পর্ব-৩+৪
#অবেলায়_পেলাম_তোমায়।
#বিন্দু_মালিনী।
#পর্ব_৩
কিন্তু আমার যে খুবই জানার দরকার।
কেন করলো ও আমার সাথে এত বড় প্রতারণা।
কেন কেন কেন!
বাসায় এসেছি ঠিকই,কিন্তু মন আমার রণর কাছেই পড়ে আছে।
কিছুতে অন্য কিছুতে মন বসাতে পারছিনা।
এত দিন পর সেই রণ।
আমার প্রথম ভালবাসা।কত শত স্বপ্ন।
যদিও তখন হ্যাংলা পাতলা ছিলো।
এখন একটু গাল মুখ ভরেছে।
ভালোই আছে হয়তো।
কেন এত দিন পর আবার দেখা হলো।
দেখা না হওয়াই বোধয় ভালো ছিলো।
এত দিনওকে ভুলে থাকার চেষ্টা করেও পারিনি।সেই পুরোনো স্মৃতি বার বার হৃদয়ে আঘাত করে গেছে।
আর আজ!আজ আবার নতুন করে পুরোনো জখমে আবার যেন ক্ষত হলো।
-আম্মু আম্মু আমি গোসল করবো।খুব গরম লাগছে।
-হ্যাঁ মা,এখনই আমার রণবি কে আমি গোসল করিয়ে দিবো।
-আম্মু,কি হয়েছে তোমার?
তুমি কি কাঁদছিলে?
-না মা,কাঁদছিলাম না,চোখে যেন কি গিয়েছিলো।
-আসো আমি চোখে ফুঁ দিয়ে দেই।
রণবিকে চুমু খেয়ে নিয়ে গেলাম গোসল করাতে।
গোসল করিয়ে খাইয়ে দিয়ে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছি।
আর আমার ফোনটা বেজে উঠে,
আম্মু আম্মু পাপা ফোন দিয়েছে।
-রিসিভ করো তুমি।
-হ্যালো পাপা,কেমন আছো তুমি?
-হ্যাঁ ভালো আছি মা।
তুমি কেমন আছো?
-ভালো আছি পাপা।
-কি করছো তুমি মা?
-আমি গোসল করে খেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছি পাপা।
আম্মু আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে।
-ওহ আচ্ছা।
তোমার আম্মু কই,আম্মুকে দাও।
-আম্মু তো মাত্রই নানুর রুমে গেলো।
-ওহ আচ্ছা,তাহলে আমি পরে ফোন দিবোনে আবার।
নানুকে আম্মুকে বিরক্ত করোনা কিন্তু কেমন?
-না পাপা,আমি লক্ষী মেয়ে তো।আমি কাউকে বিরক্ত করিনা।
-লাভ ইউ মা।
-লাভ ইউ টু পাপা।
-আল্লাহ্ হাফেজ।
-ওকে টা টা আল্লাহ্ হাফেজ।
আমি রুমে এসে দেখি রণবি ঘুমিয়ে গেছে।
আমি রণবির পাশেই শুয়ে পড়লাম।
দু চোখ আজ বন্ধ করতে পারছিনা।
চোখের সামনে একটার পর একটা স্মৃতি ভেসে উঠছে।
রাত টা কোন রকমে কেটে গেলো।
সকাল হতেই বার বার চিন্তা করছি,আমি যাবো দেখা করতে রণর সাথে?
নাকি যাবোনা?
যাবো?
নাকি যাবোনা?
চিন্তা করতে করতে মাথা হ্যাং হয়ে যাচ্ছে আমার।
কিন্তু হুট করেই রণবি এসে বল্লো,
-আম্মু,রেডি হবে না?
-রেডি হবো কেন মা?
-কেন?আংকেল টা না বল্লো আজ তোমার জন্য অপেক্ষা করবে?
তুমি না গেলে ওখান থেকে সরবেইনা।
না সরলে খাবে কি?
পটি করবে কিভাবে?
গোসল করবে কিভাবে?
কত কষ্ট হবেনা?
-তাই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও।
তারপর আমরা যাবো ওকে?
আমি কি বলবো ভাষাই খুঁজে পাচ্ছিলাম না কোন।
রণবি খুব বুদ্ধিমতী মেয়ে।
এই টুকু বয়সেও অনেক কিছুই বুঝে ও।
আবার মনেও থাকে সব।
মা এসে দরজায় দাঁড়িয়ে বল্লো,
কি বলছে রে রণবি?
-কিছুনা মা।
-কোথাও যাবি তোরা?
-হুম,কলেজে যাবো।সব পুরোনো ফ্রেন্ডরা আজ একত্র হবেতো তাই।
-রণবিকে নিয়ে যাবি?
-হুম।
-আচ্ছা তাড়াতাড়ি আসিস তাহলে।
-ঠিক আছে।
আমি আর রণবি বেড়িয়ে গেলাম রণর সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে।
আজ আমি কেন যেন না চাইতেও রণর পছন্দের নীল রঙের শাড়ী পরলাম।
রণ বলেছিলো একদিন,নীল রঙ ওর খুব পছন্দ।
আমি আর রণবি পৌছে গেছি কলেজ মাঠে।
গিয়ে দেখি হলুদ পাঞ্জাবী পরে রণ দাঁড়িয়ে আছে।
আমি ইচ্ছে করেই দুই ঘন্টা লেট করে আসি।
ভেবেছি দুই ঘন্টা দেরি দেখে চলে যাবে হয়তো ও।
কিন্তু না,ও দাঁড়িয়ে আছে।
এসব আজ আর ভালবাসা মনে হয়না।
ন্যাকামিই মনে হয়।
-এসেছো তাহলে?
-হুম আসলাম।
-হাই মামণি কেমন আছো?
-ভালো আছি।তুমি কেমন আছো?
-হুম ভালো।
-রণবি,অপরিচিত দের আপনি করে বলতে হয়,তোমাকে না বলেছিলাম।
-হুম বলেছিলে,কিন্তু তিনি তো অপরিচিত নন।
তোমার বন্ধু তিনি।
তাই আমি তুমি করে বলতেই পারি।
-আমাকে এতটা পর করে দিওনা বিন্দু।
ওকে তুমি করেই ডাকতে দাও।
-পর?
হা হা হা,হাসালেন।
পর তো আপনি সেদিনই হয়ে গেছেন নিজে থেকে।
যেদিন আপনি আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।
-আমি জানি তুমি আমার উপর রেগে আছো।
তবে একটা বার কি ভেবে দেখেছো,কেন আমি তোমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করেছিলাম?
কি কারণে যোগাযোগ বন্ধ করেছিলাম,
কিসের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো আমাদের যোগাযোগ।
ভেবে দেখেছো কখনো,
যেই ছেলেটা তোমার জন্য কলেজ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলো।
যেই ছেলেটা তোমার জন্য বিদেশ পাড়ি জমিয়েছিলো।
বিদেশ থেকে ফিরে তোমাকে যদি বিয়ে না করি,
তুমি এই ভয় পাওয়ায় যেই ছেলেটা তোমাকে বিদেশ যাবার আগে…
-চুপ আর একটা কথাও বলবেনা তুমি।
আমি আর তোমার কোন কথাই শুনতে চাইনা।
চল রণবি,আমরা বাড়ী যাবো।
-আমার কথা এখনো শেষ হয়নি বিন্দু,আমাকে আজকে তো অন্তত সব কিছু খুলে বলার সুযোগ দিবে।
-না,আমার কোন কথা শোনার দরকার নেই।
প্লিজ আপনি আমার সামনে আর কোন দিন আসবেন না।
প্লিজ।
আমি রণবি কে নিয়ে চলে আসছিলাম।
আর রণ আমার হাত টেনে ধরে।
-হাত ছাড়ুন আমার।
-যদি না ছাড়ি?
-আমি চিৎকার করবো।চিৎকার করে লোক জড় করবো।
-হাত ছাড়ো,আমার আম্মুর হাত ছাড়ো।
রণবি কাঁদতে থাকে।
তাই রণ আমার হাত ছেড়ে দেয়।
আমি রণবিকে নিয়ে বাসায় চলে আসি।
দু দিন কেটে যায়।
প্রতিদিনের মত রণবিকে স্কুলে দিয়ে এসে আমি বাসায় রান্না বান্না করছি।
মা গিয়ে রণবিকে স্কুল থেকে নিয়ে আসেন প্রতিদিন।
রণবির স্কুল ছুটির সময় হলে মা রণবিকে স্কুল থেকে আনতে যান।
এদিকে আমি রান্না বান্না করে গোসল করে ফ্রেশ হচ্ছি।
আর ওই দিকে মায়ের কল,
মা কাঁদতে কাঁদতে আমাকে বললেন,
বিন্দুরে,রণবিকে পাচ্ছিনা।
ও স্কুলের কোথাও নেই।আমি সারা স্কুল তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি।
-কি বলছো তুমি মা?এই টুকু বাচ্চা মেয়ে আমার।ও একা একা কোথায় যাবে?
ও কিছু চিনে নাকি যে যাবে.
-হ্যাঁ আমি আসার আগেই নাকি রণবি বেড়িয়ে গেছে।
মা তুমি ওখানেই থাকো,
আমি এক্ষুণি আসছি।
চলবে?
#অবেলায়_পেলাম_তোমায়।
#বিন্দু_মালিনী।
#৪র্থ_পর্ব।
কি বলছো তুমি মা?এই টুকু বাচ্চা মেয়ে আমার।ও একা একা কোথায় যাবে?
ও কিছু চিনে নাকি যে যাবে.
-হ্যাঁ আমি আসার আগেই নাকি রণবি বেড়িয়ে গেছে।
মা তুমি ওখানেই থাকো,
আমি এক্ষুণি আসছি।
আমি রণবির স্কুলে চলে গেলাম।
সারা স্কুল খোঁজ করলাম,
কিন্তু রণবির দেখা নেই।
মা আর আমি রণবিকে খুঁজে হয়রান।
রণবিকে আশেপাশে খুঁজতে খুঁজতে যখন পাগল প্রায় আমরা,
ঠিক তখনই আমার মোবাইলে আননোন নাম্বার থেকে একটা ফোন আসে।
আমি রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে রণবির কণ্ঠস্বর ভেসে আসে।
_হ্যালো আম্মু!
-হ্যাঁ মা,কই তুমি?কোথায় গেছো তুমি?
আমি আর তোমার নানু তোমাকে খুঁজে খুঁজে পাগল হয়ে গেছি।
কোথায় তুমি আম্মু?
-আম্মু,তোমরা টেনশন করোনাতো।আমিতো ওই যে তোমার ওই বন্ধুর সাথে।
-কোন বন্ধুর সাথে?
-ওই যে যার সাথে আমরা সেদিন দেখা করতে গিয়েছিলাম।
তিনি আমাকে স্কুল থেকে নিয়ে এসেছেন।তারপর আমাকে বললেন তোমার ফোন নাম্বার আমার মুখস্ত আছে কিনা।
থাকলে তিনি তোমাকে ফোন করে জানিয়ে দিবেন আমি যে তার কাছে।
-ওহ আচ্ছা,তাকে দাও মা মোবাইলটা।তাকে দাও।
-হ্যালো।
-রণ,এটা কিন্তু একদম ঠিক করোনি তুমি।কেন তুমি রণবিকে তোমার সাথে নিয়ে গেছো?
তুমি জানো কত চিন্তা হচ্ছিলো আমাদের?
-এ ছাড়া তোমাকে আমার মুখোমুখি আনার আর কোন পথ ছিলোনা।
-মানে?তাড়াতাড়ি নিয়ে এসো তুমি রণবিকে।
-তা তো পারবোনা।
-মানে?কি বলতে চাও তুমি?
-আমি বলতে চাই, তোমাকে আমি একটা ঠিকানা দিচ্ছি।
তুমি সেখানে চলে এসো,
আমার কথা গুলো শুনে রণবিকে নিয়ে যেও।
-রণ খুব বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু।
-কিসের বাড়াবাড়ি বলোতো?
তুমি আসলে রণবিকে পাবে,
আর না আসলে পাবেনা।
সিম্পল।এখন ডিসিশন তোমার,তুমি কি করবে।
এই বলে রণ লাইন টা কেটে দিলো।
-হ্যালো রণ,
হ্যালো হ্যালো।
সাথে সাথে টুং করে আবার আমার মোবাইল টা বেজে উঠলো।
রণ আমাকে একটা ঠিকানা দিয়েছে।
আমি মেসেজ টা সীন করেই আবার ওর ফোন নাম্বারে কল দিলাম।
কিন্তু মোবাইল বন্ধ।
বার বার ট্রাই করলাম,
কিন্তু রণ ঠিকানা টা দিয়েই মোবাইল বন্ধ করে রেখেছে।
এখন এই ঠিকানা মত যাওয়া ছাড়া আর উপায় নেই।
-মা তুমি বাসায় চলে যাও।
রণবি আমার এক বন্ধুর কাছে আছে।ও রণবিকে নিয়ে গেছে ওর সাথে।
এখন আমাকে যেতে বলছে।
-এমন ভাবে কেউ কাউকে নিয়ে যায়?কেমন আজব বন্ধু তোর।
-ওহ মা এখন এতো কথা বলার সময় নেই।
তুমি বাসায় যাও।
আমি রণবিকে নিয়ে আসছি।
আমি তাড়াতাড়ি করে রণর দেয়া ঠিকানায় পৌছানোর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
-মামণি,
-হুম বলো,
-তোমার খিদে পেয়েছে?
-হুম একটু একটু।
-আচ্ছা তুমি বসো আমি খাবার নিয়ে আসছি।
-আচ্ছা ঠিক আছে।
কিন্তু তোমার বাসায় আর কেউ নেই যে?তোমার আব্বু আম্মু কোথায়?
-আমার আব্বু আম্মু?
ওই আকাশের তারা হয়ে গেছে।(দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে)
-আর কেউ নেই তোমার?
-হুম একজন আছে।
-কোথায় সে?
তুমি থাকো আমি খাবার নিয়ে আসি।
:
:
এই যে খাবার নিয়ে এসেছি মামণি,
এই নাও।
-আমি যে হাত দিয়ে খাই না।
নানু বা আম্মু আমাকে খাইয়ে দেন।
-ওহ, আচ্ছা।
দাঁড়াও আমি হাত ধুয়ে নেই,আমিই খাইয়ে দেই।
রণ রণবিকে খাইয়ে দিচ্ছে।
আচ্ছা মা,কে তোমাকে সব থেকে বেশি ভালবাসে?
তোমার বাবা না মা?
-উম্ম আমাকে?সবাই ভালবাসে।
-নাও হা করো হা করো।
আচ্ছা মা, তোমার বাবার নাম কি?
-আমার বাবার নাম?
আমার বাবার নাম হচ্ছে বিশাল আহমেদ।
-কি?বিশাল আহমেদ?
-আর তোমার মায়ের নাম?
-পানিইই
-কি?পানি?
-আরে না আমি পানি খাবো।
-ওহ এই যে নাও,
এবার বলোতো মা,তোমার মায়ের নাম কি?
-আমার মায়ের নাম?
-হুম তোমার মায়ের নাম।
-আমার মায়ের নাম রিয়া আহমেদ।
-তাহলে বিন্দু?
বিন্দু তোমার কি হয়?
-কেন?আমার আম্মু।
-রণবি,
-তুমি এসে গেছো আম্মু?
-হ্যাঁ আম্মু আমি এসে গেছি।
চলো এবার বাসায় চলো।
-বিন্দু,দেখতে পাচ্ছো না রণবি খাচ্ছে?
-ওর আর খেতে হবেনা।
চলো মা,পানি খাও।
তারপর বাসায় চলো।
-বিন্দু,
রণবি তোমার কি হয়?
-কেন,সেদিন না বললাম ও আমার মেয়ে?
-তা ঠিক আছে।কিন্তু ও তোমার মেয়ে হলে ওর বাবা বিশাল আহমেদ আর ওর মা রিয়া আহমেদ হয় কি করে?
রণর কথা শুনে আমি চোখ নামিয়ে রণবিকে হাত ধরে বলি চলো মা।
রণ রুমের দরজা লক করে দেয়।
-বিন্দু আমি তোমার কাছে কিছু জানতে চেয়েছি।
আমি যত টুকু জানি,বিশাল তোমার এক মাত্র ভাইয়ের নাম।
আর রণবির বাবার নাম ও বলছে বিশাল।
আর ওর মায়ের নামের জায়গায় তোমার নাম না বলে ও তো রিয়া আহমেদ বলছে।
তাহলে কি বুঝবো আমি?
-হ্যাঁ, রণবি ঠিকই বলেছে,বিশাল আহমেদ আর রিয়া আহমেদই ওর বাবা মা।
আর আপনার ধারণাই ঠিক,
বিশাল আহমেদ আমার ভাই,আর তার স্ত্রী রিয়া আহমেদের এক মাত্র সন্তান রণবি।
আর আমি ওর ফুঁপি মা।
ও আমাকে আম্মু বলে ডাকে ছোট বেলা থেকে।
আর আমার মাকে দাদু না বলে নানু বলেই ডাকে।
-তাহলে ওর বাবা মা কোথায়?
-ওর বাবা প্রবাসী।
আর ওর মা…
-কি হলো বলো?চুপ করে আছো কেন?
-ওর মা মানে আমার ভাবী,ওকে জন্ম দেয়ার পর পরই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়।
আর তারপর থেকে আমিই ওকে মায়ের আদর দিয়ে বড় করে তুলি।
আর ওর নাম রাখি রণবি।
-তাহলে,তুমি?
-তুমি বিয়ে করোনি?
-না,করিনি।
-কেন করোনি?
-কারণ কোন এক বেঈমান আমাকে কথা দিয়েছিলো,সে ফিরে এসে আমাকে বিয়ে করবে।
সেই আশায়ই কেটে গেছে আমার সময়।আর যাচ্ছে।
বিয়ে করার আমার আর ইচ্ছে নেই।
-চলো মা চলো।
-এবার আমার কথা তো শোনে যাও।
কোথায় ছিলাম আমি,
আর কেনই বা হুট করে তোমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই।
চলবে