এখানে কোন বৃষ্টি নেই পর্ব ৮

এখানে কোনো বৃষ্টি নেই
পর্ব ০৮
যেটাকে ডাক্তারী ভাষায় অামরা জরায়ু বলি, সাধারণ প্রচলিত ভাষায় এটি গর্ভথলি হিসেবেই বেশি পরিচিত।
এখন, সেখানে ফাইব্রয়েড টিউমার মানে… সমস্যাটা অামার জন্য জটিল। বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টিতে এর ভূমিকা অতুলনীয়। এক্ষেত্রে জরায়ু কেটে একেবারে ফেলে দিলে ক্যান্সারের রিস্ক থাকেনা। কিন্তু…..
অামায় সবথেকে অবাক করেছিলো যে, এই সমস্যাটাই কেনো অামার হবে??? অামি যাকে পছন্দ করি, তার বাবা-মা নিঃসন্তান। সে নিজে তাদের পালিত সন্তান। সুতরাং সন্তান ব্যাপারটা তাঁর জন্য একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ। ওই পরিবারটিকে একটি সন্তান সে…….
অামি ভাবতে পারছিলাম না কিছু। বাবাকে ফোন করে অাসতে বললাম।
বাবা এলে, ডাঃ শীলার সাথে অামি নিজে বাবাকে নিয়ে কথা বলতে যাই।
নিজের অসুখ নিয়ে কষ্ট পাবার জন্য মানসিক অবস্থা অামার ছিলোনা। অামার সমস্ত চিন্তা ছিলো অভিকে নিয়ে। ওকে অামি বিয়ে করতে পারবো কিনা। সন্তান ধারণের পসিবিলিটি অামার কতটুকু থাকতে পারে??
যদি টিউমারের সংখ্যা বেশি হয়???
ডাঃ শীলার কাছে গিয়ে বাবা কোনো কথা বলতে পারলেন না। তিনি কথা বলতে গেলেই হাউমাউ করে কেঁদে ফেলছেন।
বাবার সামনেই অামি
ডাঃ শীলাকে খুবই শান্ত ভঙ্গিতে জিজ্ঞেস করলাম,
———এই অপারেশনটার পর অামার বাচ্চা হবার চান্স কতটুকু থাকবে?
ডাঃ শীলা হাসিমুখে বললেন,
———-দেখো, অাফসানা বাচ্চা যদি তোমার না হবার কথা করুণাময় লিখে রাখেন,, তাহলে এমনিতেই হবেনা। এটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছে। তবে তোমার ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য একটা সার্জারি করতেই হবে।মায়োমেকটমি অপারেশন। ইউটেরাসের ওয়াল থেকে অামি টিউমার গুলো কেঁটে ফেলে দিয়ে অাবার তা স্টিচ করে দেবো। চিন্তার কিছু নেই। ইট’স এ কুইক এন্ড সিম্পল প্রসেস!
অামি অাবার ও বললাম,
———ম্যাম সেক্ষেত্রে কি অামার কমসিভ করার কোনো ঝুঁকি থাকবে??
———তোমার ভালোভাবে বেঁচে থাকাটা অাগে জরুরি অাফসানা। সন্তান ধারণের কথা তো তুমি পরেও ভাবতে পারবে। অার এখন যে, শুধু পেটে ধরলেই সে সন্তান হয়, তা কিন্তু নয়! অামাদের নিজেদের অনেক ডাক্তারই সন্তান দত্তক নিয়ে ফ্যামিলি কমপ্লিট করেছেন! এরকম তো অনেক কাপলই অাছে, যাদের ফিজিক্যাল কোনো সমস্যা নেই অথচ বেবী হচ্ছে না। সো হোয়াই অার ইউ লুজিং ইওর পেশেন্স???
ইউ সুড গেট টু বি রিয়েলিস্টিক!!
হোয়াই অার ইউ টেকিং দ্য টেনশন??
অামার কণ্ঠ এবার অারো শক্ত হয়ে গেলো।
———-ম্যাম, অামি একটা ছেলেকে পছন্দ করি, এবং অামি তাঁকে বিয়ে করবো বলে ঠিক করে রেখেছি। তাঁর একটা ছোট্ট কাহিনী অাছে। সে যেই বাবা-মায়ের কাছে মানুষ হয়েছে, তারা নিঃসন্তান। শুধুমাত্র বংশ রক্ষার জন্য ওকে উনারা নিজেদের সন্তান করেছেন। এখন তাঁর নিশ্চয়ই অামার মত……….
বাকীটুকু অামি অার বলতে পারলাম না।
এইবার বাবা কথা বললেন,
———–অামার মেয়েটার শৈশবটা ভালো যায়নি, তাঁর নিজের মা অসুস্থ ছিলো বলে! কৈশোরটা ভালো যায়নি তারঁ নিজের মা ছিলোনা বলে, এখন যদি সামনের জীবনটাও খারাপ যায়… নিজে মা হতে পারবে না বলে…… তাহলে??? অামি দরকার হলে দেশের বাইরে নিয়ে গিয়ে সার্জারীটা করাবো, অাপনি শুধু দেখেন ও’র যাতে ছোট্ট একটা অাশা থাকে…….
অামি অাবার কথা বললাম,
———–ম্যাম, সার্জারিটা অাপনার হাতেই অামি করাবো, কিন্তু যদি সত্যি সত্যিই কোনো চান্স না থাকে অাপনি সেটা অামাকে ক্লিয়ারলি বলতে হবে…….
অামি যাকে ভালোবাসি শুধু তাঁর জন্য… শুধু তার জন্য….
———বারবার তুমি শুধু যাকে ভালোবাসো তাঁর কথা বলছো, সে অাসলে কি চায় সেটাও তোমার মাথায় রাখা উচিত, অাফসানা ।অলটাইম ওয়ান সাইডেড ডিসিশন ইজ নট গুড। লাইফ ইজ এ ফুল প্যাকেজ অফ প্রোগ্রামস, নট এ শর্টটাইম ইভেন্ট। ইট ইজ এ লং টাইম অকেশান।
অপারেশনের সব ধরনের প্রিপারেশন নেবার পর অামার মনে হলো, এখানে অপারেশন সম্ভব নয়। অভি কোনো না কোনো ভাবে জানতেই পারবে। বেচারা পড়ছে, এখন এসব জানা মানেই সিলেবাস উল্টো -পাল্টা হয়ে যাওয়া।
অামি অসুস্থ, এটা ভেবে তাঁর মত অাহত হবে, হি উইল ফিল পিটি ফর মি। অামি তা নিতে পারবোনা।
অামি স্টাডি লিভ নিলাম। বাবা অপারেশনের সব ব্যবস্থা দেশের বাইরে ঠিক করলেন।ডাঃ শীলা তাঁর বন্ধু এক ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে সব এরেঞ্জ করালেন।
বিদেশে যাবার অাগে অামি অভির সাথে দেখা করতে গেলাম।
অভি তো রেগে অাগুন।
———কয়েকটা মাসও যায়নি ভর্তি হলে, অার এর মাঝেই তোমার ফরেন ট্যূর করার সাঁধ জেগে গেলো?? এরকম করে তো পড়াশোনা হবে না পরী। পড়াশোনা ব্যাপারটা অত সহজ নয়!
———-না হলে না হবে। ডাক্তার যে অামাকে হতেই হবে এমন তো কোনো কথা নেই। মেডিকেলে চান্স পাবার কথা ছিলো, সেটা পেয়ে তো দেখিয়ে দিয়েছি নাকি?
———–হুুঁ -দুবারে। পড়াশোনার কি বাহার?? অাচ্ছা, বিদেশ গিয়ে লাভটা কি এখন?? তুমি ভেকেশানে যেতে পারতে???
———-অামি এখনি যাবো। অামার মন, অামার ইচ্ছা। অাই নিড এ ব্রাক। অামি টায়ার্ড!
———-এর মাঝেই তোমার ব্রাক দরকার হয়ে গেলো??লিসেন পরী, অামার যদি ফরেন ক্যাডারে হয় তখন তো অামি তোমায় নিয়ে কত্ত বিদেশ যাবো… এখন গিয়ে শুধু শুধু পড়াশোনার ক্ষতি। প্লিজ ক্যানসেল ইট।
————অাপনার ফরেন ক্যাডারে হলে অামি কেনো অাপনার সাথে বিদেশ যাবো??? অামি যাবো অামার বাবার সাথে!
অভি অারো রেগেমেগে বললো,
———অামিও তোমার বাবার সাথে যাবো। অামারও বিদেশে ঘুরতে ইচ্ছে করছে।
অাই হ্যাভ দ্য পাসপোর্ট! প্লিজ এরেঞ্জ ফর মি!
———হবেনা। এইবার বাবা অামি। পরেরবারে অাপনি……
অাই প্রমিস!
———কিছু অানবে অামার জন্য??? ওয়াচ?? পারফিউম???
——–না। অামি শপিং করতে তো যাচ্ছি না। বেড়াতে যাচ্ছি।
অভি অনেকক্ষণ চুপচাপ বসে রইলো। অামি উঠে চলে অাসবো, প্রস্তুতি নিতেই কথা বললো অাবার।
———-তোমার গাল শুকিয়ে গেছে পরী, তুমিও শুকিয়ে গেছো অনেকখানি। চোখের চারপাশে কালি বসে গেছে। মেডিকেলে পড়াশোনায় অনেক চাপ তাই না??
অামি কিছুক্ষণ কথা বলার চেষ্টা করেও বলতে পারলাম না। অভি জবাবের অপেক্ষায় তাঁকিয়ে,
———-অাসলে, অামি অনেকদিন ধরে ঠিকঠাক খেতে পারছিনা, ঘুমোতে পারছিনা, একবার বাইরে ঘুরে অাসি তারপর শরীরের প্রতি মনোযোগী হবো।
———–তোমার কথাবার্তা অার তোমাকে খুব অপরিচিত লাগছে পরী। মনে হচ্ছে, তুমি অনেক বড় হয়ে গেছো…. ওয়াইজ উইমেন।
অামি তক্ষুনি অভিকে জড়িয়ে ধরলাম,
———-যদি কখনো অামি অাপনাকে সিরিয়াস কিছু অর্ডার করি, অাপনি শুনবেন তো????
অভি অামার চুলের মধ্যে অাঙুল চালাতে চালাতে বলল,
———তোমার অর্ডার মানে, ধরে নাও করে ফেলেছি অামি। কিছুক্ষণ অামরা চুপচাপ।
চলে অাসার অাগে অামি অাগ্রহ নিয়ে
বললাম,
———অামি এক কাপ চা বানিয়ে দিই অাপনাকে!?? চা বানাতে পারি অামি।
অভি কিছুই বললোনা,
অামি চা বানিয়ে এসে দেখি অভি ঘরে নেই। অান্টি বললেন,
———অভি তো বেরিয়ে গেলো এক্ষুনি।
অামি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম,
অভি অাবার অামাকে ফেলে চলে গেছে! হুহহহহহহ……… এই মানুষটা কেনো এত ফেলে যায় অামাকে???
অামার
অপারেশন হলো, কানাডাতে।
সাকসেসফুল অপারেশন। অপারেশন করলেন, ডাঃ স্মিথ। অাধবয়সী হাসি হাসি মুখের ছোট বেঁটেখাটো মানুষ। অপারেশন এর
পর রিলিজের অাগে
তিনি, অাগ্রহ নিয়ে অামায় দেখতে এলেন,
হাসিমুখে বললেন
———তুমি কেমন অাছো, সানা?? (তিনি অামার অাফসানা নাম ছোট্ট করে সানা ডাকেন)
———ভালো। অাপনি ভালো অাছেন ডক্টর??
ডক্টর স্মিথ মাথা ঝাঁকালেন।
———–অামি ঘড়ি ধরে ত্রিশ মিনিট তোমার সাথে গল্প করবো..৷ তোমার সমস্যা নেই তো???
অামি না সূচক মাথা নাড়লাম।
———হেই, তুমি নাকি নিজেও একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট??
———-জি।
———-তোমাদের দেশে এত ভালো ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও
এই অপারেশনটা করাতে তুমি বিদেশে কেনো এলে, এই কারণটা জেনে অামি তোমার সাথে কথা বলতে এসেছি।
অামি হাসলাম।
ডক্টর স্মিথ অামার বেডের পাশে বসলেন,
বিনীত গলায় বললেন,
———অামরা ডাক্তাররা কোনো ম্যাজিশিয়ান নই। অামাদের কাছে কোনো বিশেষ ক্ষমতাও নেই। অামরা ডাক্তাররা অামাদেরকে শিখিয়ে দেওয়া কিছু পদ্ধতি মোতাবেক কাজ করি। তারপর অামরা একটি অলৌকিক ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করি।
তোমার ক্ষেত্রে ও অামি অামার সর্বোচ্চ ভালোটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। তোমার ইউটেরাসে টিউমারের সংখ্যা একটু বেশি ছিলো, এজন্য ওটা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।তবে ওটা একটা চমৎকার অপারেশন ছিলো।
সায়েন্স বলছে, তোমার কনসিভ করার চান্স দশ-বিশ ভাগ। এটা হচ্ছে এক ধরনের “না”। তুমি জানো সেটা। সুতরাং তোমাকে এখন একটি অলৌকিক ঘটনার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
———-তার মানে অামার কাউকে বিয়ে করাটা ঠিক হবেনা??
———-সেটা একদমই নয়।তুমি খুব ভালো করেই বিয়ে
করতে পারো। হ্যাঁ তবে যাকে বিয়ে করবে, তাঁকে সব জানিয়ে করবে। সবসময় তো বিয়ে মানে একটা চাইল্ড শেয়ার করা নয়!
——–কিন্তু ডক্টর, অামাদের দেশে বিয়ে মানে চাইল্ড শেয়ার করার একটা লিগ্যাল এগ্রিমেন্ট। অার অামার কন্ডিশনে তো একটা নয়, অনেকগুলো চিল্ড্রেন মাস্ট। তারঁ বাবা -মা নিঃসন্তান।
———-তুমি কেনো সেভাবে ভাববে, সানা? বিয়ে মানে হলো একটা সুন্দর বন্ধন শেয়ার করা। সম্পর্কের যেখানে যেখানে তুমি অাটকে যাবে, সেখানে সেখানে অভিক তোমাকে সাহায্য করবে।
অামি নিজেকে খুব শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলাম। অভির ক্ষেত্রে অামি কোনো রিস্কে যাবো না। কোনোভাবেই না। মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছিলাম অাপ্রাণ।
মি.স্মিথ অামার হাত ধরলেন,
———-কাউকে ভালোবাসার ব্যাপারটা সত্যিই বেশ চমৎকার । কিন্তু সবসময় যে সব ইচ্ছে পূরণ হবে এটা ভাবাও অন্যায়। কারণ এই পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ অাছে, যার সারাজীবনের একটিমাত্র ইচ্ছে-ই পূরণ হয়নি।
তাহলে তুমি কেনো??
সবকিছু গডের উপর ছেড়ে দিয়ে তুমি তোমার মত করে জীবনটা কাটাও! তিনি তোমার ব্যাথাটা দেখবেন।
———-অামি ব্যাপারটা তাঁকে কিভাবে বলবো?? তাঁর চোখের খারাপ লাগাটা অামি দেখতে পারবোনা যাস্ট! সে অামাকে অাগে পছন্দ করেনি, অামি করেছি। এখন এটা বলা কি অামার অন্যায় হবে না??
মি. স্মিথ অাবারও হাসলেন,
——-ডাক্তারি পড়ছো তো, পড়তে পড়তে দেখবে তোমার মন অটোমেটিকেল্লি ব্যাপারটা বলার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে। তোমার পেশার মূল উদ্দেশ্যটাই হচ্ছে রোগশোকের ভয়কে জয় করা। অার অামি অাশা করছি, সেটা তোমার জন্য অারও সহজ হবে।
যে অন্যের ব্যাথা কমানোর মত একটা পেশায় কাজ করবে বলে ঠিক করেছে, সে যদি নিজের ব্যাথায় কাতর হয়ে পড়ে, তাহলে কিভাবে হবে???তোমাকে নিজের জীবনের সব ব্যাথা জয় করতে হবে। শক্ত হতে হবে তোমাকে।
অামার মনে হয় ত্রিশ মিনিট হয়ে গেছে, সানা। অামার যাওয়া উচিত।
অামি অাশা করি, তুমি একজন ভালো ডাক্তার হবে।
ডক্টর স্মিথ অামার মাথায় হাত বুলালেন। জাতি ভিন্ন হলেও মমতার ভাষা যে এক অামি তা গভীরভাবে অনুভব করলাম।
ডক্টর স্মিথ চলে যাওয়ার সময়, অামি পিছু ডেকে বললাম,
———-ডক্টর, অাপনি কি অাপনার জীবনের সব দুঃখ জয় করতে পেরেছেন???
ডক্টর স্মিথ পিছু ফিরে অবাক ও অাহত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাঁকালেন!
অামি স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম সুদূর বাংলাদেশ থেকে অাসা অপরিচিত অার অল্পবয়সী একটি মেয়েকে দেয়ার মত সদুত্তর তাঁর কাছে নেই।
ডক্টর স্মিথের দিকে তাঁকিয়ে অামি কেঁদে ফেললাম।নির্ভরতার কোনো জায়গা অামার ছিলোনা।
ভিনদেশে ডক্টর স্মিথের চমৎকার কিছু সান্ত্বনা অামাকে গলিয়ে দিয়েছিলো। হালকা হতে চাইছিলাম অামি।
অাসলে অতটাও শক্ত থাকা অামার পক্ষে সম্ভব ছিলোনা।
ডক্টর স্মিথ অামার চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে বললেন,
———প্রিয় সানা, তুমি যাকে ভালোবাসো, তাঁকে যদি তোমার কষ্টের ব্যাপারটা বলো, দেখবে সেটা অার কষ্ট নেই,,সাধারণ বাস্তবতা হয়ে গেছে। অামি তোমার জন্য অনেক শুভ কামনা করি।
ভালো থেকো।
অামার অত কম বয়সে, অামি অাট -দশটা সাধারণ মেয়ের মত যে ছিলাম না, তা অামি জানি। অামার সহ্যক্ষমতা ছিলো অসাধারণ। অার সেটাকেই ভর করেই যে সামনের জীবনে বাঁচবো অামি ঠিক বুঝতে পারছিলাম।
(চলবে)
লেখিকা: তৃধা আনিকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here