এক্সিডেন্টলি প্রেম পর্ব ৩৪

#এক্সিডেন্টলি_প্রেম♥
#পার্ট-৩৪♥
#Ayanaa_Jahan(Nusraat)♥

—– আমায় ক্ষমা করবেন মি. নিশান্ত! এই বিয়ে ভাঙবেনা, এই বিয়ে হবেই। আমি একবার যখন বলেছি, মি. শাহীনকে বিয়ে করবো তখন এটাই আমার শেষ কথা।

অন্বিতার বলা কথাটা নিশান্তের কানে যেনো বজ্রপাতের মতো শোনালো। নিস্তব্ধ বিয়ের আসরটা আচমকাই মেঘের মতো গর্জে উঠলো। হয়তো বর্ষনের পূর্বাভাস দিতে চলল অন্বিতার বলা বাক্যটা! নিশান্ত টলমলে চোখে দু ধাপ পেছালো। বিয়ের অনুষ্ঠানে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আকস্মিকতায় প্রত্যেকেই যে যার স্থানে অবাক চোখে নীরব দর্শকের দায়িত্ব পালনেই ব্রত হলো। ভাইকে ফিরে আসতে দেখে ঝাপটে ধরবার উদ্দেশ্যে ছুটন্ত নূহাও চুপচাপ প্রশ্নোক্ত চোখে চেয়ে রইলো নির্বিকার! অন্বিতা ছোট্ট করে শ্বাস করে ফেলে আবারও নিশান্তের চোখে স্থির দৃষ্টি ফেললো। চোখ-মুখ শক্ত করে দৃঢ় গলায় বলল,

—- আজ আপনি এসেছেন ভালোবাসার দাবি নিয়ে! আজ আমি শুধুমাত্র আয়ানা বলে ফিরেছেন আপনি! আমি অন্বিতা বলে নয়! আপনার কী মনে হয়, আপনি কী আদৌ আমায় ভালোবেসেছেন কখনোও? উত্তরটা কিন্তু খুবই সহজ! আপনি আমায় ভালোবাসেননি। হ্যাঁ এটা ঠিক আপনি আপনার কিশোর কালে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুকে খুঁজেছেন ১৪ টি বছর ধরে৷ তাকেই মনপ্রাণ উজাড় করে ভালোবেসে গেছেন, অথচ আমিই যে আপনার সেই ছোট্টবেলার বন্ধু, তার বিন্দুমাত্রও উপলব্ধি জেগে উঠেনি আপনার মনে।

এটুকু বলেই সামান্য বিরতি নিলো অন্বিতা। স্পটে উপস্থিত প্রত্যেকেরই কপালের ভাঁজ সূক্ষ্মতর হয়ে এলো। নিশান্ত ধরা গলায় অন্বিতার দু-বাহু চেপে ধরে বলল,

—- আমি তো আপনাকে সবটা খুলে বললাম অন্বিতা। হ্যাঁ হয়তো আপনার ছোটবেলার কিছু মনে নেই। বাট আমার আছে, আর সেই হিসেবে দায়িত্বটাও আমারই ছিলো আপনাকে খোঁজার! হুম আমি মানছি আমি ভুল করেছি, তার জন্য আপনার কাছে ক্ষমাও তো চেয়েছি অন্বিতা, আ…আমি তো জানতাম না যে আপনিই আমার আয়ু! জানলে কী এরকম একটা ভুল কখনো করতাম? না তো! হ্যাঁ এটা ঠিক আমি বুঝিনি, ১৪ টা বছর ধরে শুধু পাগলের মতো এদিক-সেদিক তন্নতন্ন করে খুঁজে গেছি আপনাকে। অথচ আপনি নিজে থেকেই আমায় ধরা দিয়েছেন তা ঘুনাক্ষরেও টের পাইনি আমি। বাট প্লিজ আমার ভুলের শাস্তি এভাবে দিবেন না অন্বিতা। এই বিয়ে করবেন না প্লিজ!

অন্বিতা হাসলো। নিজের বাহু থেকে নিশান্তের হাত দুটো সাবধানতার সহিত ছাড়িয়ে নিয়ে বলল,

—- হ্যাঁ আপনি ঠিকই বলেছেন। আর পার্থক্যটাও এখানেই! আপনি এতোগুলা বছর যাকে হন্নে হয়ে খুঁজছিলেন সে আমি নিজেই। অথচ পুরোনো কোনো স্মৃতিই খেয়াল নেই আমার! আমার কাছে পূর্বের আপনি যেমনটা ছিলেন, আজকের আপনিও ঠিক তেমনটাই আছেন। শুধু বদলেছেন আপনি, বদলেছে আপনার চিন্তাধারা! এতোদিন যাকে অন্বিতা বলে অবহেলা করেছেন আজ তাকে আয়ানার পরিচয়ে আবিষ্কার করে কাছে টানতে চাইছেন! আজ যদি আমি আয়ানা না হতাম, যদি অন্বিতার পরিচয়েই আপনার নিকট সীমাবদ্ধ থাকতাম তবে কী হতো? আপনি তো দিব্যি ভিনদেশে পাড়ি জমাতেন, একটিবারের জন্যেও আমায় নিয়ে ভাবনায় ডুবে অপচয় করতেন না সময়! আর এদিকে আমার বিয়েটাও সব রীতিনীতি অনুযায়ী সম্পন্ন হয়ে যেতো!
আজ আপনি কিন্তু শুধুমাত্র ভুল শোধরাবার তাগিদে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসেছেন, আমায় আয়ানার পরিচয়ে ভালোবাসার ভুবনে রাঙাতে এসেছেন। কিন্তু…..বোধহয় ভুলে গিয়েছেন আমারও অনুভূতি বলে কিছু একটা আছে। আমিও মানুষ! রোবট নই! আমার দেহেও কিন্তু আর পাঁচটা মানুষের মতো মন নামক নিয়ন্ত্রক আছে, সাথে আছে ভাললাগা-মন্দলাগা, বিষাদময় অনুভূতি কিংবা প্রাণোচ্ছল উদ্দীপনা!
আপনি বড্ড দেরি করে ফেলেছেন নিশান্ত! আপনার হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে সবকিছু!

এতোক্ষণ যাবৎ অন্বিতার কথাগুলো অশ্রুসিক্ত নয়নে স্থির দৃষ্টি ফেলে খুবই গভীর মনোযোগের সহিত শুনছিলো নিশান্ত। অন্বিতার বলা প্রতিটি লাইন যেনো প্রতিক্ষণে তোলপাড় বাড়িয়ে চলছিলো তার! নিশান্ত কাঁপাকাঁপা পায়ে দু-তিন ধাপ পেছালো। চোখ দুটো বুজে লম্বা শ্বাস টেনে বলল,

—- এটাই কী তবে তোর শেষ কথা আয়ু?

অন্বিতা দীর্ঘশ্বাস ফেললো। ভেজা হলেও কঠিন গলায় বলল,

—- হ্যাঁ, এটাই আমার শেষ কথা! আর হুম ওইনামে আমায় ডাকবেন না! এতোদিন অন্বিতার পরিচয়েই যেহেতু ছিলাম সেই পরিচয়টাকেই ধার্য্য রাখার চেষ্টা করবেন!

নিশান্তের শরীর যেনো আসার হয়ে এলো মুহুর্তেই। পা দুটো শক্তি হারিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারলোনা। পিলারের সাথে ঠেস দিয়ে দাঁড়াবার চেষ্টা চালালো সে। সানি-রিভান বুঝল নিশান্ত সামলাতে পারছেনা নিজেকে যার দরুন এক ছুটে গিয়ে আঁকড়ে ধরলো তাকে দুজনেই। নিশান্ত পড়ে যেতে নিয়েও সানি-রিভানের তৎক্ষণাৎ এসে ধরে ফেলায় নিজেকে সামলে নিলো। । আফসানা বেগম-রফিক আহমেদ নিজেদের ধরে রাখতে পারলেন না আর! কোনো বাবা-মা’ই ছেলের এমন করুন পরিস্থিতিতে নিজেদের শক্ত রাখতে পারতেন না। তেমনটাই ঘটেছে আফসানা-রফিকের সাথে। তাদের দেখাদেখি ছোট্ট নূহাও গুটিগুটি পায়ে ছুট লাগালো ভাইয়ের উদ্দেশ্যে। তাদের লাগাতার প্রশ্নে অতিষ্ঠ হয়ে উঠলো নিশান্ত। হাত দেখিয়ে সবাইকে আকুতিভরা অনুনয়ে থামতে বলল সে। সবাই ক্ষণিকের জন্য থমকাল। নিশান্ত পিলারের সাথে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে নিজেই একবার উপস্থিত সকলের ওপর রক্তিম আভা ছড়ানো চাহনি নিক্ষেপ করলো। শাহীনের চোখে-মুখে হাজারো প্রশ্নের ছোড়াছুড়ি! বোকার মতো সমীকরণের সমাধানে ব্যস্ত হয়েছে তার মন৷ কিন্তু যথাযথ ফর্মুলা ফেলাতে যেনো বারবার ব্যর্থ হয়ে চলেছে সে, কিছুটা এমনই দৃষ্টিকোণ! এতোক্ষণে বিয়ের আসরে উপস্থিত সকলেরই ভ্রম কেটেছে। পেছনে পেছনে একদল মহিলাদের কানাঘুষোও কানে আসতে লেগেছে মৃদু কম্পাংকে। আনন্দ বোনের হাত শক্ত করে ধরে চোখ তুলে তাকালো। মুখে না বললেও তাতে হাজারো অভিযোগের ছড়াছড়ি স্পষ্ট! অন্বিতা সেই চাহনির অর্থ জেনেও উপেক্ষা করলো। নিজের সিদ্ধান্তকেই ধার্য্য ধরে ছোট্ট করে শ্বাস ফেললো। আমজাদ হোসেনের প্রশ্নে মাখা চাহনিরও কদর করলোনা সে। নিজেকে যথাসম্ভব শক্ত রেখে, নিশান্তের এমন ভেঙে পড়া অবস্থাতেও কথার বিন্দুমাত্র নড়চড় করলোনা। ধাপ ফেলে শাহীনের পাশে গিয়ে তাকে বসতে ইশারা করে বলল,

—– কাজী সাহেব, সিনেমা শেষ হয়ে গিয়েছে। বিয়ের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করুন!

কাজী সাহেব সামান্য কেশে নিলেন। বিয়ে বাড়িতে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আগে কখনো পড়বার ভাগ্য হয়নি উনার। সবকিছুই কেমন যেনো এলোমেলো লাগছে। তবু পেশা যেহেতু বিয়ে পড়াবারই সেই সুত্রেই কোনো দ্বিমত পোষণ না করে আবারও দোয়া আওড়াতে শুরু করলেন তিনি। শাহীন বোকার মতো আবারও প্রশ্ন ছুড়তে নিতেই চোখের ইশারায় চুপ থাকতে বলল অন্বিতা। শাহীন কপাল কুঁচকালো, মেয়েটার হাবভাব বিন্দুমাত্রও সুবিধের ঠেকছে না তার! সে তো বলেছিলো তার কোনো বিএফ নেই, ইনফ্যাক্ট পূর্বেও ছিলো না। তবে নিশান্তকে সে ভালোবাসতো কথাটা আগে বলেনি কেনো? শুধুমাত্র নিশান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে বলেই কি এতোটা আক্ষেপ নিয়ে জোড়পূর্বক বিয়ে করতে চলেছে সে? নিশান্তকে কী আর সে ভালোবাসেনা? এভাবে বিয়ের মতো কঠিন সম্পর্কটা সামান্য অভিমানের পরিপ্রেক্ষিতে শুরু করে পরবর্তীতে আফসোস করতে হবেনা তো? এরকম আরো হাজারো প্রশ্ন মস্তিষ্কে জট পাকাতে শুরু করলো তার। পরিবারের লোকগুলোও দোমনা ভাবের মাঝে বন্দী হয়ে শুধুমাত্র দর্শকের ন্যায় আচরণ করছে। হয়তোবা অন্বিতার প্রতি অগাধ বিশ্বাসের দরুণই তাদের এতোটা দায়ছাড়া কার্যকলাপ!

__________________________

মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলায় মত্ত হতে আবারও লুকিয়েছে চাঁদ! দূর আকাশের এক কোণে থেকে থেকেই চিলিক মেরে উঠছে বিদ্যুৎ! তবে কী আবারও বৃষ্টি হবে? হয়তো হবে! আজকাল আকাশের মন-মেজাজ বোঝা বড্ড দুষ্করপ্রায় হয়ে উঠছে। হুটহাট রূপ বদলানো যেনো নিতান্তই ছেলেখেলায় পরিণত করেছে সে! কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার খানা প্রতিনিয়ত ঘটছে নিশান্তের সাথে। তার মতে আকাশও বোধহয় মন খারাপের প্রহরে মুখ গুমরো করে বসে থাকে। এইযে এখন সে রাস্তার ধারে হাটু গেরে বসে নিঃশব্দে কাঁদছে তাতেও যেনো স্তব্ধ হয়েছে আকাশ! তার হৃদয়ভাঙা আর্তনাদের সঙ্গী হতে সেও কিরণ ছড়ানো থামিয়েছে। ঘন কালো আধারে আষ্ঠেপৃষ্ঠে সেও হয়েছে গুমোট!

নিজের চোখের সামনে নিজেরই ভালোবাসার মানুষটা অন্যকারো হয়ে যাবে তা দেখবার মতো ক্ষমতা ছিলোনা নিশান্তের। ছোট বেলা থেকেই কম-বেশি সবধরনের আঘাতই সহ্য করেছে সে। মাঝেমাঝে হতাশ হয়েছে ঠিকই তবু আশা হারায়নি। পুনরায় উঠে দাঁড়াবার মতো যথেষ্ট মনোবল ছিল তার। ছিলো আঘাত সহ্য করার মতো ক্ষমতাও! তাইতো অল্পতেই কখনো দিশেহারা হয়ে পড়েনি সে। মনের বিরুদ্ধে মস্তিষ্কের লড়াইয়ে প্রতিবারই জিত হয়েছিলো তার। কিন্তু এবার? এবার কি করে সামলাবে সে নিজেকে? চোখের সামনে নিজের সবটা জুড়ে যে বিরাজ করে আসছে সেই ১৫টা বছর ধরে, কি করে পারবে তাকে অন্যকারো হয়ে যেতে দেখতে? আজ পর্যন্ত কোনো প্রকৃত প্রেমিকই পারেনি, তেমনভাবেই পারেনি নিশান্তও । ক্ষতটাকে ঢেকে রাখতে পালিয়ে এসেছে সে।
অবশ্য সানি-রিভান সাথে পরিবারের লোকেরাও তাকে আটবার জন্য বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবু থামাতে পারেনি তাকে!

জায়াগাটা খুব বেশি পুরোনো নয়! প্রায়ই একলা সময় কাটাতে জঙ্গলের ধারে পুল সাইডটাতে আসতো নিশান্ত। এখানে সচরাচর তেমন কোনো মানুষের আনাগোনা চলেনা বিধায় নিস্তব্ধতায় ঘেরা পরিবেশে সাচ্ছন্দ্যে দীর্ঘশ্বাস ফেলতে পারতো সে। তবে আজ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বুক ভারী করতে নয়, চিৎকার করে নিজের ব্যথা প্রকৃতিতে বিলাতে এসেছে সে। এতোদিন ধরে বুকে চেপে রাখা হাহাকার আর্তনাদের দ্বারা উন্মুক্ত করতে চাইছে সে। এভাবে বুকে পাথর চেপে আর কতোদিন? যা হবার তা তো হয়েই গিয়েছে। আজ নিজের দোষে নিজের প্রিয়তমাকে হারিয়েছে নিশান্ত! দহনের আগুনে জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে চলছে সে!

নিশান্ত ছোট্ট ছোট্ট ধাপ ফেলে পুলের পাশ এসে দাঁড়ালো। পুলের স্বচ্ছ জলধারায় চিকচিক করা আলোগুলো প্রতিফলিত হয়ে ফুটে উঠলো তার চোখের কোটরে। স্বল্প বলে টান করে রাখা পা দুটো ভার ছেড়ে দিয়ে হাটু বসিয়ে মাটিতেই স্থান পেলো তার। নিশান্ত দু হাতে হাটু চেপে ধরলো। শরীরে বিদ্যমান যতোটুকু শক্তি ছিলো তার একফোঁটাও বাদ না রেখে আকাশ পানে চেয়ে তীব্র আর্তনাদ ছেড়ে বসলো সে। যার তীক্ষ্মতায় গাছের পাতাগুলোও পাল্লা দিয়ে কেঁপে উঠলো। শুনশান নিস্তব্ধতায় ঘেরা প্রকৃতিটা হঠাৎ করেই চমকে উঠলো। সঙ্গ দিয়ে এতোক্ষণ যাবৎ বৃষ্টির পূর্বাভাস জানানো মেঘমালাও উঠলো গর্জে । প্রায় সাথেসাথেই একফোঁটা-দুফোঁটা করে আকাশের বুক চিরে ধরায় নামতে শুরু করলো বৃষ্টি। বৃষ্টির তুমুল বেগে কাকভেজা হলো নিশান্ত। তার প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে যেনো শীতল বর্ষনের স্রোতধারা প্রবাহিত হতে লাগলো। সাথে অক্ষিগোলক কতৃক পাল্লা দিয়ে ঝড়তে লাগলো নোনাজল। বৃষ্টির পানির সাথে মিশে নোনাজল গুলো বিলীন হলেও হৃদয়ের যন্ত্রণা কমলো না মোটেই। ফোঁপানো ঠোঁটজোড়া কম্পমান শিখার মতোই থরথর করে কাঁপতে লাগলো তার। পুলে বৃষ্টির আঘাতে ছমছমে আওয়াজ ধীরে ধীরে হতে লাগলো তীব্রতর! সেই ছমছমে আওয়াজের তোড়ে মৃদুমন্দ পায়েলের শব্দটা নিশান্তের কানে এসে বাঁধলোনা সহজে। সে একই ভাবে মেঘের কান্নার সাথে নোনাজল বিসর্জনেই ব্রত হয়ে রইলো। কষ্ট ভাগাভাগি করতেই ব্যস্ত হয়ে রইলো তার ক্রন্দন মিশ্রিত চোখদুটো। হঠাৎ পেছন থেকে কারো উষ্ণ স্পর্শে চমকে উঠলো নিশান্ত। স্পর্শটা চিনতে খুব বেশি বেগ পেতে না হলেও অতিমাত্রায় অবাক হতে বাধ্য হলো সে। পেছন থেকে নিশান্তের ভেজা গায়ের সাথে লেপ্টে থাকা অন্বিতা স্বস্তির শ্বাস ফেললো। কানের কাছে মুখ এগিয়ে নিয়ে এসে বলল,

—- “কাঁদলে তোমায় একদম হুতুম পেঁচার মতো লাগে রাই ভাইয়া!”

#চলবে________________

(ক্ষমা করবেন দেরি হওয়ায়! 🙂)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here