“অবুঝ_ছাত্রী (part 28)_end

#অবুঝ_ছাত্রী

#লেখক_IR_Iman_Islam

#part_end

(27পর্বের পর থেকে )

ঢং আমি দেখাই না।ওকে যাও আমি নিচে যাচ্ছি।

আরে থাকি না এখানে।

তাহলে থাকো এখানে আমি যাই।আমি আর রূমে এক মিনিটেও থাকলাম না।চলে আসলাম আংকেলের কাছে।নিচে এসে দেখি আংকেল সোফায় বসে আছে।আমি গিয়ে আংকেলের পাশে বসলাম।

আংকেল আপনি নাকি আমাকে ডেকেছেন।

হুম বাবা।

কেনো আংকেল।

বাবা আর তো দুই দিন বাকি আছে বৃহস্পতিবার আসতে।

হুম আংকেল।

এবার রাফিজাকে বলবো কি এই কথা বাবা।

না আংকেল ওকে আমি সারপ্রাইজ দিবো সে দিন।

ঠিক আছে বাবা।তাহলে আমি বিয়ার পুস্তুতি নেয়।মেহমান দের দাওয়াত দিতে হবে।

আংকেল বেশি মানুষকে দাওয়াত দিয়েন না।কারন বিয়েতে এখন কম মানুষে ভালো।

কি বলো বাবা।আমার তো একটায় মেয়ে।যদি ধূমধাম করে বিয়ে না দিতে পারি তাহলে মানুষ কি বলবে।

মানুষ কি বলে বলুক।দেশের অবস্হা ভালো না।যে ভাইরাস চলতেছে তাই।

ঠিক আছে তুমি যেটা বলবে বাবা।

ঠিক আছে আংকেল আর কিছু বলবেন।

না বাবা।

তাহলে আমি আমার রূমে যাই।

ঠিক আছে যাও বাবা।

আমি রূমে আসলাম আংকেলের কাছে থেকে।এসে দেখি রাফিজা রূমে আছে বিছানায় বসে।কি মেয়ে রে ভাই।যেটা বলবে ওটাই করবে।আমি রূমের ভিতরে ঢুকে দেখি ও আমার ফোনে কি যেনো দেখতেছি।

আরে তুমি আমার ফোনে কি দেখতেছো।আমার ফোন আমাকে দাও।

না দিবো না।ছবি নাই কেনো।

আরে দাও বলতেছি।আর কিসের ছবির কথা বলতেছো।

কেনো যার সাথে তোমার বিয়ে হবে।

ফোনে পিক রেখে কি করবো সবসময় তো সামনেই থাকে আমার বউ।আস্তে আস্হে বলতেছি।

আরে কি বিরবির করতেছো জোড়ে বলো কি বলতেছো।

না কিছু না।আর তুমি ছবি দেখে কি করবা।আমি আমার বউ এর ছবি কেনো তোমাকে দেখাবো হে।

আমি দেখবো ওই মেয়ে আমার চেয়ে সুন্দরী কি না।

আমার বউ অনেক সুন্দর তোমার চেয়ে ওকে।আর ফোন দেও তো।আমি রাফিজার হাত থেকে আমার ফোনটা কেড়ে নিলাম।

সত‍্যি কি তুমি ওই মেয়েকে বিয়ে আমাকে ছেড়ে।আর ওই মেয়ে কি আমার চেয়ে সুন্দর।

হুম তোমাকে বিয়ে করবো না।

ঠিক আছে।মন খারাপ করে চলে গেলো আমার রূম থেকে।

আর দুই দিন অপেক্ষা করো।তারপর আর কষ্ট দিবো না তোমাকে।

এখাবে দেখতে দেখতে দুই দিন চলে আসলো।আজকে আমার আর রাফিজার বিয়ে।এটা কিন্তু ও এখনো জানে না।তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দেখি ফ্রেস হয়ে নিচে এসে দেখি সবাই বিয়ে নিয়ে ব‍্যস্ত।বাড়িটা হাল্কা সাজানো হয়েছে।কিন্তু রাফিজাকে দেখতে পাচ্ছি না।তাই আমি এগুলো দেখে আবার রূমে আসলাম।রূমে এসে মাকে ফোন দিলাম

আসসালামু লাইকম মা।

ওলাইকুম আসসালাম বাবা।কেমন আছিস।

ভালো মা তুমি।

আমিও ভালো।কি করিস বাবা।

বসে আছি রূমে।আর আজকে রেডি থাকো তোমার বউ মা কে নিয়ে যাবো তমার কাছে।

সত‍্যি বাবা।

হুম।ওকে বায় তাহলে আমি রেডি হই ছেলে আসবে বলে কথা।

হাআআআ ঠিক আছে মা।ফোন মা কেটে দিলো।জীবনে কখন সখ,দুঃখ আসবে আসবে কেউ জানে না।কি থেকে কি হয়ে গেলো।আজকে আমার বিয়ে কেমন যেনো লাগতেছে।মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে আমি তো আমার ভালোবাসার মানুষকেই বিয়ে করবো।কিন্তু রাফিজা কই ওকে দেখতে পাচ্ছি না।দেখি ওর রূমে গিয়ে কিন্তু ওর রূমে গিয়ে ওকে আর পেলাম না তাই আবার আমার রূমে আসলাম।কই গেলো পাগলি টা।

বাবা এগুলো সাজাচ্ছো কেনো।কারো বিয়ে নাকি।

হে মা তুই জানি না আজকে ঈমানের বিয়ে।

কার সাথে বাবা।

কেনো

আরে এখানে কি করো।এদিকে আসো কাজ আছে।

রাফিজা গেলাম তোমার মা ডাকতেছে।

কিন্তু বলে তো যাও কার সাথে বিয়ে।

আমি গেলাম রাফিজা তোমার মা রাগ করবে।

কি তোমাকে না বলেছে রাফিজাকে বলতে বিয়ে কথা।

আর আমি মেয়েটার দুঃখ আর দেখতে পারতেছি না।

আরে আর তো কিছুক্ষনের বেপার।

ওকে আর বলবো না।

কি বেপার বাবা কেনো আমাকে পাত্তায় দিচ্ছে না।আমি কি সত‍্যি ঈমানকে হারিয়ে ফেলবো আজকে।আমি তো ঈমানকে ছাড়া বাচতে পারবো না।তাও আমাকে মেনে নিতে হবে রাফিজা।তোর পাপের শাস্তি পাচ্ছিস।আমি এগুলো ভেবে কান্না করতে করতে আমার রূমে চলে আসলাম।ভাবতেছি সুসাইট করবো না কষ্ট আর সর্য‍্য হচ্ছে না কিন্তু সুসাইট একবার করতেই মা বাবা যে কষ্ট পেয়েছে তাই পারতেছি না।

দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়ে যাচ্ছে।আমি বর সেজে চলে আসলাম নিচে আংকেলের কাছে।

বাবা তুমি এসেছো এখানে বসো।

আমি সোফায় গিয়ে বসলাম।এখানে দেখতেছি কিছু মুরবি আর কাজী বসে আছে।

তো রফিক সাহেব ছেলে তো এখানে মেয়ে কই।

এই আছে দারান।রাফিজার মা রাফিজাকে নিয়ে আসো তো।

ওকে আনতেছি।

একটু তারাতারি নিয়ে আসো।

ওকে।রাফিজা মা দরজা খুল।

আমি দরজা খুলবো না।আমি ঈমানকে অন‍্যের হোক এটা নিজের চোখে দেখতে পারবো না মা।তুমি যাও এখান থেকে।

আরে দরজাটা তো খুল আগে।তোর বাবা ডাকতেছে।

বাবার কথা শুনে দরজা না খোলার সর্তেও খুললাম।বাবাকে একটু ভয় পাই তো।দরজা খুলে দেখি মার হাতে লাল শাড়ি আরো অনেক কিছু মানে বউ সাজতে যা যা লাগে।

এগুলো কার মা।

কেনো তোর জন‍্য।আজকে তোর বিয়ে।

কার সাথে মা।আর ছেলে কে।আমি ঈমানকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবো না।

তোর বাবা চাচ্ছে ঈমানের তো আজকেই বিয়ে হবে তাই তোর ও বিয়েটা সেড়তে চাও।ছেলে ভালো চাকরী করে।নে এগুলো পড়ে নে তারাতারি।

না মা আমি এই বিয়ে করতে পারবো না।

মা তুই কি চাস তোর বাবার যে টুকু সম্মান আছে তা নষ্ট হোক।

আমি আর কিছু বলি নাই।কি বলবো হুট করে বলতেছে আমার বিয়ে চেনা নাই জানা নাই কোন ছেলের সাথে বিয়ে।

কি হলো।আচ্ছা আয় আমি তোকে সাজিয়ে দিচ্ছি।

মা আমাকে সাজিয়ে দিচ্ছে আমি চূপ করে আছি।মনে হচ্ছে আমার দেহে প্রান চলে গেছে।খুব কষ্ট হচ্ছে যাকে প্রানের চেয়ে ভালোবেসেছি তাকে ছাড়া অন‍্য কাউকে বিয়ে করতে হবে।

আজকে আমার মেয়েকে তো অনেক সুন্দর লাগতেছে বউ সেজে।

আমি তো অবাক হয়ে গেছি এতো তারাতারি মা আমাকে এতো সুন্দর করে সাজিয়ে দিলো।

চল মা সবাই তোর জন‍্য নিচে অপেক্ষা করতেছে।

আমি আর কিছু বলি নাই।মা আমাকে নিচে নিয়ে আসতেছে।

আরে এটা কি রাফিজা।যে আমার বউ হবে। এতো সুন্দর লাগতেছে বউ সেজে।আমি তো চোখ সড়াতে পাচ্ছিই না।ঈমান কন্ট্রোল তোরে তো বউ পরেও দেখতে পাবি এখন তো ছেপে থাক রাফিজা যদি চিনতে না পারে।

বস মা এখানে।

মা তুমি ছেলেটার পাশে বসো।আর কি বলে বিয়ের কাজ শুরূ করি।

ঠিক আছে কাজি সাহেব শুরু করেন বিয়ের কাজ।

আমি তো রাফিজাকে বার বার দেখতেছি।ও আমাকে একবারো দেখে নাই।মাথা নিচ করেই আছে।রাফিজা আর একটু অপেক্ষা করো সারপ্রাইজ পাবে।

কাজি বিয়ে পড়ানো শুরু করে দিয়েছে।প্রথমে কাজি আমাকে বলতেছে।

বলো বাবা কবুল।

কবুল

বলো বাবা কবুল

কবুল

আর একবার বলো
কবুল

আলহামদুলিল্লাহ্ এবার মা তুমি বলো কবুল।

চূপ করে আছি কবুল বলবো কি না।

বলো মা কবুল।

বল মা কবুল।

আমি তো শুধূ চূপ করে রাফিজার কাহিনি দেখতেছি।শেষে ও কবুল বলে ফেলেছে।বিয়ে হয়ে গেলো আমার আর রাফিজার।আমার আজকে খুব একজন খুশি মানুষ মনে হচ্ছে।বিয়ে পড়াতে রাত আটটা বেজে গেলো।তাই আংকেল আর আজকে যাইতে দিলো না ঢাকায়।মাকে ফোন করে বলে দিলাম আজকে যাইতে পারবো না রাত হয়েছে তাই।মার আর কিছু বলে নাই।মার সাথে কথা বলে নয়টা বেজে গেলো।তাই রূমে যাচ্ছি পাগলিটা কি করতেছে একায়।আমি প্রথম পুরুষ যে নয়টার সময় বাসরঘরে ঢুকতেছি।মানুষ বিয়ে করে বাসর ঘরে ঢূকে রাত বারটা,একটা আর আমি তার উলটা।তাই আর দেরি না করে রূমে ঢুকলাম।রূমে ঢুকে দেখি পাগলি ঘোমটা দিয়ে বসে আছে।আমি একটু গলা র শব্দ দিলাম।রাফিজাকে বুঝালাম আমি এসেছি।আমি গিয়ে বিছানায় বসতেই

এ আপনি আমার কাছেই আসবেন না।আপনাকে আমি স্বামী হিসাবে মানি।(একটা চাকু হাতে ধরে )

তাহলে কাকে মানবে আমাকে ছাড়া।

কি বেপার গলাটা চেনা চেনা লাতেছে কেনো।আমি ঘোমটা উপরে তুলে দেখি ঈমান মিঠি মিঠি হাসতেছে।

তুমি

হুম সোনা সারপ্রাইজ।

কিভাবে,,,,,,?

সমাপ্ত ভাই এখান থেকে।বাকিটা সিজন 2 এ হবে রোমান্টিক ভাবে।

(প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কেমন হয়েছে জানাবেন এবং ভূল হলে ক্ষমা করবেন।আপনাদের মতো আমিও মানুষ তাই আমারো ভূল হতে পারে তাই ক্ষমা চাই।এতো দিন আপনাদের অনেক সময় নষ্ট করেছি তাই আমি দুঃখীত ।এতো দিন আমার সাথে থাকার জন‍্য জন‍্য আপনাদের ধন‍্যবাদ।গল্পের মধ‍্যে যদি কোন ভূল হয় ক্ষমা করবে।সিজন 2 পার্ট দিবো পরশু দিন থেকে সবাই পড়বেন আশা করি।আপনাদের মতামতে সিজন 2 পার্ট লিখতেছি যদি পাশে না থাকেন তাহলে লিখবো না ।
সবাই ভালো থাকবেন আর ঘরে থাকবেন।দেখা হবে নতুন দিনে নতুন গল্প নিয়ে।?)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here