—-যা করার সাবধানে করবেন কিন্তু।আমাদের মেয়ে যাতে বুঝতে না পারে তাকে গোপনে ধর্ষণ করা হচ্ছে…..
—-আরে অজ্ঞান মানুষ কিকরে বুঝবে?আর তাছাড়া আমি এমন কিছু করবো না যাতে সে পরে কিছু আন্দাজ করতে পারে।
—ঠিক আছে।এবার ভেতরে যান।তবে হ্যাঁ,সময় কিন্তু এক ঘন্টা,তার এক মিনিটও বেশী নয়।
ক্লাইন্ট ভদ্রলোক আর ভদ্রমহিলার দিকে বাঁকা চোখে তাকালো।তারপর টাকার একটা মোটা বান্ডেল ছুড়ে মেরে ভেতরে ঢুকে পড়লো।ঢুকেই দরজা টা বন্ধ করে দেয়।
ভেতরে মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।ঘরে পরপুরুষ ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে দাড়িয়ে তার বাবা মা পাহারা দিচ্ছে।এভাবেই তারা রাতের পর পর নিজেদের মেয়েকে অজ্ঞান করে দেহব্যবসা করায়।যার বিনিময়ে তাদের ভাগ্যে জোটে একটা বড়ো অঙ্কের বান্ডেল।
বাবা ঘড়ির কাটার দিকে শকুনের মতো তাকিয়ে আছে কখন এক ঘন্টা শেষ হয়।আর মা পাশে দাঁড়িয়ে টাকা গুনছে যদি একটা নোট কম পড়ে যায়,তবে ক্লাইন্টের আর রক্ষা নেই আজ।
–
–
–
এক ঘন্টা পূর্ন হবার চার পাঁচ মিনিট আগেই ক্লাইন্ট তার শার্টটা গায়ে জড়াতে জড়াতে বাইরে বেরিয়ে এলো।
—–খাসা আছে…বোঝাই যাচ্ছে বহু পূরণো জিনিস।আবার আরেকদিন আসবো।
—-আসবেন আসবেন অবশ্যই আসবেন।একমাসের ভেতরে আসলে ভালো ডিসকাউন্ট আছে।
লোকটা ডিসকাউন্টের কথা শুনে হাসতে হাসতে বাইরে বেরিয়ে গেলো।তার পেছন পেছন ভদ্রলোক আর ভদ্রমহিলা।তাকে এগিয়ে দিয়ে নিজেদের রুমে চলে গেলো তারা।
এদিকে সেই ধর্ষিতা অর্থাৎ আমাদের গল্পের হিরোইন রাত্রি ধীরে ধীরে জেগে উঠলো।মেডিসিনের প্রভাব কাটতে শুরু করেছে তার।তখন প্রায় সকাল।হাতে পায়ে প্রচুর ব্যথা।শরীরের আরো নানান জায়গায় ব্যথা অনুভব করছে রাত্রি।যা চাইলেও সে কারোর সাথে শেয়ার করতে পারবে না।
আজকাল সে প্রায়ই অসুস্থ থাকে।প্রতিদিন রাত্রে মা তাকে আদর করে নিজের হাতে খাইয়ে দে।তারপর প্রচুর ঘুম পায় তার।ঘুমে বিভোর হয়ে পড়ে।একবার ঘুমিয়ে পড়লে সকালের আগে আর ঘুম ভাঙ্গে না।কিন্তু রাত্রির কাছে একটা বিষয় খটকা লাগে আর সেটা হলো সে মাঝে মাঝে অনুভব করে কেউ যেন কষ্ট দিচ্ছে তাকে।তখন ভীষণ যন্ত্রনা হয় তার।কিন্তু দূর্ভাগ্য তখন ঘুমের পাল্লা এতোই ভারী থাকে,তার সামনে সেই যন্ত্রনার অনুভব হেরে যায়।অনেকবার নিজের মায়ের সাথে কথাটা শেয়ার করেছে,মা ওকে বোঝানোর চেষ্টা করে এগুলো আসলে ওর স্বপ্ন।স্বপ্নের ঘোরে এমন অদ্ভুদ অনুভব হয় তার।অবশ্য রাত্রি এখন তার মায়ের কথাই মেনে নিয়েছে,ও নিজেও বিশ্বাস করে রাতে যা হয় সব ওর ভ্রান্তি,তা ছাড়া আর কিছু নয়।কিন্তু সকালবেলা শারিরীক যন্ত্রনা এবং বিভিন্ন পরিবর্তন এর কারণ জানা নেই রাত্রির।মাকে জানালে মা তাকে ওষুধ এনে দেয়।ওষুধ খেলে কমেও খানিকটা।
সূর্যের আলো চোখে পড়তেই আড়মোড়া ভেঙ্গে উঠে বসলো রাত্রি।হঠাৎ চোখজোড়া মনের অজান্তেই বিছানার চাদের ওপরে পড়লো।দেখতে পায় তার ওপরে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ লেগে আছে…..
চলবে….
#এটা_গল্প_হলেও_পারতো
পর্ব—–০১
কাহিনী ও লেখা : প্রদীপ চন্দ্র তিয়াশ।
সত্যি ঘটনা অবলম্বনে লেখা