কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : 27+28
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
,
সাদিয়া আম্মু আব্বু পিছনের দিকে বসে আছে।
রেজন ড্রাইভিং সিটে আর ডানা তাঁর পাশের সিটে।
কতক্ষণ পড়ে তাঁরা তাঁদের কাংখিত স্থানে পৌঁছে যায়।
ভিতরে প্রবেশ করে সবাই কিছুটা অবাক।
।
ভিতরে গিয়ে দেখলো জান্নাতের পরিস্থিতি অনেক বাজে। জান্নাত কে আইসিইউ তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জান্নাতকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। জান্নাতের জ্ঞান নেই। ডাক্তার যেন ভীতু হয়ে যাচ্ছে বিষয়টা নিয়ে। ডাক্তার সবাইকে উদ্দেশ্যে করে বলল।
,
আমরা এখনো পরিস্থিতি বুঝতে পারছি না হঠাৎ করে এমন হবার কারণ কি!!!! আপনারা সবাই আল্লাহকে ডাকুন। আর ব্লাড জোগাড় করেন। হিমোগ্লোবিন টেস্ট বুঝা গেল রক্তের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে শরীরে।
ডাক্তারের এই কথাটা শুনা মাত্র জান্নাতের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে গেল।
রেজনের একটা বিষয় মাথায় ঠুকছে না হঠাৎই জান্নাতের এমন হবার পিছনে কিন্তু কি রয়েছে।
।
জান্নাতের বাবা, রেজন, রেজনের বাবা সবাই একেকটি কাজে জড়িয়ে পড়ে।
কেউ মেডিসিন জোগাড় করতে কেউ ব্লাড জোগাড় করতে, কেউ অনন্য যাবতীয় কাজ গুলো করছে সেটা ডাক্তার বলছে।
অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরে ব্লাড জোগাড় হয়। কিন্তু ডাক্তার কোন আশানুরুপ কথা শুনাচ্ছে না জান্নাতের আত্মীয়স্বজনদের।সবার মধ্যে একটা আতংকিত মনোভাব জাগ্রত হয়েছে।
,
সকাল গড়িয়ে সূর্য মামা এখন ঠিক সোজাসুজি মাথার উপরে দাঁড়িয়ে আছে। দুপুর হয়ে গিয়েছে কিন্তু ডাক্তার কিছুই বলছে না।
ডাক্তারের একই বক্তব্য বার বার আমরা এখনও বুঝে উঠতে পারছি না বিষয়টা, তবে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
,
কতক্ষণ নার্স ভিতরে থেকে বাহিরে এসে।
– রেজন কে?
– হুমম আমি।
– একটা বিষয় রোগীর জ্ঞান ফিরেছে কিন্তু ( সবাইকে উদ্দেশ্যে করে)
সবাই কান্না জড়িত কন্ঠে। তবে এটা দুঃখের কান্না নয়।
– সত্যি ❓
– হুমম তবে আপনারা ২৪ ঘন্টার আগে তাঁর সাথে দেখা করতে পারবেন না।
– কেন? ( রেজন)
– কারন সে বর্তমান অবস্থায় কথা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে তাই আরকি। তাছাড়া অন্যএকটি জটিল সমস্যা আছে।
– আর রেজন আপনাকে জান্নাত দেখতে চাচ্ছে।
– কিন্তু জান্নাত তো………
– হুমম আপনি কি বলতে চাচ্ছেন সেটা আমি বুঝতে পারছি। জান্নাতের অনেক জোড়াজুড়িতে জাস্ট আপনার সাথে দেখা করার জন্যে পারমিশন দেওয়া হয়েছে।
,
রেজন ডানার দিকে তাকালো কি করবে জানতে। কিন্তু ডানা ইশারা দিয়ে বুঝিয়ে দিলো ভিতরে যেতে।
তারপর রেজন ভিতরে প্রবেশ করেন। রেজনের ভিতরে যেতে কেমন জানি লাগছে। রেজন এর আগে কখনও অপারেশন থিয়েটারে আসা হয়নি। অপারেশন থিয়েটারে যন্ত্রপাতি দেখতে রেজনের কেমনজানি ফিল হয়। যার জন্যে এই আগে অপারেশন থিয়েটারে আসা হয়নি।
রেজন জান্নাতের কাছে পৌঁছে গেলো। ভিতরে গিয়ে রেজন অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে জান্নাতের দিকে।
জান্নাত ইশারা করে রেজনকে বসতে বলে তার পাশে। রেজন জান্নাতকে ইঙ্গিত করে বুঝিয়ে দিলেন আমি দাঁড়িয়েই অনেক ভাল আছি।
,
জান্নাত ইশারা করে রেজনকে বুঝাতে চাইলো এতো টেনশন কীসের আমাকে নিয়ে?
– তুমি আগে সুস্থ হও তারপর সব বলবো। ( ইশারায়)
– তোমার হাতটা দিবে একটু ধরবো প্লিজ?
– আগে সুস্থ হও তারপর সব হবে ।
– প্লিজ।
– ওকে।
,
তারপর রেজন হাত বাড়িয়ে দেয় জান্নাতের দিকে। জান্নাত খুব সযত্নে রেজনের হাতটা আঁকড়ে ধরে।
রেজনের কেমন জানি বিরক্ত লাগছে।
– জান্নাত লাঞ্চ করব।
– এখন না একটু পরে ( ইশারায়)
– প্লিজ খুব ক্ষুধা লাগছে।
– ওকে তাইলে লাঞ্চ করে আবার কিন্তু দেখা করবে আমার সাথে।
– ওকে।
,
রেজন যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো অপারেশন থিয়েটার থেকে বেড়িয়ে এসে।
– আংকেল আম্মু আব্বু কোথায়?
– লাঞ্চ করতে গেছে ।
– আংকেল আপনি লাঞ্চ করেছেন?
– আর লাঞ্চ রে বাবা। পানি ভিতরে দিলেও বেরিয়ে আসে। ( কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে)
– আংকেল কি আর করার বলেন? প্লিজ শান্ত হন। আপনি যদি ভেঙ্গে পড়েন তাইলে আন্টি বা জান্নাতের কি অবস্থা হবে এক চিন্তা করেছেন ।
– আন্টির মুখের দিকে তাকানো যায় না। কান্না করতে করতে আন্টির চোখের নিচে কালি জমে গিয়েছে।
– হুমম বাবা।
– আংকেল চলেন গিয়ে লাঞ্চ করে আসি।
– তুমি যাও বাবা লাঞ্চ করে নাও।
– আপনি গেলে আমি লাঞ্চ করব না ছাড়া করবো না।
– দেখো রেজন পাগলামো বাদ দাও গিয়ে লাঞ্চ করে নাও। আর আমি চাইলেও খেতে পারব না।
,
– রোগীর বাবা কোথায়?
– হুমম আমি।
– আপনাকে ডাক্তার সাহেব ডাকছে?
– ওকে আসতেছি।
,
তারপর রেজন আর জান্নাতের বাবা ডাক্তারের কক্ষে সালাম দিয়ে প্রবেশ করে।
– দেখেন এখন দেখে জান্নাতকে কোন প্রেসার ক্রিয়েট করবেন না, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজই করবেন না। যখন সেটা চাই সেটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
– ও যেমন ভাবে চলতে চায় ঠিক তেমন ভাবেই চলতে দিন। মানুষিক কোন চাপ দিলেই আবার এই প্রবলেনের সম্মুখীন হতে হবে।
– ওকে ডাক্তার সাহেব।
– হুমম।
– ধন্যবাদ
– কেন?
– আমার মেয়েকে সুস্থ করে দেওয়ার জন্যে।
– এটা একমাত্র আল্লাহ পাক ছাড়া কেউ আপনার মেয়েকে সুস্থ করেনি। আমরা জাস্ট চেষ্টা করেছি। তাই ধন্যবাদ দিতে হলে আল্লাহকে দেন আমায় না।
– হুমম স্যরি।
,
বিকেলের দিকে রেজনের বাবা মা আবার ব্যাক করে হাসপাতালে।
রেজন ছুটে যায় তাঁদের ফ্যামিলির কাছে।
– বাবা লাঞ্চ করছো?
– হুমম করেছি তুমি?
– না।
– কেন?
– এমনই ভাল লাগছে না।
– তারমানে ডানাও না খেয়ে আছে?
– মানে? ডানা তোমাদের সাথে লাঞ্চ করতে যায়নি।
– না তো।
– মানে কি?
– মানে আমরা সবাই যখন লাঞ্চ করতে গেলাম তখন ডানাকেও ডাকলাম লাঞ্চ করার জন্যে কিন্তু ডানা বললো তুমি অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হলে তারপর তোমার সাথে লাঞ্চ করবে।
– কিন্তুক আমি তো বের হয়ে ডানাকে দেখিনি। আমি ভাবছি তোমাদের সাথেই গেছে তাই আমিও বিষয়টা নিয়ে ভাবার সময় পাইনি।
– তাইলে ডানা গেলো কোথায়? ( রেজনের আম্মু)
– হয়তো বা আশে পাশে কোথাও আছে। ( রেজনের আব্বু)
– দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ডানা কোথায় থাকবে এতো টাইম? ( রেজন)
,
রেজন বার বার ডানার ফোনে ফোন করছে কিন্তু বার বার ই ফোন টা সুইচ অফ দেখাচ্ছে।
টেনশন যেন চরমভাবে জমে গেল সবার উপরে। সবাই টেনশনের চাদরে জড়িয়ে গেল। সবাই খোঁজাখুঁজি করতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে।
,
বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে গেল কিন্তু ডানার কোন বিন্দুমাত্র খোঁজখবর পাওয়া গেল না।
রেজনের মাথার মধ্যে একটা বিষয় চলে আসলো। রেজন হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করতে গেল। সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে হয়তো ধরা পড়বে ডানা কোথায় গিয়েছে। রেজন হাসপাতালের গার্ডদের সাথে নিয়ে চলে যায় সিসিটিভি কন্ট্রোল রুমে ।
রেজন সিসিটিভি ক্যামেরা কন্ট্রোল রুমে গিয়ে অবাক হয়ে যায়। রেজন ভিতরে গিয়ে দেখতে পায় দুপুর থেকে এখন পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরা অফ।
।
চলবে
কাজের মেয়ে যখন আদরের বউ
পর্ব : 28
#writer: DaRun NayEm (Rejon)
,
বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে গেল কিন্তু ডানার কোন বিন্দুমাত্র খোঁজখবর পাওয়া গেল না।
রেজনের মাথার মধ্যে একটা বিষয় চলে আসলো। রেজন হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরা চেক করতে গেল। সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে হয়তো ধরা পড়বে ডানা কোথায় গিয়েছে। রেজন হাসপাতালের গার্ডদের সাথে নিয়ে চলে যায় সিসিটিভি কন্ট্রোল রুমে ।
রেজন সিসিটিভি ক্যামেরা কন্ট্রোল রুমে গিয়ে অবাক হয়ে যায়। রেজন ভিতরে গিয়ে দেখতে পায় দুপুর থেকে এখন পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরা অফ।
।
রেজন বিষয়টা দেখতে পেয়ে যেন তাঁর মাথার উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়ল।
রেজনের মাথা কিছুই কাজ করছে না। তবে রেজনের কাছে একটা জিনিস স্পষ্ট ডানা হারিয়ে যাওয়ার পিছনে কোন প্লানিং আছে। হঠাৎই কিসের জন্যে এতোবড় একটা হাসপাতালে ডানা নিখোঁজ হবার আগে মূহুর্তে পর্যন্ত থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা অফ থাকবে।
আর ডানা নিখোঁজ হবার পিছনে আসলে মূল কারণটা কি? কেনই বা আমি জান্নাতের সাথে দেখা করার পরে ডানা নিখোঁজ হলো। আর আমি জান্নাতের সাথে দেখা করতে গেলাম এই বিষয়টা নিয়েও তো ডানার অভিমান দেখলাম না। ডানা নিজেই আমাকে ইশারা করে ভিতরে যেতে বলল। কিন্তুক আমি ফিরে এসে ডানাকে পেলাম না। এসব হাজারও কথা ঘুরপাক খাচ্ছে রেজনের মাথায়।
।
মধ্যেরাত
এখন পর্যন্ত ডানার কোন খোঁজখবর পাওয়া গেলো না। সারা শহর তন্নতন্ন করে খুঁজেছে কিন্তুক ডানার দেখা মেলে নাই। শহরে এমন কোন অলিগলিতে ডানাকে খোঁজা হয়নি এমনটা না ।
রেজনের ফ্যামিলির সবাই নিরবতা ভেঙ্গে পড়েছে। কারো কথা বলার শক্তি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছে। সবার সামনে ডানার চাঁদ মুখখানি ভেসে আসছে। জান্নাতের আম্মু আব্বুও ডানা হারিয়ে যাওয়ায় শোকার্ত।
।
– বাবা কি করব এখন?
– আবারও আমাদের সারা শহরটা খুঁজে দেখতে হবে।
– বাবা শহরের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে আমরা খুঁজিনি।
– এমন ও তো হতে পারে আমরা খুঁজলে ও ডানাকে চোখে পড়েনি ।
– তাইলে এখন?
– এখন আমাদের করনীয় আরেকটি বার সারা শহরটা তন্নতন্ন করে খোঁজা , এমন কোন বিন্দুমাত্র জায়গা বাদ দেওয়া যাবে না খুঁজতে ।
– আর মেয়েটি শহরের কিছুই চিনে না। তাই হয়তো মেয়েটি এই শহরে বাহিরে কোথাও যাবে না।
– আমার মনে হয় কি যদি পুলিশ বা পেপারে বিষয়টা জানিয়ে দেওয়া হতো তাহলে হয়তো খুঁজে পাওয়া সহজ হতো। ( জান্নাতের বাবা)
– বিষয়টা কালকে পর্যন্ত নিজেদের মধ্যেই রাখতে চাই। কালকেও যদি পাওয়া না যায় কোন কারনে তখন পুলিশ বা পেপারে বিষয়টা তুলে ধরবো।
– তাইলে বাবা এখন আমাদের কালকের দিনটা পর্যন্ত করনীয় টা কি?
– প্রথম পর্যায়ে আমাদের সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর আমাদের নেক্সট পদক্ষেপ অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যেতে হবে ।
– হুমম বাবা।
।
রাত ২ টা।
জান্নাতের বাবা মা জান্নাতের কাছে চলে যায়। রেজনের বা মা ও সকলের অপেক্ষায় থাকে কিন্তুক রেজন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে মেনে নিতে পারছে না। তাই গাড়ির চাবি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে গাড়ির উদ্দেশ্যে। গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বেড়িয়ে গেল রেজন ডানাকে খুঁজতে ।
রেজন যে বেড়িয়ে গেল বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে সেটা রেজনের বা মা উপর থেকে দেখতে পেলো।
– রেজনের আব্বু?
– হুমম।
– যদি ডানাকে না পাই তাইলে কি হবে আমার ছেলেটার। ( কথাটা বলেই কান্না করতে করতে মাথা রাখে রেজনের বাবার বুকে)
– হুমম। যে ছেলেটাকে আমি এতো করে বলেছি আমার এতো গুলো গাড়ি তাঁর মধ্যে একটি গাড়ি ব্যাবহার করতে কিন্তুক আমার সেই ছেলে আমার গাড়ি ব্যাবহার করেনি।
– আর আজকেও জান্নাতকে দেখতে যাওয়ার সময় আমার গাড়ি ব্যাবহার করতো না যদি ডানা না বলতো। সেই ছেলে আজকে এতো রাতে বেড়িয়ে গেলো আমার গাড়ি নিয়ে ।
– ছেলেটির দিকে একবার তাকিয়ে দেখেছো এই মাত্র কিছু সময়ে কি হাল করে ফেলেছে নিজের।
– হুমম দেখেছি।
– আমি চাই যে ডানা কে পাওয়ার পড় পড়েই বিয়ে দিয়ে দিবো দুজনের।
– কি করব বলো রেজনের আম্মু ওই দিকে জান্নাত ও রেজনকে না পাওয়ার কষ্টের এখন প্রায় মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছে।
– আমি এতো কিছু বুঝিতে চায় না আমার ছেলে যাকে নিয়ে হ্যাপি থাকবে আমরা তাঁর সাথেই বিয়ে দিবো।
– আমরা ওর ইচ্ছের বিরুদ্ধে কোন কাজ করব না।
– দেখি কি করা যায়।
– ওকে ।
– ঘুমাবে না?
– তুমি গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।
– আর তুমি ঘুমাবে না?
– জীবনে কি কোন দিন দেখেছো রেজন যেদিন বাহিরে থাকে সেদিন আমি ঘুমিয়ে যায়। রেজন যতক্ষণ পর্যন্ত না বাসায় ফিরে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি জেগেই থাকি। কিন্তুক রেজনকে বুঝতে দেইনি কোনদিন। কারণ বুঝতে দিলেও আমি ঘুমাই নি জন্যে হাজার কথা শুনাবে।
– তাই বলে সারা রাত জেগে থাকবে?
– দরকার পড়লে তাই থাকব।
।
শেষ রাত্রি
রেজন হটাৎই ডানাকে দেখতে পাই। ডানাকে দেখা মাত্র রেজন এক দৌড়ে ছুটে আসে ডানার আছে। ডানাকে দেখেই জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে। অন্যদিকে ডানাও কান্নাকাটি করতে থাকে। মনে হচ্ছে যেন কান্নার রোল পড়ে গেল।
– এই পাগলী কোথায় গিয়েছিলে?
– জান্নাত তোমাকে খুব ভালবাসে। তুমি জান্নাতের সাথে হ্যাপি হতে পারবে সেটা আমার সাথে হতে পারবে না। তাই আমি চাচ্ছি তোমার সুখী থাকার জন্যে হলেও আমি তোমাদের জীবন থেকে দূরে চলে আসব।
– তুমি যদি আমার জীবন থেকে চলে আসো তাইলে কি তুমি ভাবছে আমি হ্যাপি থাকবো?
– হুমম হ্যাপিই তো থাকবে।
– কখনও না। এই ডানাকে ছাড়া রেজন নিঃসঙ্গ গ্রহচারী।
– দেখো তোমার আর আমার ভালবাসা সমাজ মেনে নিবে না।
– কেন নিবে না? অবশ্যই মেনে নিবে।
– তোমার ফ্যামেলি মেনে নিবে না।
– ডানা একটা কথা রাখবে?
– কি?
– চলো না সবাইকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলি।
– এটা কেমন কথা।
– এটা এমনই কথা বিয়ে করব তো করব সেটাই ফাইনাল।
– সত্যিই?
– হুমম।
– কখন বিয়ে করছি আমরা?
– এখনই চলো যায়।
( কথা বলেই যেই মাত্র হাত ধরেছে ডানার তখনই ফরজের আযান রেজনের কানে আসতেই ঘুম ভেঙে যায় রেজনের।)
।
রেজন ডানাকে খুঁজতে খুঁজতে চোখ লেগে আসে । তারপর গাড়ি সাইট করে রেখে গাড়ির সিটে সামান্য হেলান দিতেই ঘুমিয়ে পড়ে রেজন।
রেজন ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পড়ে আবার কান্নায় জড়িয়ে পড়ে ।
চোখ মুছতে মুছতে রেজন গাড়ি থেকে নেমে মসজিদের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ার জন্যে পা বাঁড়ায়। ।
।
চলবে