কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ পর্ব ২৫+২৬

কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : 25+26
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
– আচ্ছা রেজন একটা সত্যি কথা বলো তো।
– হুমম।
– ওয়াদা দাও বিন্দুমাত্র মিথ্যা বলবে না?
– ওকে ওয়াদা দিলাম।
– আমার অসুস্থতার কথা শুনেই তুমি ডানার জন্মদিনের পার্টি ছেড়ে চলে আসলে এর মধ্যে কি কোন ভালবাসার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক আছে?
– হুমম আছে।
– সত্যিই।
– হুমম। আমি তোমাকে ভালবাসি আমার অফিসের বস হিসাবে, ভালবাসি আমার বাবার বন্ধুর মেয়ে হিসাবে, ভালবাসি ভাল বন্ধু হিসাবে।
– এসব বাদ দাও। আল্লাহ পাকের দরবারে তোমার সুস্থতা সার্বিকভাবে কামনা করছি।
– তুমি সাথে থাকলে আমি সবসময় সুস্থ থাকব।
– দেখ আমি যদি তোমার সাথে থাকি তাহলে ডানার সাথে বেইমানী করা হবে। ডানার হাজারও স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে। তুমি কি চাও তোমার জন্যে একটা অবুঝ মেয়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাক।
– আমি আমার স্বপ্ন নিয়ে ভাবছি অন্য কারো স্বপ্ন নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই।
– মেয়েরা এতো স্বার্থপর হয় কেন বলো তো, নিজের স্বার্থ ছাড়া কিছুই বুঝে না।
– হুমম আমি স্বার্থবাদী তোমাকে ভালবেসে পাওয়ার জন্যে।
-এসব বাদ দাও তো। তুমি রেস্ট নাও, আমার বাসায় যেতে হবে।
– আর একটু থাকো না প্লিজ!!!!
– দেখ রাত অনেক হয়ে গিয়েছে বাসায় যেতে হবে সবাই টেনশন করবে। তাছাড়া আবার ফোনটাও পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছি।
– আমি আবার কালকে সকালে আসব ।
– কথা দিলে তো?
– হুমম।
– তোমার হাত যে ছাড়তে মন চাচ্ছে না।
– আবেগ বাদ দাও। আমি যতো টাইম থাকবো ততই মায়া বাড়বে। তাঁর চেয়ে বাসায় চলে যায়।
– কালকে কিন্তু আবার আসবে!!!!
– ঠিক আছে বাই।
– বাই।
জান্নাত হাত ছাড়তে না চাইলেও রেজন হাত ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।

আংকেল আন্টি সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির পথে অগ্রসর হতে লাগল।
একটি সিএনজি করে বাসায় চলে আসল রেজন।
বাসায় এসে
আজকেও চোরের মতোই পা টিপে টিপে প্রবেশ করছি। আজকেও দেখলাম ডানার ঘরের লাইট অন। ডানার রুম পাড়ি দিয়ে আমার রুমে প্রবেশ করলাম।

কিছুক্ষন পড়ে ডানার রুমে প্রবেশ করে বুঝলাম ডানা রুমে নেই। চিন্তা করলাম হয়তো শিওর ডানা বেলকনিতে আছে। যা ভাবলাম তাই ডানা বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে। আজকেও পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম। আজকে ডানার কোন রিয়েক্ট দেখছি না। রেজন যেন ডানার চুলের ঘ্রানে পাগল যাচ্ছে। সুঘ্রাণে রেজনকে যেন পাগল করে তুলছে ডানা। আজকে যেন রেজনকে পাগল করতে বাধ্য করছে ডানা।
ডানা বুঝতে পারে যে তাঁকে কে জড়িয়ে আছে। কিন্তু রাগে অভিমানে ডানা কোন কথা বলতে পারছে না। কিন্তু কেন জানি ডানার রাগ অভিমান কমে আসতেছে।
– স্যরি জান।
– ডানা কোন কথা বলছে না।
– হ্যাপি বার্থডে টুনির মা।
– এখনও কোন কথা বলছে না।
– এই জান কান ধরছি আর এমন হবে না।
– কোথায় ছিলে এতো টাইম?
– হাসপাতালে।
– মানে? ( ঘুরে দাঁড়িয়ে)
– মানে হাসপাতালে গিয়েছিলাম।
– কেন কি হয়েছে? ( কিছুটা অস্থির হয়ে)
– জান্নাত সেন্স লেস হয়ে গিয়েছিল?
– বুঝলাম না। বুঝিয়ে বলো।
– তারপর রেজন সব ঘটনা ডানাকে খুলে বলে।
– জান্নাতের এখন কি অবস্থা?
– বর্তমানে ভাল।
– এখনও কি রাগ করে থাকবে?
– আমি তোমাকে নিয়ে গর্বিত, উত্তরসূরিদের ভবিষ্যৎ তুমি।
– স্যরি তোমাকে ভুল বুঝার জন্য।
– সব সময় পজিটিভ ভাববে, নেগেটিভ ভাববে না, তাতেই মঙ্গল নিহিত।
– হুমম জান।
– ধন্যবাদ।
– ধন্যবাদ কেন?
– বার্থডে উইশ করার জন্যে।
– জান তোমাকে জান্নাত উইশ করছে।
– তাই।
– হুমম।
– জান চলো না কালকে গিয়ে জান্নাতকে দেখে আছি।
রেজন ডানার কথা শুনে বিচলিত হয়ে গেল।
– ওকে কালকে সকালে দুজন গিয়ে দেখা করে আসব।
– হুমম। আমার বার্থডে গিফট কোথায়।।
– এই নাও তোমার গিফট।

ডানা গিফট দেখে বিস্মিত হয়ে যায়। ডানা দেখতে পাই আজকে সে যেগুলো চয়েজ করে কিনে ছিল রেজনের গুরুত্বপূর্ণ মানুষের জন্যে,, তাঁর মানে তখন রেজন আমার কথা বলছিল আর আমি রেজনকে ভুল বুঝে ছিলাম।
– এই তাঁর মানে আমি তখন যেগুলো চয়েজ করে কিনেছি সেগুলো আমার জন্যে ছিল তাই না ।
– হুমম।
– জান আমার একটা কথা রাখো প্লিজ।
– কি জান।
– যে শাড়ি টা তোমার জন্যে কিনেছি সেটা একটু পড়বে।
– হুমম অবশ্যই পড়ব।
– আমি শাড়ি পড়িয়ে দেয়?
– না এতো ভালবাসা দেখাতে হবে না।
– দাও না বাবু পড়িয়ে দেয়। ( কথাটা বলেই ডানার সামনে দাঁড়িয়ে গেল)
– না থাক আমি একাই পড়ে নিতে পারব। ( কথাটা বলেই রেজনকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয়। আর সেই ফাঁকে ওয়াশরুমে চলে যায় ডানা)

কিছুক্ষন পড়ে জান্নাতের বাবার ফোন থেকে ফোন আসলো রেজনের ফোনে।
– আসসালামুয়ালাইকুম আংকেল?
– ওয়ালাইকুমুস সালাম।
– বাড়িতে পৌঁছে গেছো?
– হুমম আংকেল কিছুক্ষণ আগে।
– জান্নাত এই অবস্থায়ও টেনশন করছিল তুমি বাড়িতে পৌঁছে গেছো নাকি? পথে আবার কোন বিপদ আপদ হলো না তো। বারবার তোমার কথা বলছে।
– আংকেল ওকে টেনশন করতে মানা করুন। এই অবস্থায় কোন কিছু নিয়ে টেনশন করলে আরো শরীর বেশি খারাপ করবে।
– মানা করছি টেনশন যেন না করে, তারপরও বলছে তোমাকে নিয়ে নাকি ওর খুব টেনশন হয়।
– আংকেল আপনি ফোন টা জান্নাতের কাছে দেন তো।
– এই নাও।

-এই তুমি আমাকে নিয়ে টেনশন করছো কেন? টেনশনের কি আছে?
– যাকে ভালবাসি তাঁর জন্যে তো একটু টেনশন করতেই হয় তাই না।
– এসব কথা বাদ দাও। এখন বলো ঔষধ খেয়েছো?
– না।
– কেন?
– ভাল লাগে না ঔষধ খেতে।
– আমি যদি ঔষধ খেতে বলি তাইলে খাবে না?
– হুমম খাব।
– কথা দিচ্ছো তো কথা বলা শেষ হলে ঔষধ খেয়ে নিবে।
– ওকে কথা দিলাম।
– কেবিনে শিফট করে দেয়নি?
– হুমম দিয়েছে।
– ভাল থেকো আর ঔষধ খেয়ে নাও।
– ওকে খাচ্ছি আর তুমি ঘুমিয়ে যাও অনেক রাত হয়েছে?
– হুমম ঘুমাতে হবে, কালকে তো আবার তুমি নেই অফিস তো আমাকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
– ওকে ঘুমিয়ে যাও। আর অফিসে যাওয়ার আগে আমার সাথে দেখা করে যাবে। আর অফিসের কেউই যেন না জানতে পারে বিষয়টা ।
– ওকে বাই।
– বাই।

অনেকক্ষন হয়ে গেল ডানা ওয়াশরুম থেকে বের হবার কোন নাম গন্ধ নেই।
রেজনের বিছানায় সামান্য হেলান দিয়ে শুয়ে আছে। চোখ লেগে যাচ্ছে রেজনের।
কতক্ষণ পড়ে ডানা বের হলো।
ডানা রেজনের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হালকা চোখ লেগে গিয়েছিল রেজনের। রেজন যেন আচমকা বসতি উঠে বসে পড়ল ডানাকে দেখে। কালো শাড়ি পড়ে একটি পরী দাঁড়িয়ে আছে রেজনের সামনে।
( কালো ডানার খুব প্রিয় কালার, রেজনের অন্য কালার চয়েজ থাকলেও ডানার উপর ভালবাসা রেখে নিজের পছন্দের কালার চেন্স করে ফেলে। এখন রেজনের প্রিয় কালার কালো)
– রেজন ভাবছে স্বপ্ন দেখছি না তো। রেজন চোখ ডলতে থাকে বিষয়টা বুঝতে স্বপ্ন দেখছে নাকি। তারপরও রেজন ক্লিয়ার হতে পারছে না।
– একটি চিমটি দাও তো । ( রেজন ডানার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে)
হঠাৎই ডানা আর রেজনের সামনে নেয় ।
– চোখের পলকে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল নাকি পরীটা । ( রেজন)

চলবে

কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : 26
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
ডানা রেজনের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হালকা চোখ লেগে গিয়েছিল রেজনের। রেজন যেন আচমকা বসতি উঠে বসে পড়ল ডানাকে দেখে। কালো শাড়ি পড়ে একটি পরী দাঁড়িয়ে আছে রেজনের সামনে।
( কালো ডানার খুব প্রিয় কালার, রেজনের অন্য কালার চয়েজ থাকলেও ডানার উপর ভালবাসা রেখে নিজের পছন্দের কালার চেন্স করে ফেলে। এখন রেজনের প্রিয় কালার কালো)
– রেজন ভাবছে স্বপ্ন দেখছি না তো। রেজন চোখ ডলতে থাকে বিষয়টা বুঝতে স্বপ্ন দেখছে নাকি। তারপরও রেজন ক্লিয়ার হতে পারছে না।
– একটি চিমটি দাও তো । ( রেজন ডানার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে)
হঠাৎই ডানা আর রেজনের সামনে নেয় ।
– চোখের পলকে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল নাকি পরীটা । ( রেজন)
ডানা রেজনের পাশ বসে একটা কিস করে বাম গালে।
রেজন যেন এখন বুঝতে পারছে আসলে সে কল্পনার জগতে ছিলো।
– এই ডানা।
– হুমম জান।
– আমার না খুব ক্ষুধা লাগছে।
– দাঁড়াও আমি খাবার আনছি। ( বিছানা ছেড়ে উঠে)
– আমার না তোমার ঠোঁটের হালকা লাল রঙের লিবিস্টিকের ক্ষুধা লাগছে। ( রোমান্টিক গলা)
– তো আমি কি করব।( মুখ ভাঙিয়ে)
– একটু দাও তোমার ভালবাসার পরশ এঁকে
– না গো হবে না।
– না দিলে যাও আমি জান্নাতের থেকে নিবো পাপ্পু ।
– মেরে ফেলবো কিন্তু তুই যদি আর একবার জান্নাতের কথা বলিস।
– তুমি যেহেতু দিচ্ছো না তাইলে তো জান্নাতের থেকেই নিতে হবে তাই না।
– যাহ তুই জান্নাতের থেকেই নি গা পাপ্পু ।
– এই দেখো এখন রাগ করার শুধু আমার অধিকার আছে কিন্তু তুমি রাগ করছো কেন?
– হুমম বলেছে শুধু ওর আছে ।

ডানা রেজনের দিকে আগাচ্ছে রেজন ও ডানার দিকে আগাচ্ছে।
রেজন হঠাৎই ডানাকে বিছানায় আঁকড়ে ধরে। ডানার বুকের উপরে অবস্থান করছে রেজন। রেজন তাঁর ঠোঁট দুটি ডানার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একজনের ভারী নিশ্বাস অন্যজন উপলব্ধি করতে পারছে।
অজানা অনূভূতিতে দুজন হারিয়ে যাচ্ছে। রেজন হঠাৎই চারটি ঠোঁটকে এক সাথে করে ফেলে। দুজন হারিয়ে যায় সুখের সাগরে।

– জান্নাত আমি তো সিদ্ধান্ত চেন্স করে ফেলেছি।
– কিভাবে বাবা?
– আমি চেয়েছিলাম তুমি আর রেজন দুজন দুজনকে ভাল ভাবে উপলব্ধি করতে পারো তারপর বিয়ে কিন্তু!!!!!,
– কি বাবা?
– আমি এখন চাচ্ছি তুমি সুস্থ হয়ে গেলে যতো তাড়াতাড়ি পারি তোমাদের বিয়ে দিয়ে দিব। তারপর দুজন দুজনকে কাছ উপলব্ধি করতে পারবে।
– কিন্তু বাবা যদি রেজন রাজি না হয়।
– যে বিয়ের ডেট ফিক্সড্ কিন্তু সেখানে কিছু দিন এগিয়ে আসলে প্রবলেম কি?
– বাবা তুমি তো রেজন কি সেটা জানো না।
– কি বলিস বিড়বিড় করে?
– কিছু না আব্বু।
– আমি রেজনের বাবাকে ফোন করে জানিয়ে দিবো।
– বাবা আমি যে অসুস্থ সেটা কি রেজনের ফ্যামিলির কেউ জানে?
– আসলে ওদের বাড়িতে আজকে একটা পার্টি ছিল। আমি চাইনি সবার খুশি নষ্ট করতে। তাই জানানো হয়নি।
– ওহহ আচ্ছা।

কতক্ষণ পড়ে চারটি ঠোঁট আলাদা হয়ে যায়।
– তুমি এমন কেন বলো তো?( ডানা)
– কেমন?
– পেলে আর ছাড়তে চাও না কেন?
– এতোদিন পড়ে পড়ে দিলে কি মন ভরে?
– তাইলে কিভাবে দিতে হবে?
– সবসময়।
– আগে বিয়ে তারপর যখন যা চাইবে তাই পাবে।
– চলো না তাইলে কালকেই বিয়ে করি?
– আর ওই আমাদের তো এই নিয়ে দুইবার করে বিয়ে হয়েছে তাও বলছো আবার বিয়ে করতে হবে।
– হুমম আবার বিয়ে করতে হবে।
– তাইলে চলো কালকে গিয়েই বিয়ে করব।
– হুমম।
– আজকে থাকি তোমার ঘরে?
– না থাকা যাবে না।
– কেন থাকা যাবে না?
– কারণ বিয়ের আগে এসব না।
– তুমি কি জানো বাংলাদেশ সরকার বিয়ের আগেও দুটি প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়ের এক সাথে থাকার বৈধতা দিয়েছে।
– তো কি হয়েছে?
– আমরাও একসাথে থাকবো।
– আমি বাংলাদেশ সরকারের এই বাজে বৈধতা মানি না।
– প্লিজ থাকি না তোমার রুমে আজকে?
– নো নেভার। এখনই বের হও আবার রুম থেকে। অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পড়ো গিয়ে কালকে যেহেতু জান্নাত থাকবে না তোমারই তো অফিস সামলিয়ে রাখতে হবে।
– হুমম জান।
– একটি ঘুম পাড়ানো পাপ্পু দাও?
– ওকে আসো।
তারপর ডানা রেজনের কপালে ঘুম পাড়ানো পাপ্পু দেয়।
– এখন ঘুম পাড়ানো পাপ্পু দিয়েছি যাও গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।
– তুমি যে পাপ্পু দিয়েছো তাতে আমার চোখে ঘুমের বন্যা হয়ে যাচ্ছে। আমি চাইলেও এই ঘুম মাখা চোখ নিয়ে আমার ঘরে যাওয়া সম্ভব হবে না । তার চেয়ে আমি এখানে একটু ঘুমিয়ে তারপর রুমে চলে যাবো।
– কতো বাহানা শুরু করছো তুমি?
– তুমি যায় বলো না কেন আমি তোমাকে আমার রুমে থাকতে দিচ্ছি না।
– দেখ আমার প্রতি এতো অবিচার আল্লাহ সহ্য করবে না। যে ছেলেটা ঘুম মাখা চোখ নিয়ে হাঁটতে পারছে না আর তুমি তাঁকে…………….
– তোমার কি খুব ইচ্ছা হচ্ছে আমার কাছে ঘুমানোর?
– হুমম।
– যদি শর্ত মানো তাহলে ঘুমাতে দিবো।
– কি শর্ত?
– দুজনের মাঝে কোলবালিশ থাকবে। দুজন দুই দিকে মুখ ফিরিয়ে ঘুমাবো। আর তুমি আমাকে টাস্ক করতে পারবে না।
– তাইলে আর থেকে কি হবে তাঁর চেয়ে বরং আমি আমার রুমেই চলে যায় ।
– কি বলো বিড়বিড় করে?
– কিছু না।
– পারবে শর্ত গুলো মানতে?
– হুমম পারব।

দুজন দুইদিকে মুখ ফিরিয়ে আছে।
– গুড নাইট বাবু ( ডানা)
– আবার বাবু?
– কি বললে শুনতে পাইনি?
– বললাম হাজার খানিক গুড নাইট।
– হুমম ঘুমাও।
– ওকে।

যে কোলবালিশ শব্দটা রেজনের কাছে এতো প্রিয় ছিলো সেই কোলবালিশ শব্দটা রেজনের কেমন জানি লাগছে। যে কোলবালিশ ছোট থেকে রেজনের জীবনসাথী হিসেবে ছিল সেই কোলবালিশকে যেন আজ রেজনের শত্রু মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে হালার কোলবালিশকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলি।
কতক্ষণ পড়ে দুজনই ঘুমের রাজ্যে পৌঁছে যায়।
,
ফরজের আযান শুনে ঘুম ভেঙে যায় ডানার। ডানা লক্ষ্য করে দেখল যে সে রেজনের বুকের উপর মাথা রেখে শুয়ে আছে। বিষয়টা ডানার কাছে কেমন জানি লাগছে। ডানা ভাবতে থাকে কিভাবে এসব হলো। যায় হোক রেজন কে জাগিয়ে দেই নামাজ পড়বে তো। রেজন বুক থেকে মাথা তুলে।
– এই রেজন।
– হুমম।
– আযান পড়ছে তো।
– আর একটু পড়ে উঠি?
– এখন উঠে নামাজ আদায় করে আসলে আদর দিবো।
– সত্যিই ( লাফ দিয়ে উঠে বসে)
– হুমম।
– ওকে পানি উঠিয়ে দাও ওযু করার।
– হুমম চলো।
.
– বাই গেলাম আব্বু আম্মুকে ডেকে দাও নামাজের সময় চলে যাবে তো।
– ওকে ডেকে দিচ্ছি।
– আর তুমিও তাড়াতাড়ি নামাজ আদায় করে নাও।
– হুমম।
,
সবাই টেবিলে বসে ব্রেকফাস্ট করছে।
– বাবা জান্নাতকে দেখতে যাবে না?
– হুমম আজকে দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।
– বাবা আংকেল কি ফোন করে বলেছিল জান্নাত অসুস্থ?
– না ডানার মুখ থেকে সকালেই শুনতে পেলাম।
– তাইলে কখন যাবে নিয়ত করছো?
– ব্রেকফাস্ট করেই বের হবো ভাবছি।
– হুমম বাবা রিক্সা করে যাবো কিন্তু?
– বাড়িতে এতো গাড়ি কি করছে যে রিক্সায় যেতে হবে।
– ওকে বাবা গাড়িতেই যাবো।
,
সাদিয়া আম্মু আব্বু পিছনের দিকে বসে আছে।
রেজন ড্রাইভিং সিটে আর ডানা তাঁর পাশের সিটে।
কতক্ষণ পড়ে তাঁরা তাঁদের কাংখিত স্থানে পৌঁছে যায়।
ভিতরে প্রবেশ করে সবাই কিছুটা অবাক।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here