কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : ৩+৪
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
ডানা তো ভয়ে কাঁপতে থাকে। না জানি কি শাস্তি দেয়। ডানার মনে ভয় হতে থাকে যদি এই বাসা থেকে তাঁকে তাড়িয়ে দেয়। তাইলে কোথায় গিয়ে আশ্রয় নিবে।
আশ্রয় দেওয়ার মতো তো কেউ নেই এই ভুবনে।
– তোমার শাস্তি হলো আজ থেকে তুমি আমাকে তুমি করে বলবে।
ডানা ভাবতে থাকে হুনুমান কোথাকার এইভাবে কেউ ভয় দেখায়। এভাবে কথা না বলে তো সহজ ভাবে বলতে পারত। ভাবনার ছেদ পড়ে গেল ডানার রেজনের কথায়।
– কি হলো শাস্তি কি মেনে নিছো নাকি আপিল………
– হুমম শাস্তি মেনে নিয়েছি। কিন্তু……………….
– কিন্তু কি?
– একটু সময় লাগবে আপনি থেকে তুমি বলতে
– চেষ্টা কর এখনই হবে।
– আচ্ছা এটা এখন বাদ দেন। অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
– আচ্ছা তুমি এতো সুন্দর কেন বলতে পার?
– আপনি প্লিজ আমাকে সুন্দর বলে সুন্দরীদের ছোট করবেন না ।
– আমি সত্যি বলছি আমার দেখা তুমি শ্রেষ্ঠ সুন্দরী।
– আপনি হয়তো এতোদিন চোখে দেখতেন না আজ হয়তো নতুন করে দেখা শুরু করেছেন তাই আমাকে সুন্দর মনে হচ্ছে।
– আমাকে নিয়ে মজা নিচ্ছ তাই না। দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা।
কথা টা শুনেই ডানা দিল এক দৌড়। আমিও ক্ষুদার্থ বাঘের মতো পিছু করতে লাগলাম ডানাকে।
অনেক্ষণ দৌড়ে ধরতে পাচ্ছি না ডানাকে। সারাবাড়ি দাৌড়নের পড়েও ধরা দিচ্ছিল না।
দৌড়েতে দৌড়েতে আমার রুমের মধ্যে আবার চলে আসল ডানা।
পিছন ফিরে দৌড়াচ্ছিল ডানা হঠাৎ করে কিসের সাথে যেন বেধে বিছানার উপর চিত হয়ে পড়ে যায়। আমিও নিজেকে কন্ট্রোল হারিয়ে ডানার উপর পড়ে যায়।
ডানার গায়ের উপর পড়ে যাওয়ার ফলে আমার ঠোঁট আঘাত পাপ্ত হয় ডানার ঠোঁটের সাথে ঘর্ষণ লাগার ফলে।
ডানার গায়ের উপর পড়ে আছি আর ডানার মায়াবী চেহারার দিকে তাকিয়ে আছি । জীবনের প্রথম এতো কাছে থেকে কোন মেয়েকে দেখছি। মনে হচ্ছে যেন আজ স্বার্থক হয়েছি। ডানার নিশ্বাস ভারী হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে ।
দুজনই যেন অজানা সুখে হারিয়ে যাচ্ছি। কোন প্রকার সেন্স নেই দুজনের ।
কোন কথা বলতে পারছে না ডানা শুধু আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।
দরজাটা খোঁলা রাখাই ছিল। কিছুসময় পড়ে আম্মুর ভয়েস শুনতে পেলাম।
– কিরে তোদের শুটিং শেষ হয়েছে।
আম্মুর কথা শুনে দুজনেরই হুস ফিরল। তাড়াতাড়ি যে যার মতো করে গুছিয়ে নিলাম।
– আসলে আম্মু এটা একটি এক্সিডেন্ট।
– সেটা তো বুঝতেই পারছি। ( মৃদু গলায় হেসে)
– আম্মু আমি সত্যি বলছি ( মাথা নিচু করে)
– আর আমি সেই কথা বিস্বাসও করে নিয়েছি।
– এইতো আমার লক্ষি আম্মু ( বলেই জড়িয়ে ধরলাম)
– এতোক্ষনে তো অনেক রাত হয়ে গেল ফ্রেশ হয়ে টেবিলে গিয়ে বসে পড় খাবার দিচ্ছি।
– ওকে আম্মু।
।।
।।
।।
তারপর খাবার টেবিলে চলে গেলাম।
আমি আর ডানা সামনা সামনি বসে আছি। আম্মু খাবার বেড়ে দিচ্ছে।
– কেউ কারো দিকে তাকাতে পারছি না পর্যন্ত। দুজনই মাথা নিচু করে বসে আছি।
– আচ্ছা আম্মু আজ কে রান্না করছে?
– যার হাতে রান্না খেয়ে পাগল হয়ে গিয়েছিস সেই রান্না করেছে।
– আম্মু কি যে বল না পাগল হলাম কেমনে? ( লজ্জিত কন্ঠে)
– সেটাতো দেখতেই পারছি চোখের সামনে
– আম্মু তুমি কি এগুলো বাদ দিবা নাকি…………………
– কালকে থেকে তোর অফিস না?
– হুমম।
– এখন তাড়াতাড়ি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়বি। তুই তো আবার সকালে ঘুম থেকে উঠতে চাস না।
– ওকে আম্মু।
।
তারপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে রুমে চলে আসলাম। রুমে এসে বিছানাতে শুয়ে পড়লাম।
আর কিছু আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা ভাবতে লাগলাম।
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমের রাজ্যে পৌঁছে গেলাম।
অন্যদিকে ডানা ভাবতে থাকে এই মানুষটা আমার সাথে এমন করে কেন। সবসময় আমাকে নিয়ে পড়ে থাকে। মানুষটাকি আমাকে পছন্দ করে,,নাকি অন্য কিছু এসব হাজারো প্রশ্ন ঘুর পাক খাচ্ছে ডানার মাথায়। ডানার আবার নিজের প্রশ্নের উত্তর নিজেই দিচ্ছে। কেন সে তোকে ভালবাসতে যাবে। তোর সাথে তাকে কখনো মিলিয়ে দেখেছিস তুই কোথায় আর সেই মানুষটি কোথায়। এসব কিছু মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল তাতেই মঙ্গল । তোদের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমের দিকে অগ্রসর হয় ডানা।
।।
।।
(সকালে )
– এই যে মিস্টার আর কত সময় ঘুমাবেন। আজকে তো আপনার চাকুরীর প্রথম দিন।
– আম্মু আর একটু ঘুমাই ( হাতটা ধরে)
রেজন ডানার হাত ধরার ফলে ডানা শিহরিত হয়ে উঠল। যেন এক অজানা সুখ বিরাজ করছে ডানার মধ্যে। ডানা ভাবতে থাকে কি মানুষ রে বাবা আমাকে আম্মু বলছে।
ডানা অনেক চেষ্টা করছে রেজনের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে কিন্তু রেজন ডানার হাত ছাড়ছে না।
।।
কতক্ষণ পড়ে রেজনের ঘুম ভেঙে যায়। রেজন দেখতে পায় ডানার হাত সে আকড়ে ধরে আছে।
– এই তুমি এখানে কেন?
– আপনিই তো আমাকে………… ……
– কিভাবে?
– আমি যখন আপনার জন্যে চা নিয়ে আসলাম তখন আমি দেখলাম আপনি ঘুমিয়ে আছেন। আমি যখন আপনাকে ডাকতে শুরু করলাম তখন আপনি আমাকে আম্মু বলে আমার হাত ধরে বসেন। অনেক বৃথা চেষ্টা করার পড়েও কোন প্রকার লাভ হয়নি।
– স্যরি।
– কেন?
– তোমাকে ভুল করে আম্মু ডেকে ফেলেছি!!!!! আসলে প্রতিদিন আম্মু আমার ঘুম ভাঙায় তো তাই আমি হয়তো…………
– আর বলতে হবে না আমি সব বুঝতে পারছি।
– হুমম।
– তাড়াতাড়ি উঠেন অফিসের লেট হয়ে যাচ্ছে।
– হুমম। চা টা দাও।
– হুমম।
।।
তারপর সবকিছু রেডি করে সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম।
বাসা থেকে বের হতেই অফিস টাইম শুরু হয়ে গেল। আমার অফিস যেতে ৩০ মিনিট লাগবে। তার মানে আমি আজ প্রথম দিনেই আধাঘন্টা লেট। এসব ভাবতে ভাবতে অফিসে চলে আসলাম।
অফিসে এসে সোজাসুজি আমার ডেস্কের কাছে চলে গেলাম।
ডেস্কে বসতে যাব তার আগেই আমার পাশের ডেস্কের কলিগ বলল।
– ভাইয়া স্যার আপনাকে ডাকছে ।
– কেন ডাকছে ভাইয়া?
– সেটা আমি কিভাবে বলব আপনি তাড়াতাড়ি স্যারের রুমে চলে যান।
– ওকে ভাইয়া।
আমি ভয়ে ভয়ে স্যারের রুমের দিকে যেতে শুরু করলাম।
এক অজানা ভয় কাজ করছে নিজের মধ্যে।
স্যারের রুমের সামনে গিয়ে। স্যার দেখলাম পিছনের দিকে ঘুরে বসে আছে।
– স্যার আসতে পারি?
– হুমম আসেন।
– বসেন ।
– স্যার আমাকে ডেকেছেন?
– আপনার আজকে অফিসের প্রথম দিন তাই না
– হুমম স্যার।
– তাইলে এতো লেট করলেন কেন?
– স্যরি স্যার।
– আপনার আজ অফিসের প্রথম দিন। সবকিছু তো বুঝিয়ে দিতে হবে তাই না।
– হুমম স্যার স্যরি।
স্যার পিছন দিকে বসে এতো সময় কথা বলছিলেন । যখন পিছন ফিরে তাকালেন তখন আমি আশ্চর্য্য না হয়ে পারলাম না। স্যারকে দেখে আমি চেয়ার থেকে উঠে না দাঁড়িয়ে পারলাম না। আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারলাম না ।
।
চলবে
কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : ৪
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
– স্যরি স্যার।
– আপনার আজ অফিসের প্রথম দিন। সবকিছু তো বুঝিয়ে দিতে হবে তাই না।
– হুমম স্যার স্যরি।
স্যার পিছন দিকে বসে এতো সময় কথা বলছিলেন । যখন পিছন ফিরে তাকালেন তখন আমি আশ্চর্য্য না হয়ে পারলাম না। স্যারকে দেখে আমি চেয়ার থেকে উঠে না দাঁড়িয়ে পারলাম না। আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারলাম না ।
তাকিয়ে দেখলাম একটা পিচ্চি মেয়ে বসে আছে। আসলে আমি কথা শুনে বুঝতেই পারিনি আসলে স্যার মেয়ে না ছেলে।
– স্যার একটা কথা বলি?
– হুমম। বলতে পারেন।
– কিছু মনে করবেন না তো আবার ( কিছুটা ভয় নিয়ে )
– মনে করার মত হলে মনে করব। ( অহংকারী সুর)
– স্যার আপনি কি ছেলে মেয়ে উভয় নাকি?
– কিহহহহহহহহহহহহহহহহহহ😠😠 ( খুব জোরে চিল্লানী দিয়ে)
– স্যার আপনি বিষয়টা না বুঝে চিল্লানি দিচ্ছেন। আমি বিষয়টা আপনাকে ক্লিয়ার করে বুঝিয়ে বলি।
– হুমম।
– স্যার আমি যখন ভিতরে আসলাম তখন আপনি পিছনের দিকে থেকে কথা বললেন তখন মনে হলো ছেলে কন্ঠে কথা বলছেন আর এখন মেয়ে কন্ঠে যার জন্যে বললাম আপনি ছেলে মেয়ে উভয় নাকি।😀😀
– তো এই কথা গুলো কি এভাবে বলতে হয়। ( সামান্য ঠান্ডা হয়ে)
– স্যরি স্যার ।
– আপনার নাম কি যেন?
– রেজন। তোমার ?
– রেজন সাহেব আপনি মনে হয় ভুলে যাচ্ছেন আমি আপনার স্যার।
– আসলে স্যার আপনাকে দেখে পিচ্চি মনে হয় যার জন্যে তুমি চলে আসতেছে।
– কি আমি পিচ্চি 😠😠😠( রাগী লুক নিয়ে)
– না মানে হ্যাঁ।
– মানে?
– সত্যিই পিচ্চি মনে হয় ( মৃদু হেসে )
– রেজন সাহেব আপনি কিন্তু আপনার লিমিট ছাড়িয়ে যাচ্ছেন।
– স্যরি স্যার।
– আপনি আপনার ডেস্কে চলে যান। একটু পড়ে ম্যানেজার সাহেব গিয়ে আপনাকে সব কিছু বুঝিয়ে দিবে। ( রাগী কন্ঠে)
– ওকে স্যার।
।।
তারপর উদ্দেশ্যে স্থল ডেস্কে চলে আসলাম আর ভাবতে লাগলাম এইটুকু পিচ্চি অফিসের বস হয় কেমনে। আমি তো মনে হয় এই পিচ্চির অধিনে থাকতে পারব না।
পাশের ডেস্কের কলিগকে উদ্দেশ্যে করে বললাম ।
– আচ্ছা ভাইয়া আমাদের বস কে?
– কেন আপনি বসের সাথে দেখা করেন নাই?
– ওই পিচ্চি মেয়েটা আমাদের বস নাকি ভাইয়া?
– পিচ্চি বলছেন কাকে ওনি খুব বদ মেজাজি। আর খুব কঠোর অবস্থানে থাকে। ওনার থেকে সাবধানে থাকবেন সবসময় । আর এটা ওনার বাবার কম্পানি এখন তিনি দেখাশুনা করে।
– থ্যাংকস ভাইয়া ইনফরমেশন দেওয়ার জন্যে।
– হুমম।
।।
।।
কতক্ষন পড়ে ম্যানেজার সাহেব এসে সব কিছু বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন এবং সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন।
অফিস শেষ করে সন্ধ্যার দিকে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছি কিন্তু রাস্তায় কোন প্রকার রিক্সা পাচ্ছিলাম না। ওয়েট করছিলাম রিক্সার জন্যে এমন সময় দেখলাম বস বের হয়েছে গাড়ি নিয়ে।
গাড়ির জানালা নামিয়ে বস আমাকে উদ্দেশ্যে করে বলতে লাগলেন।
– এই যে রেজন সাহেব দাঁড়িয়ে আছেন কেন?
– স্যার রিক্সার জন্যে ওয়েট করছি।
– রেজন সাহেব আপনি চাইলে আমি আপনাকে নামিয়ে দিতে পারি।
– সম্যাসা নেই স্যার আমি যেতে পারব।
– রিক্সা কখন পাবেন সেটার কি কোন গ্যারান্টি আছে। চলে আসুন।
।।
আর কোন কথা না বাড়িয়ে উঠে আসলাম গাড়িতে।
গাড়ি তার নিজের গতি মোতাবেক চলছে । টুকিটাকি কথা বলতে বাসার সামনে চলে আসলাম। আচ্ছা স্যার চলে এসেছি । এখন যেতে হবে।
– হুমম
– ওকে স্যার বাই ( গাড়ি থেকে নামার পরে)
– ওকে।
।।
বাসায় এসে কলিংবেল চাপার সাথে সাথে ডানা দরজা খুলে দিল ।
দরজায় সামান্য হেলান দিয়ে।
– কি ব্যাপার আমার জন্যে বুঝি অপেক্ষার প্রহর গুনছিলে ।
– না মানে এই পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম কলিংবেলের আওয়াজ শুনতে পেলাম তাই তাড়াতাড়ি করে দরজা খুলে দিলাম।
– আজ কয়বার আমার কথা মনে হয়েছে ( মৃদু হেসে)
– একবারও না। ( ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে)
– সত্যি বল ( কিছুটা ধমকের সুরে)
– অগণিত বার।
– কেন এতো বার মনে পড়ল আমার কথা?
– এমনিতেই।
– সামথিং সামথিং। ( রোমান্টিক গলায়)
– নাথিং নাথিং।
কথাটা বলেই হাওয়াই মিলিয়ে গেল ডানা।
ডানার কথা ভাবতে ভাবতে রুমে চলে আসলাম। ওয়াশরুমে চলে গেলাম শাওয়ার নেওয়ার জন্যে।
শাওয়ার নেওয়া শেষ করে বাহিরে চলে আসলাম।
।।
রাতে বিছানায় হেলান দিয়ে বই পড়ছি এমন সময় ডানান আগমন ঘটল রুমে ।
– আপনাকে আম্মু ডাকছে।
– কেন?
– খাওয়া দাওয়া করবেন না।
– না।
– কেন?
– তোমার জন্যে খাব না।
– আমি আবার কি করলাম ( অবাক দৃষ্টিতে)
– তুমি এখনও আমাকে আপনি করে বলছ।
– তাতে খাওয়া দাওয়া না করার সাথে সম্পর্ক কি?
– তুমি যতদিন না পর্যন্ত আমাকে তুমি বলবে না ততদিন পর্যন্ত আমি কিছুই খাব না।
– তাইলে তো দেখছি আপনাকে এখন থেকে না খেয়েই থাকতে হবে ।
– মানে!!!!!!! ( করুন সুরে)
– হুমম।
– আমি না খেলে যদি কেউ খুশি থাকে তাহলে আজ থেকে না খেয়েই থাকতে পারব।
– প্লিজ খেয়ে নিন। না খেলে তো অসুস্থ হয়ে পড়বেন ।
– আমি অসুস্থ হলে তো আর কারো কিছু যায় আসে না ( অভিমানের সুরে)
– ওকে আমি এখন থেকে তুমি করে বলব। কিন্তু তাড়াতাড়ি খেয়ে নিন প্লিজ ।
– আমার টেবিলে গিয়ে খেতে মনে চাচ্ছে না।
– তাইলে?
– আম্মুকে বল আম্মু যেন আমার খাবার রুমে দিয়ে যায়।
– আচ্ছা দাঁড়ান আমি খাবার নিয়ে আসতেছি ।
– আবার আপনি ( রাগী লুক)
– স্যরি তুমি।
– ওকে ঠিক আছে ।
তারপর ডানা গিয়ে খাবার নিয়ে আসল।
– এই নিন খেয়ে নিন ( খাবার প্লেট আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে)
– আমার হাতে না আজ খুব ব্যাথা করছে ।
– কেন কি হয়েছে হাতে ( আমার হাতে ডানার হাতে বন্দী)
– আজ খুব খাটাখাটুনি করেছে হাত যার জন্যে হাত নিজে নিজে খেতে পারবে না।
– তাইলে কি করা যায়?
– খাইয়ে দিতে হবে।
– ওকে আমি আম্মুকে ডাকছি আম্মু এসে আপনাকে খাওয়ে দিবে।
– আমি আম্মুর হাতে খাব না।
– তাহলে।
– আমি তোমার হাতে খাব।
– পারব না।
– তাইলে আমি খাবও না ( অভিমান সুর)
– আপনি বুঝেন না কেন কেউ দেখে ফেলতে পারে যে কোন সময়। সবাই দেখলে কি ভাবতে পারে একবার বুঝতে পারছেন। আপনি প্লিজ নিজে নিজে খেয়ে নিন।
– আমি খাব না ।
– আরে বাবা কেউ দেখে ফেলতে পারে । তখন অনেক সম্যাসায় পড়তে হবে।
– কে কি ভাবল সেটা যায় আসে না। তুমি খাওয়ে দিবে নাকি তাই বল!!!!!!!
– ওকে দিচ্ছি।
– হুমম।
– হা করো ।
।।
তারপর ডানা সব খাবার খাওয়ে দিল আস্তে আস্তে। খাওয়া শেষ হয়ে গেল
খাওয়া শেষে ডানা আমাকে পানি খাওয়া দিচ্ছে।
এমন সময় কারো কথা শুনতে পেয়ে ডানার হাত থেকে পানির গ্লাসটা নিচে পড়ে গিয়ে ভেঙে গেল…………………………
চলবে
।
বিঃদ্রঃ তখনই খারাপ লাগে যখন গল্প পড়ে লাইক কমেন্ট না করে চুপিচুপি চলে যান।
সবাই প্লিজ Nice Next বাদে মন্তব্য করবেন। আর গল্প থেকে সবার সুন্দর মতামত আশা করছি ।
ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন
।
আর সবার আগে গল্প পড়তে
অ্যাড দিয়ে পাশে থাকতে পারেন