#অবুজ_পাখি
#নাম_না_জানা_পথিক
পাট:১৪
রিফাত বাড়িতে ঢুকামাত্র একটা মেয়ে এসে রিফাত জড়িয়ে ধরে। সিড়ি থেকে এই দৃশ্য দেখে জেনো রাগে পরির চোখ দিয়ে আগুন বের হচ্ছে। রিফাত তাড়াতাড়ি তার থেকে মেয়েটাকে ছাড়িয়ে নেয়।
রিফাত: ফারিহা তুই এখানে? (মেয়েটি ফারিহা যার সাথে রিফাতের দাদি রিফাতের বিয়ে ঠিক করেছিল)
ফারিহা: হুম আমি কেনো আমাকে দেখে তুই খুশি না?
রিফাত: খুশি হবো না কেনো আসছোছ থাক।
ফারিহা: আমি কোন দিক থেকে খারাপ পড়াশোনায় ভালো বতমানে একজন নামকরা উকিল তাও তুই আমাকে কেনো বাদ দিয়ে ঐ গেয়ো মেয়েটাকে বিয়ে করলি?
ফারিহা: দেখ আমি এই বিষয়ে তোর কাছ থেকে জানতে চাই না। পরিকে আমি ভালোবাসি তাই বিয়ে করেছি।
ফারিহা: আমিও যে তোকে ভালোবাসি।
রিফাত: আমার বউ আছে আমার থেকে যত দূরে থাকবি ততই ভালো। বলে রিফাত তার রুমে চলে গেলো।
রিফাত রুমে ঢুকার সাথে সাথে পরিও রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে রিফাতকে টেনে ওয়াসরুমে নিয়ে গিয়ে ঝণা চালু করে ঝণার নিচে দাড় করিয়ে টেনে রিফাতের শাট খুলে রিফাতের পুরো শরীর সাবান দিয়ে ডলতে লাগলো।
রিফাত: পরি কি করতেছো এসব।
পরি: ঐ শাকচুন্নি তোমায় ধরবো কেনো তোমায় শুধু আমি জড়িয়ে ধরবো বলেই কান্না করতে লাগলো আর রিফাতের পুরু শরীর সাবান দিয়ে ঘসতে ঘসতে কয়েক জায়গায় লালচে হয়ে গেছে তাও পরি সাবান ঘসতে আছে।
রিফাত: পরি কান্না থামাও আমি তো আর ফারিহাকে জড়িয়ে ধরি নাই। আর ও ধরার সাথে সাথে সাথেই তো ওরে ছাড়িয়ে দেই এখন কান্না থামাও। এরকম সময় আম্মু রিফাতের রুমে আসে।
আম্মু: রিফাত তুই কোথায়?
রিফাত: আম্মু যদি এখন পরির কান্নার শব্দ শুনতে পায় তাহলে আজ আর রক্ষে থাকবে না। পরি কান্না থামাও আম্মু শুনে ফেলবে।
আম্মু: রিফাত তুই ওয়াসরুমে থাকলে কথা তো বলবি নাকি।
রিফাত: পরির কান্নাও বেড়ে যাচ্ছে ঐ দিকে আম্মুও ডেকে যাচ্ছে। রিফাত পানির সব কল ছেড়ে দিল যাতে পরির আওয়াজ বাহিরে না যায়। কিন্তু তাও কাজ হলো না পরি আরও জোড়ে জোড়ে কান্না করতে লাগলো। রিফাত ঝনার নিচে দাঁড়িয়ে পরির ঠৌঁট দুটি তার দখলে নিয়ে নেয়। রিফাতের ঠৌটের স্পশ পেয়ে পরি কাছুটা শান্ত হয়।
রিফাত: এখন চুপটি করে এখানে দাড়িয়ে থাকবা একটা কথাও বলবা না।
পরি: হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলো।
রিফাত: ওয়াসরুমের দরজা দিয়ে শুধু মাথাটা বের করে বললো আম্মু কি হইছে।
আম্মু: এতক্ষন লাগে জবাব দিতে তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে।
রিফাত: আমি গোসল শেষে তোমার রুমে আসতেছি।
আম্মু: আচ্ছা আয় বলে চলে গেলো।
রিফাত: পরি আমি আম্মুর রুমে যাই তুমি এই সুযোগে তোমার রুমে চলে যাও কেউ যাতে তোমায় না দেখে।
পরি: হটাৎ রিফাতকে জড়িয়ে ধরে রিফাতের বুকে কিস করতে লাগলো।
রিফাত: পরি সবসময় ফিলিংস দেখানোটা ঠিক না।
পরি: হো আমি জড়িয়ে ধরলে তো আর তোর ভাল লাগবো না ঐ ফারিহা শাকচুন্নি জড়িয়ে ধরলে তোর খুব ভাল লাগবো শালা লুইচ্চা।
রিফাত: পরি তুইতুকারি করতেছো কেনো?
পরি: আমি একশ বার করুম তোর কি?
রিফাত: তোমার মাথা গেছে আমি আম্মুর রুমে গেলাম তুমি তোমার রুমে যাও ওকে।
পরি: একটা ভেংচি কাটে।
রিফাত আর কিছুনা বলে শরীর মুছে ড্রেস পড়ে আম্মুর রুমে যায়। পরি রিফাতের আর তার জামা কেচে শুকাতে দিয়ে রিফাতের একটা শাট পড়ে তার রুমে চলে যায়।
রিফাত: আম্মু তখন ডাকছিলা কেনো?
আম্মু: তোর মামাতো ভাই মেহেদীর বিয়ে ঠিক হইছে সামনের সাপ্তাহে বিয়ে। আমাদের যেতে বলছে।
রিফাত: কিন্তু আমার অফিস।
আম্মু: একদিন অফিসে না গেলে কিছুই হবে না।
রিফাত: আচ্ছা কি বারে বিয়ে সেটা তো বলবা
আম্মু: আজকে রবিবার তো সামনের সপ্তাহের বুধবারে বিয়ে।
রিফাত: তাহলে তো দেড়ি আছে।
আম্মু: তোকে আগে না বললে পরে বলবি ছুটি পাই নাই যেতে পারবো না তোর তো অজুহাতের শেষ নাই।
রিফাত: আচ্ছা যাবোই শিওর।
আম্মু: পরির তো তেমন কোনো ভালো জামা নাই ওর জন্য কিছু জামা নিয়ে আসিস।
রিফাত: আম্মু শাড়ি আনবো?
আম্মু: নাহ ও ছোট মানুষ শাড়ি সামলাতে পারবো না আবার বিয়ে বাড়িতে কত ছেলে থাকবে এর থাকো ভালো ওর জন্য লেহেন্গা বা ১৬-১৭ বাচ্চাদের ড্রেস আছে না সেগুলো নিয়ে আসিস।
রিফাত: মায়ের মতো আগলে রাখবে এরকম একটা শাশুড়ি পেলে মেয়েদের জন্য আর কি লাগে। আচ্ছা আম্মু।
আম্মু: হুম।
রিফাত: আমি তাহলে যাই।
আম্মু: আচ্ছা গিয়ে শুয়ে পড়।
রিফাত আম্মুর রুম থেকে এসে তার রুম লক করে পরির রুমে চলে যায়। গিয়ে জেনো রিফাতের চোখ বেরিয়ে আসাল উপক্রম রিফাত চোখ বড় বড় করে আআআআ করে পরির দিকে তাকিয়ে আছে।
চলবে…..