“অবুঝ_ছাত্রী part_25

#অবুঝ_ছাত্রী

#লেখক_IR_Iman_Islam

#part_25

(24পর্বের পর থেকে )

না মা আংকেল আজকে যাক।

ঠিক আছে বাবা তাহলে আজকে আমি যাচ্ছি তাহলে কালকে তুমি ছুটি নিয়ে যাইও।

ওকে আংকেল।
আংকেল খাওয়া দাওয়া শেষ করে চলেন গেলেন আমাদের বাসা থেকে।

পরেদিন সকালে মায়ের ডাকে ঘুম থেকে উঠলাম।তারাতারি ফ্রেস হয়ে অফিসে যাচ্ছি ছুটি নেওয়ার জন‍্য।
নিজের গাড়ি করে অফীসে চলে আসলাম।অফীসে গিয়ে সাথেই বসের কাছে চলে গেলাম।বসের রূমের সামনে গিয়ে
মে আই কামিন স‍্যার।

আরে ঈমান যে আসো আসো ভীতরে আসো।

ওকে স‍্যার।

তো কি মনে করে কোন সমস‍্যা হয়েছে নাকি।

না স‍্যার।আমাকে কিছু দিনের জন‍্য ছুটি লাগতো।

ঠিক আছে নেও ছুটি মানা কে করেছে।কতো দিন লাগবে।

এক সপ্তাহ লাগবে স‍্যার।

ওকে যাও আজ থেকে তোমার এক সপ্তায় ছুটি।

ধন‍্যবাদ স‍্যার।

ওকে যাও ধন‍্যবাদ দিতে হবে না আর আজকে কি অফিস করবে।

না স‍্যার।

ঠিক আছে যাও।

ওকে স‍্যার।অফীস থেকে বাসায় রওনা দিলাম।রাফিজাদের বাসায় যাইতে হবে তাই।বহু দিন পরে রাফিজাকে দেখতে পারবো।কতো খুশি যে লাগতেছে।বাসায় চলে আসলাম।

ঈমান কখন যাবি বাবা আমার বউ মাকে আনতে।

এই তো একটু পরে রওনা দিবো।

ঠিক আছে বাবা।আচ্ছা একটা কথা বলতো বাবা আমার বউ মা দেখতে কেমন।

অনেক সুন্দর মা।আর আমি উপরে গেলাম কি কাপড় নিতে হবে।আমি আমার রূমে এসে কিছু কাপড় আমার বেগে ঢুকায় নিলাম।তারপর নিচে আসলাম।

মা আমি গেলাম।

ঠিক আছে বাবা যা।আর দেখে শুনে যাস।বউ মার অপেক্ষায় রইলাম আমি তারাতারী আনবি।

ওকে মা।মার কাছে থেকে বিদায় নিয়ে নিজের গাড়ি নিয়ে রওনা দিলাম রাফিজাদের বাড়িতে।আট ঘন্টা পর চলে আসলাম সেই চিরো চেনা শহর ফুলবাড়ি।যেখানে আমি ছোট থেকে বড় হয়েছি।রাস্তা দিয়ে যাইতে সেই কলেজটা দেখতে তাই গাড়ি দাড় করে গাড়ি থেকে বাহির হওলাম।কলেজটা দেখে সেই পূরনো কথা মনে পরে গেলো।রাফিজার ধোকা দেওয়া কথা।আর এখানে না দারিয়ে থেকে রওনা দিলাম আবার।তিন বছরে শহরের অনেক কিছু বদলে গেছে।দুই দিনে মানুষ বদলে যায় আর তিন বছরে শহর বদলীবে না।চলে আসলাম রাফিজাদের বাড়িতে।বাড়িটা আগের মতোই আছে।কোন কিছু পরিবর্তন হয় নাই।আমি গাড়িটা পার্ক করে গেটের সামনে গিয়ে কলিং বেল বেজে দিলাম।দুই বার বাজানোর পরে দরজা খুলে দিলো।

কে আপনি?

আমি ঈমান।তুমি নদী না।

হুম।কিন্তু আপনি কোন ঈমান।

আরে আমাকে চিনতেছো না তিন বছর আগে আমি রাফিজাকে পড়াতে আসতাও।

ও এবার চিনতে পেরেছি।ভিতরে আসো ভাইয়া।

বড় সাহেব দেখেন ঈমান ভাইয়া এসেছে।বলতে বলতে রূমে যাচ্ছে।

এই কথা শুনে আংকেল আন্টি রূম থেকে বাহির হয়ে আসলেন।

বাবা তুমি এসেছো আমার মেয়েটাকে বাচাও বাবা।(আন্টি )

কি হচ্ছে কি ছেলেটা অনেক দূর থেকে আসলো আর কি শুরু করে দিয়েছো।(আংকেল)

বাবা তুমি তো অনেক বড় হয়ে গেছো।আমাদের তো ভূলেই গেছো।

কি যে বলেন না আন্টি।

বাবা যাও আগে ফ্রেস হয়ে নাও।

ঠিক আছে আংকেল।

এই নদী এদিকে আয় তো।

জ্বী আপা বলেন।

তোর ঈমান ভাইয়াকে উপরের ফাকা রূমটায় নিয়ে যা তো।

ওকে আপা।ভাইয়া আসো।

চলো।আমি নদীর পিছনে পিছনে হাটতেছি।তারপর নদী একটা রূমের সামনে নিয়ে আসলো।

ভাইয়া এটা তোমার রূম এটাতে আপনি থাকবেন।

ঠিক আছে।এটা বলে নদী চলে গেলো।আমি রূমের ভীতরে চলে গেলাম।গীয়ে দেখি রূমটা অনেক সুন্দর ভাবে গুছানো।কেউ মনে হয় আজকে রূমটা গুছিয়েছে।অনেক সুন্দর ভাবে রূমটা সাজিয়েছে।কিন্তু রাফিজাকে দেখতে পাইলাম না ও কই।না মাথাটা খুব ব‍্যথা করতেছে আগে ফ্রেস হয়ে নেয়।আমি ফ্রেস হতে চলে গেলাম বাথরুমে।ফ্রেস হয়ে রূমে এসে সুয়ে পড়লাম।মনকে শান্ত করতেই পারতেছিনা রাফিজাকে না দেখে।ভাবতেই আমার চোখগুলো দরজার সামনে চলে গেলো।কেউ মনে হচ্ছে দরজার সামনে দারিয়ে আছে।কে ওখানে বলতেই মনে হচ্ছে কে জেনো চলে গেলো।কে হতে পারে।দুইবার এই রকম হলো কিন্তু কে ওটা এখনো বুঝতে পারতেছি না।তাই তিনবারের মাথায় ধরতে আমি দরজার সাইটে দারিয়ে গেলাম যেনো আমাকে দেখতে না পায়।দারিয়ে থাকতেই কে যেনো আবার দরজার সামনে চলে আসলো।তাই আমি কথা না বলে সাথে সাথে জরিয়ে ধরলাম।জরিয়ে ধরে সাথে সাথে রূমে ঢুকিয়ে আনলাম আর দরজা আটকে দিলাম।আমি তো একে দেখে অবাক

আমি তো দেখে সেই খুশি হয়েছি বহু দিন পরে রাফিজাকে দেখতে পেয়েছি।দেখতেছি আমার আসা কথা শুনে আমার পছন্দের রংগের শাড়ি পড়েছে।আগে যেমন সাজতো তেমন করে আমি আর তার সুন্দয‍্য প্রকাশ করলাম না।
আরে আপনি।আমি যে বার বার বলতেছি কে ওখানে আপনি শুনতে পান না।

মাথা নিচ করে আছে।

কি হলো কথা বলেন না কেনো।

আমি কোন মুখ নিয়ে তোমার সামনে আসবো তাই দূর থেকে দেখতেছি।

তুমি নয় আপনি করে বলেন।তুমি বলার অধীকার তিন বছর আগে হারিয়ে ফেলছেন ।

প্লিজ এমন করিও না।আমি ভূল করেছি আমাকে ক্ষমা করে দেও প্লিজ।

ক্ষমা হাসালে আমাকে।তোমাকে ক্ষমা আমি কখনো করবো না।

প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দেও।(আমার মা জরিয়ে ধরে )

আরে কি করছেন পা ছাড়েন।

না পা ছাড়বো না আমাকে আগে বলো আমাকে ক্ষমা করেছো।

আচ্ছা ঠিক আছে ক্ষমা করে দিয়েছি আপনি আগে আমার পা ছাড়েন আগে।মেয়ে মানুষ পা ধরে থাকবে কেমন দেখায় না।

সত‍্যি তো।

হুম।

তো আপনার কলেজের আশিকের কি খবর।যার জন‍্য আমাকে তিনটি বছর কষ্ট পেতে হয়েছে।যার জন‍্য আমাকে অবেহেলা করেছো।তোমাকে মন থেকে ভালো বাসতাম কিন্তু তার প্রতিদান দিলে কি শুধু কষ্ট।

আমি মানুষ চিনতে ভূল করেছি।ওই আশিক আমাকে ঠকিয়েছে।ওর বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে আমার সাথে এক মাস প্রেম করেছে।কিন্তু তখন বুঝতে পারি নাই তোমার ভালোবাসাটা।এক মাস পরে বুঝতে পারলাম তোমাকে ছাড়া বাচতে পারবো না।

আমি অতো কিছু বুঝী না আমাকে ধোকা দেওয়ার সময় মনে ছিলো না।আর সামনে আমার বিয়ে তাই দাওয়াত দিতে আসলাম।

আমি এটা মানি না।তুমি শুধু আমার।(আমাকে জরিয়ে ধরে বলতেছে )

আরে ছাড়েন তো জরিয়ে ধরতেছেন কেনো।আমি আর আপনাকে ভালো বাসি না।শুধু ঘৃণা করি।সামনে আমার বিয়ে দাওয়াত রইলো আপনার।আমার হবু বউ আপনার মতো আমাকে ধোকা দিবে না।

এটা হতে পারে না।তুমি শধু আমার।আমি অন‍্য কারো হতে দিবো না।যে করে হোক আমি তোমাকে আমার করে নিবো।

ঠিক আছে দেখা যাবে কে কার হয়।

আচ্ছা দেখা যাবে।এই বলে রাফিজা চলে গেলো রূম থেকে।

কে মেয়ে ভাই এক সময় আমাকে কষ্ট দিয়েছে অবহেলা করেছে এখন সে আমার পিছনে পড়ে আছে।রাফিজা তুমি আমাকে এখনো চিনলে না বউ তো তোমাকেই করবো।কিন্তু একটু তো কষ্ট দিবোই তোমাকে বুঝাবো কাউকে ধোকা দিলে কেমন লাগে।তারপর মেনে নিবো তোমাকে।

আর একটা কথা রাফিজা আর আগের মতো নাই।শুখিয়ে গেছে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে।আগে মতো মায়া কাজ করে না।

#চলবে,,,,,,?

(কেমন হয়েছে জানাবেন।আর ভূল হলে ক্ষমা করবেন )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here