ক্রাশ ডাক্তার বউ পর্ব ২২+২৩

22+23
#ক্রাশ_ডাক্তার_বউ
#Writer_Sarjin_Islam [সারজীন]
#Part:22
অনুষ্ঠানে প্রায় সবাই এসে গেছে। সারা রোদ আর রোদ্রির হাত ধরে আস্তে আস্তে হেটে সিড়ি দিয়ে নামছে। ওদের তিন জনের দিকে সবাই এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।মাহিরের পৃথিবী থমকে দাঁড়ায় সারা কে দেখে।আজ সারা কে দেখে মাহির যখন সারা কে এভাবে সাজিয়ে দিতো সে দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়। রোদ আর রোদ্রি কে ছোট কোনো রাজকন্যা আর রাজপুত্রের মতো লাগছে। মাহির এগিয়ে গিয়ে ওদের নিয়ে আসে। রোদ আর রোদ্রি কে একে একে সবাই শুভেচ্ছা জানায়। মাহির কিছুক্ষণ পর পর সারার দিকে তাকাচ্ছে। মাহির বুঝতে পারে না সারা তো এখন আর ওকে ভালোবাসে না তাহলে ওর পছন্দ মত সেজেছে কেনো? এমনকি খোঁপায় সাদা গোলাপ ও দিয়েছে।
.
এবার রোদ আর রোদ্রির কেক কাটার পালা। সারা দিয়া,নিরা,আরো যে সব বাচ্চারা ছিলো সবাইকে কেক কাটার জায়গায় নিয়ে আসে। সারা,মাহির, রোদ আর রোদ্রি মিলে একসাথে কেক কাটে। কিছুক্ষণ এইভাবে মজায় কেটে যায় সময়। আকাশ আরফিনের সেই কথা শুনে ওর সাথে কথা বলতে গেলে আরফিন ওর সাথে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এরমধ্যে সারার পাপা সবার উদ্দেশ্যে বলতে শুরু করে।
.
পাপা : এখানে উপস্থিত সকলকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনারা জানেন আমার নাতি নাতনি মানে আমাদের সকলের চোখের মণি রোদ আর রোদ্রির জন্মদিন উপলক্ষে এই আয়োজন কিন্তু আরো একটা বিষয়ে কারনে এই আয়োজন তা হলো আমার ছোট মেয়ে জারা চৌধুরী আর আমার ছোট ভাইয়ের মেয়ে আরফিন চৌধুরী আজ তাদের এনগেজমেন্ট। আহামেদ গ্ৰুপের ফাহিম আহামেদের ছোট ছেলে আকাশ আহামেদের সাথে বিয়ে ঠিক করা হয়েছে আর জারার সাথে মির্জা গ্ৰুপের শিহাব মির্জার একমাত্র ছেলের মাহিন মির্জার সাথে জারার বিয়ে ঠিক করা হয়েছে। আপনারা সবাই ওদের জন্য দোয়া করবেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই এনগেজমেন্টের অনুষ্ঠান শুরু হবে ততক্ষণ আপনারা পার্টি ইনজয় করুন।
.
আরফিন আর জারার বন্ধুরা এসে ওদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। কেউ কেউ বলছে ওদের এই বিষয়ে আগে কেনো বলেনি। জারা আর আরফিন বোকার মত দাঁড়িয়ে আছে। সারা ওদের পরিস্থিতি বুঝে ওদের সবটা বুঝিয়ে বলে। জারা আর আরফিন রাগে বড় বড় নিঃশ্বাস নিতে থাকে। ওদের আগে জানালে এমন কি ক্ষতি হতো। এদিকে আকাশ ওর বাবা,ভাই, ভাবীর কথা বলতে পাশের একটা রুমে চলে যায়।
.
আকাশ : বাবা ওখানে ঐ আঙ্কেল টা তখন কি বলছিল আজ না কি আমার এনগেজমেন্টে?
.
ফাহিম আহামেদ : ঠিকই বলছিল তোমার ঐ আঙ্কেল টা আজ তোমার আর আরফিনের এনগেজমেন্ট।
.
আকাশ : কিন্তু আমি এসবের কিছুই জানি না। তাহলে?
.
ফাহিম আহমদ : কিছুদিন আগে তুই যখন আরফিন কে ভুল বুঝে দেবদাস হয়ে গেছিলি তখন তোর ভাই ভাবী এসব কিছু ঠিক করে নেয়।( হেসে দিয়ে )
.
আকাশ নিঃশব্দে কান্না করছে। নীলা বিচলিত হয়ে জিজ্ঞাসা করে।
.
নীলা : এই আকাশ তুই কাঁদছিস কেনো?কি হয়েছে আমায় বল।
.
আকাশ : ভাবী তোমরা আমায় এত ভালোবাসো কিছু মুখ ফুটে বলার আগেই বুঝে যাও।
.
নীলা : পাগল ছেলে কোথাকার। তোকে ভালোবাসবো না তো কাকে ভালোবাসাবো? তুই তো আমার ছেলে।
.
নিরব : অনেক হয়েছে এবার চলো ওদিকে আমাদের জন্য সবাই অপেক্ষা করছে।
.
কিছুক্ষণ মধ্যে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়। আকাশ আজ খুব খুশি তা আর ওর চোখ মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে। আরফিন আর জারা বেশ লজ্জায় পড়েছে। মাহিনকে সারা খোঁচা দিয়ে কথা বলছে। প্রথমে আরফিন আর আকাশের এনগেজমেন্ট হয় এরপর জারা আর মাহিনের। মাহিন জারা কে আংটি পড়ানো সময় বিরবির করে বলে।
.
জারা : শালার জামাই থুক্কু এখনো জামাই হয় নায়। সেই মিজাফর টা প্রপোজ না এনগেজমেন্ট করে নিয়েছে। তোকে আমি বাসার ঘরে এমন মজা দেখাবো না হলে আমি তোর বউ না।( জারার এমন কথা শুনে মাহিন মুচকি হেসে দেয় )
.
রাত বারোটা পর অনুষ্ঠান শেষে হলো।একে একে সব অতিথিরা চলে গেলেন। সারা রোদ আর রোদ্রি কে ঘুম পাড়িয়ে মাহি র কাছে দিয়ে এসেছে। এখন সময় এসেছে সারার সিদ্ধান্ত মাহির কে জানানো।সব কিছু ঠিক ঠাক করে মাহির রুমে এসে দেখে কেউ নেই।মাহিরের মামনি বাবাই ক্লান্ত থাকায় তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছে।মাহি রুম বসে আজকে অনুষ্ঠানে তোলা ছবিগুলো দেখছে। মাহির মাহি র রুমে আলো জ্বলছে দেখে ওর রুমে নক করে দেখে রোদ আর রোদ্রি ওর রুমে সারা কথা জিজ্ঞেস করলে বলে জানে না। মাহির কিছু না বলে খোঁজা শুরু করলো। খুঁজতে খুঁজতে ছাদে চলে যায়। ছাদে অন্ধকারে ভালো ভাবে কিছু দেখা যাচ্ছে না।আজ আকাশে চাঁদ নেই অন্ধকারে ডাকা। মাহির নিচে নেমে আসবে তখন চুরির ঝনকানির শব্দ পেয়ে পিছন ফিরে দেখে আবসা অন্ধকারে সারা ওর দিকে এগিয়ে আসছে। সারা গিয়ে ছাদের আলো জ্বালিয়ে এসে সারা মাহিরের হাতে একটা কাগজ বের করে দেয়। মাহির কাঁপা কাঁপা হাতে কাগজটা নিয়ে পড়ে অশ্রু ভেজা চোখে সারার দিকে তাকায়।
.
সারা : আমার মাথায় হাত রেখে এখানে যা লেখা আছে পড়ো!
.
মাহির : ১। সত্যি না জেনে তোমাকে আর কখনো সন্দেহ করবো না।
২। তোমার নামে যাই শুনি না কেনো আগে আমারা দুজনে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।
৩। তোমাকে আগে থেকেও বেশি ভালোবাসবো।
৪। কখনো লোকের কথা শুনবো না,সব সময় মনের কথা শোনবো।
৫।মাসে দুইবার তোমাদের নিয়ে ঘুরতে যাবো।
৬। আগের মত তোমাকে রোজ রাতে নিজের হাতে খাইয়ে দিবো।
৭। প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার সময় তোমাদের জন্য চকলেট, আইসক্রিম, ফুসকা আনবো।
৮। তোমার সাথে বৃষ্টির সময় বৃষ্টিতে ভিজবো।
৯। তোমার সাথে ছাদে দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখবো।
১০। তুমি রাগ করলে এক গুচ্ছ গোলাপ এনে তোমার হাতে দিয়ে জড়িয়ে ধরে বলবো ভালোবাসি।
.
মাহির থেকে এবার সারার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে।
.
মাহির : তোমার সব শর্তে আমি রাজি তাও প্লিজ তোমরা আমাকে ছেড়ে যেও না।
.
সারা মাহিরের চোখ মুছে দিয়ে মাহিরের বুকে মাথা রেখে বলে।
.
সারা : ভালোবাসি! নিজের থেকেও বেশি। তোমাকে ছাড়া এতগুলো বছর কি করে বেঁচে ছিলাম তা শুধু আমি জানি।আর কখনো আমাকে কষ্ট দিবে না তো?
.
মাহির : না বউ আর কখনো তোমাকে কষ্ট দেবো না। ভালোবাসবো! আগের থেকেও বেশি ভালোবাসবো।( সারা কে জড়িয়ে ধরে )

To be continue…🍁

#ক্রাশ_ডাক্তার_বউ
#Writer_Sarjin_Islam [সারজীন]
#Part:23
মাহির থেমে এবার সারার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে।
.
মাহির : তোমার সব শর্তে আমি রাজি তাও প্লিজ তোমরা আমাকে ছেড়ে যেও না।
.
সারা মাহিরের চোখ মুছে দিয়ে মাহিরের বুকে মাথা রেখে বলে।
.
সারা : ভালোবাসি! নিজের থেকেও বেশি। তোমাকে ছাড়া এতগুলো বছর কি করে বেঁচে ছিলাম তা শুধু আমি জানি।আর কখনো আমাকে কষ্ট দিবে না তো?
.
মাহির : না বউ আর কখনো তোমাকে কষ্ট দেবো না। ভালোবাসবো! আগের থেকেও বেশি ভালোবাসবো।( সারা কে জড়িয়ে ধরে )
.
সারা : হয়েছে অনেক ভালোবাসা। এবার নিচে চলো আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে।আজ অনেক ধকল গেছে।
.
মাহির : চলো বউ!( কোলে তুলে )
.
সারা : আরে আমি হেঁটে যেতে পারবো নামাও আমায়।
.
মাহির : এখন থেকে এক মুহুর্তে জন্য আমি তোমাকে দূরে রাখতে পারবো না।সব সময় বুকে লুকিয়ে রাখবো। এখন কথা কম বলে চলো!
.
সারা আর কিছু না বলে মাহিরের বুকে মাথা রেখে ওর সাথে যায়। মাহির সারা কে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে সারার বুকের উপর মাথা দিয়ে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ে।
.
সারা : কি হলো শুয়ে পড়লে যে দরজা দিবে না?
.
মাহির কথার উত্তর না দিয়ে বলে।
.
মাহির : বউ মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দিবে?
.
সারা আর কিছু না বলে মাহিরের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে মাহির ঘুমিয়ে পড়ে।আজ মাহির অনেক নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। না আছে কোনো চিন্তা, না আছে আপনজনকে হারানোর ভয়। সারা মাহিরের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবে।
.
সারা : ( মনে মনে অনেক তো হলো মান অভিমান।আর না। জীবনের শেষ দিন গুলি ভালোবাসার মানুষগুলোর সাথে হেসে খেলে কাটিয়ে দেবো। মাহির ও অনেক কষ্ট পেয়েছে। আমার কাছে তো রোদ,রোদ্রি ছিলো আর মাহিরের তো কাছের আপন মানুষগুলো থেকেও ছিলো না। রিয়া আর রিয়ন আমার আর মাহিরের মাঝে ভুলবোঝাবুঝি সৃষ্টি করেছে। এবার আর আমাদের মাঝে কাউকে আসতে দিবো না কাউকে না।রোদ আর রোদ্রি কে নিয়ে আমি আর তুমি ছোট্ট সুখের পৃথিবী তৈরি করবো। খুব বেশি ভালোবাসি মাহির। নিজের থেকেও বেশি।)
.
সারা আরো অনেক কিছু ভেবে মাহিরের দিকে তাকিয়ে দেখে ও ঘুমিয়ে পড়েছে। সারা মাহিরের চুলে একটা চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ে। ভালোবাসা বোধহয় এমনি হয় কষ্ট দিবে আবার বুকে আগলে রাখবে। সকল সাতটা বাজে মাহির সারা এখনো ঘুমাচ্ছে। কাল অনেক রাতে ঘুমানোর কারনে সারা সকালে নামজটা ও পড়তে পারেনি। এদিকে রোদ্রি ঘুম থেকে উঠে ওর মাম্মা কে কাছে না পেয়ে বেজায় খেপে যায়। ছোট ছোট পায়ে হেঁটে ওদের রুমে আসে।
.
রোদ্রি : পাপা। পাপা।ও পাপা।উঠুনা।
.
রোদ্রির ডাক শুনে সারার ঘুম ভেঙ্গে যায়। সারা ভালো ভাবে তাকিয়ে দেখে মাহির এখনো সারার বুকে। চোখ ঘুরিয়ে রোদ্রির দিকে তাকাতেই দেখে রোদ্রি ভ্রু কুঁচকে চোখ ছোট ছোট করে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। সারা মাহির কে সরানোর চেষ্টা করতে করতে বলে।
.
সারা : কি হয়েছে আমার পাখির? কখন ঘুম থেকে উঠছো?
.
রোদ্রি সারার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বিছানায় উঠে গিয়ে মাহির কে টানতে শুরু। মাহির হকচকিয়ে উঠে গিয়ে চারদিকে চোখ বুলিয়ে রোদ্রি কে দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলে।
.
মাহির : কি হয়েছে মা? সকল সকাল এত রেগে আছো কেনো?
.
রোদ্রি মাহির কে সরিয়ে দিয়ে ওর মাম্মার বুকে হাত রেখে বলে।
.
রোদ্রি : এখানে থুধু আমি দুমাবো মানে লোদ্রি দুমাবে আল কেউ না।
.
মাহির : কেনো মা?আমারো তো ইচ্ছে করে তোমার মাম্মার বুকে ঘুমাতে!( অসহায় ভাবে )
.
সারা সোয়া থেকে উঠে বসে বসে বাবা মেয়ের কান্ড দেখছে।
.
রোদ্রি : না মানে না থুদু লোদ্রি ঘুমাবে।( বলে সারা কে জড়িয়ে ধরে )
.
মাহির : মানে কি আমার #ক্রাশ_ডাক্তার_বউ আমি তার সাথে ঘুমাতে পারবো না?
.
অসহায় ভাবে কথাটা বলে সারার দিকে তাকিয়। সারা মাহিরের অবস্থা দেখে মুচকি হেসে বলে।
.
সারা : রোদ্রির মাম্মার বুকে শুধু রোদ্রি ঘুমাতে পারবে আর কেউ না বুঝছো রোদ্রির পাপা?তাই না পাখি?
.
সারার কথা শুনে রোদ্রি হেসে দিয়ে সারা কে জড়িয়ে ধরে। মাহির করুন চোখে সারার দিকে তাকিয়ে আছে। সারা ইশারায় মাহির কে ওর সামনে আসতে বলে। মাহির কিছু না ভেবে সারার সামনে এলে, সারা এক হাত দিয়ে রোদ্রি কে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে আর এক হাত দিয়ে মাহিরের মাথাটা একটু নিচু করে ওর কপালে একটা চুমু দিয়ে রোদ্রি কে নিয়ে মাহি র রুমে চলে যায়। মাহির সারার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে।
.
মাহির : #ক্রাশ_ডাক্তার_বউ আমার!
.
সকালে খাবার টেবিলে আর এক কান্ড ঘটে বসে। বাড়ির সবাই একসাথে খেতে বসেছে রোদ্রি তখন ও দাদুকে বলে।
.
রোদ্রি : দাদু তোমাল ছেলেটা এতু পতা কেনো?
.
রোদ্রির কথা শুনে বাড়ির সবাই একবার মাহিরের দিকে তাকিয়ে আর রোদ্রির দিকে তাকায়।
.
বাবাই : কেনো দাদু ভাই কি করেছে আমার ছেলে?
.
রোদ্রি : আমাল মাম্মার বুকে শুধু আমি দুমাই।তিন্তু তোমার ছেলে আজ আমার মাম্মার বুকে থুমিছে।পতা ছেলে কোথাকার।
.
রোদ্রির কথা শুনে সবাই মিটমিট করে হাসছে। সারা পড়েছে নিদারুণ অবস্থায় না লজ্জায় কারো দিকে তাকাচ্ছে না এখন থেকে উঠে যাচ্ছে।
.
মাহি : কেনো রোদ্রি কি হয়েছে?( মুখ টিপে হেসে )
.
রোদ্রি : থকালে থুম থেকে উঠে দেখি মাম্মার কাথে নেই। পাথে তাকিয়ে দেখি তুমি আল ভাই থুমিয়ে আথো। আমি আথে করে মাম্মার নুমে গিয়ে দেখি পাপা মাম্মার বুকে থুমিয়ে আথে। আমি পাপা কে টেনে মাম্মার কাথ থেকে থরিয়ে নিয়ে আথা কলে বকে দিয়েছি।
.
এতক্ষন সবাই মিটমিট করে হাসলেও এবার খুব জোরে হেসে দেয়।মাহি আর হিয়া সবার থেকে জোরে হেসে দেয়। সারা পড়েছে লজ্জায়।কারো দিকে তাকাতে পারছে না।মাহিরের মামনি সারা আর মাহিরের দিকে তাকিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ওদের মধ্যে সবকিছু স্বাভাবিক আছে বলে। মাহির নিজে নিজে বিরবির করে বলছে।
.
মাহির : ও আল্লাহ এ কেমন মেয়ে দিলা আমায়? আমি আমার বউয়ের সাথে ঘুমাইছি বলে বাড়ির সবার সামনে আমার ইজ্জতের ফালুদা করে দিলো।
.
দুপুরে সারা রোদ আর রোদ্রি কে গোসল করিয়ে বিছানায় দাঁড় করিয়ে ওদের জামা কাপড় পড়াছিল তখন আচমকা মাহির এসে সারা কে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। সারা মাহির কে ছাড়াতে ছাড়াতে বলে।
.
সারা : বাচ্চাদের সামনে কি শুধু করলে?রোদ্রি আবার বাড়ির সবাইকে বলে দেব কিন্তু!
.
মাহির আবার সারা কে জড়িয়ে ধরে বলে।
.
মাহির : তো কি হয়েছে আমার বাচ্চারা জানুক তাদের পাপা ওদের মাম্মা কে কত ভালোবাসে।আর তুমি বাড়ির লোকজনের কথা বলছো তারা জানে মাহির সারা কে কতটা ভালোবাসে।
.
সারা : তোমার সাথে কথায় পারবো না। তুমি জড়িয়ে ধরে থাকো আমি আর কিছু বলবো না।
.
ভালই কাটছে মাহির সারার সময়।মাহিরের ভালোবাসা ছেলে মেয়ের দুষ্টুমিতে সারার সময় যেনো তাড়াতাড়ি কাটছে। হিয়া কে মামনি আর বাবাই নিজের মেয়ের মত ভালোবাসে। রোদ,রোদ্রি,দিয়া সকলের চোখের মণি। সারা আর পনের দিন পর ঢাকার একটা হসপিটালে জয়েন করবে। একদিন বিকেলে সারা রুমে বসে রোদ আর রোদ্রির জামা কাপড় গুছিয়ে রেখে নিচে এসে সোফায় বসে থাকা ব্যাক্তিকে দেখে মাথায় রক্ত উঠে যায়।
.
সারা : মামনি এই লোকটা এখানে কি করছে?
.
মামনি : আমাকে কিছু বলেনি বললো তোর সাথে কথা আছে।
.
এরমধ্যে মাহির অফিস থেকে ফিরে এসে ঐ ব্যক্তিকে দেখে বলে।
.
মাহির : রিয়ন এখানে কি করছে?

To be continue…🍁

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here