নিয়েছে। এঁরা আবার বেলীকে প্রায়াই কল করে। এবং এটাসেটা জিজ্ঞেস করতেই থাকবে। মাথা ধরিয়ে দেওয়ার মতো প্রশ্ন যাকে বলে।
শীলার বাড়ি পৌঁছে বেলী দিব্বি মহা আলাপে লিপ্ত হয়ে গেলো। কয়েকদিনের যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিয়ে দুই বান্ধবী মেতে উঠলো। এদিকে সন্ধ্যা হয়ে আসছে তাদের দুজনের কথা আর ফুরোচ্ছে না। একসময় বেলী শীলার মা’কে রাজি করিয়ে শীলাকে সঙ্গে নিয়ে চলল তাদের বাড়ি। পেছনে টাম্মি আওয়াজ করে চেঁচাচ্ছে। কথার মাঝে শীলা হঠাৎ বলল,
—- কাল ভাইকে ম্যাসেজ দিয়েছিলাম ম্যাসেঞ্জারে। আর সে রিপ্লাইও দিয়েছিল।
বেলী আঁড়চোখে তাকাল,
—- কি কথা হলো।
—- তোকে বলা যাবেনা।
বেলী ভ্রু কুঁচকালো।
—- না বললে নেই।
শীলা মিটমিট হাসছে। বেলী ধরাং করে উঠলো,
—- যাহ, যাহ বাড়ি যা। ঢং।
শীলা এবার হো হো হো করতে লাগলো। ভয়ংকর একটা থাপ্পড় দিল বেলীর মাথায়।
—- গাঁধি। বিমান আপু আর অভি ভাইয়ার বিয়ের কথা চলছে। সে ব্যাপারে কথা বললাম। জিজ্ঞেস করলাম বিয়েতে আমি ইনভাইটেশন পাব নাকি।
—- তোকে ইনভাইট করব না। ভাগ।
—- আচ্ছা? ভাই ত বলল। এ-ই বিয়েতে তোকে নাকি কাছেও ঘেঁষতে দেবেনা। আমিতো ইনভাইটেশন পেয়েই গেছি।
বেলী মহাবিরক্ত হলো,
—- ইশশ। হাবিলদারগিরী করছ যে? আমাকে কাছে ঘেঁষতে দেবেনা? ঘেঁষতে যাবে কে। সে-ই আসবে নাচতে নাচতে।
কথাটা বলেই বেলী নিজেই জিহ্বা কামড়ে ধরলো। শীলা বেলীর ঘাড়ে হাত রাখল,
—- আসলে কি দিবি?
বেলী লজ্জা পেয়ে যায়।
—- ধুরর।
বাড়ি বরাবর এসে বেলী বেশ চমকে উঠলো। প্রচুর আওয়াজ আসছে হাসাহাসির। বাড়ির সব লাইটসগুলো জ্বালানো। শীলা ‘ কি হইসে ‘ বলতে বলতে দৌড়। বেলী উঠানে আসতেই বাড়ির পেছনে দু’তিনটে গাড়ি দেখেই নড়েচড়ে দাঁড়ালো। কিছুক্ষণ বাড়ির দরজার দিক তাকিয়ে থাকলো। সে স্পষ্ট অনেকের চেনাজানা আওয়াজ শুনছে। বুক ধুকপুক করছে। বেলী না চাইতেও ধীরে এগিয়ে গেলো। ভেতরে প্রবেশ করতেই তৃষা প্রবল বেগে বেলীকে জড়িয়ে ধরলো,
—- আপু। কেমন আছ?
বেলী অবাক নিয়েই তৃষাকে জড়িয়ে নিলো। তারপর চারপাশে সকলের দিক তাকিয়ে হালকা আওয়াজে জবাব দিলো,
—- ভালো। তুমি?
—- অনেক্কক ভালো। জানো ভাই আর বিমান আপুর বিয়ের কথা হচ্ছে। এ-ই মাসেই হবে। আমরা বিয়ে খাব। ইয়েএএ।
তৃষা বেলীর হাত টেনে ভেতরে নিতে নিতে বলতে থাকল,
—- তৃষ ভাই, অলরেডি এনাউন্সড করেছে আমরা ঢাকা যাব যাবতীয় শপিং-র জন্য। অ্যান্ড সেই বাহানে আমরা মামার নতুন বাড়ি ভিজিট করতে পারব। আর ঘুড়তে ও। মজা হবে তাই না?
বেলী অচল ভঙ্গিতে মাথা নাড়ালো। মাঝে মাঝে তার ইচ্ছে করে পৃথীবির দানবীয় চুমুটা তৃষাকে দিতে। মেয়েটা এমন আহ্লাদী যে আদর না করে পারা যায় না। বেলী ভালোভাবে মানুষ ভর্তি রুমে চোখ বুলালো। চৌধুরী বাড়ির সব হাজির। জয়া, আমিদ, আমিদের দুই ভাই। সেই দুই ভাইয়ের বউ। সোলাইমান, অঞ্জলি, আবির, আয়েশা, আবিদ, আয়ুশ, অভি, তৃষা। সব হাজির। বেলীর ভাবনার মাঝেই জয়া তৃষাকে বকে ফেলল,
—- এতো বাচাল মেয়েটা। ধীরে কথা বললে কী হবে? কথা কী কেউ কেঁড়ে নিচ্ছে?
তৃষা হাত দিয়ে তার মা’কে চুপ করতে বলল,
—- কথা আটকে কেন বলব? যা বলব একদম এক সেন্ট্যান্সে। একদমে বলে ফেলব। আমার থেকে শিখবে তা না উল্টো কথা শোনাচ্ছ। বাদ দাও,
তৃষা আবার বেলীর দিক কনসেন্ট্রেশন দিলো,
—- আমি কাল ভেবেছি গায়ে হলুদের জন্য কোন ডিজাইন বেষ্ট হবে। সেই ডিজাইন অনুযায়ী ড্রেস-আপ হবে। আমি, তুমি, ভাবী, মামী আর আরিকা আপুও। তাকেও ইনভাইটেশন পাঠানো হবে। আমরা ঢাকা গেলে তাদের সাথেও দেখা করব। উই উইল বি এনজয়ইং দিস ম্যারেজ লাইক নো টমোরো।
বেলী মিষ্টি হেসে মাথা দুলালো। এবং ছোট্ট করে তৃষার গাল টেনে দিলো। আবিদ এসে তৃষার মাথায় টোকা দিয়ে চুল টেনে ধরলো,
—- এতো কথা আল্লাহ আল্লাহ। আমাদের মাথা তো খাস। এখানে এসেও থামছিস না।
তৃষা আবিদের হাত সরিয়ে চেঁচালো।
—- দেখো, ছোট চাচা তোমার দামড়া ছেলের কাজ কারবার। আমাকেই সজ্জ করতেই পারে না। তারজন্যই তো চাচি বলে একমাত্র ছেলে তাও মানুষ হলো না। আরে তোমার ভাগ্য ভালো আমার মতো বোন পেয়েছ। আল্লাহ আল্লাহ চুল ছাড়।
আবিদের আব্বু আশরাফুল দুষ্টুমির স্বরে ধমকালেন,
—- আবিদ।
আবিদ হাসতে হাসতে তৃষার কান টেনে দিলো।
আমিদ বেশ হাসিখুশি মুখ নিয়ে বসে। সে মেয়ের দুষ্টুমি বুক ফুলিয়ে দেখছেন। পাশেই তার দুই ছোট ভাই বসে। অভি আর আয়ুশের আব্বু মেজো ভাই হাসিবুলের। আর ছোট ভাই আশরাফুলের একমাত্র ছেলে আবিদ। তাদের বংশে মেয়ে জিনিসটা খুব কম। যেমন তার কোনো বোন নেই। তারা তিন ভাই। তেমনি দুই ভাইয়ের এতো ইচ্ছা হওয়ায় তাদের একজনেরও মেয়ে হয়নি। সবই ছেলে। এবং তার নিজেরই মেয়ে হচ্ছিলো না। দুইটা ছেলে সোলাইমান আর তৃষ্ণাকে নিয়ে আমিদ একটি মেয়ের আশায় জীবন প্রায় নেতিয়ে। অবশেষে আল্লাহ্-র অশেষ রহমতে এ-ই ছোট মেয়ে। যার কারণে চৌদ্দ কূলের ভালোবাসা পায় তৃষা। আমিদ বেশ আদেশের স্বরে বললেন,
—- তৃষু আম্মুর পাশে বস।
তৃষা আঁড়চোখে তাকিয়ে আবারও বেলীর হাত ধরলো।
আনন্দ হতচকিত হয়ে আছেন। বাড়িতে তেমন কিছুই নেই। হঠাৎ চৌধুরী বাড়ির আগমনে সে বিচলিত। দ্রুত ছোট ছেলেকে নিয়ে ছুটেছে কাছের কোনো দোকানে। এদিকে খুশি চা বানিয়ে সবাইকে দিতে ব্যাস্ত। জয়া, অঞ্জলি, আয়েশা বেশ মিলিয়ে তাকে সাহায্য করে যাচ্ছে। চা দিতে দিতে খুশি জিজ্ঞেস করলো,
—- তৃষ্ণ কোথায়?
জয়া জবাব দিলো,
—- একটু সুস্থ হয়েছে এখন ওঁকে কাছে পাওয়া যায়।
সোলাইমান চায়ে চুমুক দিতে দিতে বলল,
—- মাথায় আছে মা। সিগারেট ফুঁকছে। চলে আসবে।
বেলী নিজেও বারবার আশপাশ তাকাচ্ছিল। অনেকক্ষণ যাবত মনের অজানা প্রশ্ন জানতে পেরে সে দরজার দিক তাকালো।
ঠিক তখনি ধরাং আওয়াজে দরজা খুলে প্রবেশ করলো তৃষ্ণা। তার হাতে ব্যাগ। পেছনে আনন্দ আর আনন্দে বিচলিত বাবলু হাতে নারকেল নিয়ে লাফিয়ে ঢুকছে। খুশি দ্রুত ব্যাগ তৃষ্ণা হতে ব্যাগ নিয়ে নিলো,
—- তুমি কেন কষ্ট করতে গেলে।
তৃষ্ণা ততক্ষণে তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে বেলীকে দমিয়ে ফেলেছে। আনন্দ আমিদদের পাশে বসতে বসতে হাসিমুখে বললেন,
—- রাস্তার মাথায় পেয়েছি। আমি কত না করলাম। কিন্তু সে নিজেই আনলো।
বেলীর হাত টেনে তৃষা বলল,
—- চল তোমার রুম দেখাবে।
অভি হঠাৎ দ্রুত উঠে দাঁড়ালো,
—- হ্যাঁ আমিও দেখব।
সেটা লক্ষ্য করে বড়রা হাসলেও আবিদ, আয়ুশ অভিকে নিয়ে মজা করতে লাগলো। শীলা হাসতে হাসতে বলল,
—- এতো দেখার তাড়া? হু?
অভি চোখ টিপ মারল। এবং সবাই পেছনের রুমগুল দেখতে চলল। বেলী আঁড়চোখে তৃষ্ণার চাহনি লক্ষ্য করে অন্যদিক তাকাচ্ছে। সেদিনের ফোনালাপের পর বেলীর মন প্রচন্ড লাফাচ্ছে। সামনাসামনি তৃষ্ণাকে দেখতে পেয়ে বেলীর হাত পা কাঁপছে প্রায়। সে যথাযথ তৃষ্ণা থেকে দূরে দূরে থাকছে। আর তৃষার সাথে চলছে। পেছনের রুমে বিমান বসেছিল। সবাইকে দেখে দ্রুত বিছানা থেকে নামলো। অভিকে দেখে বিমানের বেশ লজ্জা লাগছে। অদ্ভুত মনের যন্ত্রণা নিয়ে সে নিচেই তাকিয়ে। অভি মুচকি হেসে এগিয়ে গেলো।
বেলী অন্যমনস্ক হয়ে হাসছিল। হঠাৎ কেউ হাত চেপে ধরায় বেলী ধড়ফড়িয়ে সেদিকে তাকায়। তৃষ্ণা তার পাশে দাঁড়িয়ে। এবং আড়ালে হাতের পাতা চেপে ধরেছে। বেলীর দিক ভ্রু উঁচু করে তাকাল,
—- কীরে ফকিন্নি। তোর দেখাসাক্ষাৎ পাওয়ার জন্য দেখি আমায় বিয়ের ঢোল বাজাতে হচ্ছে।
বেলী আঁড়চোখে তাকিয়ে হাত ছুটাতে চাইল। এবং তৃষ্ণা হাত ছেড়েও দিলো। পরক্ষনেই বেলীর টের পেলো কোমরে ছোঁয়া। কেঁপে উঠার আগেই, ” মা’গো ” বলে চেঁচালো। চোখে টলমল পানি নিয়ে সে তৃষ্ণার দিক তাকালো! এতো জোরে চিমটি কেটেছে যে বেলীর কোমরে চিনচিন ব্যাথা অনুভব হচ্ছে। বেলী অভিমানে সরতে নিলে তৃষ্ণা তার কোমরের চিমটির যায়গায় দানবীয় টোকা দিয়ে ধীরে বলল,
—- তোর সাথে অনেক হিসাবনিকাশ আছে। একা পেতে দে।
বেলী সেখানেই মুর্তি হয়ে রইলো। তৃষ্ণা চলে যাচ্ছে। বেলী নিজ নিজেই বলল,
—- আমি যাবই না আপনার সামনে। হু।
চলবে…