“কলেজের বড় আপু 2⃣nd

কলেজের বড় আপু
Sumon Al-Farabi
2⃣nd


এই কলেজে আমি এবং আমার তিনজন বন্ধু ভর্তি হইছি। আমি চুপচাপ গিয়ে ওদের পাশে বসলাম ।

– কি রে কি হইছে ?

– কিছু না রে ।

– কিছু তো হইছে

– কলেজে এসে সবার আগেই র‍্যাগ খেলাম।

– তাই । পেট ভরছে

– হারামজাদা মজা নিস

– কই না তো। তুই কি আমার শালা লাগিস

– বোন নাই । আর থাকলেও বলতাম রিকশায় ওয়ালার সাথে প্রেম করলে মেনে নিবো কিন্তু যদি আমার কোনো বন্ধুর সাথে প্রেম করিস তবে বাড়ি থেকে বের করে দিবো।

– থাক ভাই আর বাতেলা মারিস না।

ক্লাস শেষে ক্যাম্পাস দেখতে চারজনই বের হলাম । বের হতেই দেখি ঐ মেয়ে গুলো ।

একি? যে মেয়েটাকে ভালোবাসি বলছি সেও এদের সাথে ? তার মানে সব কিছু এদের আগে থেকেই প্লান করা থাকে ।

যাই হোক আমি আর তাদের দিকে না তাকিয়ে চলে আসতে লাগলাম । এমন সময় পিছনে থেকে

– এই ভ্যাবলা কান্ত

( শুনেও না শুনার ভান করে যাচ্ছি )

– এই তোরে ডাকছি শুনছিস না ( একটা মেয়ে এসে কলার ধরে বললো)

– সরি আপু শুনতে পাইনি ।

– চল।

– কোথায় ?

– আয় না। তোর gf এর কাছে

– আমি তো প্রেম করি না আপু

– ওমা ভুলে গেলি?

– কি?

– একটু আগেই তো আমাদের সামনে তুই নীলাদ্রি কে proposal দিলি।

– ওটা তো এমনি. আপনারা বলেছিলেন বলে তো আমি ……

( হাত ধরে টেনে নিয়ে আসলো)

-নীলাদ্রি এই নে তোর জান।

– আমি সরি। আসলে আমি তখন ওটা ঠিক করি নি। খুব লেগেছে তাই না বাবু

– বাবু! আপু আপনারা ভুল করছেন আমি বাবু নই আমি সুমন । বাবু অন্য কোনো ছেলে হবে হয়তো কিন্তু আমি নই।

– আরে ভালোবাসার মানুষকে তো সবাই বাবু বলে। কেন তুমি জানো না

– ও জানবে কি করে ? ওতো একটা ক্যাবলা কান্ত

– কি একবার ভ্যাবলা কান্ত একবার ক্যাবলা কান্ত বলছিস।

– দুটোই তো ও।

– এভাবে বলিস না। আমার বুকে লাগে ।

– ওমা এতো দেখি দরদ উত্লে পড়ছে ।

( আমি চুপচাপ শুধু শুনেই যাচ্ছি )

– আপু আমি গেলাম।

– সি ভালোবাসার মানুষকে কেউ আপু বলে?

– কে ভালোবাসার মানুষ

– আমি তোমার ভালোবাসার মানুষ ।

– তারমানে এরা লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করে । আজ তো আমাদের ট্রিট দিতেই হবে ।

– ওকে আমার bf আজ তোদের ট্রিট দিবে

– আপনার bf মানে

– আমার bf মানে তুমি ।

– আমি কেন ?

– কারণ তুমি আমি প্রেম করি তাই । না করো না প্লিজ । এটা তোমার আমার সম্মানের ব্যাপার।

– ওকে ।।।।।

কিছু করার নাই । যদিও জানি আমায় বাঁশ দিচ্ছে তবুও বড় আপু কিছু বলা যাবে না ।

এরপর সবাই মিলে একটা রেস্টুরেন্ট এ গেলাম । তারপর যা হলো তা বলার মতো কোন ভাষা নাই ।

বিকেলে বাসায় আসলাম ।

– কি রে মুখ টা পেঁচার মতো করে রাখছিস কেন ?

– কিছু না এমনি

– কেমন কাটলো ১ম দিন

– বলার মতো কোনো ভাষা নাই । সারাজীবন মনে রাখার মতো

– তাই । তাহলে তো ভালোই কাটছে ।

– কেমন যে ভালো কাটলো সেটা তো আমি ভালো করেই জানি ( বিরবির করে )

– কিছু বললি?

– কই নাতো ।

– ওহ আচ্ছা ।

এরপর ফ্রেশ হয়ে কিছু খেয়ে বাইরে ঘুরতে গেলাম । রাতে বাসায় ফিরলাম । সারাক্ষণ শুধু একটা কথাই ভাবলাম কি করা যায়? কি করবো ? প্রতিশোধ নিবো নাকি না ?

কিছুই খুজে পাচ্ছি না। রাতে খাওয়া করে একটু বই দেখে শুয়ে পরলাম ।

সকাল বেলা আবার সেই আগের নিয়মেই আম্মু ডেকে তুললো। এরপর আবার কলেজে গেলাম। তবে আজ আর দেরি করি নি।

ক্লাসে গিয়ে দেখি হারামী তিনটা আসছে । ওদের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছি । এমন সময় ঐ আপু গুলো রুমে আসলো

– এই তোদের মধ্যে রিয়াদ কেরে?

( কেউ কোনো কথা বলছে না )

– কি রে কানে কথা যাচ্ছে না ? বল রিয়াদ কে?

– আমি ( পিছনে থেকে )

নীলাদ্রি আপু গিয়ে ছেলেটার গালে বেশ কয়েক টা থাপ্পড় মারলো।

– কলেজে আসছিস দুই দিন হলো এর মাঝেই বড়দের সম্মান করিস না

– সরি আপু

– নেক্সট টাইম যেন আর ভুল না হয়।

– ওকে আপু।

– এই চল সবাই ।

নীলাদ্রি আপু আর তার বন্ধুরা চলে গেল। তখন আমি ঐ ছেলেটার কাছে গেলাম

– তোমায় মারলো কেন

– আজ কলেজে আসার সময় ওনারা সামনে ছিলো

– তারপর

– ওনাদের সালাম দেই নি তাই ।

– ওহহ আচ্ছা

মেয়েটা দেখতে পরীর মতো, নামটাও অনেক সুন্দর নীলাদ্রি কিন্তু মেয়েটার ব্যবহার এমন কেন ? মেয়েটার যদি ব্যবহার ঠিক থাকতো তবে ওর সাথে প্রেম করা যেত।

ছি ছি এসব কি ভাবছি । জানতে পারলে কল্পনাতে এতে থাপ্পড় দিবে ।

এরপর ক্লাস শেষে বন্ধু রা মিলে ক্যাম্পাসে বসে আড্ডা দিচ্ছি ।

– কি রে কাল তো তোরে ভালোই বানালো

– মজা নাও তাই না । যেদিন পরবা পাল্লা য় সেদিন বুঝবে ।

– তুই ও ওকে একটু জ্বালা

– কিভাবে

– আরে ওর পিছনে লেগে থাক

– কেউ কি শুধু শুধু থাপ্পড় চায়

– না

– আমি কি পাগল হইছি

– তুই না জ্বালালে তো ও তোরে আরও বেশি জ্বালাবে

– কি বলিস

– হুম ।

– তোরা থাক আমি যাচ্ছি

– অল দ্যা বাঁশ ।

– এটাই তো দিতে পারিস

– যা এখন

দূর থেকে অদ্রিতা আপুকে দেখে হাটু কাঁপতে শুরু করছে

– হাই

– কে রে তুই ?

– আমি সুমন তেমার bf

– ঠাসসসস

– জুনিয়র হয়ে আমায় তুমি বলিস তোর সাহস তো কম না । এখনি চোখের সামনে থেকে ভাগ নয়তো খবর আছে

গালে হাত দিয়ে চলে আসলাম ।

– আজকেও তোরে মারছে

– এটা তো সহ্য করা যায় না

– কি করবো বল বড় আপু তো

– তো কি হইছে ? আমরা চাই তুই এর প্রতিশোধ নে।

– কিন্তু কিভাবে?

– ওতো কিছু বুঝি না আমরা দেখতে চাই ঐ মেয়ে যেন তোর কথায় উঠে আর বসে । তুই একটা কথা ভাব তোর বাবা মা কয় দিন তোর গায়ে হাত তুলেছে

– একদিন ও না

– যদি তোর মাঝে কোনো পুরুষত্ব থাকে তবে তুই করবি।

– ওকে ।

এরপর বাসায় আসলাম। আর ভাবতে লাগলাম কি করবো …… তবে এর একটা কিছু করেই ছাড়বো
.
.
.
.
.
To be continue

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here