“অবুঝ_ছাত্রী part_24

#অবুঝ_ছাত্রী

#লেখক_IR_Iman_Islam

#part_24

(23পর্বের পর থেকে )

যে রাফিজা আমার সাথে একদিন কথা না বলতে পারলে পাগলি হয়ে যায়।সে আজকে কথা না বলে কেমন করে থাকতেছে।যে আমার জন‍্য সুসাইট করেছিলো আজ কেমন করে আছে সে আমাকে ছাড়া।

কেনো কেনো আমাকে কষ্ট দিচ্ছে।আমার কি
দোষ। এভাবে দিন যাচ্ছে আমার কষ্টে।
একদিন রাফিজাদের বাসায় গেলাম

আরে ঈমান যে কেমন আছো।আর আমাদের বাসায় আসোই না যে।
ভালো আংকেল আপনি।

আমিও ভালো।

আংকেল রাফিজা বাসায় আছে।

না তো বাবা ও তো কলেজে গিয়েছে।

ও ঠিক আছে তাহলে আমি আসি আংকেল।

কেনো থাকো না এখানে বাবা।আর ও আসবেই তো।

না আংকেল রাফিজার সাথে খুব জরুলী কথা আছে।আমি তাহলে ওর সাথে কলেজে দেখা করে নিবো।তাহলে আমি আসি আংকেল।

ওকে তাহলে যাও বাবা।

আমি চলে যাচ্ছি গেট দিয়ে বাহির হতেই

ঈমান শুনো তোমার বাসার নাম্বারটা দেও তো।

ঠিক আছে আংকেল এই নেন 0177378******আমি নাম্বার দিয়ে কলেজে যাচ্ছি রাফিজার কাছে।তাকে আজকে জিগ্যেসা করবো কেনো আমাকে কষ্ট দিচ্ছে।আমি তো কোন দোষ করি নাই।তারপর কলেজে আসলাম।কলেজের গেট দিয়ে ভিতরে গিয়ে দেখতেছি রাফিজা একটা ছেলের সাথে আড্ডা চক্রে বসে আছে।এটা দেখে আমার তো খুব কষ্ট হচ্ছে।এটাই কি শেই রাফিজা।আজকে আমাকে ভূলে খুব ভালো আছে ।আজকে কলেজে না আসলে এর কারন জানতে পারতাম না কেনো আমাকে কষ্ট দিচ্ছে।পরিষ্কার জানতে পারলাম আজকে কেনো যেনো রাফিজাকে ঘৃণা লাগতেছে।

আমি আর কষ্ট পাবো না।কার জন‍্য কষ্ট পাবো সে তো আজকে খুব সুখে আছে অন‍্য ছেলের সাথে।আজ থেকে আর রাফিজাকে ভালোবাসবো না।ওর জন‍্য অনেক কষ্ট পেয়েছি আর না।আমি আর কলেজে এক সেকেন্ড থাকি নাই।

শাকিল তুমি আমাকে কতোটুকু ভালোবাসো।(রাফিজা)

অনেক কেনো হঠাৎ এই কথা কেনো।

এমনি আমাকে কখনো ভূলবে না ত।

না কখনো না।রাফিজা চলো তাহলে আজকে তোমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবো।

সত‍্যি।(খুশিতে শাকিলকে জরিয়ে ধরে)

হুম সত‍্যি চলো।

তারপর আমি শাকিলের বাইকে চড়লাম।শাকিল নিয়ে যাচ্ছে আমাকে ঘুরতে।আজকে আমি অনেক খুশি কারন আমি কখনো বাইকে ঘুরি নাই তাই।শাকিলের সাথে আমি অনেক জায়গায় ঘুরলাম।

শাকিল চলো আমরা বাড়িতে যাই অনেক তো ঘুরলাম।

আর একটু থাকি না।ভালোই তো লাগতেছে।

না চলো বিকাল হয়ে গেছে।বাসায় বাবা আছে টেনশন করবে।

ওকে তাহলে চলো।

শাকিল আমাকে আমার বাসায় সামনে নেমে দিয়ে চলে গেলো।বাসায় ঢুকতেই বাবা বলতেছিলো

কই ছিলি মা।এতো দেরি

বাবা আজকে এক বন্ধুর সাথে ঘুরতে গিয়েছিলাম তাই দেরি হয়েছে বাবা।

ও ঠিক আছে।আর ঈমানের সাথে দেখা হয়েছিলো কি।

ওর সাথে আমার কেমনে দেখা হবে আমি তো কলেজে ছিলাম।

কেনো প্রথমে তো বাড়িতে তোমার খুজে এসেছিলো কিন্তু তুমি বাড়িতে ছিলে না তাই ও বললো তোমার সাথে কলেজে দেখা করবে কি যেনো দরকার ছিলো।

ও আর কলেজে দেখা করে নাই তো।

ও।

তাহলে বাবা আমি গেলাম রূমে খুব টায়ার্ড লাগতেছে।

ওকে যাও ফ্রেস হয়ে রেস্ট করো।

ওকে বাবা।

তারপর আমি রূমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম।কিন্তু ঈমান স‍্যার কেনো বাসায় এসেছিলো।কি দরকারে ভেবে পাচ্ছি না।দেখি একটু ফোন দেই বহু দিন কথা বলি না।কিন্তু ফোন তো বন্ধ বলতেছে।কি করি ধেত কি হবে পরে দেখা যাবে এখন ঘুমাই।

আমি কলেজে রাফিজার সাথে একটা ছেলেকে দেখে খুব কষ্ট পেয়েছি।তাই তারা তারি বাড়িতে আসলাম।বাড়িতে এসে সোজা আমার রূমে চলে আসলাম আর রূমের দরজা বন্ধ করে দিলাম।দেখতেছি চোখ দিয়ে পানি পড়তেছে।আরে কার জন‍্য আমি কাদতেছি যে আমাকে ধোকা দিয়েছে।না আমি কাদবো না।কোন মানুষ চায় না যে তার ভালোবাসার মানুষ অন‍্যের হোক।সেটা আজকে আমি নিজের চোখে দেলাম।চোখের পানি তো কোন বাধা মানতেছে।শুনছিলাম ছেলেরা নাকি কাদে না কিন্তু আজকে বুঝলাম একটা ছেলে তখনে কাদে যখন খুব কষ্ট পায়।সেই রকম আমিও আজকে কষ্ট পেয়েছি।ওই জন‍্য চোখের পানি পড়তেছে।কান্না করতে করতে ঘুমাই গেছি।

এই ঈমান বাবা দরজা খুল।কি হয়েছে তোর বাবা।আজকে দরজা বন্ধু করে রেখেছিস কেনো।

এই ঈমান দরজা খুল বাবা।

মার ডাকা ডাকি শব্দে ঘুম ভাঙ্গল।

কি হয়েছে মা ডাকতেছো কেনো।

দরজা খুল বাবা সারাদিন কিছু খাস নাই।বিকাল হয়ে গেছে উঠে কিছু খেয়ে নে বাবা।

ওকে তুমি যাও আমি যাচ্ছি।তারপর আমি হাতমুখ ধুয়ে খেতে গেলাম মার কাছে।

বাবা তোর চোখ লাল কেনো।কান্না করেছিস নাকি কেউ কি তোকে বলেছে।

না মা এমনিতে চোখে কি যেনো পরেছে।

ও ঠিক আছে বস এখানে আমি খাবার দিচ্ছি।

ওকে মা।আমি খেয়ে আবার রূমে আসলাম।আজকে কেনো যেনো খুব খারাপ লাগতেছে কোন কিছূ ভালো লাগতেছে না।শুধু রাফিজার জন‍্য আজকে আমার এমন অবস্হা।আমিও একদিন বড় মানুষ হবো সে দিন তোমাকে দেখিয়ে দিবো মানুষের মন নিয়ে খেলার পরিনাম।

এভাবে চলে গেলো পাচ দিন আমি আর রাফিজাকে ফোন দিয়ে বলি না তোমাকে ভালোবাসি।এখন শুধু ভাবি আমাকে বড় হতে হবে।দেখতে দেখতে আমার রেজাল্ট দেওয়ার দিন চলে এসেছে।আজকে আমার রেজাল্ট দিবে খুব চিন্তা হচ্ছে।রেজাল্ট ভালো হলে তো ভালো নাহলে ।তাহলে আমার স্বপ্ন পূরন হবে না।বারোটা বেজে গেলো রেজাল দেখতে কলেজে যাচ্ছি।
কলেজে গিয়ে রেজাল্ট নোটিসে দেখে আমি তো খুব খুশি কারন কলেজে সবার চেয়ে আমি ভালো রেজাল্ট হয়েছে।আমি ফাস্ট হয়েছি কলেজে।আজকে আমি শেই খুশি কারন আমি আমার স্বপ্ন পূরন করতে পারবো।

( কেমন হয়েছে জানাবেন।আর ভূল হলে ক্ষমা করবেন )

#চলবে,,,,,,?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here