#অন্ধপ্রেম
Writer: Shabnaj Hossain Moon
#Part_20_21
(#গল্পের নাম অন্ধপ্রেম অথচ রাজের ভালোবাসা দেখতে পাচ্ছিনা আমরা..আচ্ছা ভালো কি ছেলেরায় ভাসতে পারে আমারা মেয়েরা পারিনা..শীতলের ভালোবাসা কি অন্ধপ্রেম নয়??)
.
চারদিকে ঘন অন্ধকার ..পরিতক্ত্য একটা রাস্তা দিয়ে ড্রাইভ করছে রাজ ..
রাজ আজ প্রচুর ড্রিংক করেছে ..
আজকেও রাজ শীতলের গায়ে হাত দিয়েছে …
শীতল ফ্লোরে বসে বসে কান্না করছে ..
নাক দিয়ে ব্লিডিং পড়ছে …ঠোঠ কেটেও গিয়েছে অনেক টুকু ..
গাল দুটো ফেটে গিয়েছে ..
শীতলের গায়ের বেশ অনেক জায়গায় আঘাত করেছে রাজ ..
.
.
.
রাজ আজকে প্রমান করে দিলো তার কাছে প্রতিশোধ সবচেয়ে বড় ..
রাজ আরো প্রমান করেছে সে কখনো ঠিক হবেনা ..
শীতল বুঝতে পেরেছে সে বৃথায় চেষ্টা করেছিলো …
কি কি করেনি শীতল রাজকে আপন করে নিতে ..
একটা ভুল বোঝাবুঝি কে রাজ তার জিবনকে লক্ষ্য করে নিয়েছে …
.
.
.
শীতল তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে নিজের ভালোবাসা দিয়ে রাজকে স্বাভাবিক জিবনে ফিরিয়ে আনতে বাট শীতল ব্যার্থ হয়েছে আজ…
রাজ স্পষ্ট বলে দিয়েছে শীতলের কোনো জায়গা নেই রাজের জিবনে ..
রাজ বলেছে শীতলের প্রয়োজন শেষ রাজের কাছে ..
শীতলের কোনো ব্যাপারে সে মাথা ঘামাবেনা …
.
.
.
সকাল হয়েছে ..
শীতল ফ্লোরে ঘুমিয়ে পড়েছিলো ..
একটা রিংটনে তার ঘুম ভাঙলো …
শীতল ফোন রিসিভ করলো ..
টেলোফোন থেকে কেউ ফোন করেছে …
রাজের এক্সিডেন্ট হয়েছে ..
সে এখন মেমোরিয়াল ক্লিনিকে ভর্তি ..
সিচিয়েশন গরুত্বর রাজের ..
শীতলের হাত পা কেপে উঠলো খবর শুনে ..
শীতল তাড়াতাড়ি ক্লিনিকে গেলো …
বাড়িতে কাউকে না জানিয়েই গেলো ক্লিনিকে ..
ক্লিনিকে গিয়ে রাজের ক্যাবিনে ঢুকার সময় শীতলের হার্টবিট বাড়তে শুরু করলো ..
হাজার হোক বাঙালি মেয়ের স্বামি বলে কথা ..
.
.
রাজের পা ভেঙে গিয়েছে ..
একটা হাতও ভেঙেছে।শরীরের অনেক জায়গায় বেশ চোট লেগেছে …
.
.
.
শীতল রাজকে এমন অবস্থায় দেখে জোরে জোরে কান্না শুরু করলো ..
রাজের জ্ঞান না ফিরা পর্যন্ত শীতল ক্লিনিকের নামাজ ঘরে নফল নামাজ পড়লো সারাদিন ..
রাজের জ্ঞান ফিরার পর রাজকে বসায় সিফ্ট করা হয় ..
.
.
.
ডক্টর বলেছে রাজ ঠিক নাও হতে পারে বিকোজ রাজের চোট গুলো বেশ বড় রকমের ছিলো ..
রাজ কখনো নিজের পায়ে দাড়াতেও পারবেনা এটা শীতল ভাবতেও পারছেনা ..
রাজের জ্ঞান ফিরার পর শীতলকে দেখে রাজ অসহায় দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে ছিলো শীতলের দিকে ..
.
.
.
রাজ রাতে শীতলকে মেরে ধরে বলেছিলো তার জিবন থেকে চলে যেতে ..
.
.
.
বাসায় রাজকে নিয়ে এসে স্বামির পায়ে সকল সেবা উৎস্বর্গ করে দিতে থাকলো শীতল ..
শীতল সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে রাজকে সুস্থ করে তুলতে ..
প্রতিদিন রাজকে ডক্টর এসে দেখে যায় ..
শীতল কোনো নার্সের উপর ভরসা করতে পারেনি তাই শীতল নিজেই নার্সের সকল কাজ করলো ..
শীতল দিন রাত এক করে দিলো রাজকে সুস্থ করতে..
শীতল ঠিক মতো একদিনও খায়নি ,ঘুমায়নি ।
রাজ এতোদিনে শীতলের সাথে একটাও কথা বলেনি ..
শীতল শুধু প্রয়োজনীয় কথা বার্তা বলতো রাজের সাথে .
.
.
.
রাজ শীতলকে খুব কাছ থেকে দেখলো..
শীতলের মায়াবতির রুপ এর আগেও দেখেছে রাজ ..
কতটা ধৈর্য্য দান করেছে আল্লাহ শীতলকে যার জন্য এতোকিছুর পরও স্বামি সেবা করে যাচ্ছে ..
স্বামির জন্য নিজের জিবনকেও জিবন মনে করছেনা ..
শীতল. সব সময় রাজের পাশে থাকে ,,রাজকে খাওয়ানো ,গোসল করানো থেকে শুরু করে প্রায় সব কিছু শীতল নিজের হাতে করে ..
.
.
.
শীতল রাতে প্রায় পুরোটা সময় ধরে জায় নামাজে বসে বসে রাজের জন্য দোয়া করে ..
.
.
চাচা ,খালা ,কাজল শীতলকে সব সময় শান্ত্বনা দেয় রাজ খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে ..
কাজল রাজকে বিনোদনের জন্য ভিবিন্ন বই পড়ে শোনায় ..
শীতল তখন রাজের হাত পায়ে তেল মালিশ করতে ব্যাস্ত থাকে ..
.
.
.
প্রায় দেড় মাস পর রাজ সুস্থ হলো ..
এতোদিনেও রাজ কিসের সংকোচে যেনো শীতলের সাথে একটা কথাও বলেনি ..
কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি রাজ এতো তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে ..
ডক্টররা যেখানে বলে ছিলো রাজ সুস্থ নাও হতে পারে ..
শীতলের সেবা যত্ন সব মিথ্যে করে দিয়ে রাজকে সুস্থ করে তুললো ..
.
.
.
রাজ অনেক দিন পর অফিসে যাচ্ছে ..
হাত ঘরি ,ওয়ালেট ,রুমাল ,সবকিছু এগিয়ে দিলো শীতল রাজকে .
রাজ মাথা নিচু করে নিলো শীতলের হাত থেকে ।
.
.
.
রাজ রুম থেকে বের হওয়ার সময় শীতল বললো ..
_আপনার সব দরকারি জিনিস পত্র গুছিয়ে রেখেছি ডেস্কে ..
আপনার ড্রেস গুলো আলমাড়িতে পাবেন …
জুতো গুলো ড্রয়ারে রেখছি ..
আপনার ঔষধ গুলো কখন কটা করে খাবেন তা টেবিলে নোট বুকে লিখে রেখেছি ..
রাজ কিছুটা অবাক হলো শীতলের এমন ভিহেবে ..
রাজ এতোদিনে শীতলকে বললো …
_আমাকে এসব বলছো কেনো .??
তুমি আছোতো এগুলো গুছিয়ে আমাকে দেওয়ার জন্য ..
তুমি কি কোথাও যাচ্ছো শীতল ??
শীতল বেশ হালকা ভাবে তার কাজল কালো চোখ দিয়ে রাজের চোখে তাকালো ..
নিজের হাত দিয়ে কোমরে গুজে রাখা শাড়ির আচলটা বের করলো …
রাজ আবার বললো ..
_এই শাড়িতে তোমাকে আরো অনেক সুন্দর লাগছে একদম নববধূ ..
রাজ কথাটা বলে শীতলের দিকে তাকালো ততক্ষন শীতল বারান্দায় চলে গিয়েছে ..
.
.
রাজ হালকা হাসি ঠোটে রেখে ডোর ওপেন করে বের হয়ে গেলো ..
.
.
.
দুপুর হয়েছে রাজ শীতলকে ফোন করলো ..
রাজ প্রথমবার শীতলকে ফোন করলো ..
শীতলের ফোন অফ কেনো যেনো .
.
.
শীতল ট্রেনে বসে বসে ভাবছে এতোদিন যা হয়েছে তার সাথে সেসব কথা ..
শীতল নিজেকে শান্ত্বনা দিলো এই এক বছর তার সাথে যা হয়েছে তা একটা এক্সিডেন্ট মাত্র ..
শীতল নিজের মনকে মানিয়ে নিয়েছে ।
সে বুঝতে পেরেছে সবার ভালোবাসা পাওয়ার ভাগ্য নেই ..
সবাই ভালো থাকতে পারেনা জিবনে যেরকম শীতলও থাকতে পারেনি ..
সব পিছুটান ছেড়ে ,সব সম্পর্ক ছিন্ন করে শীতল রাজের জিবন সংসার আর মিথ্যে মায়াজাল থেকে বেরিয়ে এসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে ..
.
.
.
হ্যাঁ শীতল আজ রাজের জিবন থেকে মুক্ত হয়েছে .
সে আজ রাজের খাচা থেকে বেরিয়ে এসেছে ..
জিবন তাকে কোথায় নিয়ে যাবে সেটায় দেখবে সে ..
.
.
.
বাবার বাড়ি যাওয়ার সাহস ওর নেই ।
বাড়িতে গেলে শীতলের সাথে যা হয়েছে তা সবাই জেনে যাবে ..
রোদ রাজকে মাডার করবে এটা নিঃশ্চিত শীতল ..
শীতলের যাওয়ার মতো তেমন জায়গা নেই ..
শীতলের এক খালা থাকে চট্রগ্রামে ..
শীতল সেখানে যাচ্ছে ..
.
.
শীতলের সাথে কথা হয়েছে তার খালার ..
.
.
.
#Part_21
.
কাজল ভার্সিটি গিয়েছে ,খালা বাজারে আর চাচা ময়মনসিংহে গিয়েছেন একটা কাজে ..
রাজ অফিসে তাই এই সুযোগে শীতল বাড়ি ছেড়ে চলে আসতে পেরেছে ..
.
.
.
শীতল তার গন্তব্যে যাচ্ছে ..
এদিকে এতো বার রাজ কল করছে শীতল কে বাট ফোন বন্ধ ..
শীতল ফোন ইচ্ছে করে বন্ধ করে রেখেছে ..
রাজের মন আজ অস্থির লাগছে ।
সকালে শীতলের ভিহেবিয়ার তেমন সুবিধার ছিলোনা ..
.
.
.
রাজ তাড়াতাড়ি বাসায় আসলো ঝরের গতিতে ড্রাইব করে ..
.
.
রাজ কাপা কাপা পায়ে বাসায় ঢুকলো ..
শীতলের নাম ধরে কয়েকবার ডাক দিলো .
_শীতল কোথায় তুমি ??
আমি এসেছি ..
সারা দিচ্ছোনা কেনো ??
তুমি তো সব সময় আমাকে অফিস থেকে আসার সময় লেবু পানি দিতে তাহলে আজকে দিচ্ছোনা কেনো ??
শীতল খুব খারাপ হবে কিন্তু তুমি আসছোনা কেনো ??
.
.
.
রাজ রুমে ঢুকলো ভাবলো শীতল আগের মতোই কাদছেঁ হয়তো বালিশে মুখ গুছে উপর হয়ে শুয়ে ..
.
.
.
রুমে গিয়ে দেখলো রুম ফাকা .
বিছানায় একটা কাগজ আর একটা ডাইরি রাখা ..
.
.
.
রাজ কাগজটা খুলে পড়তে শুরু করলো ..
প্রান প্রিয় স্বামি ..
যখন এই চিঠিটা পড়ছেন তখন আমি অনেক দূরে ..
আপনি বলেছেন আমার প্রয়োজন শেষ আর আমাকে চলে যেতে আপনার জিবন থেকে ..
আজ আমি তাই করেছি ।
আমাদের বিয়ে হয়েছিলো ধর্ম মতে তাই নিজের ভাগ্যকে মেনে নিয়েছি ..
আপনাকেও মেনে নিয়েছিলাম যেদিন আপনার ডাইরি পড়ে ছিলাম ..
আপনি আমায় নাকি ভালোবাসতেন এক সময় ..
এই কথা জানার পর থেকে আমার মনে আপনার জন্য ভসলোবাসা জন্মে ছিলো ..
আপনি একটা মেয়ের থেকে তার সবচেয়ে বড় সম্মান কেড়ে নিয়েছেন ..
আপনার অংকারে ভরা প্রতিশোধের জন্য আপনি একটা মেয়ের খুশি ছিনিয়ে নিয়েছেন .
তার আশা ভরসার জিবনকে নরকে পরিনত করেছেন ।
এতো কিছুর পরও মেয়েটা আপনার সাথে সুখে থাকতে চেয়েছে বাট আপনি তা চাননি .
আপনি চেয়েছেন আপনার ভুল বোঝাবুঝির মিথ্যে একটা প্রতিশোধ ..
বিছানায় একটা ডাইরি দিয়ে গেলাম ..
দয়া করে ওটা পড়বেন তাহলে আশা করি আপনার ভুল ভাঙবে।
.
.
.
আপনার সাথে থাকতে থাকতে আপনার কঠোরতার ভেতের একটা কোমল হ্রদয় দেখতে পেয়ে ছিলাম তাই আপনাকে নিজের মতো করে গড়ে নিতে চেয়ে ছিলাম ।
শত অপমান করেছেন তবুও বার বার আপনার কাছে ফিরে গিয়েছে একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য ..
কিন্ত বিনিময়ে আপনি আমায় দিয়েছেন অপমান এন্ড অপমান ।
কি দোষ ছিলো আমার ??
কি করেছিলাম আমি ??
কেনো ধর্ষন করলেন আমায় ??
কেনো আমার সম্মান টুকু কেড়ে নিলেন ??
এসবের কৈফত কখনো আপনাকে দিতে হবেনা বলেই আমি চলে গেলাম ..
আমি অনেক চেষ্টা করেছি আপনার সাথে থাকার আর আপনাকে ভালোবাসা বোঝাতে কিন্তু আমি আজ ব্যার্থ ..
আমি থাকলে ,আমাকে দেখলে আপনি আপনার বোনের কথা মনে করে কষ্ট পাবেন ।
আমাকে কষ্ট দিয়েছেন বলে আমি আপনাকে কষ্ট দেবোনা ।
.
.
.
আমি আপনাকে সকল কষ্ট আর দ্বায় থেকে মুক্ত করে দিলাম ।
আপনি মুক্ত ,মুক্ত এবং মুক্ত ।
আমি আর ফিরবোনা তাই আমায় খুজঁবেন না কখনো ।
আপনাকে আমার ভালোবাসা থেকে মুক্ত করলাম ।
নতুন জিবন শুরু করুন কাউকে নিয়ে ।
এক বছর যা ঘটেছে তা একটা এক্সিডেন্ট তাই সব ভুলে যান …..
ইতি
#শীতল
.
.
.
শীতল সন্ধ্যায় তার খালার বাসায় গেলো …
খালা তাকে দেখে খুশি হলো ..
শীতলের ছোট একটা খালাতো ভাইও আছে ..
খালাকে জরিয়ে ধরে কতক্ষন কথা বলে একটা রুমে নিয়ে গেলো খালা ।
শীতল রুমে বসে বসে কতক্ষন কাদলোঁ তারপর না খেয়েই হালকা ডোজের একটা স্লিপিং পিল খেয়ে শুয়ে পড়লো ..
.
.
.
খালা এতো ডাকলো তবুও শীতল রাতের খাবার খেলোনা …
.
.
.
শীতল রাতে কারো হাতের স্পর্ষ পেলো কোমরে …
শীতল বার বার কোমর থেকে হাত ছাড়াচ্ছে তবুও হাত টা বার বার শীতলের কোমর ধরছে….
.
.
.
শীতল এবার বিরক্তি নিয়ে হাতটা ধরে তাড়াহুড়ো করে উঠে বসলো ..
শীতল যা দেখলো তাতে সে অবাক হলোনা বরং চমকে গেলো …
.
.
শীতল একটা জোরে চিৎকার করলো আর কেউ একজন তার মুখ চেপে ধরলো …
_ডার্লিং কি সব আওয়াজ করছো ??
লোকে কি ভাববে বলোতো ??
পার্সোনাল আওয়াজ এভাবে জোরে কেউ দেয় ??
আমি তো কিছু শুরু করলাম না তার আগেই আওয়াজ করছো …
হা হা হা ..
.
.
.
শীতল মুখ থেকে হাত সরিয়র দিয়ে বললো ..
_আপনি এখানে কিভাবে ?
ঠিকানা পেলেন কিভাবে ??
কেনো কিভাবে এখানে এসেছেন ??
.
.
.
_রাজ কে এতো কাচা খেলোয়ার ভেবোনা ।
তুমি যেখানে যাবে আমাকেও সেখানে পাবে ।
_মানে ??
_আমি বনিতে পারিনা তাই সরাসরি বলছি …
রাজ বিছানা থেকে উঠে বসলো ফ্লোরে ..আর শীতল বিছানায় বসে রইলো ..
রাজ শীতলের হাত ধরে বললো ..
_আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি ।
আমায় মাফ করো ।
আমি তোমাকে ছাড়া বাচতে পারবোনা বিকোজ তোমায় ভালোবাসি আমি …
তোমার সব অভিযোগ শুনবো আর আমার নিজের বিচার করবো তোমার হাতে .
চাপকে আমার পিঠের ছাল ছাড়িয়ে নেবে তুমি তাহলে কিছুটা হলেও তোমার চোখের পানির দাম মেটাতে পারবো …
কারণ আমি শুধু তোমায় এন্ড তোমায় ভালোবাসি .
.
.
.
চলবে,,,,,,,,❤❤❤❤