#গল্পটা_পুরনো।
পর্ব – ৬
মুনিরা জলী।
* * *
রাদীব বাড়ির ভিতরে ঢুকে দেখে উর্বি ডাইনিং টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করছিল। সম্ভবত সকালের নাস্তার জন্য টেবিল সাজাচ্ছে। রোকেয়া কিচেনে নাস্তা তৈরি করছে , তার খুটখাট আওয়াজ ভেসে আসছে কিচেন থেকে।
বাইরের মেইন দড়জা দিয়ে ঢুকেই ড্রয়িং এরিয়া তারপর ডাইনিং এরিয়া। ড্রয়িং, ডাইনিং একসাথে। রাদীবদের বাড়িটা দোতালা। একতলায় রাদীবরা থাকে। দোতালাটা রাদীবের চাচার। ওদের চাচা আমেরিকায় থাকে স্বপরিবারে। তাই দোতালাটা ভাড়ায় দেয়া আছে।
বাড়ির ভিতরের দিকে অনেক বড় উঠান। উঠানের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বেশ কিছু গাছ। আম , কাঁঠাল , পেয়ারা ও ডালিম গাছ। গোলাপ ,জবা , বেলী ,হাসনাহেনা আরও আছে বকুল ও কামিনী ফুলের গাছ। আরও কিছু ছোট ছোট ফুলের গাছও আছে।
রাদীব টেবিলের কাছে এগিয়ে এসে বলল , “একটা কাচের বোলে পানি ভরে আনতো দেখি। ”
এতক্ষন উর্বি নিজের কাজে এতো মগ্ন ছিল , রাদীবের আগমন ও টেরই পায়নি। এখন রাদীবের কথায় চমকে মুখ তুলে তাকায় সে , অবাক হয়ে বলে ,
” কাচের বোল দিয়ে কি করবি? তাও পানি ভরা। ” তখনই রাদীবের হাতের ফুলের দিকে ওর নজর যায়। ” এত শিউলি ফুল কেন আনছিস? কি করবি এতগুলো ফুল দিয়ে? ”
রাদীব এবার বিরক্ত হয়ে বলে , ” এতো প্রশ্ন পরে করিস। এখন যা বললাম আগে সেটা কর। ”
উর্বি বুঝতে পারে রাদীব একটু রেগে গেছে। তাই আর কথা না বাড়িয়ে দ্রুতবেগে একটা কাচের বোলে পানি ভরে এনে টেবিলের উপর রাদীবের সামনে রাখে সে। রাদীব ফুল গুলো বোলের ভিতরে পানির মধ্যে ছড়িয়ে দেয়। তারপর বোলটা নিয়ে সোফার সামনে সেন্টার টেবিলের মাঝখানে রেখে দেয়। উর্বি এতক্ষন চুপচাপ রাদীবের কার্যকলাপ দেখছিল। এবার ওর মুখে হাসি ফুটে ওঠে। সে এবারে জিজ্ঞেস করলো ,
” হঠাৎ এভাবে ফুল সাজিয়ে রাখছিস যে? এই বুদ্ধি হঠাৎ কৈ থেকে পেলি বলত? ”
উর্বির প্রশ্ন শুনে এক মুহূর্তের জন্য থমকে যায় রাদীব। ভেবে পায়না কি জবাব দিবে সে। তারপর নিজেকে সামলে নেয়। মুখে হাসি টেনে বলে,
” ন্যাচারাল ফ্রেশনার বুঝলি ! দেখ কি দারুন একটা সুঘ্রাণে ঘরটা ভরে গেছে , এরকম ফ্রেসনার মার্কেটে কোথাও পাবি বল? ”
” সেটাতো বুঝলাম, কিন্তু -” উর্বির কথা শেষ হয়না। তার আগেই রোকেয়া সদ্য বানানো গরম রুটির ঝুড়ি হাতে কিচেন থেকে বেড়িয়ে এলেন। ওদেরকে এখনো এভাবে দাঁড়িয়ে গল্প করতে দেখে ধমকে বলে উঠলেন তিনি ,
” কিরে , এই সাত সকালে তোরা এমন গল্পের ঝাপি খুলে বসেছিস যে? তোদের কারও ক্লাশ নাই আজ? ” রুটির ঝুড়িটা টেবিলে রেখে রাদীবের দিকে ঘুরে দাঁড়ালেন তিনি। বললেন ,
” আর তুই জগিং থেকে এসে ফ্রেশ না হয়ে এখনো এভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছিস কেন? ”
মায়ের কথা শুনে উর্বি ফিক করে হেসে দেয় । তাই দেখে রাদীব রেগে কটমটে চোখে তাকায় তার দিকে। তাই দেখে রোকেয়া চোখ পাকিয়ে চেয়ে বলেন , ” উর্বি যাতো কিচেনে ভাজি আর ডিমের ওমলেট আছে নিয়ে আয় সেগুলো। ”
উর্বি কিছু না বলে কিচেনে গিয়ে ঢোকে। রোকেয়া রাদীবের দিকে তাকিয়ে চোখের ইশারায় প্রশ্ন করেন। রাদীব কিছু না বলে ওর রুমের দিকে পা বাড়ায়।
রুমে এসে দেখে আদীব স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। সাদা শার্ট পরে বোতাম লাগাচ্ছিল। রাদীবকে দেখে বলল,
” ভাইয়া ! তোমার এতো দেরি হলো যে আজ। দেরি দেখে ভাবলাম তোমার বোধহয় আজ ক্লাশ নেই। আমি আজ সাইকেল নিয়ে একাই স্কুলে যাব। ”
” আচ্ছা ! তোর একা সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাওয়ার খুব শখ দেখছি। ”
” কেন? তুমি তো যাও। আমাকে কেন যেতে দাওনা?
আদীবের গোমড়া মুখের দিকে এক মুহুর্ত চেয়ে রইল রাদীব। আদীবের কাছে এগিয়ে এসে ওর ঘারের পিছনে এক হাত রেখে ওকে জড়িয়ে ধরলো সে। তারপর নরম গলায় বললো ,
” শোন তুই এখনো অনেক ছোট । মাত্র ক্লাশ এইটে পড়িস । আর তোর স্কুল অনেক টাই দুরে। এতদূর একা সাইকেল চালিয়ে যাওয়া খুব রিস্কি হয়ে যায় বুঝলি? একা গেলে রিক্সায় যা। আমি বারন করবো না। কিন্তু সাইকেল নিয়ে যাবি না। ঠিক আছে? ”
অনিচ্ছা সত্ত্বেও আদীব মুখটা কালো করে মাথা নেড়ে বললো , ” ওকে ভাইয়া। ”
” এইনা হলো আমার গুড বয় ভাইয়া। আচ্ছা আমি পাঁচ মিনিটে গোসলটা সেরে আসি। তুই ততক্ষণে নাস্তা করে নিস।
রাদীব কথা শেষ করেই বারান্দা থেকে গামছা নিয়ে সোজা বাথরুমে ঢুকে পরল।
* * *
পা দুটো ঝুলিয়ে খাটের কিনারায় বসে আছে তোয়া। রুহী ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে চুল আঁচড়াচ্ছে । কলেজে যাবে সে , তাই রেডি হচ্ছে। তোয়া চুপচাপ রুহীর দিকে তাকিয়ে দেখছে। নাহ্ দেখছে বললে ভুল হবে , ও আসলে চেয়ে আছে ঠিকই কিন্তু কিছু দেখছিল না ,আনমনা হয়ে কিছু একটা ভাবছে সে।
রুহী আয়নার ভিতর থেকে রুহীকে দেখে ওর দিকে ঘার ঘুরিয়ে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল,
” কি ভাবছো আপু? ফুপুমনিদের কথা মনে পরছে? ”
তোয়া চমকায়। রুহীর প্রশ্ন শুনে লজ্জিত হয়। ও আসলে বাড়ির কথা ভাবছিলনা। এই প্রথম একা বাড়ি থেকে দুরে এসেছে। স্বাভাবিক ভাবে তাদের কথাই মনে পরা উচিৎ। কিন্তু ওর একবারও বাড়ির কারও কথা মনেই পরেনি।সেই রাতে একবার আব্বু আম্মুর সাথে কথা বলেছিল আর কথা বলা হয়নি। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবে তোয়া , ‘নাহ্ রুহী কলেজে চলে গেলে বাসায় একবার ফোন করতে হবে। ‘
তোয়ার কাছ থেকে কোনো জবাব না পেয়ে রুহী এবার একটু জোরেই বলে উঠলো , ” আপু? কি হলো? কি ভাবছ এতো? ”
তোয়া এবার একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলে, ” ভাবছি বাসায় একটা ফোন করতে হবে। ”
” তো ফোন কর, এতো ভাবার কি আছে? ”
” হুম করব। তা তুই বাসায় ফিরবি কখন? ”
” এইত একটার মধ্যেই ফিরব। তুমি কি করবে এতক্ষন? ”
” কি করব আবার? পড়ব। কাল সারাদিন একটুও পড়া হয়নি। আজ কোনো ফাঁকিবাজি করবনা। সারাদিন শুধু পড়া আর পড়া। ” হাাসল তোয়া তার কথা শেষ করে।
এসময় দুই হাতে দুটি মগ নিয়ে রুমে ঢুকলেন শাহানা। দুজনের হাতে মগ দুটো ধরিয়ে দিতে দিতে বললেন,
” রুহী আজ তাড়াতাড়ি ফিরবি কিন্তু। ভালো রান্না করছি, বিকেলে আবার শপিংয়েও যাব। ছোট দিন। তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পরতে হবে। মনে থাকবে? ”
রুহী চায়ের মগে একটা চুমুক দিয়ে বলে ” খুব মনে থাকবে। আর আমি একটার মধ্যেই ফিরব। আরও আগেও ফিরতে পারি। তাই একদম চিন্তা করবানা। ওকে? ”
তোয়া বলল, ” তোমাদের সবকিছু গোছানো হয়ে গেছে? কাল রওনা দিবে, আর আজকে আবার শপিং এ যাবে? ”
শাহানা হেসে বললেন, ” বিয়ে খেতে যাচ্ছি, এখনো গিফ্ট কেনা হয়নি। আরও কিছু টুকটাক দরকারি কেনাকাটাও করতে হবে।” একটু থেমে আবার বলেন, ” আর তোর কিছু কেনার থাকলে কিনে ফেলিস। ”
” আমিও যাব? কিন্তু আমার পড়া আছে তো। ”
” সারাদিন যত খুশি পড়তে পারিস পর। বিকেলে আমাদের সাথে বের হবি। ঠিক আছে? ”
তোয়া আর কথা বাড়ায়না। মাথা নেড়ে বলে , ” আচ্ছা বাবা ঠিক আছে যাব। ”
” আচ্ছা ঠিক আছে। তোরা চা টা শেষ কর। ঐদিকে আমার অনেক কাজ পরে আছে যাই সেগুলো সেরে ফেলি। ”
বলেই ঘুরে দাঁড়িয়ে রুম ছেড়ে দড়জার কাছে যেতেই দেখতে পেলেন উর্বি ভিতরে আসছে। শাহানাকে দেখে দাঁড়িয়ে পরল সে। হেসে বললো ,
” আসসালামুআলাইকুম কাকী, কেমন আছেন? ”
শাহানাও হাসি মুখে সালামের জবাব দিয়ে বললেন, ” আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। তুমি কেমন আছ? ”
” আলহামদুলিল্লাহ কাকী ভালো আছি । ”
” ঠিক আছ। তোমরা এখনই বের হবে তো? ”
” জ্বী কাকী , আসলে এমনই অনেক দেরি হয়ে গেছে , এখন রিক্সা ঠিক মতো পেলেই হয়। নইলে প্রথম ক্লাসটা মিস হবে।”
” আচ্ছা। তাহলে আর দেরি করনা। বেরিয়ে পর তোমরা। ” রুহীর উদ্দেশ্যে তাড়া দিয়ে একটু জোরে বলে উঠলেন তিনি ,
” রুহী তোর হলো? ”
রুহী বলল, ” হ্যাঁ আম্মু আমি রেডি। ”
” ঠিক আছে, সাবধানে যাবি আর তাড়াতাড়ি ফিরবি কিন্তু। মনে থাকবে? ”
” বললাম তো আম্মু আজকের তাড়াতাড়ি ক্লাস শেষ হবে। একটার আগেই বাসায় ফিরে আসব। দেখ। ”
শাহানা রুম ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। উর্বি ভিতরে এসে দাঁড়ায়। তোয়ার সাথে রুহীর পরিচয় করিয়ে দিতে রুহী বললো ,
” আমার ফুপাতো বোন তোয়া আপু – ” ওকে থামিয়ে দিয়ে উর্বি বলে ওঠে , ” আরে আমি চিনি তো, দুবছর আগে তোর ফুপু সহ এসেছিল না? ” তোয়ার দিকে তাকিয়ে হেসে বলে , ” কেমন আছ আপু? আমাকে চিনতে পেরেছ? আমি – ওর কথা কেড়ে নিয়ে তোয়া মুখে হাসি টেনে বলল ,
” হ্যাঁ, চিনব না কেন? চিনেছি। তুমি উর্বি, পাশের বাসায় থাক। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তোমরা তাহলে একি কলেজে পড়? ”
” জ্বী আপু। আমরা একই সাথে পড়ি। ”
রুহী ওর প্রয়োজনীয় জিনিস দ্রুত তার ব্যাগের ভিতরে রেখে চেন টেনে লাগিয়ে নিল। ব্যাগ কাধে ঝুলিয়ে নিয়ে বলল,
” চল আমি রেডি । ” তোয়ার দিকে তাকিয়ে বলল, ” আমরা তাহলে আসি আপু। দুপুরে দেখা হবে। ”
তোয়া বলল, ” ইনশাআল্লাহ্। সাবধানে যাইস। ”
উর্বিও তোয়ার কাছে বিদায় নেয়। তারপর দুজনে একসঙ্গে কলেজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায় ।
তোয়া বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। রুহীদের গেটের বাইরে বের হতে দেখল। দুজনে গল্প করতে করতে হেঁটে যাচ্ছে। যতক্ষণ ওদের দেখা গেল তোয়া ততক্ষণ দুহাতে বারান্দার গ্রিল আকড়ে ধরে ঠায় দাঁড়িয়ে রইল। হঠাৎ ওর মনটা বিষণ্ণতায় ছেয়ে গেল।
রৌদ্র উজ্জল ঝকঝকে একটা দিন। সবাই যারযার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটে চলেছে। সকালের নাস্তা খেয়ে একে একে মামা, শাহীল তারপর রুহীও বেরিয়ে গেল। শুধু তোয়ার কোথাও যাওয়ার নেই, কোনো গন্তব্য নেই। যেন ও অনন্তকাল ধরে এখানেই এভাবে দাঁড়িয়ে আছে। মাঝে মাঝে ওর এমন মন খারাপ হয়। কোন কারণ ছাড়াই হুটহাট এমন মন খারাপের দিন এসে ওর সমস্ত দিনকে বিষাদময় করে তোলে। ও একটু চুপচাপ, শান্ত স্বভাবের, আর ভীষন চাপা। তাই সে ভিতরে ভিতরে গুমরে মরে , কিন্তু কাউকে কিছু বলতে পারেনা ।
আজকের সকালটা শুরু হয়েছিল খুব সুন্দর ভাবে। খুব মিষ্টি ছিল সকালটা। হঠাৎ সকালের কথা মনে পরতেই তোয়ার কেমন কেমন যেন লাগছে । একটা অজানা অনুভূতি হচ্ছে। গতকাল দুপুরে রাদীবকে প্রথম দেখার মুহুর্তটা ওর মানসপটে ভেসে ওঠে। এমনটা ওর কখনও হয়নি। কখনই না। এমন না যে রাদীবকে আগে দেখেনি সে। প্রতি দু , তিন বছর পর পর সে মায়ের সাথে বেড়াতে আসত নানা বাড়িতে। তখন সে ছোট ছিল। রাদীবকে তখন সে অনেক বার দেখেওছে। তবে কখনও কথা হয়নি। সেভাবে কখনও খেয়ালও করেনি। অথচ কাল যখন প্রথম দেখা হলো ওদের, তখন থেকে অদ্ভুত ভাবে একটা চিনচিনে ব্যথার সৃষ্টি হয়েছে ওর বুকের মধ্যে। একটা মিষ্টি বেদনা। ব্যথা কখনও মিষ্টি হতে পারে? তাহলে ওর কেন এই বেদনা কষ্টের মনে হচ্ছেনা? এই নতুন অনুভুতি ওকে অবাক করে দিয়ে একটু আগের সমস্ত বিষন্নতা মুছে ফেলে একটা ফুরফুরে শীতল ছোঁয়া ওর মনটাকে রাঙিয়ে তুলল।
সকালেও এমন আনমনা হয়ে সে বোকার মতো একা একা হাসছিল। অবশ্য মানুষ যেকোন সুখ স্মৃতি মনে করেও আনমনে হেসে ওঠে। কিন্তু সে সময় হঠাৎ মামা দড়জা খুলে বের হতে দেখে তোয়া ভিষণ লজ্জায় পরে যায়। আসলে কাউকে ভালো লাগার অনুভূতিটাই এমন , যে অনুভূতি মানুষ নিজের মধ্যে একান্তে , গোপনে লুকিয়ে রেখেই অনুভব করতে চায়। সেই অনুভুতি এতোটাই তীব্র যে , সেই মানুষটার ভাবনায় যখন ডুবে থাকা হয় তখন কেউ সামনে এলে মনে হয় সে বোধহয় তার ভাবনা গুলো দেখে ফেলছে, তার মনের কথা পড়ে ফেলছে। তোয়ার তখন সেই রকমই মনে হচ্ছিল যখন রাকিবুল ওকে দেখে বলেছিল,
” কিরে এখানে দাঁড়িয়ে একা একা এভাবে হাসছিস কেন? মাথা ঠিক আছে তো? ”
তোয়া থতমত খেয়ে গেল। অবশ্য পরক্ষণেই সামলে নিয়ে বললো, ” কিছুনা মামা , এমনই পুরনো একটা কথা মনে পরলো , তাই আরকি। ”
রাকিবুল ভ্রু কুঁচকে চেয়ে বললেন , ” ওহ্ আচ্ছা। ঠিক আছে ভিতরে যা।তোর মামি খুজতেছিল নাস্তা খাওয়ার জন্য। ”
” এইতো যাচ্ছিলাম মামা। ”
এইসব ভাবনায় এতোই বুদ হয়ে ছিল যে , হঠাৎ কারও ডাক শুনে চমকে ওঠে তোয়া। ভাবনার দুনিয়া থেকে বেড়িয়ে বাস্তব দুনিয়ায় ফিরে এসে পিছনে ঘুরে দাঁড়ায় সে।
চলবে ইনশাআল্লাহ।