কৃষ্ণগোলাপ পর্ব -১০

#কৃষ্ণগোলাপ
লেখিকা-জান্নাতুল ফারিয়া প্রত্যাশা

১০.
ঐচ্ছির চোখের কোণে টলমল করছে স্বচ্ছ জল। এই বুঝি টুপ করে গাল বেয়ে ঝরে পড়বে সেই জল। তাহেরা বেগম কর্কশ গলায় বললেন,

‘কার অনুমতি নিয়ে তুই বাইরে গিয়েছিলি, ঐচ্ছি?’

সাইভিদ ক্ষেপা কন্ঠে বলে,

‘তুমি এমন কেন করছো খালামনি? ও তো আমার সাথে বাইরে গিয়েছিল।’

তেতিয়ে উঠেন তাহেরা বেগম। চোখ গরম করে সাইভিদের দিকে তাকিয়ে খসখসে গলায় বলে উঠলেন,

‘কেন যাবে তোমার সাথে? ওর এখন বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে, এতই যদি ওর ঘুরতে মনে চায় তো হবু বরের সাথে ঘুরবে। তোমার সাথে কেন সে ঘুরবে?’

সাইভিদ অবিশ্বাস্য চোখে তাহেরা বেগমের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। তার খালামনি তো আগে কখনো এরকম ব্যবহার করেননি। আজ হঠাৎ উনার কি হলো? ঐচ্ছিকে মেরেছে পর্যন্ত। তার সাথে একটু ঘুরতে যাওয়ায় এতটা রেগে কেন গেলেন তিনি? এমন তো নই যে উনি সাইভিদকে বিশ্বাস করেন না। বিশ্বাস করেন, নিজের ছেলের মতো ভালোবাসেন তাকে। তাহলে?

ঐচ্ছির মা বাবার প্রথম সন্তান ছেলেই ছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত খুব ছোট বেলাতেই ছেলেটা পানিতে পড়ে মারা যায়। আর তার প্রায় দুই বছর পর ঐচ্ছি জন্মে। ঐচ্ছির ভাই আর সাইভিদ সমবয়সীই ছিল। ছেলে মারা যাওয়ার পর সাইভিদকেই নিজের ছেলের মতো ভালোবাসতে শুরু করেন তাহেরা বেগম। আর সেই খাতিরে ঐচ্ছি আর সাইভিদের সম্পর্কটাও বেশ গভীর ছিল। সাইভিদের মা তো চেয়েছিল ঐচ্ছিকে তার ছেলের বউ বানাবে। ঐচ্ছির মা বাবারও তাতে মত ছিল। কিন্তু হুট করেই যে একদিন কি হলো, তাহেরা বেগম ফোন করে তার বোনকে জানালেন ঐচ্ছির জন্য পাত্র পছন্দ করা হয়ে গিয়েছে। অতি শীঘ্রই তারা ঐচ্ছির বিয়ে দিবেন। তানিয়া জুবায়ের সেই সময় তার বোনকে বোঝান, ছোট বেলার তাদের বলা কথাগুলো মনে করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাহেরা বেগম তা নিদারুণ ভাবে অস্বীকার করেন। তিনি পরিষ্কার ভাষায় তানিয়াকে জানিয়ে দেন, এসব পুরোনো কথা, মজার ছলে বলেছিলেন হয়তো। বরনচো এখন উনারা যার সাথে ঐচ্ছির বিয়ে ঠিক করেছে তার সাথেই ঐচ্ছির বিয়ে হবে। এই নিয়ে হালকা পাতলা কথা কাটাকাটিও হয় দুই বোনের মাঝে। কিন্তু তানিয়া জুবায়েরও শেষমেশ বাধ্য হয়ে হলেন, অগত্যাই মেনে নিলেন সবটা।

সাইভিদ হতভম্ব। সে যেন তার খালামনিকে ঠিক চিনে উঠতে পারছে না। সাইভিদের চোখ মুখে ছেয়ে আসে বিষন্নতা। তার খালামনি এত ছোট্ট একটা বিষয় নিয়ে এত রিয়েক্ট কেন করছে? হুট করেই এতটা বদলে গেলেন কি করে তিনি? সাইভিদ থমথমে মুখে চেয়ে রইল কিছুক্ষণ। ঐচ্ছি গালে হাত দিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। সাইভিদের মা বাবা তাহেরা বেগমকে বোঝাচ্ছেন। ঐচ্ছির বাবা এক কোণে থম মেরে বসে আছেন। তিনি এই রুমে আছেন কি নেই সেটাও বুঝা যাচ্ছে না। এক নিদারুণ আত্মসম্মান বোধ সাইভিদের মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। এখানে আসার পর থেকেই সে অপমানিত হয়ে যাচ্ছে। প্রথমে ঐ রাফসান আর এখন তার খালামনি। শরীরের রক্ত গরম হয়ে উঠে তার। কপালের শিরা ফুলে উঠে। নাকের পাল্লা ফুলিয়ে সে উবলে উঠে বলে,

‘মা, ব্যাগ প্যাক করো। আমরা আজই ঢাকা ব্যাক করবো।’

কথাটা বলেই হনহন করে রুম থেকে বেরিয়ে যায়, সাইভিদ। ঐচ্ছিও দৌঁড়ে নিজের রুমে চলে আসে। ভেতর থেকে দরজা লক করে দিয়ে মেঝেতে বসে কাঁদতে থাকে সে। মা কিভাবে তার গায়ে হাত তুলতে পারলো। তাও এই সামান্য বিষয় নিয়ে। গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে ইচ্ছে করছে তার। যবে থেকে ঐ জ্বীনটা তার জীবনে এসেছে তবে থেকে সে আর ভালো নেই। প্রত্যেকটা মুহুর্ত তার কষ্টে কাটছে। ঐচ্ছি ঠোঁট কামড়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। ফরসা নাকটা লাল টুকটুকে হয়ে গিয়েছে। চোখের অবিরাম ধারা বয়েই চলছে। এর যেন কোনো শেষ নেই।

_____________________

রাত একটা। কিছুক্ষণ আগেই সাইভিদরা বেরিয়ে গেছে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে এখনো কাঁদছে ঐচ্ছি। সাইভিদের জেদ সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই অবগত সে। সে যখন বলেছে থাকবে না তার মানে থাকবেই না। ঐচ্ছির মা বাবাও তাদের আটকালো না। ঐচ্ছি বিস্মিত। তার মা বাবা এতটা বদলে গেলো। গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়া পানিগুলো হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে সযত্নে মুছে নিচ্ছে ঐচ্ছি। বুকের ভেতরটা খাঁ খাঁ করছে তার। যাওয়ার আগে সাইভিদ একবারও ঐচ্ছির দিকে তাকায়নি। ঐচ্ছির কষ্ট হচ্ছে। নাক টেনে গ্রিলটার সাথে মাথা ঠেকিয়ে দাঁড়ায় সে। আকাশের কালো চাদরের আদলে এক দুটো তারা মিটমিট করে জ্বলছে। ঐচ্ছির সিক্ত দৃষ্টি সেদিকেই। একটা ভোঁতা শব্দ কানে আসতেই পিটপিট করে নিজের বিছানার দিকে তাকায় ঐচ্ছি। ফোন বাইভ্রেট করছে। তার থেকে বদ বদ করে আওয়াজ আসছে। কাছে যায় ঐচ্ছি। ফোনের দিকে ঝুঁকে তাকতেই দেখে তার ফোনে কেউ কল দিচ্ছে। নাম্বারটার দিকে কিছুক্ষণ ঘোলা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেই মনে পড়ে নাম্বারটা কার। শক্ত হয়ে উঠে ঐচ্ছির মুখ। রাগে ঘন ঘন নিশ্বাস ফেলছে সে। নাক ফুলাচ্ছে। দাঁতে দাঁত পিষছে। ফোনটা আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলতে ইচ্ছে করছে তার।

একের এক কল দিয়ে যাচ্ছে রাফসান। সে খুব ভালো করেই জানে ঐচ্ছি ফোনের সামনেই আছে ইচ্ছে করেই কলটা পিক করছে না। রাফসানও নাছোড় বান্দা। ছাড়বে না, রিসিভ ঐচ্ছিকে করতেই হবে। এই নিয়ে ২২টা কল। অথচ ঐচ্ছি এখনো কলটা রিসিভ করছে না। ২৩, ২৪, ২৫ রাফসান অধৈর্য হলো না। ২৬ নাম্বার কল দিতেই ওপাশ থেকে কলটা রিসিভ হলো। রাফসান নিরব, ঐচ্ছিও নিরব। প্রায় পাঁচ মিনিট চললো সেই নিরবতা। নিরবতার এই রেশ কাটলো ঐচ্ছির ভয়ংকর চিৎকারে,

‘কল দিয়ে মরে গেছেন নাকি? কথা বলছেন না কেন?’

রাফসান শান্ত। চুপ থাকল কিছুক্ষণ। ফোঁস করে একটা নিশ্বাস ফেলে নরম গলায় বললো,

‘কাঁদছেন, ঐচ্ছি?’

ঐচ্ছির একরাশ রাগে এখন অভিমান এসে হানা দেয়। চোখের পাল্লা ভারি হতে থাকে তার। কন্ঠস্বর বসে যায়। ভেজা গলায় বলে,

‘আপনি আমার মা বাবার সাথে কি করেছেন বলুন তো?’

ওপাশ থেকে আবারো কিছুক্ষণ নিরবতা কাটিয়ে রাফসান ক্ষীণ সুরে বললো,

‘কেন, কিছু হয়েছে?’

ঐচ্ছির ঝাঁঝাল গলায় জবাব দেয়,

‘এমন ভাব দেখাচ্ছেন যেন কিছু জানেন না। সব কিছুতে তো আপনার জন্যই হচ্ছে। কি করেছেন আমার মা বাবার সাথে, বলুন? তাদের আচরণ পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। আমি আমার এই মা বাবাকে চিনতেই পারছি না। কেমন হয়ে গেছেন উনারা। আপনি কি করছেন উনাদের সাথে রাফসান? কেন উনারা আমার সাথে এমন আচরণ করছে?’

রাফসান শান্ত গলায় জবাব দেয়,

‘খারাপ তো কিছু করেননি। আপনি আর সাইভিদ এক জন অন্যজনকে পছন্দ করেন, সেটা আপনার মা বাবাও জানেন। আর এখন যেহেতু আপনার বিয়ে আমার সাথে ঠিক হয়ে গিয়েছে সেহেতু আপনার পছন্দের মানুষের সাথে এখন ঘুরে বেড়ানো টা আপনার মা বাবা পছন্দ করবেন না এটাই স্বাভাবিক।’

ঐচ্ছি ক্ষেপে যায়। তেতিয়ে উঠে বললো,

‘আপনাকে এসব কে বলেছে? সাইভিদ ভাইয়া আর আমি একজন অন্যকে পছন্দ করি সেই জন্য তার সাথে ঘুরতে যাওয়াতে মা রেগে গিয়েছে? বোকা পেয়েছেন আমাকে যে যা বুঝাবেন তাই বুঝবো?’

রাফসান নিরবে নিশ্বাস নেয়। মনের ভেতরে বদ্ধ রাগটাকে খুব কষ্টে নিজের মধ্যে চেপে রেখেছে সে। রুদ্ধশ্বাস কন্ঠে সে ঐচ্ছিকে বললো,

‘ঐচ্ছি, আমি সব জানি। সাইভিদের উপর যে আপনার দুর্বলতা আছে সেটা আমি প্রথম দিনই বুঝতে পেরেছিলাম। সাইভিদ থেকে দূরে থাকবেন ঐচ্ছি। অযথা উনাকে আমাদের মাঝে টেনে আনবেন না, তাতে উনারই ক্ষতি। আশা করি আমার কথাটা আপনি বুঝতে পেরেছেন।’

ঐচ্ছি চিৎকার দিয়ে বলে,

‘না বুঝিনি আর বুঝতে চাইও না। আপনি যবে থেকে আমার জীবনে এসেছেন তবে থেকেই আমার কষ্টের শুরু। আপনার জন্য আমি ভালো থাকতে পারছি না। কষ্ট হচ্ছে আমার। ভীষণ কষ্ট। আপনি আমাকে ভালো থাকতে দিচ্ছেন না, রাফসান। আমাকে এত কষ্ট দিয়ে আপনার কি এত শান্তি লাগছে বলুন তো? কেন এমন করছেন? বন্ধ করুন এসব, প্লিজ।’

ঐচ্ছি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। তার কান্নার মৃদু ঝংকার রাফসানের বুকে তীরের মতো গিয়ে বিঁধে। তারও তো কষ্ট হচ্ছে। নিশ্বাস আটকে আসছে। অনেকক্ষণ যাবৎ ঐচ্ছি কাঁদল। রাফসান খুব মনোযোগ দিয়ে ঐচ্ছির সেই কান্নার ধ্বনিগুলো শুনলো। জোরে একটা নিশ্বাস টেনে রাফসান বললো,

‘কান্না থেমেছে আপনার?’

ঐচ্ছি কোনো প্রতুত্তর করলো না। বার বার খালি নাক টানছে।

রাফসান মৃদু হেসে বললো,

‘আপনার প্রেম বিরহে যে আমিও ভীষণভাবে জ্বলছি প্রেয়সী। কষ্ট তো আমারও হচ্ছে। আপনাকে না পাওয়ার কষ্ট।’

ঐচ্ছি গলা ঝেড়ে তেজ দেখিয়ে বললো,

‘কে বলেছে আপনাকে কষ্ট পেতে? কে বলেছে আমাকে ভালোবাসতে? কেন ভালোবাসলেন আমায়? আমাকে ভালো না বাসলেই তো আর এত কষ্ট পেতেন না।’

রাফসানের অধরে ফুটে তাচ্ছিল্যের হাসি। মৃদু সুরে বলে,

‘মনের উপর কি কারো হাত আছে ঐচ্ছি? আমার মন তার আদলে আপনার জায়গা করে নিয়েছে। সেখান থেকে যে আমি চাইলেও আপনাকে বের করে দিতে পারবো না।(চুপ থেকে) একটু ভালোবাসাও কি আমায় দেওয়া যায় না , ঐচ্ছি? আমি কি এতটাই অযোগ্য?’

ঐচ্ছি কিছুটা ঠান্ডা হয়। নরম সুরে বলে,

‘জানেন ছোটবেলায় আমি একবার শুনেছিলাম সাইভিদ ভাইয়ার সাথে নাকি আমার বিয়ে হবে। সেদিন যে আমি কি খুশি হয়েছিলাম! সাইভিদ ভাইয়াকে ছোট বেলা থেকেই আমার পছন্দ। মারাত্মক ব্রিলিয়েন্ট স্টুডেন্ট ছিলেন উনি। আর দেখতেও ছিলেন মাশাল্লাহ। ইন্টার শেষ করেই দেশের বাইরে চলে যান। দেশে থাকা অবস্থায় উনার সাথে আমার সম্পর্ক বেশ ভালো ছিল। কিন্তু আমাদের মাঝে কোনোদিন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেনি। তবে দুজনেই মনে মনে দুজনকে পছন্দ করতাম। তারপর উনি চলে গেলেন বিদেশ। ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়তে থাকে। খুব একটা কথাই হতো না তখন উনার সাথে আমার। তারপরও আমার পছন্দের তালিকায় তিনি ছিলেন। আর আমি মনে মনে এও ভেবেছিলাম যে উনি বিদেশ থেকে ফিরলেই হয়তো আমাদের বিয়ে হবে। উনিও হয়তো তাই ভেবেছিলেন। কিন্তু মাঝখানে এলেন আপনি। সবকিছু বদলে গেল। মা বাবা জেদ ধরলো, আমাকে বিয়ে দিতে হলে আপনার সাথেই দিবে। আর কারো সাথে না। খালা, খালু আর সাইভিদ ভাইয়াও বাধ্য হয়ে মেনে নিল বিষয়টা। আমিও নিজেকে বুঝিয়ে উঠি। মা বাবা সন্তানের ভালোর কথা ভেবেই সবকিছু করেন। আপনাকে দেখে আমারও পছন্দ হয়। কিন্তু যখন জানলাম আপনি মানুষ নন, একটা জ্বীন তখন আমার সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। গা শিউরে উঠে। কিভাবে সম্ভব বলতে পারেন? মানুষ হয়ে জ্বীনের বউ হওয়া! সাইভিদ ভাইয়াকে আমি পছন্দ করতাম ঠিক আছে। কিন্তু সেই পছন্দ ভালোবাসার রূপ ধারণ করার আগেই উনার আর আমার মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। ভেবেছিলাম মা বাবার পছন্দের ছেলেকেই বিয়ে করবো। ভালোবাসলে তাকেই বাসবো। কিন্তু, কিন্তু এখন আর ভালোবাসতে পারছি না। ভয় ছাড়া আর কোনো অনুভূতিই আপনার প্রতি আমার মনে আসছে না। এটাই স্বাভাবিক নয় কি? মানুষ বড়জোর একটা জ্বীনের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারে, কিন্তু বিয়ে, সংসার এসব কি করে পসিবল বলুন তো? কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এই বিষয়টা কখনোই মেনে নিবে না। সায়মাও সবটা শুনে ভয়ে রীতিমতো ঘাবড়ে যায়। আরেকটু হলে বেচারি সেন্স হারাতো। এটা কেউই মেনে নিবে না রাফসান। নেহাতই আমার মা বাবাকে আপনি আপনার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গিয়েছেন তাই তারা আপনার কথাই বলছে। উনারা যদি এখন সুস্থ থাকতো তাহলে মরে গেলেও এই বিয়েতে রাজি হতো না।’

জোরে দম ফেলে ঐচ্ছি। অনেক কিছু বলে ফেলেছে সে। তবে সে জানে রাফসান এসবের কিছুই বুঝবে না। একটা আশিকী জ্বীনকে বোঝানো এত সহজ না। ভয় হয় ঐচ্ছির, বিয়েটা বন্ধ করার যে আর কোনো উপায়ই সে দেখছে না।

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here