আমার ভীনদেশী এক তারা পর্ব -১৪+১৫

#আমার_ভীনদেশী_এক_তারা
#পর্ব১৪
#Raiha_Zubair_Ripte

নতুন এক পরিচয়ের সাথে পরিচিত হলো এনা। ফাইনালি যাকে ভালোবেসেছে তাকে নিজের একদম নিজের ব্যাক্তিগত ভাবে পেলো। আজ খুব হেনার কথা মনে পড়ছে। হেনা ঠিকই বলেছিল ভালোবাসা সত্যি আর মানুষ টা সঠিক হলে আজ না হয় কাল সেটা নিজের করে পাওয়া যায়। সাময়িক কারনে এনা আর শানের বিচ্ছেদ হলেও ছয় বছর পর তাদের ভালোবাসার পূর্ণতা পেলো এক হালাল সম্পর্কের মাধ্যমে। আজ থেকে এনা শুধু এনাই নয় আজ থেকে তার আরেক টা পরিচয় মিসেস এনা আহমেদ শান। কেমন একটা অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে এনার। লজ্জা লজ্জা ভাবটাও এসে হানা দিয়েছে এনার মুখশ্রী তে। এতোটাই লজ্জা লাগছে যে শানের দিকে তাকাতে পর্যন্ত পারছে না। হঠাৎ এতো লজ্জা লাগছে কেনো? সদ্য বিবাহিত এক রমণী বলে? এবার থেকে পিটার ওরফে শান নামের মানুষটার উপর তার পুরোপুরি অধিকার।

শান এনার প্রগাঢ় লজ্জা মাখা মুখটা দেখে শব্দ করে হেসে উঠে। হাসির ঝংকার এনার কানে আসতেই চোখ মুখ কুঁচকে আসে। শান এনার মুখশ্রী উঁচু করে বলে,,

” বাহ মিসেস এনা আহমেদ শান আবার লজ্জাও পাচ্ছে। আমার জানা মতে তো তার লাজ লজ্জা একটু কম। বাংলাদেশের মেয়েরা তো লজ্জাবতী হয় কিন্তু আজ সেই লজ্জার আভা টা তোমার মুখে দেখছি ব্যাপার কি। তুমি কি কল্পনা করতেছো সামথিং বাসর রাত হচ্ছে আমি একপা একপা করে তোমার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আর তুমি একপা একপা করে পিছিয়ে যাচ্ছো। এক পর্যায়ে তোমার পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেলো। আর আমি মাতোয়ারা হয়ে তোমার অধরে অধর ছুঁয়ে দিলাম। তুমিও চোখ বন্ধ করে ফেললে। চোখ খুলে দেখলে তেমনি কিছুই হয় নি। উল্টা তোমার লজ্জা দেখে আমিই লজ্জা পেয়ে লজ্জিত হয়ে থাকবো।

এনা চোখ বন্ধ করে শানের কথাটা ফিল করছিল। মোটেও লাস্টের কথাটার জন্য প্রস্তুত ছিলো না। রাগান্বিত চোখে শানের দিকে তাকিয়ে বলে,,

” ফা”জিল লোক।

” ফা”জিল হই আর ভালে হই তোমারই তো।

” হ্যাঁ আমারই তো কানাডার দলা বিলাই।

শান চোখ পিটপিট করে বলে,,

” দলা বিলাই মানে কি?

” সাদা বিড়াল।

” ও আচ্ছা বাসায় যাবা না?

” কোন বাসায়?

” তুমি তোমার বাসায় আর আমহ আমার বাসায়।

মূহুর্তে এনার মুখে বিষন্নতা এসে হানা দিলো।

” আমাদের বিয়ে হয়েছে আজ। আমাদের হবে না এক সাথে থাকা?

পিটার এনার হাত মুঠোয় নিয়ে চুমু খেয়ে বলে,,

” রাগ করে না জান আমাদের বাসর রাত হবে তো? একটু ধৈর্য্য ধরো। এতো অধৈর্য্য হলে কি চলে।

সাথে সাথে এনা হাত ছাড়িয়ে নিলো শানের হাত থেকে। রাগান্বিত চোখে বলে,,

” শুধু কথার ভুল মিনিং বের করেন কেনো। আমি কখন বাসর রাতের জন্য অধৈর্য্য হয়ে আছি বললাম?

” আহা লক্ষীটি রাগ করে না। আমি তো মজা করলাম। আচ্ছা শুনো তুমি এখন বাসায় যাও রাত হয়েছে অনেক। এতো রাতে বাহিরে থাকলে তোমার চাচা রাগ করবে। তার চেয়ে বরং কাল না চলো আজই তোমার চাচার সাথে কথা বলবো।

ড্রয়িং রুমে বসে আছে এনার চাচা,চাচি,ভাইয়েরা। সকাল সকাল এক বৈঠক শেষে এখন আবার আরেক বৈঠক। বাড়ি টাকে আর বাড়ি মনে হচ্ছে না। মনে হচ্ছে এটা কোনো বৈঠকখানা। আরমান সাহেব কেশে বলে,,

” হ্যাঁ পিটার বলো। কি বলার জন্য এতো রাতে এখানে।

” আঙ্কেল আমি এনা কে বিয়ে করেছি।

কথা শোনা মাত্রই সকলের মুখ হা হয়ে যায়। ছেলে বলে কি এনাকে বিয়ে করেছে! আরাভ সন্দেহ নিয়ে পিটার কে জিজ্ঞেস করে,,

” ফাইজলামি করছিস তুই?

” ফাইজলামি মনে হলো কেন তোর?

” ফাইজলামি না তো কি। তুই জানিস না এটা অসম্ভব। তুই খ্রিস্টান আর এনা মুসলিম হাউ ইজ পসিবল?

পিটারের ভাব হীন কথা,,

” আমি মুসলিম হয়েছি।

কথাটা শুনে সবাই পিটারের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকায়। সবার এমন চাহনি দেখে এনা এখন মুখ খুলে,,

” হ্যাঁ চাচা শান আই মিন পিটার মুসলিম হয়েছে।

” কবে?

” বছর দুয়েক আগে।

” তাহলে এতোদিন জানলাম না কেনো?

” কারন তেম পরিস্থিতি আমার হয়ে উঠে নি যে জানাবো তাই।

” এর জন্যই কি আন্টি এতো বলে কয়েও তোকে কোনো অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতে পারতো না?

শান আরাভের দিকে তাকিয়ে বলে,,

” হুমম। আর আজ আমরা বিয়ে করেছি।

” তোর মা জানে?

” না। মা জানলো কি না জানলো আই ডোন্ট কেয়ার।

আরাভ তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে ,,,

” এই ডোন্ট কেয়ার টা ছয় বছর আগে কোথায় ছিলো?

” সেটাও ছিলো কিন্তু পরিস্থিতিভেদে শুধু প্রকাশ করতে পারি নি।

” বেশ নিজ দায়িত্বে যেহেতু বিয়ে করেছো তোমরা তাহলে আর আমিই বা কি বলতে পারি। এনার বাবা আসুক তিনিই বুঝবে এই বিষয় টা। এনামুল কে ফোন দিয়ে আসতে বল আরাভ। কালই যেনো রওনা হয়।

কথাটা বলে আরমান সাহেব রুমে চলে যায়। তিনি ভেবে পায় না তাদের ছেলে মেয়ে কি করে ধর্মের বাহিরে গিয়ে ভালোবাসতে পারে। পিটার নিঃসন্দেহে একজন ভালো ছেলে। রত্না বেগম পিটারের সামনে দাঁড়িয়ে বলে,,

” পিটার ছয় বছর আগে যেভাবে মেয়েটাকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলে এবার যেনে তেমনটা না হয়।

” কথা দিচ্ছি তেমনটা হবে না। ভরসা করতে পারেন।

আরাভ পাশে থাকা হেফজিবার দিকে তাকায়। ইশ হেফজিবা যদি একটু ভরসা করে সাহস নিয়ে পিটারের মতো পদক্ষেপ নিতো তাহলে হয়তো তাদের ও মিল হতো। কিন্তু মেয়েটা তো ভালোইবাসে না।

হেফজিবা আড় চোখে একবার আরাভের দৃষ্টি দেখে তড়িঘড়ি করে রুমে চলে আসলো।

শান এনার হাত দুটো মুঠোয় নিয়ে শব্দ করে চুমু খায়। আরাভ সেটা দেখে বলে,,

” শা”লা একটু তো লজ্জা কর। তোর সুমুন্দি হই আমি।

কথাটা শুনে হেসে উঠে শান।

” শোনো এনা একদম চিন্তা করবে না আমি আছি তো। তাদের ঠিক মানিয়ে ছাড়বো আমি। এখন খেয়ে দেয়ে চুপচাপ ঘুমাবে তোমার বাবা আসলে তাকে রাজি করানোর দায়ভার আমার।

কথাটা বলে চলে আসে পিটার অ্যাঞ্জেলেকা কে নিয়ে।

পিটার নিজের বাসায় ঢুকতেই অ্যাডেলা জিজ্ঞেস করে,,

” এতে রাত অব্দি কোথায় ছিলে অঞ্জেলেকাকে নিয়ে?

” দাদুন জানো পাপা বিয়ে করেছে এনা মাম্মা কে। আমার নতুন মাম্মা হয়েছে।

কথাটা কর্ণকুহর হতেই সারা শরীর বরফের ন্যায় জমে গেলো অ্যাডেলার। ছেলের দিকে রক্তশূণ্য চোখে তাকিয়ে বলল,,

” এটা অ্যাঞ্জলেকা কি বললে পিটার। সত্যি বিয়ে করে এসেছে? কি হলো কথা বলছো না কেনো?

” হুমম সত্যিই বলেছে অ্যাঞ্জেলেকা বিয়ে করেছি আমি। আর মুসলিম ও হয়েছি।

কথাটা শুনে সাথে সাথে অ্যাডেলার মাথা চক্কর দিয়ে উঠে। পড়ে যেতে নিলে পিটার ধরতে গেলে অ্যাডেলা হাত দিয়ে থামিয়ে দেয়। নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,,

” বের হয়ে যাও আমার বাসায় থেকে। যে ছেলে নিজের ধর্ম পরিবর্তন করতে পারে সামান্য ভালোবাসার জন্য সে ছেলে আমার নয়। এই মুখ আর কখনো আমায় দেখাবে না। আমি ম”রে গেলেও আমায় শেষ দেখা অব্দি দেখতে এসো না। কোন কুলক্ষণে যে তোমার মতো ছেলে কে জন্ম দিয়েছি ওহ গড। আমার চোখের সামনে থেকে দূর হও।

কথাটা বলে অ্যাঞ্জেলেকা কে নিয়ে রুমে চলে যায় অ্যাডেলা। উপর থেকে হেলেন এসব দেখে বিরক্ত হয়।

#চলবে?#আমার_ভীনদেশী_এক_তারা
#পর্ব১৫ (বোনাস পর্ব)
#Raiha_Zubair_Ripte

দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে শান। তার মা কে সে কিছুতেই বুঝাতে পারছে না। অগ্যতা না পেরে এবার রাগের বশে বলে ফেললো,,

” বাবা মুসলিম হতে পারলে আমি কেনো মুসলিম হতে পারবো না। বাবার র”ক্তই তো আমার শরীরে বইছে।

কথাটা কানে আসতেই অ্যাডেলা র”ক্তচক্ষু নিয়ে তাকায় পিটারের দিকে।

” তোমার বাবার সাথে আমার ডিভোর্স হয়ে হয়ে গেছে আজ থেকে তেইশ বছর আগে। একজন মুসলিম ছেলে কে বিয়ে করে আমি যেই ভুল করছি তাই বলে সেই ভুল তুমি করবে?

” আমি তো কোনো ভুল করি নি মা। জন্ম অনুযায়ী তো আমার মুসলিম হবার কথা বাবা যেহেতু মুসলিম ছিলো। আমি তো তোমার মতো ভুল করি নি। তুমি খ্রিস্টান হয়েও মুসলিম ছেলে কে বিয়ে করেছিলে। আর আমি খ্রিস্টান থেকে মুসলিম হয়ে মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করেছি। হ্যাভেনের বাবা খ্রিস্টান আমার বাবা না। আমাদের দু জনের বাবা ভিন্ন।

” জ্যাকেল্স কিন্তু কখনো তোমাকে সৎ ছেলে হিসেবে দেখেনি বরংনিজের বাবার মতোই ভালোবেসেছে।

” হ্যাঁ আমি তা কখনো অস্বীকার করি নি মা। উনি নিজের ছেলের মতোই আমায় দেখেছেন। কিন্তু র”ক্ত বলেও তো একটা কথা আছে।

” তুমি এনা কে বিয়ে করার জন্য শুধু মুসলিম হলে তাহলে বাহ!

” যখন মুসলিম হয়েছিলাম তখন তো এনা ছিলো না মা এ দেশে। যদি শুধু এনাকে বিয়ে করার জন্যই মুসলিম হতাম তাহলে দু বছর আগেই কি পারতাম না এসব ছেড়ে ছুড়ে এনার কাছে চলে যেতে?আমি তো তা করি নি। আর আমি বাবার থেকে ইন্সপ্যায়ার হয়েই মুসলিম হয়েছি নট এনার জন্য।

” তার মানে ঐ লোকটাই তোমায় হযবরল বুঝিয়ে মুসলিম বানিয়েছে।

” কোনো হযবরল বুঝায় নি বাবা। যা সত্যি তাই বুঝিয়েছিল।

” তাহলে চলে যাও তোমার বাবার কাছে। আমার কাছে থেকে কি লাভ। এগারো বছর আগে তোমার বাবা চলে গেছে এখন তুমি যাও।

” তুমি এনা কে মেনে নিবা না?

” এখনো আশা করছো আমি এনা কে মেনে নিবো কখনোই না।

” বেশ তাহলে বাবার কাছে চলে যাচ্ছি এ মুখ আর কখনো দেখবে না তুমি।

কথাটা বলে শান চলে আসে নিজ বাড়ি ছেড়ে। অ্যাডেলা শানের যাওয়ার দিকে তাকায়।

*

আব্রাহাম কলিং বেলের আওয়াজ শুনে দরজা খুলে দেখে তার ছেলে বিধ্বস্ত শরীর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলে কে দেখে তড়িঘড়ি করে দরজার সামনে থেকে ছেলে কে ভেতরে আসতে বলল। শান ভেতরে ঢুকে সোফায় বসে শরীর ছেড়ে দিলো। আব্রাহাম ছেলের সোজাসুজি বসে।

” কি হয়েছে শান। এমন বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে কেনো?

শান চোখ খুলে আব্রাহামের দিকে তাকিয়ে বলে,,

” বাবা মা জেনে গেছে আমি মুসলিম হয়েছি। এনা কে বিয়ে করেছি।

” তোমার মা কিছু বললো না?

” আমার মুখ দেখবে না তিনি। তাই চলে এসেছি।

” একা কেনো এনা কোথায়?

” এনার চাচার বাসায়। ওর বাবা মা সবাই আসবে কাল। এসে কোনো একটা ডিসিশন নিবে।

” তোমার কি আফসোস হচ্ছে মুসলিম হয়েছো বলে?

” না বাবা আফসোস হচ্ছে না বরং কষ্ট হচ্ছে জন্ম থেকে আমি মুসলিম হলে কি এমন হতো বলো তো।

” হাত মুখ ধুয়ে আসো খাওনি তো নিশ্চয়ই। আচ্ছা হ্যাভেন এখন কেমন আছে?

” আলহামদুলিল্লাহ ভালো আগের থেকে এখন একটু হাত পা নাড়াতে পারে।

” ওহ ছেলেটাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।

” দেখে এসো।

” তোর মা আমার মুখ দেখবে না ভুলে গেছিস?

” আচ্ছা খাবার বারো আমি আসছি। ছোট মা কোথায়?

” শরীর ভালো না তাই শুয়ে আছে?

” সে-কি,কি হয়েছে ছোট আম্মুর?

” আর বলিস না প্রেশার লো।

” ওহ মুনিয়া কোথায়?

” স্টাডি রুমে বসে বই পড়ছে।

” এতো রাতে বই পড়ছে এখনো?

” হুমম সাহিত্য প্রেমিক হয়েছে।

” ওহ।

শান সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে। আব্রাহাম ছেলের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে তপ্ত শ্বাস ফেলে খাবার বারে।

শান ফ্রেশ হয়ে আসলে বাপ ছেলে মিলে খেয়ে নেয়। আব্রাহামের দ্বিতীয় স্ত্রী মারুয়ার রুমে সামনে গিয়ে দেখে শান তার ছোট মা ঘুমাচ্ছে। তাকে আর বিরক্ত না করে সোজা নিজের রুমে চলে যায়। এখন একটা লম্বা ঘুমের প্রয়োজন। তা না হলে মাইন্ড ফ্রেশ হবে না।

এয়ারপোর্টের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এক একুশ বছরের তরুণী। হাতে তার ল্যাগেজ পাশেই তার বাবা মা। মেয়েটির মুখে লেগে আছে বিরক্তি। কতোক্ষণব্যাপী দাঁড়িয়ে আছে অথচ গাড়ির দেখা মিলছে না। এবার বাবার দিকে তাকিয়ে কপাট রাগ দেখিয়ে বলে,,

” আব্বু কই তোমার ভাতিজা। এখনো আসতেছে না কেনো?

” আরমান ভাই তো বললো আরাভ রওনা দিয়েছে অনেক আগেই এখনো কেনো এলো না বুঝতেছি না।

কথাটা বলে এনামুল সামনে তাকাতেই দেখতে পেলেন তার ভাতিজা গাড়ি থেকে নেমে এদিকে আসতেছে। মেয়েকে চোখের ইশারায় দেখালো সেটা।

মেয়েটি হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আরাভের দিকে তাকিয়ে বলে,,

” পাক্কা পয়তাল্লিশ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি। আপনার কমনসেন্স নেই। এভাবে অচেনা জায়গায় তিন তিনটা বাচ্চাদের দাঁড় করিয়ে রাখতে।

আরাভ মেয়েটার কথা শুনে স্মিত হাসে তারা নাকি বাচ্চা আল্লাহ।

এনামুলের দিকে হাত বাড়িয়ে বলল,,

” কেমন আছেন চাচা?

” আলহামদুলিল্লাহ ভালো তোমরা।

” এই তো চলছে দিনকাল চলুন। এই ভো”টকা প্যাকেট এসো দাঁড়িয়ে থাকায় যতোটা শক্তি ক্ষয় হয়েছে পাতি লেবুর শরবত খাইয়ে তা পূরণ করে দিবো। আচ্ছা চাচা আপনার মেয়েকে কি ডায়েট করাতে পারে না। আপনার এক মেয়ে পিঁপড়ার তো আরেক মেয়ে হা”তির মতো।

কথাটা শুনে হেনা রেগে যায়। কতবড় সাহস এই হেনা কে কি-না হা”তি বলে। কোথায় মোটা আমি জাস্ট এনার থেকে হালকা গলুমলু তাই এভাবে হা”তি বলবে। এনা মুখে কিছু না বলে হনহন করে গাড়ির ভেতর গিয়ে বসে। আরাভ সেটা দেখে নৈঃশব্দ্যে হেসে ল্যাগেজ নিয়ে গাড়িতে রাখলো।

#চলবে?

(

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here