#অন্ধপ্রেম
Writer : Shabnaj Hossain Moon
Part 33
.
শীতল কান্না করছে…
রাজ শীতলকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে চাদর টেনে গায়ে দিয়ে বললো…
_শীতল কান্না করছো কেনো ??
আমি তো পর কেউ নয় ..
আমি তোমার স্বামি শীতল..
তোমার উপর আমার অধিকার আছে…
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে সেই অধিকার দিয়েছে…
.
.
.
তুমি আমাকে ভালোবাসো আর আমি তোমায় ভালোবাসি এটাই সত্যি ..
তুমি কোনো চাপে পরে এমন মিথ্যা কথা বলেছো..
পুরো গোষ্ঠি মিলে আমাকে অপমান করেছো ..
আঘাত করে আমাকে রক্তাক্ত করেছো…
আমি কিছুই বলিনি শুধু চুপচাপ সহ্য করেছি…
নইলে রাজের গায়ে হাত তোলে এমন বুকের পাটা কারো নেই দুনিয়াতে…
কলিজা ছিরে ঘার থেকে মাথাটা আলাদা করে ফেলবো এমন কথা কেউ ভাবলে…
.
.
.
আমি ভালো করে জানি তুমি পরিবারের চাপে এমন করছো…
কি হয়েছে তা আমাকে বলছোনা পর্যন্ত…
ভেবোনা তোমাকে ভুল বোঝে দূরে সরে যাবো…
আমি একবার এরকম ভুল করেছি ..
আর এমন করবোনা…
আমার ভালোবাসা এতো দূর্বল মনে করোনা…
আমি তোমাকে ভালোবাসি আর তোমাকে আমার সাথে থাকতে হবে …
তুমি চাইলেও আর না চাইলেও…
.
.
.
এখন যাও ফ্রেস হয়ে নাও..
নকল বাড়ি পৌছে দিয়ে আসি …
পরে আসল বাড়িতে নিয়ে আসবো তোমায় …
এজন্য রেডি হয়ে থাকও
.
.
.
শীতল এখনো চুপচাপ…
_তুমি যদি চাও তাহলে আমি তোমাকে গোস করিয়ে দিতে পারি …
আমরা দুজম এক সাথেই গোসল করবো তার সাথে ফ্রিতে Change করিয়ে দেবো তোমায় …
.
.
.
শীতল রাজের কথা শুনে পুরো চাদরটাই নিজের গায়ে জরিয়ে ওয়াস রুমে চলে গেলো…
রাজ মুচকি হাসলো…
তখনি রাজ শীতলের ফোনে রোদের নাম্বার বাজতে দেখলো….
.
.
.
_রোদ বলছি শীতল..
এতোক্ষন কোথায় ছিলি…
এখন কোথায় তুই??
_আমি তোর জিজু বলছি রোদ..
_কুকুরের বাচ্চা তুই কি করিদ শীতলের ফোনে??
_আমার ওয়াইফের ফোনে আমিই তো থাকবো ..
_বাজে কথা রাখ ..
শীতল কোথায় বল ??
_আমার সাথে আছে আমার বউ ..
আর খুব ভালোই আছে..
_শয়তান তুই কি করেছিস শীতলের সাথে…
_সেটা বলা যাবেনা কি করেছি..
_জানোয়ারের বাচ্চা তুই শীতলের গায়ে হাত দিবিনা..
_দিয়েছি আর দেবো ..
দেখি তুই কি করতে পারিস..
রাজ ফোন কেটে দিলো…
রোদ তার ফোনটা ছূরে মারলো …
আর অতীতের কথা ভাবতে লাগলো…
রাজ আর রোদ স্কুলে পড়া কালীন রাজ তাদের এক ফ্রেন্ডের চোখে পেন্সিল ঢুকিয়ে দিয়েছিলো…
ছেলেটার চোখ নষ্ট যায় সারা জিবনের জন্য..
রাজ রোদের আড়ালে ছেলেটাকে ক্ষতি পূরুন হিসেবে ছেলেটার সাথে রোজার বিয়ে দেবার প্রতিজ্ঞা করেছিলো..
.
.
.
রাজ কিছুতেই কারো কাছে দোষি হয়ে থাকতে চায়না ..
রোদ এই কথা জেনে ডিশিসন নেয় সে রোজাকে ফিরিয়ে দেবে …
রোদ তার বাবার জন্যও রোজাকে ফিরিয়ে দিয়ে ছিলো…
আজকে বাবা আর রাজের কারনে রোজা কষ্টে আত্মহত্যা করেছে..
.
.
.
রোদ কখনো বিয়ে করে বংশের প্রদিপ রক্ষা করবেনা প্রতিজ্ঞা করেছে ..
এটা তার বাবার শাস্তি…
.
.
.
আর রাজের শাস্তি হলো রোদ যে ভালোবাসার আগুনে পুড়ছে ঠিক তেমনি শীতলের ভালোবাসার আগুনে তাকে পুড়ানো…
.
.
.
প্রথমে রোদের মনে এমন কথা আসেনি বা প্রতিশোধের আগুন জ্বলেনি…
.
.
.
কিন্তু শীতলের সাথে যা করেছে তারপর রাজকে মাফ করার প্রশ্নই উঠেনা..
.
.
.
রোজার কসম খেয়ে রোদ প্রতিজ্ঞা করেছে সে কখনো বিয়ে করবেনা আর ওর মৃত্যুর জন্য যারা দ্বায়ি তাদে শাস্তি দিয়ে ছাড়বে…
.
.
.
রোদ বেচে থাকতে কখনো রাজকে শীতলের কাছে আসতে দেবেনা …
.
.
.
শীতল ওয়াস রুম থেকে শাড়ি পেচিয়ে বের হলো ..
শীতল শাড়ি পড়তে জানেনা…
তাকে খালা শাড়ি পড়িয়ে দিতো বা কোনো সার্ভেন্ট ..
রাজ শীতলকে কাছে টেনে এনে নিজ হাতে শাড়ি পরিয়ে দিলো…
শাড়ি পরানোর সময় রাজ শীতলের উনমক্ত নাভিতে চুমো খেলো…
রাজ বললো…
_এখানে আমার বেবিস রা আছে…
তারা কবে যে আসবে আর কবে তাদের বাবার কষ্ট বুঝবে…
তাদের দেখা উচিৎ তাদের বাবার সাথে তাদের মা কত অন্যায় করছে …
কত কষ্ট দিচ্ছে তাদের মা তাদের বাবাকে …
রাজ মন ভরে শীতলের নাভিতে চুমো খেলো..
শীতল শিহিরীত হয়ে রাজের চুল মুঠি দিয়ে ধরলো….
.
.
.
রাজ শীতলকে কোলে নিয়ে কারে বসালো…
রাজ শীতলকে তাদের বাড়ির সামনে নামিয়ে দিলো…
.
.
.
শীতল কিছু না বলে চুপচাপ হেটে যাচ্ছিলো…
_ডার্লিং ??
শীতল পেছনে তাকালো..
_এখন নকল বাড়ি থাকো..
খুব তাড়াতাড়ি সব রহস্য উদ্ধার করে তোমাকে আমার কাছে নিয়ে আসবো…
টেনশন করোনা…
খেয়ে দেয়ে নাকে সরষে মেখে ঘুমাও…
.
.
.
I love you …I can’t live without you … 💓💓💓.
.
.
.
শীতল বাড়িতে ঢুকে গেলো..
রাজ চলে গেলো কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে …
রোদ বারান্দা থেকে এসব দেখছিলো আর লুচির মতো ফুলছিলো..
সে বেচে থাকতে এজিবনে কখনো রাজ আর শীতলকে এক হতে দেবেনা…
রোদ ওয়েলেট থেকে রোজার ছবি বের করে দেখলো এক পলক…
তার চোখ দিয়ে এক ফোটা পানি বের হলো…
.
.
.
পরের দিন রাজ শীতলের বাসার সামনের পেছন দিক দিয়ে দাড়িয়ে রইলো তাকে এক পলক দেখে অফিসে যাওয়ার জন্য…
বাট শীতল একবারের জন্য এলোনা বারান্দায়…
.
.
.
রাজ মন খারাপ করে অফিসে গেলো…
রাজের কোনো কাজে মন টিকছেনা …
শীতলকে ছাড়া সে কিছু ভাবতে পারছেনা …
ইচ্ছে করছে রোদকে মাডার করে শীতলকে নিজের কাছে নিয়ে আসতে…
শীতলের মুখের দিকে তাকিয়ে রাজ বেশি জোর দেখাচ্ছেনা..
রাজ শীতলকে কষ্ট দিতে চায়না আর…
তা না হলে শীতলকে এতো ক্ষন শিকল দিয়ে বেধে নিজের কাছে রাখতে পারতো…
.
.
.
.
রাজের কাছে সন্ধ্যায় একটা ফোন এলো..
রাজের সিক্রেট গার্ড তাকে জানিয়েছে যে শীতল কে আজকে সজল নামের কেউ দেখতে এসেছে …
বিয়ের কথা ভাবছে শীতলের বাড়ির লোক শীতলের….
.
.
.
রাজের মাথা নষ্ট হয়ে গিয়েছে এমন কথা শুনে …
রাজ লেট না করে বাতাসের বেগে শীতলদের বাড়িতে আসলো ড্রাইভ করে..
রাজ মেইন গেট ভেঙে ঢুকলো শীতলদের বাড়িতে..
বাট রাজ ভেতরে ঢুকতে পারলোনা…
কারণ রোদ পুরো পুলিশ বাহিনি দিয়ে সারা বাড়ি গার্ড দিয়ে রেখেছে ….
.
.
.
.
রাজ জোর জবস্তি ঢুকতে চাইলো বাড়িতে …
বাট পুলিশ গার্ডরা তাকে ঢুকতে দিলোনা …বললো…
_মিঃ রাজ আপনি এভাবে রাতে ভদ্র লোকের বাড়িতে আসবেননা …আর এভাবে বৃশংখলাও করবেনা না..
.
.
.
আপনি একজন বিশিষ্ট লোক …
আপনি আসতে পারুন…
রাজ রেগে পুলিশ গার্ড টা কে লাথি মারলো…
রোদ এটা দেখে রাজকে জোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো…
রাজের কপাল থেকে ব্লিডিং বের হচ্ছে …..
রাজ বললো সে কিছুতেই যাবেনা শীতলের সাথে কথা না বলে …
রোদ রাজকে থ্রেড করলো এখান থেকে চলে যেতে…
রোদ রাজের মাথা ফাটানোর পরেও কিছু বললোনা ..
এদিকে তার খেয়ালও নেই..
রাজ জোরে জোরে চিৎকার করে শীতলের নাম ধরে ডাকতে লাগলো….
.
.
.
রাজ বলছে সে শীতলের সাথে দেখা না করে যাবেনা কিছুতেই ….
হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হলো…
আকাশ ফেটে যেনো বজ্রপাত হচ্ছে ….
খুব জোরে বৃষ্টি শুরু হলো…
সবাই ভেতরে ঢুকে গেলো..
গার্ডরা এখনো মেইন ডোরে পাহাড়া দিচ্ছে রাজ যেনো ভেতরে ঢুকতে না পারে…
রাজ বৃষ্টি ওপেক্ষা করে শীতলের রুমের বারান্দার দিকের রাস্তায় দাড়িয়ে রইলো…
আর জোরে জোরে শীতলের নাম ধরে চিৎকার করতে থাকলো…
রাজ তার চিৎকার থামাচ্ছে না …
এদিকে ঝড় শুরু হলো ঢাকাতে …
রাজ বৃষ্টিতে ভিজে এক পলকও ফেলছেনা শীতলের রুমের দিক থেকে তাকিয়ে….
.
.
.
.
চলবে……..(ভুল ত্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে .অসুস্থজনিত কারনে খুব স্প্রিডে লিখেছি ,একবার ডিলিটও হয়েছে )