#রিপোস্ট
#অন্তরালের_কথা
লেখা – জান্নাতুল ফেরদৌস মাটি
পর্ব – ৪৪
.
.
” কিছুক্ষণ আগেতো এই কথাটাই বললাম, সুখে থাকার ইচ্ছে হলে চলে যাও। এখানে থাকার জন্য কেউ তোমায় বাধ্য করেনি আর না হাতে পায়ে ধরে বলেছে এখানে থাকতে। যত্তসব… ”
বলেই তিহান ওয়াশরুমে চলে গেল ফ্রেশ হতে।
এদিকে নিদ্রা ঠাই দাঁড়িয়ে রইলো তার নিজ গন্ডিতে আর তাকিয়ে রইলো তিহানের যাওয়ার পথে।
.
রাতের খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করে যে যার ঘরে চলে গেল। কেবল ঘরে গেল না নিদ্রা। সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে সে চলে গেল বাগানের দিকে। পরনে সবুজ রঙের সেলওয়ার কামিজ থাকলেও গায়ে জড়ানো ওড়নাটি সাদা। মুক্ত আকাশের ধবধবে সাদা চাঁদের সাথে ভাব ফুটাতেই যেন এ সাদা ওড়নার আগমন জানিয়েছে নিদ্রা তার নিজ শরীরে।
ওড়নাটি শরীরের সাথে ভালোভাবে পেঁচিয়ে মাথায় হাফ ঘোমটা দিয়ে আনমনে হেঁটে যাচ্ছে নিদ্রা। শুধু যে হেঁটে যাচ্ছে তা না, চোখের জল নাকের জলও এক করছে। কিছুক্ষণ পর পর নাক টানছে আর চুপচাপ হেঁটে বেড়াচ্ছে বাগানের এপাশ থেকে ওপাশ।
এভাবে ঠিক কতক্ষণ এক ধ্যানে নিদ্রা হেঁটে চোখের জল ফেলেছে তার জানা নেই। তবে হঠাৎই খচখচ শব্দে নিদ্রার ধ্যান ভেঙে গেল। চারিপাশে তাকাতে দেখে ঘুটঘুটে আঁধার, শো শো বাতাস, বিভিন্ন ঝোপঝাড় থেকে ঝিঁঝি পোকার ডাক ভেসে আসছে। আকাশের দিকে মাথা তুলে তাকিয়ে চাঁদের অবস্থান দেখে স্পষ্ট বুঝে গেল মাঝরাত হতে বেশি একটা দেরি নেই। বেশ ভয় পেতে লাগল নিদ্রা। কিন্তু তার যে ভয়কে জয় করতে হবে আর এই উদ্দেশ্যেই যে তার আজ বাগানে চলে আসা। যে জীবন তার একার সে জীবনে ভয় পেলে চলবে কী করে? তাই নিজের মনকে শক্ত করে আবারও পায়চারি করতে লাগল বাগানের শিউলি গাছের তলায়। এমন সময় ফের সেই খচখচ শব্দ নিদ্রার কানে এলো। ভালোভাবে সামনে তাকাতেই দেখে মোবাইল টর্চ জ্বালিয়ে কে যেন তার দিকে তেড়ে আসছে। কিছুটা সামনে আসতেই দেখে মানুষটি অন্য কেউ নয় তারই অবহেলা কারী তিহান। চোখ দুটো ফিরিয়ে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে বলল,
” আপনি এতো রাতে এখানে কী করছেন? ”
” এই একই প্রশ্নটি যদি আমি তোমায় করি যে, তুমি এই নিঝুম রাতে এখানে কী করছ? ”
” আমায় প্রশ্ন করার অধিকার কি আপনার আছে? না মানে আপনি কি সেই অধিকারটি অর্জন করতে পেরেছেন? ”
” অধিকার অর্জন না করলে কি প্রশ্ন করা যায় না? ”
” হয়তো যায় কিংবা যায় না। ”
” ওহ্! সে যাই হোক প্রশ্ন যখন করে ফেলেছি উত্তরটা দিয়ে দেওয়াই কি ভালো নয়? ”
” চন্দ্র বিলাস করতে এসেছি আর কিছু জিজ্ঞেস করার আছে? ”
” চন্দ্র বিলাস কি বাড়ির ছাদ থেকে করা যায় না? এই মাঝরাতে বাড়ির বাইরে ঝোপঝাড়ের আড়ালে গিয়ে চন্দ্র বিলাস করা কি খুব প্রয়োজন?”
” আপনার কাছে প্রয়োজন না হলেও আমার কাছে প্রয়োজন। আর এখানে কাছে কোথাও বাবার বাড়ি নেই যে ছাদে গিয়ে চন্দ্র বিলাস করব। তাই বাগানের ঝোপঝাড়টি উপযুক্ত আমার জন্য। ”
” যে বাড়িতে আছ সে বাড়ির ছাদ তোমায় কি করল যে, বাবার বাড়ির ছাদের কথা বলছ! ”
” ছাদ! সেতো জড়বস্তু। তার কি ক্ষমতা আছে আমায় কিছু করার? তবে হ্যাঁ, এ ছাদের নিচে কিছু মানুষ বাস করে তাদের ব্যবহারই যথেষ্ট বাবার বাড়ি মনে করিয়ে দেবার জন্য। ”
” ও, তো কিছু মানুষ না-কি একজন মানুষ কোনটা? ”
” যার মনে যেটা লাফ দিয়ে উঠে, আমি কি বলব বলুন? ”
” তোমার সাথে কথায় পেরে উঠব না, সে আমি খুব ভালো করেই জানি। তাই এ বিষয় কথা না বলাই শ্রেয়। ”
” আপনাকে কেউ ফোর্স করেনি কথা বলতে হবে। ”
” সে আমি জানি। ”
কিছুটা সময় থেমে নিদ্রার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ছুঁড়ে তিহান বলল,
” মনের মাঝে মা হবার শখ জেগেছে? ”
নিদ্রা চোখ দুটো বড় বড় করে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে রইলো তিহানের দিকে। লজ্জায় ইচ্ছে করছে এখনি সে মরে যাক! মুখে কিছু বলতে পারছে না, হাত পা কাঁপছে। মুহূর্তের মাঝে হাত পা কাঁপুনির সাথে সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে জমে এসে অবশ হয়ে যাচ্ছে। তিহান স্বাভাবিক ভাবেই বলল,
” কি ব্যাপার উত্তর দিচ্ছ না যে? ভুল কিছু বলেছি কি আমি? ”
নিদ্রা চোখ বুজে একদমে বলল,
” ঠিক কিরকম উত্তর শুনতে চাচ্ছেন আপনি? ”
” যেরকমটা বলেছিলে ঠিক সেরকম। ”
” আমার শখের প্রাধান্য আদৌ কি আছে আপনার কাছে? না মানে আমার কিসে শখ সেটা কি আপনি বুঝতে পারেন? ”
” আমার বুঝা দিয়ে কী হবে যদি সেটি তোমার কাজেই না আসতে পারে। ”
” যেহেতু কাজে আসবেই না তাহলে বুঝতে এসেছেন কেন? ”
” তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে নিদ্রা। আমি কিন্তু বুঝতে আসিনি। আমি এসেছি জানতে। ”
” বুঝা আর জানা কিন্তু একই কথা। ”
” কখনোই না। এ দুটো দুই অর্থ প্রকাশ করে। ”
” কিন্তু আপনি যেটি জানতে এসেছেন সেই ক্ষেত্রে এ দুটোর অর্থ কিন্তু একই। ”
” বয়স অনুযায়ী তোমার এসব বিষয় নিয়ে আমার সাথে কথা বলতে লজ্জা লাগে না? ”
” কবুল বলে আপনার গলায় যখন ঝুলেছি যদি সংসার টিকে যায় ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায়, একদিন না একদিন আপনার সন্তানের মা তো হতেই হবে। তাহলে লজ্জা পেয়ে লাভ কি? ”
” ভালোবাসতে পারব না জেনেও আমার সন্তানের মা হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করো তবে? ”
” ইচ্ছা জিনিসটা মরে গেলে যে আমি নিজেও মরে যাব। ”
” বয়সই বা কত তোমার যে, বারবার মা হওয়ার ইচ্ছা নিজের মাঝে জাগ্রত করছ।”
” বিয়ে যখন অল্প বয়সে হয়েছে মা হওয়ার ইচ্ছেও তো অল্প বয়সেই হবে তাই না? ”
” তুমি কিন্তু চার মাস আগেও এরকম ছিলে না। এক বাচ্চাসুলভ আচরণ সর্বক্ষণ বিরাজ করতো তোমার মাঝে। হঠাৎ কি এমন হলো যে, বাচ্চা থেকে সোজা বড় হয়ে মা হবার যোগ্য নিজেকে মনে করছ! ”
নিদ্রা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,
” কি করব বলুন, আপনি যে বুড়োর খাতায় নাম লিখিয়ে ফেলেছেন। ”
” মজা করছ আমায় নিয়ে? এতো ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে না বলে সোজাসাপ্টা বললেই পারো যে, আপনার জঘন্য ব্যবহারে খারাপ হতে বাধ্য হয়েছি। ”
” এটা আপনার মনের কথা আমার নয়। তাই এই কথাগুলো আপনার মত সোজাসাপ্টা বলতে পারলাম না দুঃখিত। ”
মুখ ফসকে তিহান বলল,
” আমার জায়গায় দাঁড়ালে তুমি বুঝতে পারতে সোজাসাপ্টা বলাটা ঠিক কতটা কঠিন। যেটা আমি হাজার ব্যাখ্যা করলেই তোমায় বুঝানোর ক্ষমতা হবে না।”
এদিকে নিদ্রা তিহানের কথা সম্পূর্ণ হবার আগেই পা ধরে মাটিতে ধপাস করে বসে পড়ল। বলল,
” আহ্! ”
” এই নিদ্রা নিদ্রা, কি হয়েছে তোমার? মাটিতে বসে এভাবে কাঁদছ কেন? ”
” পায়ের রগ.. রগ টান দিয়েছে। আহ্! ”
নিদ্রার বলতে দেরি হলেও তিহান মাটিতে বসে নিদ্রার পা নিজের কোলে নিয়ে ম্যাসেজ করতে দেরি করেনি। কিছুক্ষণ পা ম্যাসেজ করার পর নিদ্রা বলল,
” হয়েছে হয়েছে আর করতে হবে না। পা একদম ঠিক আছে। রগ টান বোধহয় ছেড়ে দিয়েছে। ”
” আরেকটু ম্যাসেজ করে দিই, আই থিংক তোমার জন্য ভালো হবে। ”
” না না, যতটুকু করেছেন যথেষ্ট। আর কিছু করতে হবে না। ”
” আমি কখন কি কাজ করব, কতক্ষণ করব, কতটুকু সময় নিয়ে করব সেসব কি তোমার কাছ থেকে জানতে হবে? ”
” আমি কি সেরকম কিছু বলেছি? ”
তিহান কিছুটা রেগে নিদ্রার পায়ে ম্যাসেজ করতে করতে বলল,
” একদম চুপ করে থাকো। বেশি কথা আমার ভালো লাগে না। আর রগে টান খেয়ে বসে পড়েছ কেন, হেঁটে বেড়াও, দৌড়াও খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। যত্তসব আজাইরা পাবলিক। ঘন্টার পর ঘন্টা হেঁটে এখন রগে টান খেয়ে বসে আছে। ফালতু.. ”
” আপনি কিন্তু এভাবে আমার সাথে কথা বলতে পারেন না। এরকম আচরণ আমি কখনোই সহ্য করব না। ”
” তোমার সহ্য করা দিয়ে আমার কিছুই যায় আসে না, বুঝলে? ”
” আচ্ছা, আপনি আমার সাথেই কেন এরকম খারাপ আচরণ করেন? আমি কি ক্ষতি করেছি আপনার? বিয়ের দিন থেকে আজ অবধি আপনার কোনো বিষয়ে কি আমি নাক গলিয়েছি? কোনো বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করেছি? করিনি তো। তাহলে কেন আপনি আমার সাথে এরকম করছেন? মা, বাবা, আপু এরা সবাই তো বলেছে আপনি এরকম মানুষ ছিলেন না, অন্যরকম মানুষ ছিলেন। ভীষণ ভালো, মিশুক টাইপের। তাহলে আমি আপনার জীবনে এসে এমন কি করলাম যার জন্য আপনার বেঁচে থাকার ধরনটাই বদলে গেল। ”
তিহান কী বলবে বুঝে উঠতে পারছে না। তবে সে এটা বেশ বুঝতে পারছে, তার এই বাজে পরিবর্তনের জন্য নিদ্রা নিজেকে পুরোপুরি ভাবে দায়ী করছে। যেখানে নিদ্রার বিন্দুমাত্র দায় নেই। আর সে এটাও বুঝতে পারছে, সে দিন কি দিন মানুষ থেকে অমানুষের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তা না-হলে নিদ্রার মত চাঞ্চল্যকর মেয়েটি হুট করে এভাবে চুপসে যেত না। নিজের মন মেজাজকে আয়ত্তে এনে নিদ্রার পা নিজের কোল থেকে সরিয়ে শান্ত গলায় বলল,
” মানুষের জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটে থাকে যার দায়ভার সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়। চাইলেও সেই দায়ভার থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। তারপরও মানুষ চায় কিছু না কিছুর বিনিময়ে হলেও সেই দায়ভার থেকে মুক্তি পেতে। এতেও যখন মুক্তি মেলে না, তখনি মানুষটি হয়ে যায় পশুর ন্যায় হিংস্র। আর সেই হিংস্রতা প্রকাশ করে অসহায় মানুষের উপর। ”
” কী এমন ঘটেছিল আপনার জীবনে যার ফলে নিজেকে হিংস্র পশুর সাথে তুলনা করতে বিবেকে বাঁধছে না! ”
” বিবেক! হা হা.. সেতো কবেই ধুলোয় মিশে গিয়েছে। ”
” ধুলো খুঁড়িয়ে যদি বিবেক নামক শব্দটিকে খুঁজে পাওয়া যায় দোষ তো দেখছি না। ”
” বয়সের তুলনায় কথা কিন্তু বেশ বলো।”
” লাভ কি হলো, কথার জালে তো আজও কাউকে ফেলতে পারিনি। ”
” মানে? ”
” কিছু না। ”
” ও, তো যাবে ভেতরে? ”
” যাব তো অবশ্যই। তবে তার আগে আপনার জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনার কিছু অংশ বিশেষ শুনতে চাই। ”
” তুমি শুনতে চাইলেই যে আমি বলতে বাধ্য থাকব এরকম কোনো চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছি বলে আমার মনে পড়ে না।”
” আমি কিন্তু একবারও বলিনি চুক্তি অনুসারে আপনি সবকথা আমায় বলতে বাধ্য। আমি জাস্ট কৌতুহল বসত জানতে চেয়েছি। ”
” সে যাই হোক আমি যে বলতে নারাজ সেটি বুঝতে অবশ্যই সমস্যা হচ্ছে না তোমার? ”
নিদ্রা কিছু না বলে এক হাত মাটিতে রেখে তার উপর ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ালো। বলল,
” আমি ঘরে যাচ্ছি। ইচ্ছে হলে আপনিও আসুন। ”
” ইচ্ছে হলে মানে কি ? আমি কি এখানে বেড়াতে এসেছি যে, ইচ্ছে হলে যাব? ”
” সেটা তো আর আমি জানি না। ”
বলেই নিদ্রা হনহন করে বেড়িয়ে যেতে নিল বাগান থেকে। পেছন থেকে তিহান কিছুটা উঁচু স্বরে বলল,
” পরশু শুক্রবার। আমার অফিস বন্ধ। তুমি চাইলে আমার কিছু স্মৃতিময় স্থানে তোমায় নিয়ে যেতে পারি। ”
.
তিনচাকার সিএনজিটি থমকে আছে রাস্তার ধারে গড়ে উঠা রেস্টুরেন্টের সামনে। পাশাপাশি সিটে বসে আছে তিহান ও নিদ্রা। মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করে সিএনজির ভাড়া মিটিয়ে নেমে এলো দুজন।
নিদ্রা ভ্রু কুচকে চারিপাশ ঘুরে ঘুরে দেখছে। আশেপাশে কেউ নেই, রেস্টুরেন্টেও বন্ধ। কেমন যেন অদ্ভুত লাগছে তার কাছে। এই সাত সকালবেলা রেস্টুরেন্টের সামনে ভালো ঠেকছে না তার কাছে। তিহানের দিকে তাকিয়ে বলল,
” আপনি সেদিন বলেছিলেন আজ আপনার কিছু স্মৃতিময় স্থানে আমায় নিয়ে যাবেন। কিন্তু এটাতো রেস্টুরেন্ট তাও আবার বন্ধ এখানে নিয়ে এলেন কেন? ”
” তোমাকে যেহেতু বলেছিলাম আমার স্মৃতিময় স্থানে নিয়ে যাব, অবশ্যই তাহলে এ রেস্টুরেন্টের সাথে কিছু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তাই তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছি। আর রেস্টুরেন্ট বন্ধের কথা যে বললে, সময় হলে এটা খুলবে। আমরা একটু সময়ের আগেই চলে এসেছি। ”
” ও, তো সময়টা কখন হবে? ”
তিহান তার হাতে থাকা ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে বলল,
” এখন ৯ টা ৪৩ মিনিট। আর রেস্টুরেন্টে ওপেন হবে ঠিক ১০ টায়। ”
বিষ্ময়কর ভাবে নিদ্রা বলল,
” তারমানে আমরা এখানে ১৭ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকব? ”
” হুম ১৭ মিনিট। ”
” এটা কেমন কথা? মেয়ে মানুষ হয়ে রাস্তার ধারে এতটা সময় দাঁড়িয়ে থাকা কি শোভনীয় দেখায়? ”
” মেয়ে মানুষ হলেও একাতো দাঁড়িয়ে নেই তুমি। আমিতো আছি চিন্তা কিসের? ”
নিদ্রা আর কোন কথা বলল না৷ আর না কথা বলল তিহান। দুজন দু’দিকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল ঘড়ির কাঁটা ১০ টায় যাওয়ার।
.
কফি অর্ডার করে বসে আছে দু’জন। কারো সাথে কারো কথা নেই। আর না আছে কারো মাঝে কথা বলার কোনো আগ্রহ। পাশ থেকে পুরুষালী কন্ঠে একজন মৃদুস্বরে বলল,
” স্যার! কফি। ”
.
.
চলবে….