#কি_ছিলে_আমার
-রূবাইবা মেহউইশ
পর্ব-১৪
নিশুতি রাতে বাড়ির প্রতিটা কোণায় কোণায় যখন নিস্তব্ধতার শো-র-গো-ল তখন ইরশাদের চোখের তারা হঠাৎ জেগে ওঠা বাঘের চোখের মতন জ্বলজ্বল করছে৷ ঘুম নেই চোখের পাতায় শুধু ঘরের অন্ধকার ভেদ করে তারা দুটি কোন এক অদূর দুশ্চি-ন্তায়। ছোট মামার জন্য ময়ূখের ঘরখানা ছেড়ে দিতে হয়েছে। মেহের আর নোরার জন্য ইরশাদের ঘরটাও ছাড়তে হয়েছে তাই দু ভাই মিলে ড্রয়িংরুমের মাঝখানে পাতা তোশকটাতেই নিজেদের বিছানা পেতেছে। বালিশ পেতে ময়ূখ রুমটাকে অন্ধকার করে চোখ বুঁজে শুয়ে আছে। ঘুম নেই তার চোখে তবে সজাগ মস্তিষ্ক বিভোর হয়ে আছে গতকাল বিকেলের ছাঁদের দক্ষিণ কোণটাতে। কাল বিকেলে সে গিয়েছিল ছাঁদ থেকে কাপড় তুলতে। তাদের জন্য নতুন রাখা কাজের বুয়াটা ঠিকঠাক কাজে আসে না বলে কখনো ময়ূখ কখনো ইরশাদ গিয়ে সন্ধ্যের আগে কাপড় ছাঁদ থেকে নিয়ে আসে। ইরশাদ না থাকায় ময়ূখ যায় গিয়েই তার চোখ আটকায় রেলিংয়ে হেলে বসা মৈত্রীর দিকে। পা দুটো সামনে ছড়িয়ে রাখা, কোলের উপর কোন উপন্যাসের বই সেই সাথে সেলফোন৷ মাথাটা কাৎ করে হেলে আছে রেলিং ঘেঁষে আর চোখ দুটো বোজা। দশ কদমের দূরত্বে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিলো গোলগাল মুখটা সরু নাকটা কেমন অহং নিয়ে পুরো মুখটাকে তীক্ষ্ণ করে রেখেছে। বোজা চোখের পাতায় ঘোর বি-ষা-দের ছাপ আচমকাই ময়ূখের বুকটাতে অসময়ি এক ঝ-ড় তুলে দিল। কয়েক সেকেন্ড আগেও যে মনটা বড় প্রফুল্লচিত্তে ফরফর করে উড়তে উড়তে ছাঁদে উঠছিল সে মনটা ওই এক টুকরো বি-ষা-দ-ময়ী মুখে তাকিয়ে ডানা জাপটানো বন্ধ করে দিলো৷ বুকের কোথাও একটা চি-নচি-নে অনুভূতি যে অনুভূতির বর্ণনা একদিন ভাইয়ের কাছে শুনেছিল। কতক্ষণ ছিল এই অনুভূতি মনে নেই তার শুধু মনে পড়ে সে নিজের অনুভূতিকে মোহ ভেবে দ্রুত পায়ে ছাঁদ ত্যা-গ করেছিল। কিন্তু আজ এই ক্ষণে মন বি-দ্রো-হ করে উঠলো, এই অনুভূতির নাম মোহ নয় অন্যকিছু। বোঝার চেষ্টা করো মন মিথ্যে বলে না।
ময়ূখ নিজের অনুভূতি বরাবরই ঠুনকো ভেবে আসছে কারণ সেতো মজার মানুষ । সুন্দরী মেয়ে দেখলে ফ্ল্যার্ট করে কথা বলা তার পুরনো অভ্যাস। এই নিয়ে তো বছর কয়েক আগেও আম্মার কাছে এক মেয়ে এসে না-লি-শ করে গেল তার নামে। মৈত্রীর ক্ষেত্রে তারচেয়ে বেশি কিছু নয় নিশ্চয়ই। গাঢ় আঁধারে সে তার ভাবনাকে এ পর্যায়ে রেখে অনুভূতিতে লা-গা-ম টেনে ঘুমের দেশে পাড়ি জমালো। ইরশাদ ছটফট করছে; ঘুম আজ তার চোখে আসতে এত বাহানা করছে কেন! নোরার কথাগুলোই কেন এত ঘুরপাক খাচ্ছে মন-মগজ সবটাতে! আবার মনে পড়ে সেসব মুহূর্তগুলোও যেগুলোতে মৈত্রীর অ-স্বা-ভাবিক দৃষ্টি, পরিবর্তনীয় আচরণ৷ আর কারো সামনে তো সে তেমন দৃষ্টি দেখেনি শুধু মাত্র তার সাথের একলা মুহূর্তে মৈত্রীর চোখের ভাষা ভিন্ন দেখেছে। এর মানে কি নোরা যা বলছে তাই সত্যি! না না এসব কিছুই নয় মৈত্রীই মানুষটাই একটু অন্যরকম। অ-স্থি-র ভাবনায় নিজেকে মগ্ন রাখতেও অস্ব-স্তি হচ্ছে ইরশাদের। ময়ূখের দিক থেকে পাশ ফিরে চোখ বুঁজে ফেলল। ঘুমটাই একমাত্র পথ এমন ভাবনাগুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখার। যে ভুল বছর দশ আগে করেছে সে ভুলে আর জ-ড়ি-য়ে পড়ার মানে হয় না৷ এমনিতেও তো সে আম্মুর কাছে ওয়াদাবদ্ধ জীবনে কখনো কাউকে ভালো লাগলে সরাসরি বিয়ে করে সংসারী হবে। অথবা আম্মু নিজে কারো কথা বললে তাকেই বিয়ে করবে। তবে আম্মুই কেন জানি পাঁচটা বছর এমন কথা বলেও নিজে থেকে আগাননি পাত্রী খোঁজার কাজে। হয়ত আম্মু চান ইরশাদ যাকেই জীবনসঙ্গী করে নিজে থেকে করুক যেন কখনো মন থেকে জীবনসঙ্গীনির প্রতি বিতৃ-ষ্ণা প্রকাশ না করতে পারে আর আম্মুকেও যেন কোন কথা না শোনাতে পারে।
ঘড়ির কাঁ-টা টিকটিক করে নৈশব্দকে খানখান করে দিচ্ছে শীতল ঘরটাতে। নোরার চোখে ক্লান্তির ঘুম নামছে কিন্তু মেহেরের ছ-টফ-ট আর বারবার পাশ ফিরতে গিয়ে কম্বল টানাটানিতে বিরক্ত হয়ে গেল সে। কিছুক্ষণ চুপচাপ স-হ্য করলেও এবার বেশ রে-গে শোয়া থেকে উঠে বসল৷ চোখ-মুখ কুঁ-চ-কে বি-রক্তি-র সাথে বলে বসল, “হোয়াট’স ইউর প্রবলেম গার্ল? আ’ম সো টায়ার্ড মেহের স্লিপি অলসো…প্লিজ ডু নট ডিস্টার্ব মি!”
“স্যরি নোরা আপু। আমার ঘুম পাচ্ছে না।”
“হোয়াই?”
“প্লিজ নোরা আপু তুমি কি একটুখানে জেগে থেকে আমার মনের কথাগুলো শুনবে? আমার তো বড় আপু তুমিই একমাত্র তাইনা! বান্ধবীদের সাথে সব শেয়ার করি কিন্তু তারা আমাকে ঠিকঠাক বুদ্ধি দিতে পারে না প্লিজ তুমি হেল্প করো একটু। আর অবশ্যই সব বাংলায় বলবে আমি ইংলিশে সবটা বুঝতে পারবো না।”
“হ্যাঙ্গ অন,, হোয়াট ইউ…. আই মিন, কি বলব, কি বোঝাব আর কি হেল্প করব?”
“আমি একজনকে ভালোবাসি সেটা নিয়ে কিছু কথা জানতে চাই, বলতে চাই তুমি কি আমাকে একটু হেল্প করবে?”
ঘরময় অন্ধকার ঘাপটি মেরে চোখের সামনে সবটা কালো করে রেখেছে৷ নোরার চোখ খোলা তবুও সামনে কিছুই দেখতে পাচ্ছে না এই আঁধারে এমনকি তার গা ঘেঁষে বসা মেহেরকেও না৷ বালিশের পাশ হাতড়ে মোবাইলটা নিয়ে টর্চ অন করতেই গাঢ় অন্ধকারে চির ধরলো। বিছানা থেকে ঘরের সিলিং পর্যন্ত আলোয় পরিষ্কার সবটা। ততক্ষণে চোখের কা-ন্তিকর ঘুমটাও পালাই পালাই করছে। নোরা ভালো করে তাকানোর চেষ্টা করলো মেহেরের দিকে৷ তার মুখটা দেখে আন্দাজ করা যায় বয়সটা অথচ নোরা যখন পনেরো, ষোলো ছিল তখন তাকে দেখে মনে হতো বিশ-বাইশের যুবতী মেয়ে। সে বয়সেই তার দুই কি তিনটা ব্রে-কা-প হয়ে গেছে। কিন্তু তখনও সে ভালোবাসা শব্দটা ব্যবহার করতো না কারণ তার কাছে ভালোবাসা শব্দের কোন অর্থ ছিলো না। যা ছিল তা বয়ফ্রেন্ড -গার্লফ্রেন্ড রিলেশন৷ ইন রিলেশন একটা ছেলের সাথে ডেট, কি-স এসবই তবে তার বান্ধবীরা কেউ কেউ তারও অধিক এগিয়েছে নিজেদরই পরিবারের অবাধ সুযোগ পাওয়ায়। নোরার এইটটিন হওয়ার পর মম সুযোগ দিয়েছিলো কিন্তু তা কাজে লাগেনি পাপার নজরদারিতে আর তারপর দেশের এক ব-দমে-জাজি ছেলে আর ফুপুর বিভিন্ন কথাবার্তার জন্যই সে এখনও ভা-র্জি-ন। কিন্তু আজ মেহেরের মুখে অত বড় একটা শব্দ শুনে তার কেমন মায়া মায়া হলো মেয়েটার প্রতি৷ তাইতো চোখের ঘুমকে পাত্তা না দিয়ে মুখোমুখি বসলো মেহেরের৷ বড় বোন সে এই মেয়েটির। আপন চাচার মেয়ে অথচ এর সাথে তেমন গভীর কোন সম্পর্ক অনুভবই করেনি সে৷ তবে আজ তার ভালোবাসার নামেই হয়ত বোনের ভালোবাসাও জাগলো। সে মেহেরের হাতে একটা হাত রেখে বলল, “বলো, ভালোবাসার গল্পটা।”
“গল্প তো এখনো তৈরি হয়নি আপু৷ আমি ভালোবাসি তাকে কিন্তু সে আমার চেয়ে অনেক বড় তাই সাহস পাই না জানাতে। ভাই বলেছে সে জানতে পারলে আমাকে বকবে। প্রেমিকা হিসেবে মানবে না কখনো।”
“হোয়াট দ্য… আহ্…. মানে কি করে সে ছেলে, আমাদের পরিচিত নাকি স্কুল অথবা অন্য কোথাও দেখেছো?”
“আমাদের পরিচিত আমাদের সবার কাছের।” কথাটা বলার সময় মেহের মাথা নিচু করে নিলো। নোরা খেয়াল করলো মেহের কথা বলতে বলতেই কেমন কাঁচুমাচু করছে। নোরার জানা নেই এ দেশে তাদের আত্মীয় কেমন আছে আর ক’জন আর না মেয়েরের মায়ের বাবার বাড়ির আত্মীয়দের চেনে। সে শুধু তার ফুপির শ্বশুরবাড়ির লোকদের চিনে সেখানে বেড়ানোর কারণেই। তবে মেহের বলছে তারও পরিচিত তার মানে…. মিনিট গড়িয়ে গেল কিন্তু নোরা কিছুতেই আন্দাজ করতে পারলো না ছেলেটা কে হতে পারে। সে নাম জানতে চাইলো৷ মেহের বলল, আমাদের খুব কাছের তো একজনই আছে আপু৷ সে একজন ব্রো-কে-ন মানুষ আর এজন্যই বোধহয় আমি তাকে ভালোবাসি। তার চুপ থাকা, হঠাৎ হেসে ওঠা আবার…”
“এ্যাই ওয়েট মেহের৷ হোয়াট ইউ সে ইউ নো!”
নোরা যেন আঁতকে উঠলো মেহেরের ভালোবাসার মানুষটিকে চিনতে পেরে। তার রীতিমতো মাথা ঘুরাচ্ছে ভাবতেই মেহের এমন একজনকে কি করে ভালোবাসছে বলছে! সে আবারও বলে বসলো, “ব্রো কে নিয়ে কি করে ভাবতে পারো মেহের৷ ডু ইউ হ্যাভ এনি আইডিয়া ব্রো’র বয়স কত?”
“উফফ এমন করে রি-য়া-শন দিও না নোরা আপু। বান্ধবীরাও তো এমন করে সেজন্যই তো তোমাকে জানালাম যেন আমাকে হেল্প করতে পারো।”
অ-ধৈ-র্য্য গলায় বলল মেহের। নোরার তখনও বি-ষ্ম-য় কা-টেনি। মেহের তো বয়সে নোরার থেকেই প্রায় দশ বছরের ছোট সেখানে ইরশাদ তেরো। তার ওপর ইরশাদ বরাবরই মেহের, নোরা আর ময়ূখের কাছে আপন বড় ভাইয়ের মতই আচরণ করেছে সেখানে মেহেরের এমন প্রেমে পড়া সত্যিই হ-ত-বুদ্ধি করল নোরাকে। সে তার বিষ্ময় কাটিয়ে মেহেরের দিকে তাকিয়ে বলল, “লিসেন মেহের, এই যে আমাকে বললে কথাগুলো এগুলো এখানেই বা-ক্সব-ন্দি করে ফেলো৷ প্রথমত তোমার মুখে এগুলো শুনলে ব্রো তোমাকে সবসময় মাথায় টোকা স্যরি ঠোকা ওই যে আঙ্গুল দিয়ে মাথায় মা-র-তো না সেটা এবার আঙ্গুলের পরিবর্তে হাতের তালুতে মারবে সোজা তোমার গালে। চুপচাপ ঘুম দাও সকালে উঠে ব্রো’র দিকে তাকিয়ে তিনবার তওবা করবে। ওই যে ফুপি বলে না তওবা করলে পাপ থাকে না। তোমারও থাকবে না।”
“নোরা আপু এমন বলছো কেন? আমি তো আর কিছুদিন পরই এসএসসি পরীক্ষা দেব। তখন তো আমি আরেকটু বড় হয়ে যাবো। আমার এক ফ্রেন্ড এর বিয়ে ঠিক কলেজে পরীক্ষা দিলেই বিয়ে…”
মেহেরকে থামিয়ে দিয়ে নোরা বলল, “আর তাই তুমিও ভাবছো ব্রো তোমাকে বিয়ে করে নিবে কারণ তোমার বান্ধবী তো কলেজে উঠেই সংসার করবে তুমিও তাই ভাবছো! সিরিয়াসলি মেহের! আমি এক্ষুনি ব্রো’কে ডেকে বলছি সব তোমার বিয়ের শখ এখনই মিটিয়ে দিবে।”
“আপুওওও তুমি এত খা-রা-প কেন? তুমি যে ভাইকে ভালোবাসো সেটা কিন্তু আমি বলে দেব সবাইকে।”
“রিয়্যালি!”
” এখন ক্লিয়ার হলো ব্যাপারটা… গুড নাইট ডিয়ার।”
ফোনের টর্চ অফ করেই নোরা শুয়ে পড়লো কম্বল জড়িয়ে। তার ধারণাই ঠিক মেহের ইম্যাচিউর তাই এটা তার ভালোবাসা কিছুতেি হতে পারে না। শাদ ব্রো তার জন্য শুধুই আবেগ। হয়তো জীবনের প্রথম মোহ শাদ ব্রো তবে এটা একসময় নিশ্চিত কেটে যাবে সো নো ওয়্যারি এবাউট হার৷ নিজেি নিজেকে কথাগুলো মনে মনে শুধিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করলো নোরা। মেহের হতভম্ব হয়ে বসে আছে তখনও।
রাত বারোটা বাজতে চলল মৈত্রীর ঘুম আসছে না। শেলীর মুখে সন্ধ্যায়ই শুনেছে ইরশাদের মামা আর মামাতো বোনেরা এসেছে বেড়াতে। কিন্তু কথা হলো, দুটো মেয়ে এসেছে তার মধ্যে যে মেয়েটা প্রায় তার বয়সী সে সারাক্ষণই ইরশাদের বেলকোনিতে আসছিল, যাচ্ছিলো। কিন্তু কেন! মনের ভেতর দুটো জিনিস খুব অ-রা-জ-কতার সৃষ্টি করছে খুব৷ এক সেই শ্বেতাঙ্গীনি আর দুই ইরশাদের কথাগুলো। মৈত্রী সেদিন ছাঁদে মৈত্রী নিজে থেকে রু-খে-ছি-ল ইরশাদকে৷ অবচেতন মন আবদার জানিয়েছিল মানুষটার সামনে কিছু সময় বসার। বাতাসের তীব্র হিমকে উপেক্ষা করেই ইরশাদ দাঁড়িয়েছিল রেলিংয়ের পাশে৷ মৈত্রী অনেকটা সময় চুপচাপ যখন কা-টি-য়ে দিচ্ছে তখন ইরশাদ নিজেই বিভিন্ন প্রসঙ্গ টেনে কথা বলল৷ একসময়ে ইরশাদ দ্বিতীয় বারের মত মৈত্রীর সর্বসময় মৌন থাকার কারণ জানতে চাইলে সে বড় দ্বি-ধা মিশিয়ে জবাব দিয়েছিল, “মুখ খুললেই আপন মানুষ হারিয়ে যায়। চুপ থেকে যদি আপন আর প্রিয় মানুষগুলোকে আশপাশে পাওয়া যায় তবে চুপ থাকাটাই শ্রেয়।”
ইরশাদ তার কথার সম্পূর্ণ বিরোধিতা করে বলেছিল, “ভুল জানো মেয়ে, চুপ থাকা মানেই দূরত্বের সৃষ্টি। প্রিয় মানুষগুলোর কাছে অনুভূতিরা পৌঁছায় না আর তাতেই হারিয়ে যায় সেই মানুষগুলো। কখনো অনুভূতি লুকানোর চেষ্টা করবে না এতে তোমার প্রিয়রা কখন যে অন্যের প্রিয় হয়ে উঠবে টেরই পাবে না৷” ইরশাদ কথাগুলো বলার সময় তার কণ্ঠ কেমন ধরে এসেছিল তা বুঝতে একটুও ভুল হয়নি মৈত্রীর। তার বুকের কাছে কোথাও একটু চিনচিনে ব্যথার উদ্রেক হয়েছিল ইরশাদের বি-ষ-ন্ন-তা-র আভাস পেয়ে।
চলবে
(মন্তব্য চেয়ে চেয়ে নিতে হয় 🥺)