#রিপোস্ট
#অন্তরালের_কথা
লেখা – জান্নাতুল ফেরদৌস মাটি
পর্ব – ৩৮
.
.
” আমারও অনেক কিছু ভালো লাগে না ভাইয়া কিন্তু সেগুলো আমাকে করতে হয়। আর এটা তো সামান্য বিষয় এটা সহ্য করতে পারছ না ভাইয়া? ”
বলেই তিহান মুখ ফিরিয়ে নিল অতলের থেকে। আর লিমাকে সোজাসাপ্টা বলল,
” তোমাদের আরও কিছু নিয়ম থাকলে বলতে পারো। আমি সেগুলোর টাকাও এখন দিয়ে দিব। কিন্তু পরে কোনো ঝামেলা যেন না-হয়। ”
” জ্বি, আচ্ছা দুলাভাই। ”
” তো বলো আর কত দেয়া লাগবে? ”
পেছন থেকে আইরিন বেগম বিয়ের গেইটের কাছে আসতে আসতে বললেন,
” আর কোনো টাকা লাগবে না বাবা। যা দিয়েছ এর মাঝেই সব পুষিয়ে নিবে ওরা। ”
লিমা চোখমুখ কুচকে বলল,
” কিন্তু ফুপি….”
” কোনো ফুপি টুপি না। আমার জামাইকে সহজ সরল পেয়ে তোদের ধান্দা করা শুরু হয়েছে তাই না? যা ভাগ এখান থেকে। ছেলেটাকে সেই কখন থেকে এখানে দাঁড় করিয়ে রেখেছিস খেয়াল আছে? ”
” আচ্ছা আচ্ছা, আমরা আর কিচ্ছু চাইব না। তারপরও তুমি রেগে যেও না প্লিজ। ”
আইরিন বেগম তিহানের দিকে ফিরে হাসি মুখ করে বললেন,
” কিছু মনে করো না বাবা। ছেলে মানুষ তো তাই আর কি….”
” না না, আন্টি কোনো সমস্যা নেই। ”
” সমস্যা থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহ্য করতে হয় বাবা। বিয়েতো জীবনে একটাই। এরকম হৈচৈ একটু থাকবেই। তা নাহলে বিয়ে বাড়ি যে বিয়ে বাড়িই মনে হবে না। ”
” জ্বি। ”
এর মাঝে লিমা বলে উঠলো,
” দুলাভাই আগে কেঁচি নিয়ে ফিতেটা কাটুন। ফুপির যে এখানে কিছু কাজ আছে। ফিতে না কাটলে কাজগুলো করবে কীভাবে? ”
লিমা কেঁচি দিতে দিতে কথাগুলো বলছিল। লিমার কথা শেষ হতেই তিহান লিমার হাত থেকে কেঁচিটি নয়ে ফিতে কেটে দিল। আর সাথে সাথে চারিদিক যেন একটা হৈচৈ পড়ে গেল চিৎকার, হাসি ও হাতে তালির আওয়াজে।
সামনে থেকে আইরিন বেগম বললেন,
” এবার আমার কিছু নিয়ম পালন করা বাকি আছে৷ দু’মিনিট কষ্ট করে দাঁড়াও বাবা। ”
” জ্বি আন্টি। ”
আইরিন বেগম মুচকি হেসে তার পাশে মিষ্টির ট্রে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির দিকে তাকালো। মেয়েটি ট্রে টি এগিয়ে দিতেই সেখান থেকে কাটা চামচ দিয়ে একটি মিষ্টি উঠিয়ে তিহানের মুখের সামনে ধরতেই তিহান বলল,
” আন্টি আমি মিষ্টি খাই না। বলতে পারেন পছন্দ করি না। ”
” সবসময় সব পছন্দ অপছন্দকে যে পাত্তা দিতে নেই বাবা। ”
তিহান আর কিছু বলতে পারল না। মুখ খুলে হা করতেই আইরিন বেগম গোটা মিষ্টি টি পুরে দিল তিহানের মুখে। মিষ্টি খাওয়া শেষ হতেই ট্রেতে থাকা পানির গ্লাসটি আইরিন বেগম হাতে নিয়ে সেটিও তিহানকে খাইয়ে দিল। তারপর মুচকি হেসে বললেন,
” এবার এসো বাবা। ”
আইরিন বেগমের কথানুযায়ী তিহান গেইটের ভেতরে পা রাখতেই চারিদিক থেকে গাঁদাফুল ও গোলাপফুলের পাপড়ি দিয়ে তিহানকে বরন করা শুরু হলো। একমুহূর্তের জন্য তিহান ভেবেছিল এ যেন শুধু ফুলের পাপড়ি নয় এ যেন ফুলের পাপড়ির বৃষ্টি হচ্ছে যেটা কিনা সে বিলাস করতে ব্যস্ত।
.
শেরওয়ানি, পাগড়ী পড়ে নতুন বরের ন্যায় সাজলেও চোখ মুখের হাবভাব দেখে কারো বলার সাধ্য নেই আজকের বিয়েতে তিহানই বর। তিহানের মুখের ঝলক দেখে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে, ওকে হয়তো কেউ জোর করে বসিয়েছে বিয়ের পীরিতে। চোখের ইশারায় নেই কাউকে দেখার আগ্রহ, ঠোঁটের কোণে নেই কোনো লুকানো হাসির ছাপ, চিন্তাভাবনায় নেই কোনো জমিয়ে রাখা বাসনার বিচরণ। তবে এসব বিষয় পরিলক্ষিত না হলেও তিহানের অন্যমনস্কতার ছাপ ঠিকই উপস্থিত থাকা সবার চোখেই ক্ষানিকটা হলেও দাগ কেটে যায়। আর এ নিয়ে বেশ কথার ঝড়ও উঠে সকলের মুখে মুখে। তবে ঝড়টি শান্ত প্রকৃতির হওয়ায় তেমন কোন অসম্মান জনক পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয়নি নিদ্রা ও তিহানের পরিবারের। তারপরও যতটুকুই কথা হয়েছে সেটুকু কেও তিহান পাত্তা দেয়নি। উল্টো অন্যমনস্ক হয়ে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তানহার দিকে।
আর মনে মনে ভাবলো,
” জীবনটা এভাবে বদলে যাবে ভাবেনি কখনো সে। জীবনের গতিবিধিটা যেন বড্ড এলোমেলো হয়ে গেল তার জন্য। দু’দিকের অনুভূতিগুলো এখন নেই আগের মতো। সবই এখন কেবল অতীত। অনুভূতিগুলো হারিয়ে যখন যাবেই কেন তাহলে টার্ন নিয়ে তার পরিবারের মাঝে ফিরে এলো! এ জগৎ সংসারে কী কম পরিবার আছে! সেখানে গিয়েও তো পড়তে পারতো। এই সংসারেই বা কেন! ”
ভেবেই তানহার দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিল তিহান। শুধু যে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়েছে তা নয়। বেশ কঠোর ভাবেই ফিরিয়ে নিয়েছে।
.
আজ আইরিন বেগমের কথাগুলো যেন নিদ্রাকে প্রচন্ডভাবে ঝেঁকে ধরেছে। কথাগুলো যে নতুন শুনেছে তা নয় তবে আজ কেন যেন কথাগুলো মনের মাঝে গেঁথে গিয়েছে নিদ্রার। তাইতো কোনপ্রকার নড়াচড়া ছাড়াই বিছানার মাঝ বরাবর চুপটি করে বসে আছে। যেরকমটা বিয়ের কনেরা বসে থাকে ঠিক সেরকম।
এদিকে ঘরের দরজা দিয়ে লিমা ঢুকতে ঢুকতে হাসি মুখ করে বলল,
” এই যে নিদ্রা রানী! চলেন আপনার ডাক পড়েছে। ”
নিদ্রা মুখে কিছু না বলে চট করে উঠে দাঁড়িয়ে গেল। আর বলল,
” হুম, চল। ”
হঠাৎ করে নিদ্রার এরকম শান্তশিষ্ট ব্যবহার দেখে লিমা কিছুটা চমকে গেল! চোখ মুখ কুচকে বলল,
” নিদ্রা তোর কী হয়েছে? শরীর ঠিক আছে তো? ”
” কেন? এ কথা বললি কেন? ”
” না মানে.. তুই লক্ষী মেয়ের মতো আমার এক ডাকেই উঠে দাঁড়িয়ে পড়লি তাও আবার উল্টো-পালটা প্রশ্ন না করেই তাই আর কী বললাম। ”
” তুই কী বলতে চাচ্ছিস লিমা? আমি কি লক্ষী না? আমি অলক্ষী? ”
” আরে না না, সেটা বলব কেন? আমি বলেছি….”
” থাক আর কথা বাড়াতে হবে না। নাহলে মা এসে আবার রাগ করবে। ”
” ওহ্! এখন বুঝতে পেরেছি তুই কেন এতো চুপচাপ! ”
” ওই লিমার বাচ্চা তোকে কতবার বলেছি আমাকে তুই করে বলবি না। আমি কি তোর ছোট যে এভাবে তুই তুই করে বলিস? ”
” বেশি একটা বড়ও না কিন্তু। ”
” বেশি একটা বড়ও না মানে কি? হ্যাঁ! মানে কি? ১ ঘন্টার বড়ও তো বড় তাই না? সেই জায়গায় আমি তোর থেকে পুরো ২ মাস ৭ দিনের বড়। তাহলে বেশি একটা বড় হলাম না কি করে বল? ”
” কুল বেবি কুল। অকারণে এতো চেঁচাস না। চেঁচালে নিজের গলাটা কেই খারাপ করবি এছাড়া আর কিছুই না। আমি আগেও তোকে তুমি বলি নিই আর আজও বলব না। তাই শুধু শুধু চেঁচিয়ে বাড়িটিকে মাথায় তুলিস না। ”
” আমি চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় তুলছি? আর তুই,তুই কী করছিস? ”
” আমি ঘাস করেছি। এবার তুই যাবি নাকি ফুপিকে আমি ডাক দিব? ”
” তোর হাতিয়ার তো ওই একাটাই। এছাড়া আর কি করবি তুই? যত্তসব আজাইরা মেয়ে মানুষ। হুহ….”
বলেই লিমাকে ফেলে ঘটঘট করে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যেতে নিলে লিমা পেছন থেকে দৌড়ে এসে নিদ্রাকে ঝাপটে ধরল। নিদ্রার কাঁধে লিমা নিজের থুতনি রেখে কাঁপা গলায় বলল,
” আজতো চলেই যাবি। আজ রাগ না করলেই কী নয়? ”
লিমার কথা শুনে নিদ্রার আচমকা বুকের মাঝে ধক করে উঠলো। মুহূর্তের মাঝে চোখের কোণে জল চলে আসলো। পেছনে ফিরে লিমার দুগালে হাত রেখে কান্নাভেজা কন্ঠে বলল,
” মা, বাবাকে দেখে রাখিস লিমা। আমিতো থাকব না। বাবা-মা বড্ড একা হয়ে যাবে রে। শ্বশুর বাড়ী কেমন তাও জানি না। তারা ঘনঘন আসতে দিবে কি না তাও বলতে পারি না। তাই তোকেই আমার পরিবর্তে বাবা-মায়ের কাছে আসতে হবে। কি আসবি না? ”
” না এসে কী পারবো? এটা যে আমার নিদ্রা আপুর হুকুম। ”
” তুই আমাকে আপু বললি! ”
” তুইতো আমার আপুই রে। এতকাল তো দুষ্টুমি করে বলতাম। তোকে রাগানোর জন্য। তবে আজ না-হয় তোর ইচ্ছেরটাই বলি! ”
লিমার বলতে দেরি হলেও লিমাকে জড়িয়ে ধরে নিদ্রার কাঁদতে দেরি হলো না।
এর মাঝেই ঘরে চলে এলো আইরিন বেগম। মেয়ে নিদ্রাকে জড়িয়ে ধরে বিছানায় বসালো। শাড়ির আঁচল দিয়ে নিজের চোখ দুটো মুছে বললেন,
” কোথাও যেতে হবে না মা। তুই এই রুমেই বস। কাজী সাহেব যে এই রুমের চলে আসবে। ”
নিদ্রা সেকথায় খেয়াল না দিয়ে মায়ের বুকে মাথা রেখে জড়িয়ে ধরে ঠোঁট বাকিয়ে বলল,
” তুমি কাঁদছ কেন মা? তোমার অনেক কষ্ট হচ্ছে তাই না? কিন্তু আমিতো তোমাদের অনেক জ্বালাতন করতাম তারপরও তুমি এভাবে কাঁদছ মা! ”
” তোর জ্বালাতন যদি মনের মাঝে কষ্ট দিত তাহলে কি আজ চোখে নোনা জলের ধারা গুলো হাতছানি দিত পাগলী? ”
” মা তুমি কেঁদো না প্লিজ। তুমি কাঁদলে যে আমার কষ্ট হয়। কেন বুঝো না? ”
” না চাইলেও যে চোখে জল চলে আসে কি করব বল? ”
” ওড়না দিয়ে চোখে চেপে ধরে রাখো তাহলেই আর কাঁদবে না। ”
” কি যে বলিস না! কান্নার মাঝেও হাসি চলে আসে। পাগলী মেয়ে আমার। ”
আইরিন বেগম ও নিদ্রার কথার মাঝে কয়েকজন মহিলা ও কাজী সাহেব ঘরে চলে এলো। লিমা দ্রুত তার ফুপি আইরিন বেগমকে বলল,
” ফুপি! কাজী সাহেব চলে এসেছে নিদ্রাকে ঠিক করে বসিয়ে দাও। ”
মেয়েকে বুকে জড়িয়েই আইরিন বেগম লিমার কথায় মাথা ঝাঁকিয়ে শায় দিল। নিদ্রাকে বুক থেকে সরিয়ে সোজা করে বসিয়ে দিল। নিদ্রার ঘোমটা টেনে ঠিক করে দিতে দিতে বললেন,
” মেয়ে আমার তৈরি কাজী সাহেব, আপনি নিয়মকানুন শুরু করুন। ”
তানহা দূর থেকে তাকিয়ে আছে ঘরের দিকে। সাহস পাচ্ছে না ঘরের ভেতর প্রবেশ করার। এ অবধি অতল বাদেই কম করে হলেও ৫ থেকে ৬ জন এসে তানহাকে জোড়াজুড়ি করেছে ঘরে যাবার জন্য। তবে তানহা যায়নি। যাবেই বা কি করে! সে ঘরে যে তিহানের ভবিষ্যৎ গড়ার কার্যক্রম চলছে। ইচ্ছে থাকলেও তানহা যেতে পারছে না সে ঘরে হাত পায়ের কাঁপুনির জন্য। তাই গেস্ট রুমের বিছানায় বসে ড্রয়িং রুমের দিকে তাকিয়ে আছে তানহা। আর মনে মনে ভাবছে,
” চোখের আড়াল হলেই মনে আড়াল হওয়া যায়। তাইতো এতগুলো দিন তানহা দিব্যি ছিল। তবে আজ কেন কষ্ট হচ্ছে তার! কেন মনের কোণে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত অনুভূতিগুলো বেসামাল হয়ে উঠছে! আচ্ছা এ অনুভূতিগুলো বেসামাল হওয়ার কারণ কি তিহানের বিয়ের জন্য! নাকি তিহানের নামকে অন্যের নামের সাথে সংযুক্ত করার জন্য! তবে যেটাই হোক না কেন তার তো কিছু যায় আসার কথা না। সেতো অতলকে ভালোবাসে। তাহলে বিনা কারণে তার এ কষ্ট উন্মোচনই বা কেন! তাহলে কি সবার কথাই ঠিক! প্রথম অনুভূতিগুলো কি সত্যি ভোলা যায় না! হাজার সুখে, শান্তিতে থেকেও কি অতীত করা যায় না সেই প্রথম অনুভূতিকে! ”
ভেবেই টপ করে জল গড়িয়ে পড়লো তানহার চোখ থেকে। ব্যাপারটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য তানহা দ্রুত চোখের জল মুছে ফেললেও শেষ পর্যন্ত পারলো না দুটি মানুষের চারটি চোখের দৃষ্টির থেকে নিজের চোখের ভাষাকে লুকিয়ে রাখতে।
তিহান দূর থেকে সবকিছু লক্ষ্য করলেও কাছে এসে তানহার এই নোনা বৃষ্টির কারণ জিজ্ঞেস করবার অধিকার টুকু নেই। যেটা অতলের আছে। তবে অতল সেই অধিকার টুকু কাজে না লাগিয়ে মাথা নিচু করে ছোট্ট একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চোখ দুটো বুজে ফের মাথা উঁচু করে মুচকি হাসি দিয়ে তিহানকে বলল,
” ভাই! কাজী সাহেব তোকে ডাকছে। ছেলে মানুষের এতো সময় নিলে কি চলে?সবাইতো হাসবে তোকে নিয়ে। দ্রুত কবুল বলে ফেলতো ভাই। ”
অতলের কথায় হুশ ফিরল তিহানের। দ্রুত তানহার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে স্বাভাবিক কন্ঠে বলল,
” আলহামদুলিল্লাহ, কবুল কবুল কবুল। ”
তিহানের মুখে কবুল শব্দটি শুনামাত্রই সকলেই একত্রে আলহামদুলিল্লাহ বলে উঠলো। তারপর ছোট বড় সবাই মোনাজাত ধরে তিহান ও নিদ্রার নতুন দাম্পত্য জীবনের জন্য দোয়া করে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করল।
মোনাজাত শেষ হতেই নিদ্রার বাবা ফিরোজ আলম তার একমাত্র বেয়াই অর্থাৎআনিস খন্দকারকে বললেন,
” ভাই! আলহামদুলিল্লাহ বিয়েটা তো হয়ে গেল এবার খাওয়া দাওয়ার পর্বটা সেরে ফেললে ভালো হতো না! ”
” সেতো খাবই তবে তার আগে তোমার অভ্যাসটা পরিবর্তন করো। তা-নাহলে আজ আর খাবার খাওয়া হবে না তোমার বাড়িতে। ”
” কেন ভাই? আমি আবার কী করলাম?”
” এই যে, এই মাত্রও তো করেছ। ”
” কিন্তু করেছিটা কী সেটা তো বলবেন? ”
.
.
চলবে….