অন্তরালের কথা পর্ব ৪

#রিপোস্ট
#অন্তরালের_কথা
লেখা – জান্নাতুল ফেরদৌস মাটি
পর্ব – ৪
.
.
” তেমন কিছু বলব না, তবে একটি কথা যে না বললেই নয় মা । তোর নতুন জীবনের জন্য হলেও আমায় এই মুহুর্তে এই কথাটা বলতে হচ্ছে। অতীতে কী হয়েছিল সব ভুলে যা। আর হাসি মুখে বরণ করে নেয় এই নতুন জীবনকে। দেখবি সব মনের মতো হচ্ছে। আরেকটা কথা শোন মা, কোনো বাবা-মা’ই তার সন্তানের খারাপ চায় না। যখন যেটা করে সন্তানের ভালোর জন্যই করে খারাপের জন্য নয়। তাই বলি কি মা, বাবা-মা’র উপর ভরসা রাখ। আমরা তোকে তোর সুখ না দিতে পারি তবে, কষ্টের মাঝে ছুঁড়ে ফেলিনি। যার হাতে তোকে তুলে দিয়েছি সে তোকে তোর নিজের মতো সুখ না দিলেও, তার নিজের মতো করে সুখ দিবে। সেটা আমি খুব ভালো করেই জানি। তবে তোকেও স্বাভাবিক হতে হবে।”
জামাল সাহেবের মুখে এতোগুলো কথা শুনেও বিন্দুমাত্র পরিবর্তন এলো না তানহার মাঝে। সে ধীর পায়ে বরকে রেখেই গাড়ির সামনে গিয়ে নিজেই গাড়ির দরজা খুলে বসে পড়লো। আর অপেক্ষা করতে লাগলো গাড়ি ছাড়বার।
এদিকে কনের এরকম আচরণ দেখে সবাই কানাঘুঁষা করতে লাগলো। একেকজন একেক কথার তীর যেন ছুঁড়ে মারছে জামাল সাহেবের উপর। প্রতিটি কথার ধরন ছিল সন্দেহজনক। আর জামাল সাহেব কোনোমতেই চায় না, তার একমাত্র মেয়ে নতুন জীবনে পা দিয়েই আপত্তিকর অবস্থায় পড়ুক। তাই তিনি দ্রুত মেয়েকে বিদায় দেয়ার ব্যবস্থা শুরু করলেন। মিনিট দশেকের মাঝে বিদায় সম্পন্নও হয়ে গেল। সে সাথে চলে গেল এই বাড়ি ছেড়ে তানহা। আর ফেলে গেল কিছু না পাওয়ার দীর্ঘশ্বাস। যা শুধু তার মাঝেই সীমাবদ্ধ।
একমাত্র মেয়েকে এভাবে উদাসীন ভাবে অন্যের ঘরে পাঠিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লেন জামাল সাহেব। কিন্তু তার যে করার কিছু নেই, কেবল দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া। চশমা খুলে চোখের কোণের জল মুছলেন তিনি। ঘরের ভেতর যেতে যেতে মনে মনে বললেন,
” আজ হয়তো বুঝিসনি। তবে কাল ঠিকই বুঝবি। বাবা সবসময়ের মতো এবারও তোর জন্য উৎকৃষ্ট কিছু রেখেছে। যার মূল্য অতুলনীয়। ”
.
মাঝরাতে যানজট মুক্ত রাস্তা পেয়ে গাড়ি যেন আজ বড্ড খুশি। তাই তো তার সর্বোচ্চ গতিতে সে ছুটছে। কথাটি ভেবেই অতল জানালার বাহিরে তাকিয়ে এক মুচকি হাসি দিল। কারণ গাড়ির কি প্রাণ আছে? রাস্তা ফাঁকা পেয়ে যে খুশি হবে!
মাথায় একহাত দিয়ে নিজের চুলগুলো ঝাঁকিয়ে একগাল হেসে মনে মনে বলল,
” রাস্তা ফাঁকা পেয়ে গাড়ি তো খুশি হয়নি।খুশি তো হয়েছে সে নিজে। ”
নিজের দুর্বলতা নিজে বুঝতে পেরে হাসিমুখ করে জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে বাহিরে। তবে কিছুক্ষণের মাঝেই হুট করে মনটা খারাপ হয়ে গেল। কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাটির কথা ভেবে। অর্থাৎ বিদায়ের সময় সম্মুখীন হওয়া এক অপ্রস্তুত কর ঘটনার কথা ভেবে।
জানালা থেকে চোখ ফিরিয়ে পাশে থাকা নতুন মানুষটির দিকে তাকালো অতল। যে কিনা তার অর্ধাঙ্গিনী। তার জীবনসঙ্গী। অতলের চোখ তার অর্ধাঙ্গিনীর উপর পড়তেই চোখ যেন স্থির হয়ে গেল। এদিক ওদিক কোনদিকেই তার চোখ লড়ছে না। মনে মনে ভাবলো,
” তার বউটি যে এতো সুন্দর তার তো জানা ছিল না। আর জানবেই বা কী করে সে যে সামনাসামনি তাকে দেখেইনি। আর না দেখছে তার বউ তাকে। তাদের দেখা-সাক্ষাৎ কেবল ছবির মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল। তাই তো তার বউয়ের সুন্দরের ব্যাখ্যাটা জানা ছিল না তার। ”
মনে যতটা কষ্ট জমে ছিল সেসব যেন উধাও হয়ে যায় এক নিমিষে অতলের। আর গলা খাঁকারি দিল,
” উহুম! উহুম!”
এক ধ্যানে বসে ছিল তানহা। তবে পাশে থাকা মানুষটির গলা কাঁপানোর আওয়াজ পেয়ে কিছুটা নড়েচড়ে বসলো সে।
এদিকে তানহার মাঝে খানিকটা জড়তা দেখে অতল বলল,
” ভয়ের কিছু নেই। আমি তেমন কিছুই বলব না। জাস্ট গলাটা কেমন করছিল তো তাই আর কি গলাটা ঠিক করতে চেয়েছিলাম। ”
কথাটি কোনোমতে বলে অতল চুপ করে বসে রইল। আর বাহিরে তাকিয়ে এক বড় নিঃশ্বাস নিল। তানহার অস্বস্তিবোধ কাটাতে গিয়ে কি-না কি বলে ফেলেছে সেই কথা ভেবে।
এদিকে তানহাও বেশ ভালো করেই বুঝতে পেরেছে অতল যে কথা ঘুরাচ্ছে। তাই সে চুপ করে রইলো। কারণ তার যে এই সম্পর্কটাকে নিয়ে মাথা ঘামাবার কোনো ইচ্ছেই নেই। তাই আগের মতোই মাথা নিচু করে চুপটি মেরে বসে রইলো তানহা।
.
সেই কখন থেকে বাড়ির বাহিরে এসে বসে রয়েছে তিহান । কিন্তু দরজা বাহির দিয়ে তালা ঝুলানো। তাই দরজার বাহিরে বসে বসে ভাবছে,
” ঘরে তো শুধু তার মা ও বাবা থাকে। তাহলে তারা গেল কোথায়? আসার কোনো পাত্তাই নেই। আর তারা কোথাও গেলেও তো মিরাজ কাকার ঘরে থাকার কথা কিন্তু, সেও নেই। সে ঘরে না থাকলে, ঘর পাহারা দিচ্ছে কে? ”
কিছুক্ষণ পরই সামনে থেকে আসতে দেখল তাদের কেয়ারটেকার মিরাজ কাকা কে। এমনিতেই মনমেজাজ খারাপ তারউপর নানান কথা চিন্তা করতে করতেই তিহান কিছুটা রাগান্বিত স্বরে বলল,
” ঘর ফালিয়ে কোথায় গিয়েছিলেন কাকা? আপনাকে মাসে মাসে টাকা দিয়ে রাখা হয় কীজন্য? ঘর দেখভাল করার জন্য, নাকি ঘুরে বেড়াবার জন্য? ”
তিহানের মুখে একরাশ বিরক্তি নিয়ে কখনো কথা শুনতে হবে মিরাজ ভাবতেও পারেনি। কারণ তিহান যে সেরকম ছেলেই নয়। খুব শান্ত স্বভাবের ছেলে তিহান। অবশ্য এ বাড়ির প্রতিটি মানুষই খুব শান্ত স্বভাবের এবং ভালোও। তারা সহজেই কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করে না। যদি না অপর মানুষটি বাধ্য করে খারাপ ব্যবহার করতে। আর মিরাজ থাকে এ বাড়িতে বেশ অনেক বছর ধরে। তাই সেও এ পরিবারের একজন সদস্য হয়ে উঠেছেন। বাড়ির দেখভাল করলেও সে যে সবার কাছে আপন মানুষের মতো আচরণ পায়। সেই সাথে মায়া, ভালোবাসা তো রয়েছে। তাই হয়তো হঠাৎ করে এরকম ব্যবহার পেয়ে বেশ কষ্ট পেলেন মিরাজ। তবুও নিজের কষ্টকে মনের ভেতর লুকিয়ে রেখে চোখ মুখ হাসোজ্জ্বল করে তিহানকে বলল,
” ভুল হয়ে গিয়েছে তিহান বাবা।পরবর্তীতে এরকম ভুল আর কখনো হবে না। দরজা খুলে দিচ্ছি, এসো ঘরে এসো। ”
মিরাজ দরজা খুলে দিতেই তিহান হনহন করে ঘরের ভেতরে চলে যাচ্ছিল। এমন সময় বাড়ির বাহির থেকে কিছু গাড়ির হর্ন তার কানে ভেসে আসতেই পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখে প্রায় ৪ কি ৫ টা গাড়ি ছুটে আসছে তাদের বাড়ির দিকে। তারমধ্যে একটি গাড়ি ছিল অসংখ্য ফুল দিয়ে সজ্জিত। এতো গাড়ি ও ফুলের সমাহারের গাড়ি দেখে বেশ অবাক হয়ে যায় তিহান! অবাকের পরিমাণ এতটাই যে, কিঞ্চিৎ পরিমাণ ভ্রু কুচকে কয়েকটি ভাঁজও পড়ে কপালে।তিহান ঘরের ভেতরে না গিয়ে, উল্টো দরজার দিকে এগুতে থাকে।
দরজার কাছে দাঁড়াতেই গাড়িগুলো এসে থামলো বাড়ির সামনে।গাড়ির দরজা খুলে তিহানের কয়েকজন আত্মীয়স্বজন একে একে নেমে এলো। সেই সাথে নেমে এলো তিহানের বাবা-মা’ও। তিহান বেশ অবাক হচ্ছে! তবে তার আত্মীয়স্বজন কিংবা বাবা-মাকে দেখে নয়, তার অবাক লাগছে তাদের পরনের কাপড়গুলো দেখে! এই মুহুর্তে তিহানের বাবা-মা ও তার আত্মীয়স্বজনদের যে কেউ দেখলে বলবে, সকলে হয়তো কোনো বিয়ে বাড়ি থেকে এসেছে।
সকলকে দেখে যেন তিহানের কৌতুহলটা ক্রমশ বেড়ে গেল।সেই সাথে কৌতুহল বেড়ে গেল ফুল দিয়ে সজ্জিত গাড়িটির ভেতর কারা আছে সেটি দেখার জন্যে। তিহানের গলার ভেতর শুকিয়ে আসছে। তাও আবার বিনা কারণে। এক অজানা ভয় যেন মুহূর্তের মাঝে তিহানকে চারিদিক দিয়ে বেঁধে দিচ্ছে। হাজার চেষ্টা করেও তিহান নিজেকে ঠিক রাখতে পারছে না।ঘড়ির সেকেন্ডের কাটা ঘুরার আগে যেন তিহানের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এককথায় বলতে গেলে এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। তবে এর কারণ কি? তা সম্পূর্ণই তিহানের অজানা।
মিনিট দুয়েক পার হতেই সেই সজ্জিত গাড়িটির দরজে খুলে বের হয়ে এলো এক নবদম্পতি। কেবল কিছুক্ষণ আগেই হয়তো তাদের বিয়ে হয়েছে, স্পষ্ট দেখে বুঝা যাচ্ছে। বরের পরনে শেরওয়ানি আর কনের পরনে বেনারশী। তবে এই দু’জন কারা তিহান ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। কারণ দু’জনই যে পেছন দিক ঘুরে দাঁড়িয়ে আছে। তিহান বার বার উঁকি ঝুঁকি মারছে তাদের দেখার জন্য। যদি নিজের বুকের ভেতর গড়ে উঠা অস্থিরতাটা কমানো যায়! তাই তিহানের এই উঁকি ঝুঁকি মারা।
একপর্যায়ে তিহানের অস্থিরতা কমিয়ে ধীর গতিতে ঘুরে দাঁড়ালো বর ও কনে দু’জন। বর ও কনে দুজনকে দেখে তিহানের যেন পায়ের নিচের মাটি সরে গেল। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে সে পারছিল না। তাই দরজার চৌকাঠের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে নিজের শরীরের ভর চৌকাঠের উপর ছেড়ে দেয়। বুকের মাঝখানটায় চিনচিন করে ব্যাথা ভীষণভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে তার। ডান হাত দিয়ে বুকে চাপ দিয়ে ধরে অশ্রুভেজা চোখে সামনে থাকা নতুন দম্পতির দিকে তাকিয়ে রইলো তিহান। আর মনে মনে ভাবলো,
” তানহা! সত্যি কি সে তানহা! যে তানহা কিনা তিহানকে পাগলের মতো ভালোবাসে! তানহার ভীষণ শখ ছিল তিহানদের বাড়ির বউ হবার। একমাত্র ছোট বউ। আল্লাহ তানহার ইচ্ছে পূরণ করেছে। তবে ছোট বউয়ের বদলে বড় বউ হিসেবে। তাতে কি বউ হয়েছে তো! ”
কথাগুলো ভেবেই এক দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো তিহানের বুক চিঁড়ে। না পারছে চিৎকার করে কাঁদতে আর না পারছে মুখ বুঁজে কাঁদতে। কেউ যদি দেখে ফেলে সে ভয়ে!
তিহান নিজেকে কিছুটা শক্ত করে সোজা হয়ে দাঁড়ালো ঘরে যাবার জন্যে। তিহান যে চায় না, তার মানসিক অবস্থা দেখে তানহা দূর্বল হয়ে পড়ুক। কিংবা কোনো আপত্তিকর অবস্থার স্বীকার হোক। তাই একহাতে বুকে চাপ দিয়ে ধরে, তিহান বেশ দ্রুত পায়ে হেঁটে যায় নিজের ঘরের দিকে।
.
এদিকে তানহা গাড়ি থেকে নেমে মাটিতে পা রাখতেই, তার গা যেন শিউরে উঠলো। এমনিতেই তো কষ্টের কোনো কমতি নেই তার জীবনে। কিন্তু এখন যেন সেই কষ্টগুলো তার মনের ভেতর চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তানহা মাথা নিচু করেই চারিদিকে চোখ বুলাতে লাগল। তবে তার কারণ তার জানা নেই। হয়তো সেই শিউরে উঠা অনুভূতিটির জন্য।
তানহা চারিদিকে চোখ বুলানোর সময় মেয়েলি কন্ঠের একজন বলে উঠলো,
” কাউকে খুঁজছ নতুন বউ? না মানে সেই কখন থেকে দেখছি, তোমার চোখ দুটো এদিক ওদিকে ঘুরছে।”
মহিলাটির কথা শুনে তানহা কিছুটা বিব্রত হয়ে যায়। আর সেটা বেশ ভালো করেই বুঝতে পারে অতল। তাই তানহাকে স্বাভাবিক করতে অতল বলল,
” কি যে বলো না কাকী। তোমাদের নতুন বউ এদিকে আবার কাকে খুঁজবে? ও কি এখানের কাউকে চিনে নাকি, এর আগে এসেছে কোনোদিন যে চিনবে! তুমিও যে কি বলো না! ”
” বাব্বাহ! বিয়ে হতে না হতেই বউয়ের হয়ে কথা বলতে শিখে গিয়েছিস দেখি! বাকি জীবন তো পরেই রয়েছে। ”
পাশ থেকে নাসরিন বেগম বললেন,
” হয়েছে, হয়েছে থামতো। আমার বৌমা আর ছেলের সাথে কি শুরু করেছিস ছোট? তুই না কাকী শ্বাশুড়ি হয়েছিস! এখন কি আর মজা করা সাজে? ”
” সাজবে না কেন? শ্বাশুড়ি হয়েছি তো কি হয়েছে? আমি কি বুড়ি হয়ে গিয়েছি নাকি? হুহ!”
” ও কাকী এবার থামো না! খুব ক্লান্ত লাগছে, ঘরে যাবো তো। ”
” তোকে কি কেউ ধরে রেখেছে ঘরে না যেতে ? ”
” তাহলে এখন আমরা ভেতরে যাই চলো।”
” যাব তো অবশ্যই তবে কিছু নিয়ম পালনের পর। ”
” এখন এতরাতে কিসের আবার নিয়মকানুন! এখন আর কোনো নিয়মকানুন মানতে পারবো না আমি। ”
” এটা আবার কেমন কথা অতল! তুই কি জানিস না এ বাড়ির কিছু নিয়মকানুন আছে যেগুলো মেনে চলতেই হয়! ”
” জানি কিন্তু…!”
” কোনো কিন্তু না। যা নতুন বউয়ের পেছনে গিয়ে দাঁড়া। আর ঝট করে কোলে তুলে নিয়ে ঘরে চল। নিজেও শান্তি পা আর আমাদেরও শান্তিতে থাকতে দেয়। ”
অতল বলল,
” ও মা! তুমি কিছু বলছ না যে? ”
” মাকে ডাকছিস কেন? আমার কথা কি বুঝিস না? আর না বুঝলেও তুই কি এ বাড়ির আর ৪/৫ টা বিয়ে দেখিসনি কিভাবে হয়। ”
” উফফ! নিচ্ছি। আমার আর ভালো লাগছে না এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে। তারচেয়ে ভালো আমি দ্রুত ওকে নিয়ে চলে যাই। ”
.
.
চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here