অবুঝ_পাখি পর্ব ১৫

#অবুজ_পাখি
#নাম_না_জানা_পথিক
পাট:১৫
রিফাত পরির রুমে ঢুকে আআআ করে পরির দিকে তাকিয়ে আছে। রিফাতের মাথা শূন্য হয়ে গেছে রিফাত কি করবে কিছুই বুঝতেছে না। পরি শুধু রিফাতের একটা শাট পড়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে আছে। পরি শাটের সাথে কিছুই পড়েনি।
পরি: দাভাই আমাকে তোমার শাটে কেমন লাগতেছে। একটা ৪-৫ বছরের বাচ্চার মতো করে পরি বললো।
রিফাত: কিছু না বলে শুধু পরির দিকে তাকিয়ে আছে।
পরি: দাভাই হা করে আছো কেনো মুখে মশা ঢুকবে তো বলেই পরি হাসতে লাগলো।
রিফাত কিছু না বলে দরজা লক করে পরিকে সোজা কোলে তুলে নেয়। রিফাত হটাৎ কোলে তোলায় পরি লজ্জা পায়। পরে রিফাতের গলা জড়িয়ে ধরে। রিফাত পরিকে বিছানায় শুয়িয়ে দেয়।রিফাত পরির কপালে একটা গভীরভাবে চুমু দেয়। পরির দুই গালে আলতো করে কিস করে পরির ঠৌঁটে তার ঠৌঁট ডুবিয়ে দেয়। পরি রিফাতের চুল খামচে ধরে আছে। ৭.৩৯ সেকেন্ড পর রিফাত পরির ঠৌঁট ছেড়ে দিলে পরি রিফাতকে ঘুরিয়ে রিফাতের বুকের উপরে উঠে রিফাতের শাটের বোতাম গুলো খুলতে লাগলো। পরি রিফাতে শাটের বোতাম খুলে শাট নিচে ছুঁড়ে মেরে রিফাতের সারা বুকে কিস করতে থাকে। রিফাত পরিকে বুকের মধ্যে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে এখন ঘুমাও
পরি: ঘুমাবো মানে আমার এখন তোমার পুরো আদর চাই।
রিফাত: তোমার শরীর এখন সুস্থ না কাল রাতে যে জ্বর আসছিলো এখন এর বেশি কিছু করা ঠিক হবে না।
পরি: আমি পুরো সুস্থ তোমার আদর পেলে আরো সুস্থ হয়ে যাবো।
রিফাত: এখন না কয়েকদিন যাক তোমায় অনেক অনেক আদর করবো।
পরি: নাহহহ আমার এখন চাই।
রিফাত: চোখ বন্ধ করে পরিকে বুকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে পরি আর একটা কথাও না।
পরি: সয়তান বান্দর আমার মতো একটা ভালা বউ পাইছোস তোর কপাল উগান্ডার বান্দর।
রিফাত: বকা শেষ হইলে এখন ঘুমাও
পরি: আমি তো মনে মনে বকতাছিলাম তুমি কিভাবে শুনলা?
রিফাত: এত জোড়ে বললে সবাই শুনবে এখন ঘুমাও
পরি রিফাতের বুকে গুটিশুটি মেরে শুয়ে পড়লো।
সকালে রিফাতের ঘুম ভাঙ্গলে দেখে পরি তার বুকে ঘুমাচ্ছে। রিফাত পরিকে বিছানায় শুয়ে দিয়ে তার রুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে। ফ্রেশ হয়ে পরির রুমে এসে দেখে পরি এখনো ঘুমাচ্ছে তাই আর পরিকে ডাক না দিয়ে নাস্তা করে অফিসে চলে যায়। পরি উঠে দেখে রিফাত নাই রুকুর কাছ থেকে জানতে পারে রিফাত অফিসে চলে গেছে পরির কিছুটা অভিমান হয় রিফাত তাকে না ডাক দিয়েই চলে গেল। এভাবে রাগ অভিমানে খুব ভালোই দিন কাটতেছিল রিফাত আর পরির দেখতে দেখতে রিফাতের মামাতো ভাইয়ের বিয়ের দিন চলে আসে। সবাই চলে যায় বিয়ে বাড়িতে।
রিফাত: পরি সবসময় আম্মুর সাথেই থাকবা।
পরি: কেনো তুমি কই যাবা আমি তো তোমার সাথেই থাকবো বলেই রিফাতের হাত জড়িয়ে ধরলো।
রিফাত: আমার অনেক কাজ আছে তুমি আম্মুর সাথেই থাকবা।
পরি: আচ্ছা কিন্তু আম্মু কোথায়?
রিফাত: দাঁড়াও দেখতাছি ঐ যে আম্মু ওখানে কথা বলতেছে।
পরি: আচ্ছা আমি যাই তার আগে একটা উম্মাহ দেও
রিফাত: পরি তুমি দিন দিন বেশরম হয়ে যাচ্ছো এতগুলো মানুষের সামনে তুমি এসব কি বলতেছো।
পরি: আমার জামাইয়ের কাছেই তো চাইছি অন্য কারোর কাছে তো চাই নাই।
রিফাত: আর একটা কথা না আম্মুর ওখানে যাও।
পরি: রিফাতকে ভেংচি কেটে আম্মুর কাছে চলে গেলো।
পরি আম্মুর পিছনে পিছনে ঘুরতেছিল তখন একটা মেয়ে আসে।
মেয়ে: তোমার নাম পরি?
পরি: জ্বি
মেয়ে: রিফাত তোমাকে বাড়ির পিছনে ডাকতেছে।
পরি রিফাতের নাম শুনেই কাউকে কিছু না বলে এক দৌড়ে বাড়ির পিছনে চলে গেল। গিয়ে দেখে পকেটে হাত দিয়ে একটা লোক দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু এটা তো রিফান না কে উনি আমাকে এখানে ডাকলো কেনো পরি এসব ভাবতেছে তখন লোকটা পরিকে একটান দিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে।
পরি: লোকটির মুখ দেখে পরির আত্মা কেঁপে উঠলো লোকটি আর কেউ না আলোক। আপনি এখানে আর আপনি আমার হাত ধরেছেন কোন সাহসে।
আলোক: খুব খারাপ ভাবে পরিকে দেখতে লাগলো তোমাকে খুব হট লাগতেছে। আমাকে রিজেক্ট করে রিফাতের জন্য নিজের ধম ত্যাগ করে দিছো। আজকে তোর এরকম অব্যস্থা করবো যে রিফাত তোরে ছাইড়া দিবো তখন তুই কি করছ।
পরি: আমি আপনার কাছে হাত জোর করে বলতেছে আমাকে যেতে দিন।
আলোক: তা তো হবে না আজ তোমাকে ছুঁয়ে দেখবো তুমি কতটা হট বলেই হাসতে লাগলো।
পরি: সবোচ্চ জোর দিয়ে চিৎকার করতে লাগলো দাভাই আমাকে বাঁচাও
আলোক: যত পারো চিৎকার করো তোমার চিৎকার কারোর কান অব্দি পৌঁছাবে না।
পরি: ভয়ে পরির হাত-পা কাঁপতেছে কাউকে না বলে এখানে এসে কত বড় ভুল করছে পরি তা এখন টের পাচ্ছে। আমাকে যেতে দিন।
আলোক যেই পরির গায়ে হাত দিতে যাবে তখনি পিছন থেকে কেউ একজন জোরে আলোকের মাথায় বারি দেয়। আলোক সাথে সাথে নিচে পড়ে যায় আলোকের মাথা দিয়ে রক্ত পড়তেছে। পরি ভয়ে চোখ বন্ধ করে রেখছিল চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে সামনের মানুষটা আর কেউ না তার দাভাই। রিফাত আলোককে লাঠি দিয়ে এলোপাথালি মারতেই আছে।
পরি: দাভাই এভাবে মারলে তো উনি মারা যাবে পরে দাভাইকে জেলে দিবে।
পরি রিফাতকে জোর করে আলোকের কাছ থেকে সরিয়ে আনে অনেক হইছে আর মারলে উনি মরে যাবে।
রিফাত: ঐ কুত্তার বাচ্চারে আমি আজকে জানে মেরে ফেলুম ও আমার বউয়ের দিকে নজর দেয় বলে আবার আলোককে মারতে লাগলো।
পরি: রিফাতের রাগ কমানোর এখন একটাই উপায় রিফাতকে জড়িয়ে ধরে রিফাতের ঠৌঁটের মাঝে তার ঠৌঁট ডুবিয়ে দিলো।
দূর থেকে তাদের এই চুম্বন দৃশ্য একজন দেখে তার হাতে থাকা গ্লাসটা ছুড়ে মারে।
পরি: দাভাই আমার এখন তোমার আদর চাই এখনি বলে রিফাতের শাটের গোতাম খুলতে লাগলো।
রিফাত: সব সময় ফিলিংস ভালো লাগে না বলে পরিকে সরিয়ে দিল।
পরি: রিফাতের কথায় অনেক কষ্ট পাও তাও রিফাতকে বুঝতে না দিয়ে বলে উনাকে আর মারবেন না বলে ওখান থেকে চলে যায়।
পরি যাওয়ার পর রিফাত বুঝতে পারে রাগের মাথায় পরিকে কষ্ট দিয়ে ফেলছে। রিফাত পিছনে ঘুরে দেখে ফারিহাপরিকে কি যেনো বলতাছে পরি দৌড় দিয়ে ভিতরে চলে গেলো।
রিফাত: ফারিহা আবার পরিকে কি বললো পরি যদি এখন আমাকে ভুল বুঝে চলে যায়। না পরি শুধু আমার ও আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না।
রিফাত দৌড়ে ভিতরে গিয়ে জিজ্ঞাস করলো আম্মু পরি কোথায়?
আম্মু: পরির নাকি মাথা ব্যাথা শরীর খারাপ লাগতেছে তাই পরিকে মুনিয়ার সাথে বাসায় পাঠিয়ে দিছি।
রিফাতের ভিতরে ভয় কাজ করতে লাগলো পরি আবার কিছু করে না বসে।

চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here