#ক্রাশ
#পর্ব_১৮
#মুমতাহিনা_জান্নাত_মৌ
সাগর কে দেখামাত্র তার বাবা তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বের করে দিলো।
আর বললো কি দরকার ছিলো এখানে আসার?
কোন প্রয়োজন নেই তোর।
চলে যা তুই।
সাগর নিচ মুখ হয়ে থাকলো।
সে একটা কথাও বললো না।
কারন সে কথা বলার মতো কাজ করে নি।
তার বাবাকে না বলে বাড়ি চলে গিয়েছিলো।
আর এই সুযোগে সামিরা পালিয়েছে।
কারন তার বাবা সামিরার দেখাশোনা করার দায়িত্ব টা সাগর কে দিয়ে নিশ্চিন্তে বসে ছিলেন।
সাগরের দাদু তার ছেলেকে আটকালো।
আর তাকে ঘরে যেতে বললো।
তখন সাগরের বাবা বললো আপনি চুপ করেন বাবা।
আপনি আমাদের মধ্যে আসেন না প্লিজ।।
আমি ওকে বার বার বলেছি যে সাগর আজ কোথাও যাস না।
সামিরা কে একটু চোখে চোখে রাখিস।
কারন সামিরা একেবারে বেয়াদব হয়ে গেছে।
ও যেহেতু আত্নহত্যা করার সাহস পেয়েছে তাহলে ওই ছেলের হাত ধরে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতেও ভয় পাবে না।
ঠিক সেটাই হলো।
সুযোগ বুঝে পালিয়ে গেলো।
আমার মানসম্মানের বারো টা বাজিয়েই তবে ছাড়লো আমাকে।
এই মুখ আমি কি করে দেখাবো?
তখন সাগরের দাদু বললো দোষ করেছে তোর মেয়ে আর রাগ দেখাচ্ছিস সাগরের উপর?
তোর মেয়ের থেকে ও হাজারগুনে ভালো একটা ছেলে।
বাধ্য ছেলের মতো আমাদের কথামতোই বিয়ে করেছে।
আমাদের পছন্দ মতো মেয়েকেই বউ হিসেবে ঘরে তুলেছে।।
ওকে বকবি না খবরদার।
সাগরের বাবা সে কথা শুনে বললো কি লাভ হলো এতে?
আমাদের পছন্দমতো মেয়েকে বিয়ে করে কি হলো?
ঠিক সেই বউ এর কথামতো তার কাছে চলে গেলো।।
আজ ওকে কে বাড়ি যেতে বলেছিলো?
ওকে যে আমি একটা দায়িত্ব দিয়েছিলাম সেটা ও কি করে ভুলে গেলো?
আমার মানসম্মানের কথা একটা বার চিন্তা করলো না।
সাগর এতোক্ষনে কথা বলে উঠলো।
সে বললো বাবা মোহনা আমাকে ডাকে নি।
দাদী বলেছে ফোন করে।
কিন্তু কেউ বাড়িতে নেই ও একা একা কি করবে তাই মোহনাকে ওর বাড়ি পাঠাতে গিয়েছিলাম।
সাগর এই পর্যন্ত বলেই আটকে গেলো।
সে আর কিছুই বলতে পারলো না।
কারন সে তো মোহনাকে বাড়িতে আর পাঠায় নি।
ঠিক সেই সাথে করেই নিয়ে এসেছে।
তখন সাগরের দাদু বললো আচ্ছা সবাই এখন মাথা ঠান্ডা করো।
এতে কারো কোন দোষ নাই।
সব দোষ সামিরার।
ও আমাদের মানসম্মানের কথা একবার ও চিন্তা করে নি।
সেজন্য এতো বড় একটা কাজ করতে একটুও তার ভয় করলো না।।।
সবাই এবার একটু চুপচাপ থাকো।
তাছাড়া সামিরা তো বাড়িতে থাকেই না।
সবাই ভাববে ও রাজশাহীতেই আছে।
সেই কথা শুনে সাগরের বাবা বললো আপনার মাথা ঠিক আছে বাবা?
কি করে মাথা ঠান্ডা করতে বলছেন?
সামিরার কথা সবাই যদি জিজ্ঞেস করে কি বলবে?
সামিরা কই গেছে কি উত্তর দেবে?
কত দিন এভাবে লুকিয়ে রাখবে?
কারন ও তো আর সারাবছর রাজশাহীতে থাকবে না।
একদিন না একদিন সবাই জানতেই পারবে।
তখন কি করবো আমরা?
কি বলবো সবাই কে?
তারচেয়ে বরং যতদিন ওকে পাওয়া যায় নি ততদিন আমরা খুঁজতেই থাকি।
ওকে খুঁজে পেলে খুন করে ফেলবো।
অন্তত সবার সামনে কবর তো দিতে পারবো।
এই বলে সাগরের বাবা রুমে চলে গেলো।
আজ তার সাথে কেউ কথা বলতে পারছে না।
তিনি এতই রেগে আছেন।
এদিকে অনেক রাত ও হয়েছে।
মোহনা সেই থেকে ঘরের মধ্যে একা একা বসে আছে।
তার সাথে কেউ কোন কথা বলছে না।
মনে হচ্ছে অপরাধ টা সে করেছে।
তার শশুড় শাশুড়ী তো কোন কথা বলছেই না।
যার বাড়িতে এসেছে সে খালা খালুও একটিবার তার সাথে কথা বলে নি।।
মোহনা এখন কি করবে?
সে যে কেনো এলো এটাই বুঝতে পারছে না।
এদিকে সাগর কে সাথে করে তার দাদু রুমে ঢুকলো।
আর বললো মোহনা?
তুমি এই রুমে?
মোহনা বললো হ্যাঁ দাদু।
সেই থেকে এখানেই বসে আছি।
তখন সাগরের দাদু সাগরের মাথায় হাত দিয়ে বললো মন খারাপ করিস না।
তোর বাবার মাথা টা ঠিক নাই তো তাই তখন এমন আচরণ করলো।
তোর বাবার উপর রাগ করে থাকিস না।
এখন ঘুমিয়ে পড়।।
অনেক রাত হয়েছে।
এই বলে সাগরের দাদু মোহনাকে বললো তুমিও কিছু মনে করো না।
সবাই তোমাকেও দোষ দিচ্ছে।
কারন তুমি যদি এভাবে না বলে বাড়ি আসতে তখন সাগরকেও বাড়িতে যেতে হতো না।
আর সামিরাও এতো বড় একটা কাজ কিছুতেই করতে পারতো না।
পরবর্তীতে এভাবে হুটহাট কোন সিদ্ধান্ত নেবে না।
সবার থেকে পারমিশন নিয়েই তবে চলবে?
মোহনা এখন আর একটা কথাও বললো না।
কারন সে কিছু বললেই অনেক বড় হয়ে যাবে সেটা।
তার চেয়ে বরং চুপ থাকাই ভালো।।
সাগরের দাদু চলে গেলো।
কিন্তু সাগর সেই থেকে দাঁড়িয়েই থাকলো।
মোহনা বুঝতে পারছে না কি বলবে এখন সাগর কে?
কারন সে তো নিশ্চয় তার উপর ভীষণ রেগে আছে।
মোহনা তবুও অনেক সাহস নিয়ে সাগরের কাছে গেলো।
সাগর আর তাকে কি করবে?
রাগ করে না হয় দুই একটা চড় ই মারবে।
না হয় বকবে??
এর বেশি আর কি করতে পারবে সে?
এই সাহস নিয়ে মোহনা বললো সরি।
আমার ভুল হয়ে গেছে।
এভাবে না বলে তোমাদের বাড়িতে আসা ঠিক হয় নি।
সাগর কোন উত্তর দিলো না।
সে রাগান্বিত চেহারা নিয়ে বিছানায় গিয়ে বসলো।
মোহনা বুঝতে পারলো না সে কি করবে এখন?
তাই সেও চুপচাপ বিছানায় গিয়ে বসলো।
মোহনাকে বিছানায় বসা দেখে সাগর রুম থেকেই চলে গেলো।
মোহনার এবার খুব রাগ হলো।
সে মনের দুঃখে রচনার মতো ইয়া বড় একটা মেসেজ লিখে সাগর কে পাঠালো।
তারপর চুপচাপ শুয়ে পড়লো।
আর ভাবতে লাগলো কখন রাত টা শেষ হবে?
আর সে কখন তার বাড়ি চলে যাবে?
কারন তাকে কেউ যখন সহ্য করতেই পারছে না তখন সে আর কেনো এ বাড়িতে থাকবে???
তার উপর সবাই অবিচার করছে??
তাকে অসম্মান করছে??
এসব ভাবতেই হঠাৎ রুমে তার শাশুড়ী এলো।
আর বললো মোহনা উঠে এসো।
মোহনা তার শাশুড়ী কে দেখে বিছানায় উঠে বসলো।
কিন্তু বিছানা থেকে নামলো না।
তখন তার শাশুড়ী বললো কি হলো?
তোমাকে আসতে বলছি।
মোহনা সেই কথা শুনে তার শাশুড়ীর পিছু পিছু গেলো।
তার শাশুড়ী তাকে ডাইনিং রুমে নিয়ে গেলো।
মোহনা ডাইনিং রুমে গিয়ে দেখে সবাই সেখানে।
শুধু সাগর নাই সেখানে।
সামিরার টেনশনে কেউ কিছু খায় নি।
তাই সাগরের খালা আর খালু জোর করেই সবাই কে খেতে বসায়ছে।
মোহনা তা দেখে বললো মা আমার একদম খিদে নেই।
আপনারা খান।
আমি রুমে গিয়ে একটু রেস্ট নেবো।
তখন সাগরের খালা বললো না না আগেই যেও না।
অল্প একটু মুখে দিতেই হবে।
এই বলে একটা খাবারের থালা মোহনার হাতে দিলো।
আর তাকে বসতে দিলো।
মোহনার একটুও খেতে ইচ্ছে করছে না।।
কিন্তু এতো করে বলার পরেও কি করে সে না করে??
তাই অল্প একটু খেয়ে তার রুমে চলে গেলো।
রুমে গিয়ে দেখে সাগর বিছানায় শুয়ে আছে।
মোহনা সাগর কে দেখে একটা কথাও বললো না।
সে ও চুপচাপ শুয়ে পড়লো।
কিছুক্ষন পর হঠাৎ সাগর বললো এটা কি মেসেজ না রচনা লিখেছো?
মোহনা সাগরের কথা শুনে মনে মনে খুশিই হলো।
যাক বাবা এতোক্ষনে একটু কথা বললো।
কিন্তু রাগ করার অভিনয় করে থাকলো সে।
সাগর তখন বললো মেসেজ টা নিজে পড়েছিলে?
এই বলে সাগর জোরে জোরে পড়তে ধরলো।
এই কয় দিনেই আমার প্রতি এতো অরুচি আপনার?
আমাকে একটুও দেখতে পারছেন না?
অথচ আপনি বলেছেন আমাকে নাকি অনেক ভালোবাসেন?
কই গেলো আপনার সেই ভালোবাসা?
শুধু রাত টা পার হতে দেন,কাল সকালে একা একা আমাদের বাড়ি চলে যাবো।
কখনোই আর আপনাদের বাড়ি আসবো না।
আপনি খবরদার আমাকে একটুও মিস করতে পারবেন না।
আমার সাথে দেখা করা তো দূরের কথা কথা পর্যন্ত বলতে পারবেন না।।
আপনাকে যখন এতই অসহ্য লাগছে তখন কেনো রেখেছেন আমাকে?
একেবারে বলে দিতেই তো পারেন যে আমাকে আর ভালো লাগে না।
মানুষের স্বামীরা কত ভালো।
কত ভালোবাসে বউকে।
আর আপনি শুধু মুখেই বলেন ভালোবাসার কথা।
আপনার মনে আমার কোন জায়গা নাই।
আপনি একটা,,,,,,,,
সাগর এই পর্যন্ত পড়তেই মোহনা সাগরের মুখ টিপে ধরলো আর বললো এভাবে জোরে জোরে পড়তে হবে না।
মেসেজ মনে মনে পড়তে হয়।
আর যাকে পাঠানো হয় সেই শুধু পড়বে।
যে পাঠিয়েছে তাকে শোনানোর কোন প্রয়োজন নাই।
সাগর তখন হাসতে হাসতে বললো ঠিক আছে আর জোরে জোরে পড়বো না।
কিন্তু এসব উল্টাপাল্টা কি লিখেছো?
তোমার উপর আমি কিসের অত্যাচার করলাম?
আর আমি কখন বললাম যে তোমাকে অসহ্য লাগছে?
তুমি আমার জীবন থেকে সরে যাও।
তুমি আমাকে না জানিয়ে একা একা বাড়ি চলে গেছো।
সেজন্য আমি রাগ হয়েছি।
পরবর্তীতে যেনো এরকম না হয় সেজন্য বারণ করেছি।
কিন্তু তুমি যেভাবে লিখেছো মনে হচ্ছে আমি আমার সম্পর্ক টা আর রাখতে চাচ্ছি না।
তাই যা মন চায় তাই বলছো।
মোহনা সে কথা শুনে বললো মানলাম আমি ভুল করেছি।
তার জন্য তো সরিও বলেছি।
কিন্তু তুমি আমাকে ক্ষমা করা তো দূরের কথা কথা পর্যন্ত বলছো না।
শুধু তুমি না তোমার ফ্যামিলির সবাই আমাকে এড়িয়ে চলছে।
আমাকে এসব আর সহ্য হচ্ছে না।
তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি তোমরা সবাই যখন আমাকে আর পছন্দ করছো না তাই তোমাদের থেকে দূরে থাকাই বেটার হবে।
সাগর তখন বললো সরি বললেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায় নাকি?
আমি বাবার চোখে কত টা খারাপ হলাম?
আজ পর্যন্ত যে বাবার একটা কথাও অমান্য করি নি।
উনি কত টা কষ্ট পাইছেন ভেবে দেখেছো একবার?
মোহনা তখন বললো বার বার সেই এক কথা কেনো বলছো?
আমি তোমাকে কি আমার কাছে যেতে বলেছি?
তুমি গিয়েছো কেনো?
সাগর সে কথা শুনে বললো বউ বাড়িতে এসেছে এই কথা শুনে কোন জামাই ছুটে আসবে না?
তুমি বাড়িতে এসেছো আর আমি কি করে স্থির থাকি বলো?
দুইদিন ধরে দেখি না।
ব্যস্ত থাকার কারনে ঠিক করে কথা পর্যন্ত বলি নি।
ভাবলাম এই সুযোগে দেখা করেও আসি আর তোমাকে আবার বাড়িতে রেখে আসি।
এজন্যই তো গিয়েছিলাম।
সেই জন্য সব দোষ তোমার।
তোমার জন্যই আজ এতোকিছু হলো।
তুমি বাড়িতে না আসলে কি আমি যেতাম সেখানে?
মোহনা সে কথা শুনে সাগর কে জড়িয়ে ধরলো আর বললো আমি জানি তুমি আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসো।।
আমাকে ছাড়া এক মুহুর্ত ও থাকতে পারো না।
কিন্তু সামিরার উপর এরকম অবিচার কেনো করছিলে?
সাগর কোন উত্তর দিলো না।
তখন মোহনা বললো এখন একটা সত্যি কথা বলি?
আসলে কথা টা না বলে শান্তি পাচ্ছিলাম না।
এই কথা টা শুনলে আমার কি হবে জানি না তবুও বলছি।
কারন আমি তোমার থেকে কিছুই লুকাতে পারবো না।
তুমি শোনার জন্য প্রস্তুত তো?
সাগর বললো কি এমন কথা?
এভাবে বলছো কেনো?
মোহনা তখন বললো এসব আমারই প্ল্যান ছিলো।
কারন আমি জানতাম আমি বাড়িতে গেলে তুমি আমার সাথে দেখা করতে আসবেই।
আর এই সুযোগে সামিরা পালাতে পারবে?
মানে কি?
কি বলছো এসব?
কিসের প্ল্যান?
সামিরার পালিয়ে যাওয়ার কথা তুমি জানতে?
মোহনা তখন বললো কিছু না।
তোমাকে কিছু বুঝতে হবে না।
সাগর সেই কথা শুনে মোহনাকে এক ঝাটকায় টেনে তুললো।
আর বললো সামিরাকে তুমি পালিয়ে যেতে বলেছো?
তুমি জানো সব?
মোহনা সে কথা শুনে চুপ করে থাকলো।
সাগর তখন বললো তোমার মাথায় এই রকম একটা ফালতু বুদ্ধি কি করে আসলো?
তুমি একবারও ভাবলে না এটা আমাদের পরিবারের মানসম্মানের ব্যাপার।
মোহনা সে কথা শুনে বললো রাখো তোমার মানসম্মান।
তোমার বোনের সুখের চাইতে মানসম্মান টাই বড় মনে হলো তোমার?
তুমি এতো স্বার্থপর?
এখন যদি আমি তোমার জীবন থেকে চলে যাই তুমি থাকতে পারবে আমাকে ছাড়া?
সাগর তখন বললো আরে বোকা!!!!
তোমার মতো আমার মাথা এতো কাঁচা না।
আমি ভালোবাসার মর্ম নিজেও ভালো করেই বুঝি।
আর পরিবারের মানসম্মানের কথাও ভাবি।
দুইটাই যাতে বজায় থাকে সেজন্য আমি সামিরার প্রেমিকের সাথেই ওর বিয়ে ঠিক করেছি।
সেজন্য ছেলেটার বাবা মার কাছে ঘটক পাঠাই।
কারন দুই পরিবার রাজি না থাকলে কোন ভাবেই বিয়ে সম্ভব না।
এজন্য পরিবার আগে রাজি হতে হবে।
কিন্তু তুমি তো আমার প্ল্যান এ একেবারে জল ঢেলে দিলে।
মোহনা সেই কথা শুনে আকাশ থেকে পড়ে গেলো।
সে এটা কি করলো?
মোহনা তখন বললো কিন্তু তুমি তো আমাকে অন্তত ব্যাপার টা বলতে পারতে।
আমি ভাবছিলাম সামীরা অন্য কাউকে বিয়ে করলে কিছুতেই সুখী হতে পারবে না তাই ওর প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়াটাই ঠিক কাজ হবে।
সাগর তখন বললো খুব ভালো কাজ করেছো।
এর জন্য তোমাকে এমন একটা শাস্তি দিবো জীবনেও ভুলতে পারবে না।
শাস্তি টা পরে দিবো।
আগে বলো ওরা কোথায় আছে।
সামিরা কে বাড়ি আসতে বলতে হবে।
এখনও সময় আছে।
বাবা কে যেকোন একটা অজুহাত দেখাতে হবে।
মোহনা সাগরের কথা শুনে বললো তুমি সব সত্য বলছো তো?
সাগর তখন মোহনার উপর চোখ রাঙ্গিয়ে বললো,
সামিরা তোমার না আমার আপন বোন?
ওর কষ্টে সবার আগে কাকে খারাপ লাগবে?
ওর ভালো সবার আগে কে চাইবে?
মোহনা সেই কথা শুনে সামিরা কে ফোন দিলো।
চলবে,,,,,
পরবর্তী পর্ব পড়তে চাইলে অবশ্যয় লাইক কমেন্ট করতে হবে।
কথা রাখলাম এখন বলো আজকের পর্ব কেমন লাগলো সবার?