অবুঝ_পাখি পর্ব ২৪

#অবুজ_পাখি
#নাম_না_জানা_পথিক
পাট:২৪
সকালে রিফাতের ঘুম ভাঙ্গলে দেখে পরি বুকের উপর শুয়ে আছে।
পরি: গুড মণিং জামাই।
রিফাত: তোমার ঘুম ভেঙ্গে গেছে?
পরি: হুম ঘুম আগেই ভাঙ্গছে কিন্তু উঠতে ইচ্ছা করতেছেনা বলে রিফাতকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
রিফাত: কেনো ইচ্ছে করতাছে না?
পরি: কতদিন পর তোমায় এভাবে জড়িয়ে আছি কতদিন পর তোমার উন্মুক্ত বুকে মাথা দিয়ে ঘুমিয়েছি সব কিছু স্বপ্নের মতো লাগতেছে। দাভাই আমাকে আর তোমার থেকে দূরে সরিয়ে রেখো না।
রিফাত: পরিকে জড়িয়ে ধরে আলতো করে পরির কপালে একটা কিস করে বলে আগের সব কিছু ভুলে আমরা আমাদের মেয়েকে নিয়ে শুরু করবো যেখানে শুধু সুখ থাকবে কোনো দুঃখ থাকবে না।
পরি: হইছে এখন ছাড়ো অনেক কাজ আছে।
রিফাত: না এখন আদর করতে ইচ্ছা করতেছে এখন ছাড়বো না। আগে আদর পড়ে কাজ।
পরি: রাতে আদর এখন অনেক কাজ আছে। আবার তাসফিয়া উঠে গেলে ওরে ফিডিং করাতে হবে তার আগে গোসল করতে হবে।
রিফাত: ওকে যাও তাসফিয়ার জন্য ছেড়ে দিলাম তবে রাতে আর ছাড় পাবা না তখন শুধে আসলে ফেরত পাবা।
পরি: দেখা যাবে হু বলে গোসল করতে চলে গেলো।
পরি গোসল করে আসলে রিফাত গোসল করতে চলে যায়। রিফাত ফ্রেশ হয়ে এসে নিচে চলে যায় নাস্তা করতে। নাস্তা করে রিফাত অফিসে চলে যায়।
রিফাত অফিসে যাওয়ার পর পরি তাসফিয়াকে ফিডিং করিয়ে দোলনায় শুয়িয়ে দিয়ে রান্না ঘরে চলে যায়। এই সুযোগে কেউ একজন তাসফিয়ার মুখে একটা বালিশ দিয়ে চেপে ধরে। তাসফিয়া একটা ৩ মাসের শিশু সে শুধু ছটফট করতে থাকে। আল্লাহর অশেষ রহমতে সেই সময়ে রুমা রুকু আসে।
রুকু: তাসফিয়াআআআআআ বলে জোড়ে চিৎকার দেয়।
চিৎকারের আওয়াজ শুনে সাথে সাথে মুনিয়া পিছনে ঘুরে মুনিয়ার হাত থেকে বালিশটা পড়ে যায়। রুকুর চিৎকার শুনে সবাই পরির রুমে চলে আসে।
পরি: কি হইছে রুকু চিৎকার দিলা কেনো? মুনিয়া তুই না ছাদে যাস তুই তাসফিয়ার পাশে কি করছ?
রুকু: চিৎকার দিয়ে কান্না করে উঠে ভাবি আমি এসে দেখি মুনিয়া তাসফিয়াকে বালিশ চাপা দিয়ে মারার চেষ্টা করতেছে বলে সাথে সাথে দৌড়ে তাসফিয়ার কাছে যায় গিয়ে দেখে তাসফিয়া শুয়ে আছে কোনো নড়াচলা করতেছে না। রুকু তাসফিয়াকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে যায়।
পরি: ওখানেই বসে পড়ে। পরি কি বলবে কিছুই বুঝতেছে না। পরির চোখ কেমন ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। পরি ফ্লোরে ঢুলে পড়ে সেখানেই পরি সেন্স হারায়।
.
.
পরির সেন্স আসলে সে নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করে। তার পাশে চেয়ারে রিফাত বসে আছে।
রিফাত: এখন তোমার কেমন লাগতেছে?
পরি: আমি এখানে আসলাম কিভাবে?
রিফাত: আম্মু আমাকে ফোন দিয়ে সব বলে। আমি সাথে সাথে বাসায় এসে দেখি তুমি ফ্লোরে সেন্সলেস হয়ে শুয়ে আছো। তাই আমি তোমাকে এখানে নিয়ে আসি।
পরি: পরির সাথে সাথে তাসফিয়ার কথা মনে পড়ে। তাসফিয়া কেমন আছে? আমি ওর কাছে যাবো বলেই বেড থেকে উঠে গেলো।
রিফাত: তোমার শরীর ভালো না তুমি এখন রেস্ট নেও।
পরি: আমার মেয়ে কেমন আছে আমি জানিনা আর তুমি বলছো রেস্ট নিতে আমি এখনই আমার মেয়ের কাছে যাবো চিৎকার করে কথাগুলো বললো পরি।
রিফাত: আগে তুমি একটি শান্ত হও তাসফিয়া ৭২ ঘন্টার লাইফ সাপটে আছে।
পরি: কান্না করতে লাগলো দাভাই আমার তাসফিয়াকে আমার কাছে এনে দেও দাভাই। আমি তাসফিয়াকে ছাড়া বাঁচবো না।
রিফাত: পরিকে তার বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরে তুমি কান্না করো না। তাসফিয়ার কিছুই হবে না।
পরি: দাভাই মুনিয়া কেনো তাসফিয়াকে মারতে চেয়েছে কিছু কি জানতে পেরোছো? কি এমন কারন যার জন্য একটা নিষ্পাপ বাচ্চাকে মারার চেষ্টা করতে পারে।
রিফাত:মুনিয়াকে দিয়ে আলোক আর ফারিহা কাজ করিয়েছে। তুমি যে সিঁড়ি দিয়ে পড়ে গেছিলা সেটা তুমি পড়ে যাও নাই। ফারিহার কথায় মুনিয়া তোমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিছিলো। ফারিহা তো তোমায় মারতে পারে নি তাই মুনিয়াকে দিয়ে তোমায় মারতে চেয়েছিলো।
পরি: তার রাগের আমার উপর সে আমায় মেরে ফেললেও আমি কিছু বলতাম না কিন্তু আমার মেয়েটা তাদের কি ক্ষতি করেছে।
রিফাত: তারা চায় না যাতে আমি আর তুমি সুখে থাকি।
পরি: তারা এখন কোথায় আছে?
রিফাত: পুলিশ সবাইকে ধরছে ওরা এখন পুলিশ কাস্টাডিতে আছে।
পরি: ওহ আমি আমার মেয়ের কাছে যাবো আমাকে আমার মেয়ের কাছে নিয়ে যাও না দাভাই আমার মেয়েকে ছাড়া আমি আর থাকতে পারতেছিনা আমার খুব কষ্ট হচ্ছে প্লিজ দাভাই আমার তাসফিয়াকে আমার কাছে এনে দেও না বলেই কান্না করতে লাগলো।
পরির এই অবস্থা দেখে রিফাত অনেক কষ্টে নিজেকে শান্ত রেখে বললো পরি আমাদের তাসফিয়ার কিছু হবে না। তুমি চিন্তা করো না। রিফাত মুখে যাই বলুক। রিফাত নিজেও জানে ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাসফিয়া রেসপেন্স না করলে তাকে আর বাঁচানো যাবে না।

(গল্পটা আরো বড় করার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু আমার আম্মু হাসপাতালে ভতি থাকায় মন ভালো না তাই আগামী পাটে শেষ করে দিবো চিন্তা করতেছি তাসফিয়া বাঁচবে নাকি)

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here