#কাছে_দূরে💐
#moumita_meher
#পর্ব___৩৮
শিলা চাপা আর্তনাদ করে দু’হাতে মুখ চেপে ধরলো। মনিকা তার পানে গরম চোখে তাকিয়ে আছে। শিলা ঢোক গিলল। অতঃপর মাথা নত করে মনিকার আদেশে হীরের পুরো রুম ফুল দিয়ে সাজিয়ে দিতে আদেশ করলো লোকগুলোকে। শীলার আদেশ পেয়ে সবাই ফুল দিয়ে হীরের রুম সাজাতে শুরু করলো। মনিকা হীরের রুমের দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। নজর চারপাশে ঘুরছে। কখন কে এসে পড়ে সেই চিন্তায়। কিন্তু এক্ষনি কেউ এখানে আসবে না বলেই তার ধারনা। তবুও মন মানেনা। তাই নজরদারি তে দাঁড়িয়েছে সে। এদিকে শীলা তাড়া দিচ্ছে জলদি জলদি সাজাতে। প্রায় মিনিট দশেক পেরিয়ে যাওয়ার পর ফুল সাজানোর কাজ কমপ্লিট করলো লোকগুলো। কাজ শেষ হতেই শীলা লোকগুলোকে তাড়া দিয়ে বের করে দিলো রুম থেকে। অতঃপর তারাও চটজলদি চলে গেলো নিজেদের রুমে। মনিকা রুমের ভেতর ঢুকে পড়তেই শীলা দরজা লক করে দিল। মনিকার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে ঘনঘন নিঃশ্বাস ফেলে ভয়ার্ত দৃষ্টি মেলে মনিকার দিকে তাকালো। ভীত কন্ঠে বলল,
—-‘ মেডাম, পরপর দুটো রিস্ক একসাথে নেওয়া কি ঠিক হলো আমাদের?’
মনিকা ঘাড়টাকে এপাশ ওপাশ কাত করে আয়েস করে বসল আরামকেদারায়। আরামকেদারার সাথে পিঠ ঠেকিয়ে আলসে কাটিয়ে শীলার দিকে তাকালো। মুখে কৃত্রিম হাসি জুড়ে বলল,
—-‘ মরলে একবারেই মরবে রে। বারবার এভাবে রিস্ক নেওয়া আমাদের তো সম্ভব নয়। মালয়েশিয়া থেকে কল এসেছে। আর্জেন্ট দু’একদিনের ভেতর ফিরতে হবে আমাদের। যদি ফিরে যাওয়ার আগে আমাদের কাজটাই করতে না পারি তাহলে এখানে আসাটাই তো বৃথা। তাই একটু বেশিই রিস্ক নিলাম। আশা করা যায় সাবাব এটার উপর পিএইচডি করলেও কিছু ধরতে পারবেনা। আর হীরও মরবে। ব্যাস, পরপর দুটো দিন এই কাজ চালিয়ে যেতে পারলে ওর মৃত্যু নিশ্চিত।’
শীলা শুঁকনো গলায় ঢোক গিলল। মনিকার পায়ের কাছে বসে আরও বিশেষ আলোচনায় মনোনিবেশ করলো। তার প্রতিটি প্রশ্নের পেছনে লুকিয়ে আছে একরাশ ভয়, মৃত্যু ভয়। আর মনিকার জবাবের পেছনে লুকিয়ে আছে উল্লাস,মৃত্যুক্ষুদা, লালসা আর না পাওয়ার যন্ত্রণা।
_________________
সময় এখন রাত ১ টা ৩০ মিনিট। ছাদে জমেছে আড্ডার আসর। আজ রাত টুকুই হলো সানিয়ার শেষ রাত এই বাড়িতে। কালই তো সে শশুড় বাড়ি চলে যাবে। তাই কেউ আজ ঘুমোতে চায়না। সবাই জেগে থাকবে আজ সানিয়ার সঙ্গী হয়ে। কারোর মন ভার আর কারোর মন ফুরফুরা। সবাই গলা ছেড়ে গান গাচ্ছে। তাতে যুক্ত হয়েছে সাবাবও। আঁড়চোখে হীরকে দেখছে আর মন খুলে গান গাচ্ছে। আর এসব কিছু লক্ষ করে হীরও দেখছে সাবাবকে আঁড়চোখে। সে যদিও গান গাচ্ছে না। গান গাইতে তার ইচ্ছে করছে না। বরং জম্পেশ একটা ঘুম দিতে ইচ্ছে করছে। রাত হলো অনেকখানি। এমন সময় সারাদিনের ক্লান্তি ভর করে শরীরে। আর সেই ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে আসে। ইচ্ছে করে মাতাল হয়ে ঘুমোতে। হীরেরও আপাতত তাই ইচ্ছে করছে। সে যদিও সবার খোঁচাখুঁচিতে গুনগুন করছে কিন্তু বারবার ঘুমে ঢলে পড়ছে। সবটাই সুক্ষ্ম দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষন করল সাবাব। সে কিছু বলতে নিয়েও বলতে পারলো না। কারন এখানে আত্মীয়স্বজনদের দিয়ে ভরে আছে। আর সবার সামনে তার প্রতি আলাদা টান দেখাতে গেলেই সবার দৃষ্টি কুটিল হয়ে উঠবে। তাই সাবাব অন্য প্ল্যান করলো। গলা খাঁকারি দিয়ে হীরের উদ্দেশ্যে কড়া হুকুম ছাড়লো,
—-‘ হীর? যাতো আমার জন্য গ্লাস জল নিয়ে আয়।’
হীর বিরক্তি ভরা দৃষ্টিতে তাকালো। একে তো ঘুমে কিছুই চোখে দেখছে না সে আর তার উপর জল নিয়ে আসার কথা বলছে। কিন্তু অমান্যও তো করা যায় না। সাবাব হুকুম করলো আর হীর অমান্য করবে ভাবাও যে ঘোর অন্যায়। তাই অনিচ্ছা নিয়ে উঠে পড়লো সে। জল আনার উদ্দেশ্যে সিঁড়ি দিয়ে নীচে যেতে ধরলেই মনে হলো কোনো এক খাম্বা দাঁড়িয়ে আছে। যার সাথে বারি খেয়ে সটান হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো সে। ঘুম ঘুম চোখে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা খাম্বার গায়ে হাত বুলাতেই মনে হলো এ কোনো খাম্বা নয়, কোনো মানুষ হবে। বুকের ভেতরটা ছ্যাঁত করে উঠলো কাউকে ভেবে। নিজের ধারনাকে ভুল প্রমান করতে নিলেই শান্ত কন্ঠে বলে উঠলো সাবাব,
—-‘ জ্বীন-ভূত নই। মানুষ আমি।’
হীর চমকে উঠলো। গোলগাল চোখ পাকিয়ে সাবাবের মুখশ্রীর দর্শন করে বলল,
—-‘ ত..তুমি! তুমি না এই এক্ষনি ওখানে ছিলে?’
সাবাব সবার বসার স্থানে একবার তাকিয়ে বলল,
—-‘ হ্যাঁ ছিলাম।’
—-‘ তাহলে এক্ষনি আবার এখানে কি করে উঠে এলে?’
—-‘ পা দিয়ে।’
হীর মুখ কুঁচকে তাকালো। সাবাবের জবাব তার পছন্দ হয়নি। তাই আর উত্তর না দিয়ে তার জন্য জল আনার উদ্দেশ্যে হাঁটা ধরলো। সাবাব হীরের হাতটা টেনে ধরে বলল,
—-‘ কোথায় যাচ্ছিস?’
—-‘ কোথায় যাচ্ছি জানোনা?’
—-‘ না।’
—-‘ উফ ছাড়ো তো।’
—-‘ চটছিস কেন?’
—-‘ আমার ঘুম পেয়েছে খুব। তাই তোমার সঙ্গে বকবক করতে ভালো লাগছেনা।’
—-‘ আশ্চর্য। ঘুমের সাথে আমার সঙ্গে কথা বলার কি সম্পর্ক?’
—-‘ সম্পর্ক আছে।’
—-‘ কি সম্পর্ক?’
—-‘ তুমি আমায় জ্বালাচ্ছো।’
—-‘ আমি তোকে কখন জ্বালালাম?’
—-‘ এই যে এখনও জ্বালাচ্ছ। জল খাবে বলে আমাকে নীচে পাঠিয়ে জ্বালাচ্ছো। আবার নীচে যেতে না দিয়েও জ্বালাচ্ছো।’
সাবাব মনে মনে হাসল। স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলল,
—-‘ আমি জল খাবোনা।’
হীরের কপাল কুঁচকে এলো। গাল ফুলিয়ে নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল,
—-‘ মানে কি? তুমিই না বললে জল খাবে?’
—-‘ হ্যাঁ বলেছি।’
হীর অবাক হওয়ার চেষ্টা করে বলল,
—-‘ তাহলে জল খাবেনা কেন বলছো?’
—-‘ খাবোনা তাই বলছি।’
হীর পূনরায় একই রিয়াকশন দিয়ে বলল,
—-‘ আরে বাবা তুমি জল খাবে বলেই তো আমাকে নীচে যেতে বললে। আবার বলছো জল খাবেনা। মানে কি? কোনটা সত্যি? আমি কোনটা বিশ্বাস করবো।’
সাবাব ভাবনার জগতে ডুব দিয়ে বলল,
—-‘ দুটোই সত্যি। তুই দুটোই বিশ্বাস করবি।’
সাবাবের কথায় হীর বিভ্রান্তি নিয়ে তাকালো।
—-‘ তুমি আমাকে কনফিউজড কেন করছো বলবে একবার।’
সাবাব ফিক করে হেসে দিয়ে বলল,
—-‘ ও তুই বুঝবিনা। তোর ঘুম পেয়েছে না। তুই গিয়ে ঘুমো। জল আনার দরকার নেই।’
হীর তেতে উঠে বলল,
—-‘ তোমায় কে বলেছে আমার ঘুম পেয়েছে?’
সাবাব চোখ দুটো সরু করে হীরের দিকে তাকালো। বলল,
—-‘ এই মাত্রই না বললি। ভুলে গেলি? কি কনফিউশানে পরে এখন সব গুলিয়ে যাচ্ছে তাই না।’
কথা টা বলে সাবাব হাসতে লাগলো। সাবাবের হাসি দেখে হীরের গা জ্বলছে এবার। লোকটা সত্যি বড্ড পাজি। সময় নেই অসময় নেই বড্ড বেশিই জ্বালাতন করতে চলে আসে। হীর আর জবাব না দিয়ে চলে গেলো নিজের রুমের উদ্দেশ্যে। সাবাব হাসতে হাসতে হীরের যাওয়ার পানে তাকালো। খানিক বাদে মৃদু চেঁচিয়ে বলল,
—-‘ শুভরাত্রি ইডিয়ট।’
সাবাবের কন্ঠস্বর ভেসে আসলো হীরের কানে। হীর পেছন মুড়ে না দেখেই মুচকি হাসলো। অতঃপর রুমে প্রবেশ করে কোনো মতে গা এলিয়ে দিলো বিছানায়। আর সঙ্গে সঙ্গে ঘুমের দেশে দল ভারী করল।
সাবাব ঘুরে আর ছাদে যায়নি। কালকের প্ল্যানের লিস্টটা মগজের ভেতর আরেকটু ঝালাই করে সেটআপ করতে চলে গেলো নিজের রুমে। বাসার ভেতর দোতলার রুম গুলো সব ফাঁকা পড়ে আছে। আর নীচের রুম গুলো কয়েকটায় লোকজন আছেন তবে সবাই গুরুজন। সারাদিনের পর রেস্ট নিচ্ছেন সবাই। আর বাকি টিনএজারদের পুরো দলই আছে ছাদে। আড্ডায় মশগুল। সাবাব রুমে ঢোকার আগে মনিকার রুমের দিকে একবার তাকালো। দরজা লক করা। ঘরের লাইটও অফ। তারমানে ঘুমচ্ছে। সাবাব ছোট্ট করে নিঃশ্বাস ফেলে ভেতরে ঢুকে গেলো। দরজাটা হালকা চাপিয়ে রেখে সোজা ওয়াসরুমে চলে গেলো। গায়ের শেরওয়ানী ছেড়ে টি-শার্ট আর ট্রাউজার পড়ে তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বের হলো। হাতের তোয়ালেটা বিছানার উপর ছুড়ে দিলো। ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে মাথার চুলগুলো একটু এদিকসেদিক নাড়িয়ে টেবিলের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। দেয়ালের বুকে টানানো ঘড়িটা দেখলো। ঘন্টার কাটা ২টার ঘরে এসে স্থীর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাবাব ঘড়ি থেকে দৃষ্টি নামিয়ে ল্যাপটপ ওপেন করল। পাশেই পানির বোতলটা হাতে তুলে পানি খেতে খেতে চেয়ারে পিঠ ঠেকিয়ে বসলো। ল্যাপটপটা ওপেন হতেই হীরের ছোটবেলার একখানা হাস্যজ্বল ছবি ভেসে উঠলো। সাবাব পানিটুকু এক ঢোকে গিলে নিয়ে ছবিটার দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকালো। কিছুক্ষণ একই ভাবে ছবিটাকে দেখে মনে মনে কিছু একটা ভেবে হেসে উঠলো। ডান হাতটা তুলে আলতো করে হাত রাখলো হীরের ছবিটার উপর। হীরের চোখজোড়ায় হাত বুলিয়ে আবারও হাসলো। ছবিটা থেকে এবার মুগ্ধ দৃষ্টি তুলে মনোযোগ দিলো ইম্পরট্যান্ট কাজে। ল্যাপটপ থেকে কপি করা ফাইলের ফোল্ডারে ঢুকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সেগুলো মাথার ভেতর ঢকাতে লাগলো। কাজ গুলো প্ল্যানিং অনুযায়ী হয়ে গেলে কাল অনেক কিছু ঘটতে পারে। অনেক রহস্যের সমাধান।
আকস্মিক নিঃশ্বাস আঁটকে এলো হীরের। ঘুমের ঘোরেই তা বাজে ভাবে উপলব্ধি করতে পেরে কেশে উঠলো। বুকের ভেতর তীব্র যন্ত্রণা করছে তার। নিঃশ্বাস নিতে গেলেই মনে হয় কেউ চেপে ধরছে গলা। অস্বাভাবিক তাড়নায় ছটফট করতে লাগল হীর। ঘুম ভেঙে গেল তার। চোখ খুলতেই আরও তীব্র হয়ে উঠলো বুকের ব্যাথা এবং নিঃশ্বাস না নিতে পারার অসহ যন্ত্রণা। হীর কাশতে আরম্ভ করলো। কাশতে কাশতে গলা চিঁড়ে রক্ত বেরিয়ে এলো। দু’হাত রক্তে মাখামাখি করছে। যা দেখে ভেতরটা ভয়ে চিৎকার পেড়ে উঠলো। হীর যত চেষ্টা করছে নিঃশ্বাস নিতে ততই যেন হার মেনে যাচ্ছে বুকের ব্যাথার কাছে। কাউকে ডাকতে চেষ্টা করাটাও যেন বোকামি। জোরে জোরে কাশতে লাগলো হীর। বিছানার পাশে পানিশূন্য গ্লাস। কিন্তু এই মুহুর্তে তা চোখের ভুলে পরিপূর্ণ গ্লাস বলেই ঠাহর হচ্ছে। হীর হুমড়ে পড়ল সেদিকে। কিন্তু হিতে বিপরীত ঘটল। ছোট ড্রয়ারটা নিয়ে হীর নীচে পড়ে গেলো। আর তার উপর যা যা ছিলো সবটাই নীচে পড়ে ভেঙে গেলো। হীরের মনে হচ্ছে এই ঘরের বাতাস বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। এ-ঘর থেকে সে বের হতে পারলেই সে বেঁচে যাবে। তাই ফ্লোরে পড়েই গড়াতে লাগলো সে। যে করে হোক এখান থেকে বের হতে হবে। কিন্তু সে যাই করতে যাচ্ছে সবটাই বিফলে চলে যাচ্ছে। এদিকে কাশতে কাশতে রক্তক্ষরণ যেন তার মৃত্যু আরও নিশ্চিত করে তুলছে।
সাবাব হঠাৎ চমকে উঠলো অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো শব্দে। বারবার কারোর কাশির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আবার এক্ষনি যেন কিছু ভেঙে গেলো। কোথায় কি হচ্ছে। সাবাব দৌড়ে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে। মনটার ভেতর কু-ডাকল! হীরের ঘরে নয়তো? সাবাব এক সেকেন্ডও দেরী করলো না আর। ছুট্টে গেলো হীরের রুমে। ভেতরে ঢুকে দেখলো হীরের হাত,মুখ রক্তে ভেসে উঠেছে। হীরকে এই অবস্থায় দেখে কেঁপে উঠলো সাবাব। হীর বলে চেঁচিয়ে তাকে দ্রুত পাঁজা কোলে করে উঠালো। সাবাব হীরকে তার বিছানার দিকে নিয়ে যেতে নিলেই হীর মুখ খুলে। নিঃশ্বাস আঁটকে ধরে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে উঠলো,
—-‘ আম,,,আমা,,কে এখান থ,,থেকে ননিয়ে যাও প,,প্লিজ!!’
সাবাব অসহায় চোখ জোড়া মেলে তাকায় হীরের মুখের দিকে। কোনো প্রশ্নই ছাড়াই হীরকে নিয়ে বেরিয়ে যায় সে। হীরকে তার রুমে নিয়ে গিয়ে তার টিম মেম্বারদের কল করে। সাবাবের কল পেয়ে সবাই এক মিনিটের মাথায় এসে উপস্থিত হয় তার রুমে। একে তো বিয়ে বাড়ি তার উপর মধ্যরাত। সাবাব চায় না ঘটনাটি কোনো ক্রমে বাইরে জানাজানি হোক। তাই সবাইকে সাবধানতার সহীত কাজ করার আদেশ দেয় সাবাব। হীরের জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে করতে হীর সেন্স হারিয়ে ফেলে। তরী এবং কিরন দুজন মিলে হীরের অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে। তাকে বিছানায় ঠিক করে শুইয়ে দিয়ে মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে দেয়। আর বাকিরা সাবাবের আদেশে তল্লাশি করতে যায় হীরের রুমে।
#চলবে_
[ বিঃদ্রঃ এতদূর কষ্ট করে পড়ে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবেননা। যদি ছোট্ট একটা মন্তব্যে আপনার মতামত জানাতে কষ্ট হয়। ধন্যবাদ। ]