#আধারের_মায়াবী_ডাক
#লেখক_তুষার_আহমেদ_কাব্য
#পর্ব_১০( রহস্যভেদ)
তারিন আর নাদিয়া বসে আছে রুমে
:তামিম কোথায় গেছে আপু?(তারিন)
:কেন? খুব চিন্তা হচ্ছে? (মজা করে বলে আয়েশা বাইরে থেকে এসে)
:নাহ তেমন কিছু না(তারিন)
:বলো বলো?(নাদিয়া)
তারিন হেসে বাইরের দিকে তাকায়।
চাইলেই তো সব হয়না!
।
।
শ্মশানের বনের ভেতরে যাচ্ছে তামিম। দূর থেকে দেখতে পায় আগুন জ্বলছে দেখা যাচ্ছে।
ধীর পায়ে এগিয়ে যায়। ঝোপ সরিয়ে সেই জায়গায় তাকাতেই আতকে উঠে তামিম
আগুনের সামনে একটা তান্ত্রিক আর তার সামনে সেই মায়াবী ডাক এর মেয়েটা।
তামিম চুপ করে দেখতে থাকে। তান্ত্রিক সেই মেয়েকে কি একটা বলল আর মেয়েটা ডানা বের করে সো করে উড়ে যায়।
তামিম বন্দুক বের করে দ্রুত তান্ত্রিকের মাথায় ধরে।তান্ত্রিক ভয় পেয়ে যায়।
:আমাকে মারবেন না।(তান্ত্রিক)
:এখানে কি চলছে বল!(তামিম)
:বলছি!
তান্ত্রিক শান্ত হয়ে বসে। তামিম দেখে বুঝলো তান্ত্রিক ও কেমন ভেঙে পড়ে।
তামিম বন্দুক নামিয়ে তার পাশে বসে। তান্ত্রিক একটা লম্বা শ্বাস ছাড়ে, তারপর বলতে শুরু করে…
অন্যদিকে…
প্রানী দের শেষ করতে করতে এগিয়ে যায় কাব্য। প্রায় ২ঘন্টা পর প্রায় সব প্রানী দের শেষ করে ফেলে কাব্য! এখনো হাপায়নি কাব্য…
হঠাৎ কাব্য খেয়াল করে গাছের আড়ালে মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে। কাব্য দ্রুত গিয়ে হ্যাচকা টান দিয়ে মেয়েটাকে সামনে এনে হাত উপরে তোলে মারার জন্য।
:আমি আর তোর চকলেট খাবো না!!!(মেয়েটা)
শুনে কাব্য অবাক হয়ে তাকায়। এটা তো অন্য একটা মেয়ে।। চোখ বন্ধ করে রেখেছে। কাব্যের বুকের ভেতর টা ধক করে উঠে প্রথম বার।
অন্যদিকে…
” ও অনুরাধা! অনেক বছর আমার মেয়ে কে ওই পশুরা হরন করে ফেলে। ওই রাতে ওর বাবা ওর লাশ নিয়ে আমার কাছে এসেছিলো। আর বলে সে এর বিচার চায়। আর আমিও আমার মেয়েকে এই নরপশুদের জন্য হারিয়েছি।তাই আমি কালোযাদুর মাধ্যমে অনুরাধার শরীরে সমস্ত হরন হওয়া মেয়েদের কারিনদের প্রবেশ করিয়েছি৷ আর সুখির কারিন কে দিয়েছি ওই পশুর রুপ। সুখি যাকে মারবে সে তার মতো পশু হয়ে যাবে।!
বলে তান্ত্রিক থামে!
:এর মাঝে কাব্যের সম্পর্ক কি?(তামিম)
:কাব্য! কাব্য কে/
:ছাড়ুন। কবির কে দিয়ে কেন এসবের সূচনা?
:একটা শক্তিশালী জ্বিন কবির কে মেরে ফেলে হরনের অপরাধে
:জানি কিন্তু এরপর কেন সুখি আসে?
:আশেপাশের সব গ্রামে এমন ঘটনা বাড়ছে দিন দিন। কিন্তু এক রাতে একটা মেয়ে কে এই শ্মশানে এনে হরন করা হয়। এতে তার কারিন ও অনুরাধার দেহে প্রবেশ করে৷ তাতে ১০০কারিন নিয়ে জেগে উঠে অনুরাধা। তারা এতোই শক্তিশালী যে আমি আর তাদের ধরে রাখতে পারবো না। তারা এখন স্বাধিন। তারা সবকিছু শেষ করে দেবে।
:থামানোর কোনো উপায়?
:জানিনা তবে…
:কি
:আমার গুরু একটা খঞ্জর বানিয়েছেন। যা দিয়ে এদের মারা যাবে। তবে তা অনেক দূরে একটা পাহাড়ে আছে।কিন্তু কোথায় তা তোমাকেই খুজতে হবে। সেখানে যেতে ৩মাস লাগবে।
:ততদিনে সব…
:জানি। আমি যাবো
:আপনি কেন?
:আমি আর কোনো নিরীহ মানুষের প্রান যেতে দেবো না। এতোদিন এরা শুধু অপরাধীদের শেষ করছিলো কিন্তু এরা খাবারের জন্য মানুষ মারছে
:আমি আপনার উপর বিশ্বাস করবো কেন?
তান্ত্রিক কাউকে ডাক দেয়। একটা ছোট মেয়ে পেছন থেকে আসে।
:আমার মেয়ে! আমি তোমার কাজ করে দেবো কিন্তু তোমাকে আমার মেয়েকে ওদের থেকে রক্ষা করতে হবে।
:কেন?
:প্রানী গুলো আমার মেয়েকে চায়
:চিন্তা করবেন না।
:আর হ্যাঁ। নাও( একটা সুতা দেয়) এটা গাছটায় বেধে দাও। এর ফলে ৪ মাসের জন্য ওরা ঘুমিয়ে পড়বে।
:এটা আগে দেননি কেন?।।
:কারন আমি এটা নিজে করতে পারব না
তামিম তার সাথে আরো কিছু কথা বলে তাকে নিয়ে স্টেশনে চলে যায়।
তার সাথে দুজন লোক দিয়ে দেয়। তাকে বিদায় দিয়ে বাচ্চাটাকে নিয়ে ফিরে আসে বাসায়…
অন্যদিকে কাব্যকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসী কাছে আসে।মেয়েটা সবাইকে দেখে চোখ বড়বড় করে
:আরে আমি শুধু আমার ভাই এর চকলেট চুরি করে খেয়েছি তার জন্য এত মানুষ
কাব্য তাকিয়ে থাকে।
তখনই গ্রামের একটা লোক দৌড়ে আসে
:আম্মা আপনি এখানে।আপনার বাবা অনেক চিন্তা করতেসে।আপনি গ্রামের কিছুই চেনেন না।এখনে চলে এলেন কিভাবে?(লোকটা)
:আরে রিকশা করে হিহি(মেয়েটা)
:চলেন। এই জায়গা টা ভালো না।
বলেই মেয়েটাকে নিয়ে চলে যায়। মেয়েটা যাবার সময় কাব্যের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দেয়। কাব্য তাকিয়ে থাকে।।
পাশ থেকে একজন কাব্য কে ডাকতে থাকে। কাব্য তার মুখে হাত দিয়ে চুপ করিয়ে মেয়েটার দিকে তাকায়….
অন্যদিকে
বাচ্চাটাকে নিয়ে তারিন আর আয়েশা খেলা করতে থাকে।
:তান্ত্রিক যদি পালায়?(নাদিয়া)
:আমি দুজন কে বলে দিয়েছি৷ চেস্টা করলেই গুলি করে দেবে(তামিম)
:তোমাকে এখনো চিন্তিত লাগছে।
: যদি কাব্য অনুরাধার সামনে পড়ে তাহলে কাব্য মারা পড়বে। ১০০ টা কারিনের সাথে কাব্য পেরে উঠবে না।
:হ্যাঁ। কাব্যের শক্তি ফিরবে যদি…
:যদি ওকে কেউ ভালোবাসে।বা যদি ও জীবন সাথী পায়
:কিন্তু কাব্য কে কোনো মেয়ে কেন ভালোবাসবে?
:সেটাই তো। রাগী, ভালোবাসাই তো বোঝে না
:তার থেকে বড় কথা…
:কি?
:কাব্য যতই শক্তিশালী হোক ও মেয়েদের সাথে কখনো সরাসরি কথ বলেনা। অন্যদিকে চেয়ে থাকে
:ভয় পায়
:হা হা কি বলো
:হুম
:তুমি তো সাহসি তুমি একা কেন?
তামিম অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে
এই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটা ঝোপ নড়ে উঠে।
তার ভেতর থেকে ঝলকে উঠে দুটো চোখ! তাদের উপর কেউ নজর রাখছে!!
কিন্তু কে?
চলবে…
(