#গোধূলি_বেলায়
#পর্ব_14
রাতে আনন্দির সাথে একজনকে থাকা অনুমতি দিয়েছেন ডাক্তার। মনোয়ারা বেগম থাকতে চাইলে সমাপ্ত সাথে সাথে না করে দেয়।
মনোয়ারা বেগম তার ছেলেকে বোঝান যে সদ্য জন্ম নেওয়া আনুসমির দেখাশোনা সমাপ্ত একা করতে পারবে না। কিন্তু কে শোনে কার কথা।
যদিও আনন্দির জন্য চব্বিশ ঘন্টার জন্য একটা নার্স রাখা হয়েছিল তাই সমাপ্তকে রেখে বাকিরা বাসায় চলে গেল।
সবার যেতে যেতে বেশ রাত হয়ে যায়। তারপর নার্স আসে আনন্দিকে খাওয়াতে। কিন্তু আনন্দিকে লিকুইড খাবার দেওয়া হয়েছে যা আনন্দি কিছুতেই খাবে না।
সমাপ্ত পড়েছে মহা ঝামেলায়। ডাক্তারের সাথে কথা বলেও কোন উপায় হল না। অবশেষে সমাপ্ত নার্সকে বলে নিজে আনন্দিকে খাওয়ানোর দায়িত্ব নিল।
নার্স কেবিন থেকে চলে যেতেই সমাপ্ত বাইরে থেকে কিনে আনা কিছু নরম জাতীয় খাবার বের করল। এগুলোতে আনন্দির খুব একটা ক্ষতি হবে না কিন্তু হসপিটাল কতৃপক্ষ কিছুতেই এ্যালাও করত না তাই এই পদ্ধতি।
আনন্দি খাবার গুলো বেশ তৃপ্তি সহকারে খেল। সমাপ্ত সেদিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল, ওই খাবারগুলোতে কি সমস্যা ছিল?
– ওগুলো রোগীর খাবার, দেখলেই কেমন যেন নিজেকে রোগী রোগী লাগে।
– তো তুমি তো রোগী।
আনন্দি চমকে তাকালো। সমাপ্ত বহুদিন পর ওকে তুমি করে বলেছে। এতোদিন তুই বলে এটা প্রমাণ করত যে ও আনন্দিকে বন্ধু ছাড়া আর কিছুই ভাবে না। কিন্তু তাহলে আজ তুমি কেন ডাকল।
আনন্দিকে ভাবনায় ডুবে থাকতে দেখে সমাপ্ত আবারও প্রশ্ন করল, কি হল?
আনন্দি নিজেকে সামলে নিল খুব দ্রুত। এখন আর আবেগগুলো ওকে গ্রাস করলেও বেশী সময় বেধে রাখতে পারে না। মুখের ভঙ্গি পাল্টে হাসি হাসি মুখে উত্তর দিল, আমি রোগী হতে যাব কেন? আমি তো আজ মা হয়েছি। রোগী না
সমাপ্ত হেসে ফেলল। এর আগে আনন্দি এতো গভীরভাবে কখনও অনুভব করা হয় নি। মেয়েটার মধ্যে যে এখনও বেশ বাচ্চামী আছে তা বোঝা যাচ্ছে। সমাপ্ত হাসতেই আছে।
আনন্দি কিছুটা সময় সমাপ্তর হাসি দেখল। অনেকদিন ও এভাবে সমাপ্তকে হাসতে দেখে নি। ছেলের হাসিটা খুব সুন্দর মনে হয় যেন বুকে গিয়ে আঘাত করে। এই হাসি দেখতে যে কোন মেয়ে একনিমিসে প্রেমে পড়ে যাবে বলে আনন্দির ধারণা। আর যে পড়বে না তার হৃদয় নিশ্চিত কংক্রিটের দ্বারা র্নিমিত।
আনন্দি সমাপ্তর দিকে তাকিয়ে কপট রাগ দেখিয়ে বলল, হাসবে না। আমাকে যদি মা হওয়ার জন্য ওই খাবারটা খেতে হয় তাহলে তো নিয়ম অনুযায়ী তোমাকেও খেতে হবে।
সমাপ্ত হাসি থামিয়ে ভ্রু কুচকে আনন্দির দিকে তাকাল। তারপর ভ্রুকুটি নাচিয়ে প্রশ্ন করল, কেন আমাকে কেন খেতে হবে?
আনন্দি সমাপ্তর দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে দিয়ে বলল, কারন তুমিও তো বাবা হয়েছ তাই।
– ঠিক বলেছ আমি ছাড়া তো তুমি মা হতে পারতে না। এতে আমার ক্রেডিট সব থেকে বেশী।
সমাপ্ত একটা দুষ্টুমি ভরা হাসি দিয়ে বলল।
– তো নাও খাও। ভাল করে খেয়ে নাও।
নার্সের রেখে যাওয়া বাটিটা এগিয়ে দিল আনন্দি।
সমাপ্ত আনন্দির হাতের খাবারটা খেয়ে নিয়ে বলল, হুম আমারা তো বাবা মা হয়েছি তাই আমাদের একই খাবার খেতে হবে নিয়ম অনুযায়ী । ওই খাবারটা না বুঝলে!
দুজনেই একসাথে হেসে দিল। কিন্তু বাবা মার হাসি মনে হয় পছন্দ হলো না ছোট্ট আনুসমির তাই সাথে সাথেই কেঁদে দিল ও। সমাপ্ত ওঠে গিয়ে দোলনা থেকে কোলে তুলে নিল মেয়েকে। তারপর আনুসমিকে নিয়ে আবার আনন্দির সামনে এসে বসল। আনন্দি খাবারগুলোর দিকে তাকিয়ে থেকে বেশ চিন্তিত ভাবে বলল, এখানে এতো খাবার কেন? আমি এতোগুলো খেতে পারব না তো।
– আমারও খাবার আছে ওতে।
– তুমি এগুলো কেন খাবে? এগুলো তো বেঁচে থাকার জন্য খেতে হয় বলে খায়। তোমার তো কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তুমি ভাল খাবার খাও।
– আমার বাচ্চার মা এগুলো খাবে আর আমি ভালো খাবার কি করে খাব! তাই এগুলো এনেছি।
আনন্দির চোখ চকচক করে উঠল। সমাপ্ত এর আগে কোনদিন এমন করে বলে নি।
সমাপ্ত তা দেখে বলল, এতো খুশি হওয়ার কিছু নেই আমি আমার মেয়ের জন্য করছি এসব। আর আমার মেয়েকে যে এতো কষ্ট করে এই পৃথিবীতে এনেছে তাকে এটুকু সম্মান করাই যায়। আমি জানি মেয়েরা কতোটা কষ্ট করে একটা বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে ।
আমি এতোটাও নিষ্ঠুর নই আর না তোমার বর্নণা করা সেই পশুদের মতো নির্মম । আমার মা আমাকে ছোট থেকেই মেয়েদের সম্মান করতে শিখিয়েছেন আর আমি সারা জীবন সব মেয়েদের সম্মানের চোখে দেখি।
আনন্দি মনে মনে বলল, তুমি যে মেয়েদের কিংবা কোন মানুষকে কতোটা সম্মান কর তা আমি প্রথম দিন থেকেই জানি।
যেখানে একটা মৃত্যু পথযাত্রী মেয়েকে কেউ বাঁচাতে আসে নি সেখানে তুমি তাকে বাঁচানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছ। পরে সেই মেয়েকে বাসায় আশ্রয় দিয়েছ এবং বিয়ে করে সর্বোচ্চ সম্মান রক্ষা করেছ।
তুমি আমাকে কোনদিনও ভালবাসতে পার নি কিন্তু তাই বলে আজ পর্যন্ত কখনও অসম্মান টুকুও করো নি। নিজের খারাপ লাগাটুকু নিজের মধ্যে রেখে দিয়েছ। যখন আর সহ্য করতে পার নি তখন রিয়াক্ট করেছ তবে পরে আবার আমার কাছে ক্ষমাও চেয়েছ। একটা সাধারণ বাইরের মেয়ের জন্য তুমি এতোগুলো স্যাক্রিফাইজ করে গেছ মুখ বুজে।
সত্যি তোমার মতো একটা মানুষ যে আমার জীবনে আছে তাতে আমি গর্ববোধ করি। তবে সেদিন আমারও মাথাটা একটু গরম হয়ে গেছিল তাই একটু রিয়াক্ট করে ফেলেছিলাম। ক্ষমা করে দিও প্লিজ।
তবে মুখে কিছুই বলতে পারে না আনন্দি।
– কি হল খাবার নিয়ে বসে রইলে যে, খেয়ে নাও আর আমাকেও খাইয়ে দাও তো।
– তুমি আমার হাতে খাবে?
– হ্যা এটা জিজ্ঞাসা করার মতো কোন প্রশ্ন ? আমি তো বললাম খাইয়ে দাও।
– না এর আগে কখনও এমন হয় নি তো তাই।
– এখন থেকে এমন অনেক কিছু হবে যা এর আগে হয় নি।
আনন্দি সমাপ্তকে খাইয়ে দিতে শুরু করল। আর সমাপ্ত তার মেয়েকে কোলে নিয়ে এটা সেটা বলে চলেছে। ওদের দেখে মনে হয় না বাচ্চাটার বয়স একদিনও হয় নি।
আনন্দি হঠাৎ বলল, একটা প্রশ্ন করব?
– হুম কর। বলে সমাপ্ত আনন্দির দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো।
– আচ্ছা তুমি তো বাচ্চাটা রাখতে চাও নি। ইভেন এতোদিন বাচ্চাটা নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়াও দেখি নি তোমার মধ্যে তাহলে আজ হঠাৎ তোমার কি হল?
সমাপ্ত আবার ওর কোলের মধ্যে গুটিসুটি হয়ে ঘুমিয়ে থাকা আনুসমির দিকে তাকাল তারপর বলল, জানি না। আজ যখন নার্স ওটি থেকে বেড়িয়ে ওকে আমার কোলে দিল তখন এই ছোট্ট দুটি মায়াময় চোখ থেকে আমি নিজের চোখ সরাতে পারছিলাম না। তখনই হঠাৎ অনুভব করলাম ওর সব কষ্টগুলো আমি অনুভব করছি। জানি না কোথা থেকে একটা অজানা টান কাজ করতে লাগলো। সবকিছু যেন ম্যাজিকের মতো হয়ে গেল আমি কিচ্ছুটি বুঝতেও পারলাম না। আর তারপর থেকেই ও আমার সব হয়ে গেল সব!
আনন্দি মুচকি হেসে সমাপ্তর দিকে তাকিয়ে থাকল।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আনন্দির আর আনুসমিকে বাসায় আনার পর খুব বড় করে বরন করা হয়। নতুন সদস্য এসেছে তাকে তো বরন করেই বাড়িতে ঢোকাতে হবে।
আনন্দির বিয়ের পর বরন হয় নি কারন ওর বিয়ে শশুড় বাড়ি থেকেই হয়েছিল আজ ওর সেই ইচ্ছাটাও পুরন হয়ে গেল।
একসাথে পুরো পরিবারকে বরন করা হলো। আনন্দি আনুসমি আর সমাপ্তর ছোট্ট পরিবার।
আনন্দি আর আনুসমির সাথে ওর মা মনোয়ারা বেগম থাকতে চেয়েছিলেন তাদের দেখাশোনা করার জন্য। কিন্তু সমাপ্ত এক বাক্যে না করে দেয়। মনোয়ারা বেগমও আর কিছু বলেন নি ছেলের পাগলামীর সামনে। উনি ঠিক বুঝেছিলেন সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের টান টা কেমন হয় কারন উনিও তো মা।
আরফা অবশ্য টোন কেটে বলেছিল বাব্বাহ্ এতো বউ পাগল হলি কবে থেকে রে? কিন্তু সমাপ্ত কোন প্রতিবাদ করে নি।
একটা বাচ্চা কত কি বদলে দিতে পারে। একটা পুরো মানুষকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা ওই পিচ্চি বাচ্চাটার মধ্যে আছে। সমাপ্তকে পুরো ভেঙ্গেচুরে নতুন করে প্রতিষ্ঠা করেছে ওই বাচ্চাটা।
আগের সেই ক্যারিয়ার সচেতন, বন্ধুদের নিয়ে মেতে থাকা, সংসারের প্রতি ছন্নছাড়া ভাবসম্পন্ন সমাপ্তর আর কোন অস্তিত্ব নেই। এখন যে আছে সে হল একজন প্রকৃত বাবার প্রতিচ্ছবি। নিজের মেয়ের জন্য যে সবটা করতে পারে।
মেয়ের কোন কাজই সমাপ্ত আনন্দিকে করতে দেয় না। এমনকি রাতে আনুসমি হঠাৎ কান্না করে উঠলে সমাপ্ত আগে উঠে পড়ে। তারপর সারা ঘরময় হেটে হেটে মেয়েকে ঘুম পাড়ায়।
আনন্দি তখন বিছানায় শুয়ে থেকে হাসে আর ভাবে মানুষটার মধ্যে কি পরিমাণ পরির্বতন এসেছে।
একটা ছোট্ট পার্টটাইম জব করছে সমাপ্ত যেন ও ওর মেয়ের দ্বায়িত্ব নিতে পারে। কিন্তু কিছুদিন আগেও এই লোকটা দ্বায়িত্ব নেওয়ার ভয়ে একটা নিষ্পাপ প্রাণকে পৃথিবীর মুখ দেখার আগেই মেরে ফেলতে চেয়েছিল।
কিছু সময়ের ব্যবধানে কতো কিছুই না বদলে যেতে পারে তবে তার জন্য ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। কথায় আছে, সবুরে মেওয়া ফলে। আজ আনন্দি ওর সবুরের সেই মেওয়াটা পেয়েছে।
এখন আনন্দির মাঝে মাঝেই মনে হয় জীবনটা এতো সুন্দর কেন?
এভাবে সময় কাটতে থাকে। ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠে আনুসমি। সমাপ্ত আর আনন্দি একসাথে ওদের ক্যারিয়ার নিয়ে এগিয়ে চলেছে। ওরা আগের থেকে আরও বেশী পরিশ্রম করে যেন কেউ বলতে না পারে বিয়ে করে সংসার করছে বলে ওদের ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে গেছে। ওরা একটা পথপ্রদর্শক হয়ে থাকতে চায়।
আনন্দি আর সমাপ্তর সম্পর্কটা আনুসমি আসার পর থেকে অনেকটা সহজ হয়ে উঠেছে। আগের সেই জটিলতটা আর নেই। এখন আনন্দি মাঝে মাঝেই ওদের তিনজনকে নিয়ে সপ্ন দেখে , একটা সুন্দর ছোট্ট সংসার। যার কানায় কানায় ভরা থাকবে ছোট্ট ছোট্ট সুখ হাসি কান্না সব।
আগে আনন্দি সপ্ন দেখতে বড্ড ভয় পেত। কারন তখন ও জানত ওর কোন স্বপ্ন শেষ পর্যন্ত পরিণতি পাবে না। কিন্তু এখন আর মনে হয় না। এখন ও স্বপ্ন দেখে নির্দ্বিধায়, ওকে আর সমাপ্তরে নিয়ে টুকরো টুকরো কিছু স্বপ্ন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
কেটে গেছে অনেকটা সময়। আনুসমি এখন তিন বছরের হয়ে গেছে। সমাপ্তও এখন বড় একটা কম্পানিতে জব করে। ওদের আর কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। আনন্দি কোন চাকরির চেষ্টা করে নি। ও চাই আনুসমি আরও একটু বড় হোক তারপর ও কিছু একটা চেষ্টা করবে। সমাপ্তও কিছু বলে নি, একজন তো রোজগার করছে তাতেই হবে বলে সমাপ্তর ধারনা।
কিন্তু আনন্দি কিছুদিন ধরে সমাপ্তর মধ্যে বেশ পরির্বতন দেখতে পাচ্ছে। ও বাড়িতে বেশী সময় থাকে না। রাত করে ফেরে আর সকালেই বেড়িয়ে যায়। যেটুকু সময় থাকে আনুসমিকে নিয়েই থাকে। আনন্দির সাথে দুরত্ব বজায় রাখে বলে আনন্দির ধারনা।
সেদিন ওদের সপ্তম বিবাহ্ বার্ষিকী ছিল। কিন্তু সমাপ্তর মনে নেই। আনন্দি ফোন করে সমাপ্তকে উইস করে, সমাপ্ত দায় সাড়া ভাবে উত্তয় দেয়। আনন্দি সেদিন সমাপ্তকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসতে বলে।
আনন্দি সন্ধ্যা থেকেই সমাপ্তর সব পছন্দের খাবারগুলো রান্না করে। তারপর মা মেয়েতে একটু সাজুগুজু করে। আনন্দি সমাপ্তর পছন্দের একটা শাড়ি পড়ে। কিন্তু সমাপ্তর কোন খোজ নেই। আনন্দি আর আনুসমি অপেক্ষা করতে থাকে। রাত হয়ে যাওয়ায় আনুসমি ঘুমিয়ে পড়ে।
সমাপ্ত বাড়ি ফেরে প্রায় বারোটার দিকে। বাড়িতে ফিরে কোন রকমে ফ্রেস হয়ে আনুসমির পাশে শুয়ে পড়ে সমাপ্ত। আনন্দি বরাবরই বেশ শান্তশিষ্ট মেয়ে। সেদিনও একজন শান্তশিষ্ট এবং ধৈর্যশীল বউয়ের পরিচয় দেয় ও।
সকালে সমাপ্ত অফিসের জন্য রেডী হচ্ছিল তখন ঘরে ঢোকে আনন্দি। আনন্দিকে দেখে সমাপ্ত ঘুরে দাড়ায় তারপর বলে, তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।
আনন্দি ভাবে কাল হয়তো কোন কাজে আটকে যাওয়ার জন্য ও তাড়াতাড়ি ফিরতে পারে নি, ক্লান্ত থাকায় হয়তো শুয়ে পড়েছিল রাতে। এখন হয়তো কারনটা বলবে সমাপ্ত। আনন্দি বেশ হাসি হাসি মুখে বলল, হ্যা বল কি বলতে চাও।
– আনন্দি আমি ডিভোর্স চাই। I want divorces………..
চলবে,,,,,
জাকিয়া সুলতানা
বি দ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ