একমুঠো সুপ্ত বাসনা পর্ব ৯

#একমুঠো_সুপ্ত_বাসনা
#সুপ্তি_আনাম
|| পর্বঃ ০৮ ||
বৃষ্টিসিক্ত সন্ধ্যায় জানালার পাশে বসে আছে ইয়ানা। মুষলধারে বৃষ্টি হয়ে নেমে আসছে। চারিদিকের বৃষ্টির শব্দটা ইয়ানার মনের গহীনে এক অন্য রকম ভালো লাগার অনুভূতির সৃষ্টি করছে।
ড্রয়িং রুমে টিভি চালিয়ে সিরিয়াল দেখতে ব্যস্ত মিসেস. আয়না আর আনজানা। তাদের পছন্দের ধারাবাহিক এই সময় হয় প্রতিদিন। আবার তাদের সাথে একযোগে তাদের বুয়া শিল্পি বানুও দেখে।
তবে ইয়ানার এসবের দিকে মন টানে না খুব একটা। তাই আনমনেই সে বৃষ্টিবিলাস করছে।
ইয়ানা তার স্মার্ট ফোনটি বের করে একটা সফ্ট সং চালিয়ে দিয়ে মুহূর্তটাকে আরো রোমাঞ্চকর করে তুলল। গানের সুরের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে গেয়ে যাচ্ছে সে।
বারবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখছে আনাজ কখন ফিরবে। এই সময়টাতেই নাকি তিনি প্রায়শই বাড়ি ফিরেন। তবে আজ কি বৃষ্টির জন্য আটকে গিয়েছেন?
নিজের চিন্তাকে তোয়াক্কা না করে ইয়ানা মনে মনে বলে, ‘উনি কেনো ভেজার ভয় করবেন? উনিতো আর হেঁটে হেঁটে আসেন না, গাড়িতে আসেন। তাহলে কি কোনো কাজ আছে? ‘

———

ইয়ানা তার মা মিসেস. আয়নার সাথে ডিনার রেডি করছে। আয়না তাকে তেমন কাজ দিতে না চাইলেও জোড় করেই ইয়ানা করছে।
এমন সময় দরজার কলিং বেলটা টুংটাং আওয়াজ করে বেজে উঠতেই ‘আমি দেখছি’ বলে দরজার কাছে ছুটে যায় সে। গেট খুলতেই ডা. আনাজকে দেখে হকচকিয়ে ওঠে সে। আনাজ একদম ভিজে একাকার হয়ে দাড়িয়ে আছে। চোখের চশমাটাও প্রায় ভিজে গিয়েছে। খাঁড়া কালো চুলগুলো তার কপালে লেপ্টে গিয়ে অন্যরকম সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে।

–‘আরে, আপনি ভিজে গেলেন কেমন করে? ‘
ইয়ানা বিস্মিত নয়নে প্রশ্ন করে।

–‘সেটার কৈফিয়ত তোমাকে দিতে হবে না নিশ্চই? আমাকে ভেতরে যেতে দাও। ইয়ানাকে সরিয়ে দিয়ে ভেতরে চলে যান ডা.আনাজ।

ইয়ানা কি করবে বুঝতে না পেরে আনাজের সাথে সাথে রুমে চলে যায়। যেয়ে দেখে আনাজ শাওয়ার নিতে ঢুকে গেছেন। মনে মনে বিড়বিড়িয়ে বলে,
‘নিশ্চয়ই কোনো ধান্দাবাজি করে এসেছে ধান্দাবাজটা!’
আনাজের ব্যাগ গুলো ঠিকমতো গুছিয়ে রাখে সে।
কিচেনরুমে চলে যায় সে। যেয়ে দেখে তার মা সব রেডি করে সবাইকে নিয়ে বসে আছেন। আনাজ আসলে খাওয়া শুরু করবেন। এই বাড়ির এ রেওয়াজটি বেশ ভালো লাগে ইয়ানার। সবার সাথে খুব সুন্দর ভ্রাতৃত্ববোধ রয়েছে। কেউ কাউকে ছাড়া খেতে পারেনা।

–‘কিরে মা সব ঠিক আছে তো? আনাজ খেতে আসলো না যে…’ (মিসেস.আয়না)

–‘জ্বি মা, ধান্দা…
মুখে ধান্দাবাজ কথাটা আসতেই নিজেকে থামিয়ে ফেলে সে। জিহ্বা কামড়ে ধরে সে।

–‘সরি, ও শাওয়ার নিতে গেছে। এই এখনই চলে আসবে। ততক্ষণে আপনাদের সার্ভ করছি’

সবার প্লেটে খাবার পরিবেশন করে ইয়ানা। বুয়াকেও নিজ হাতে খাবার তুলে দেয় সে। এমন সময় তাদের বুয়া শিল্পিবানু বলে ওঠে,
–‘জব্বর একখান বউ পাইছেন আফা। সব মাইনষের বাসায় এমন বউ হউক’

তার কথায় সায় দিয়ে আয়না বলে ওঠে,
‘হ্যা দেখতে হবে না কার চয়েজ?’

একসাথে হেসে ওঠে সবাই। তবে মিসেস.আয়নার কথায় কপালে চিন্তার রেশ ফুটে ওঠে ইয়ানার। সে ভাবতে থাকে তাহলে সত্যিই কি আনাজ ইয়ানাকে পছন্দ করে বিয়ে করেছে? চড় খাওয়ার পরও একটা মানুষ কিভাবে প্রেমমাতাল হতে পারে?

সিড়ি দিয়ে নেমে নিচে আসে আনাজ।তার পরনে ট্রাউজার ও টি-শার্ট। চোখের সাথে এখনও গ্লাস রয়েছে। রাতের টিউবলাইটের আলো পরে জ্বলজ্বল করছে তা। এসেই ইয়ানার পাশের সিটে বসে পড়লো সে। এই নিদিষ্ট চেয়ার গুলো ইয়ানা আর আনাজের জন্য। মায়ের আদেশে সবসময় ইয়ানার পাশে বসে আনাজ। খাবার বেড়ে দেওয়া শেষ হতে আনাজের পাশে বসে ইয়ানা। আনাজের দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিতেই দেখে আনাজ প্লেটের দিকে তীক্ষ্ণ মনোনিবেশ করে খেতে ব্যস্ত। ডাক্তাররা হয়তো এরকমই হয়। কোনো কাজ তীক্ষ্ণ মনোযোগের সহিত করতে হয়। আদাওয়াইজ কাজটা সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদিত হয় না।
আনাজের পাশে বসে পড়ে ইয়ানা। মনে মনে ভিষণ রাগ উঠছে তার। লোকটা একবার তার দিকে তাকাচ্ছেও না! খেতে বসলেও প্লেটের দিকে তার দৃষ্টি নেই। ভ্রু কুঁচকে আনাজের দিকে তাকিয়ে। এটলিস্ট একটা মানুষের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলে সে বুঝতে পারে, তাও আনাজের কোনো হেলদোলই যেনো নেই!
রাগ টা বেড়ে গেলে আনাজের পায়ের দিকে তাকিয়ে সজোড়ে লাথি মারে সে। ওমনি ধামম্ করে আওয়াজ হয়। সবার বিষ্ময়কর দৃষ্টি আটকে যায় আনাজ-ইয়ানার দিকে। আনাজ কিছু বুঝতে না পেরে ইয়ানার দিকে তাকায়। সাথে সাথে খাবার নাকে মুখে ওঠে যায় তার।

–‘কিরে বাবা এভাবে বিষম কেন খেলি? ‘
বলে আনাজের কাছে ওঠে আসেন মিসেস.আয়না। ছেলের দিকে পানি এগিয়ে দিয়ে। তার পিঠ চাপড়াতে থাকেন তিনি। আনাজ কোনো রকম নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে বলে,

-‘আমি ঠিক আছি মা, তুমি খেতে বসো গিয়ে।’
আয়না নিজের আসনে যেয়ে বসেন। আনাজ তীক্ষ্ণতার সাথে ইয়ানার দিকে তাকায়। মেয়েটা আপনমনে খেয়েই চলছে যেনো একটু আগে সে কিছুই করেনি!
আর কিছু না বলে খাবার শেষ না করেই বলে,
-‘মা আমার আর খেতে ইচ্ছে করছে না’

-‘কিন্তু কেন..
আয়নার কথা না শুনেই রুমে চলে যায় সে। এবার ইয়ানার মনে ভয়েরা জেগে ওঠে। লোকটা না জানি কি করবে! খাবার গলা দিয়ে যেন নামতে চাইছে না ইয়ানার!
.
.
খাওয়া শেষ করে রুমে চলে যায় সবাই। সাথে ইয়ানাও। বুকটা ধুকপুক ধুকপুক করছে তার। রুমের সামনে যেয়েই দেখে দরজা লাগানো। দরজার হাতল ঘুরাতেই দরজা খুলে যায়। আনাজ জানালার ধারে বসে আছে। একদৃষ্টিতে বাহিরের সিক্ত পানে চেয়ে।
‘এহেম..’ বলে ইয়ানা গলা খাকারি দিতেই আনাজ দৃষ্টি সরিয়ে ইয়ানার দিকে আবদ্ধ করে।
ভয় লাগছে ইয়ানার। কিন্তু সে ধান্দাবাজটার সামনে নিজেকে ভিতুর ডিম বলে প্রমানিত করতে চায় না মোটেও। শুকিয়ে যাওয়া ঠোঁটগুলো ভিজিয়ে নেয় সে।
আনাজ তার দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে। ইয়ানার কাছে এবার ধীরে ধীরে এগিয়ে যান তিনি। ভ্রু কুঁচকে শান্ত কন্ঠে বলেন,

-‘তখন আমায় ওভাবে লাথি কেনো মারলে হুম?’
ইয়ানা চুপচাপ দাড়িয়ে আমতা আমতা করছে।

-‘কি বলো? গুড নাইট উইশ করিনি দেখে? আমার পায়ের অবস্থা দেখেছো? ‘
আনাজের কথা শুনে তার পায়ের দিকে তাকাতেই চক্ষু ছানাবড়া হওয়ার উপক্রম হলো ইয়ানার।

-‘সে কি, আপনার পায়ে এতো আঘাত কই থেকে লাগলো? ‘

-‘এখন তুমিই জিজ্ঞেস করছো? হোয়াট দ্যা হেল? তখন তুমি মারার পর যে শব্দটা হলো না? নাকি সেটাও শুনতে পাও নি?
তাচ্ছিল্যের সুরে বলে আনাজ।

–‘আমার পা কাঁচের টেবিলের কোণার সাথে বাড়ি খেয়ে তবেই এমন হয়েছে!’

পা দিয়ে রক্তস্রোত বয়ে যাচ্ছে আনাজের ইয়ানা ব্যস্ত হয়ে দৌড়ে এইডবাক্সটা আনতে যায়। এনে সাথে সাথেই আনাজের পায়ে ব্যান্ডেজ করে দেয় সে। আনাজ রেগে অন্যদিকে তাকিয়ে।

-‘দেখুন আপনার এরকম অবস্থা করতে চাইনি। তাই যাতা ভাবা বন্ধ করুন। আর এরকম বিহেভিয়ারের জন্য আ’ম সরি!’ (ইয়ানা)

-‘তোমার সরি দিয়ে আমার পা ঠিক হবে না ফর শিওর। তাহলে বলো আমায় লাথি কেনো মারতে গেলে। ওয়েট তুমি কি কিছু আনতে বলেছিলা যে ভুলপ গেছি? নাহ তেমন কিছুতো বলোনি। তাহলে লাথি মারার কারণ কি? ‘

-হয়েছে হয়েছে, যা-তা ভাবা বন্ধ করবেন। আমি জাস্ট সেই জন্যই মেরেছিলাম….

-কিসের জন্য?
তাল মিলিয়ে বলে আনাজ।

-কারণ আপনি আমার দিকে তাকাচ্ছিলেন না, আনমনে পেটুকের মতো গপাগপ গিলছিলেন!

আনাজ এবার সুক্ষ চাহনি দেন ইয়ানার দিকে বলেন,

–‘একটা কথা কি জানো ইয়ানা, আমার কাছে ফিজিক্স-কেমিস্ট্রি বোঝাও ততোটা কঠিন লাগেনি। যতোটা তোমার মন বুঝতে লাগছে!

–‘তাহলে আমাকে এতো ফালতু মেয়ে দেখেও আপনি বিয়ে কেনো করতে গেলেন? ‘

রহস্যময় হাসি দেয় ডা.আনাজ।
#একমুঠো_সুপ্ত_বাসনা
#সুপ্তি_আনাম
|| পর্বঃ ০৯ ||

🍁🍁🍁

ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে দ্রুত হাত চালিয়ে টাইপিং করতে ব্যাস্ত ডা.আনাজ। ইয়ানা তার পাশে মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। তবে, আনাজের সেদিকে ধ্যান নেই। সে এতো জোরে টাইপিং করছে যে চশমাটাই যেন খুলে বেড়িয়ে আসতে চাইছে।

–‘এই ধান্দাবাজ লোক! আপনি শুনতে পাচ্ছেন না, আমি কি বলেছি? আমার দুটো কিউট বানি চাই।’

ইয়ানার কথা আনাজের কানে যাচ্ছে না একটুকও। সে ল্যাপটপে জরুরি কাজে ব্যস্ত। প্রচন্ড রাগ উঠছে ইয়ানার। তাকে কেউ এভাবে কখনোই ইগনোর করেনি।

–‘কিছু বললে?’
টাইপিংরত আনাজ বলে। আনাজের কথা কানে পড়তেই অবাকের চরম পর্যায়ে পৌছে যায় ইয়ানা। দ্যাট মিনস্ ধান্দাবাজটা এতোক্ষণ ধরে কিছুই শুনেনি?

–‘কোন দুঃখে যে আপনাকে বিয়ে করে জিবনটাকে ছাই বানালাম গড নোস্। আমি বলেছি আমি দুটো বানি চাইইইই।

এবারও আনাজের কানে কথা গেলো না। এখনো টাইপিং করছে সে। ইয়ানা বুঝতে পারে, এই হতচ্ছাড়া ধান্দাবাজটা তার কথা শুনবে না। সে বেডের এক সাইডে মুখ ফুলিয়ে শুয়ে পড়ে। কথা বলবে না আর পাঁজিটা সাথে।

এক সাইডে পাশ ফিরে বেডে এলিয়ে শুয়ে আছে ইয়ানা। তার গম্ভীর মুখে ঘুম নেই। হঠাৎ তার মনে পড়ে নিলয়ের কথা। গায়ের লোম গুলো অজান্তেই দাড়িয়ে যায় তার। মনে পড়ে যায় সে দিনগুলোর কথা। যখন ঝলমল দিনগুলোতে ইয়ানা আর নিলয় একসাথে সানন্দে ঘুরে বেড়াতো। দুজনেই গভীর থেকে গভীরতর প্রেমের সাগরে নিমিষেই ডুব দিতো। একে অপরের পানে চেয়ে রাজ্যের শান্তি খুজে নিতো। আবার বেলা শেষে একে অপরকে ভালোবাসা বিনিময়ের মাধ্যমে বাড়ি ফিরতো……
যদিও এসব দিন আর নেই। সব কিছুর কারণ আনাজ লোকটা। যেই লোকটার কারণে ইয়ানা নিলয়কে রিক্ত করে এসেছে। নিলয়কে ফেলে দিয়ে এসেছে এক অন্ধকার ভূবণে। ছেলেটার মোহ আদৌ কেটে যাওয়ার কথা নয়। সে-তো ভালোবাসতো, প্রচন্ড পরিমাণে ভালোবাসত ইয়ানাকে। তাকে নিয়েই কত-শত স্বপ্ন দেখেছে সে। হয়তো তারই দোষ ছিলো এসব নিয়ে মিথ্যে স্বপ্ন দেখার!

—-
ভাবনার গহীনে অজস্র কষ্ট জমে আছে ইয়ানার। কখন যে কষ্টগুলো অশ্রু হয়ে বেড়িয়ে এসেছে কেজানে! আনাজ তাকে ডাক দিতেই সেদিকে তাকায় সে। ইয়ানা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আনাজ বলে,

–‘তখন কথা না শোনার জন্য এভাবে কাঁদছো? সরি! আসলে আমি একজন ডায়াবেটিসের পেশেন্টকে সাজেশান দিচ্ছিলাম। দ্যাটস হোয়াই তোমার কথা ঠিকমতো শোনা হয়নি।’

ইয়ানা ফটাফট তার চোখের জলগুলো মুছে নেয়।

–‘নাহ আমি তো কাঁদছিলাম না’ (ইয়ানা)

–‘হয়েছে, বিষয়টিকে আর ধামাচাপা দিতে হবে না। এখন বলো তখন কি বলছিলে? ‘

–‘আমি কেনো বলবো? তখন শুনতে পারলেন না? ‘

–‘ তিন গুনার মধ্যে বলতে হবে, নাহলে আজকে শাস্তিস্বরূপ তোমাকে আমার কোলবালিশ বানিয়ে ঘুমাবো। জলদি বলো,

-ওয়ান
-টু
-…

থ্রি শব্দটি উচ্চারণ করার আগেই ইয়ানা বলে,
-‘বলছি বলছি। আমি আপনার কাছে দুটা কিউট বানি চেয়েছিলাম।

ইয়ানার কথা শোনামাত্রই হকচকিয়ে ওঠে আনাজ। ভ্রু কুঁচকে বলে,

–‘হোয়াট ডিড ইউ সে? মাথা ঠিক আছে তোমার? বুঝতে পারছি। মানসিক ট্রমার মধ্যে আছো তুমি। একটা ডাক্তারকেই আবার এসব আনতে বলছো? এগুলো কতোটা আনহাইজেনিক, ডোন্ট ইউ নো দ্যাট? ‘

-‘আমি তো আপনার কাছে এসব হাইজেনিক না আনহাইজেনিক তার এক্সপ্লেইন তো শুনতে চাইনি? আমি বলেছি আপনাকে এনে দিতে মানে আপনি এনে দিবেন।’ (ইয়ানা)

-‘এগুলোর স্মেইল নিয়েছো কোনোদিন? জাস্ট ইয়াক!’ (আনাজ)

–‘ওহ! তাহলে এনে দিবেন না, তাই তো?’

–‘ফর শিওর!’

–‘ঠিক আছে আমিও তাহলে আপনার সাথে কোনোদিন কথা বলবো না, ফর শিওর ☺️’

আনাজের দিকে লক্ষ্য না করেই ঘুমিয়ে যায় ইয়ানা। আনাজও বেডে গা এলিয়ে দিয়ে বেডের পাশে থাকা কাবার্ডের উপর থেকে মোবাইলটা হাতে নিয়ে নেট ব্রাউজিং করছে। ইয়ানা হঠাৎ করে আনাজের হাতে থাকা মোবাইলটা কেড়ে নিয়ে তার পিলোর নিচে রেখে দেয়। এতে খানিকটা অবাক হয়ে যায় আনাজ্। অতঃপর সে হেসে হেসে বলে,

-‘রাগলেই তোমাকে খুব ভালো লাগে। এরপর থেকে আরো বেশি বেশি রেগে থেকো কেমন? দরকার পড়লে আমি রাগিয়ে দিবো…’

বলে আনাজ আবারও হাসিতে ফেটে পড়ে। ইয়ানা সাথে সাথে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করে। সে মনেপ্রাণে চাচ্ছে আনাজ যেটা বলবে, তার অপজিটটা করতে।
কিছুক্ষণের মাঝেই ঘুমের গহীনে তলিয়ে যায় সে। তবে আনাজ তার দিকেই তাকিয়ে। মেয়েটাকে অসম্ভব সুন্দর আর মায়াবিনী লাগছে। ইয়ানার অজান্তেই তার কপালে টুপ করে অধরজোড়া লাগিয়ে ভালোবাসার স্পর্শ একে দেন আনাজ। ইয়ানা এখনো ঘুমে বিভোর……

চলবে,
চলবে,

(পিকঃসাবিহা সারা)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here